ভিক্টোরিয়ান যুগের সেরা ঔপন্যাসিক মনে করা হয় তাঁকে। অলিভার টুইস্ট, ডেভিড কপারফিল্ডসহ তাঁর সৃষ্টি করা অনেক চরিত্র এখনো পরিচিত পাঠকদের কাছে। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন চার্লস ডিকেন্স।
ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথে জন্ম ডিকেন্সের। বাবা জন ডিকেন্স ও মা এলিজাবেথ ডিকেন্স। জীবনের শুরুটা যে খুব ভালো কেটেছে তা বলা যাবে না। ৯ বছর বয়সে স্কুলে যাওয়ার সৌভাগ্য হলেও তা ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাঁর বাবা, ‘ডেভিড কপারফিল্ডে’র মিস্টার মিকাওবার চরিত্রের অনুপ্রেরণা ছিলেন যিনি, ঋণের জন্য জেলে যান।
চার্লস ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের জন ডিকেন্সের সঙ্গে মার্শালসি কারাগারে বাস করতে পাঠানো হয়। চার্লসকে যেতে হয় ‘ওয়ারেনের ব্ল্যাকিং কারখানা’য় কাজ করতে। সেখানে জুতাসহ বিভিন্ন বস্তুতে কালো রং করতে হতো। কাজের পরিবেশ রীতিমতো ভয়ংকর। একাকিত্ব এবং হতাশা পেয়ে বসে তাঁকে।
তিন বছর পর আবার স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয় ডিকেন্সের। তবে ওই কারখানায় কাজ করার দুঃসহ স্মৃতি কখনো ভুলতে পারেননি তিনি। তাঁর বিখ্যাত দুই উপন্যাস ‘ডেভিড কপারফিল্ড’ এবং ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশনসে’ উঠে এসেছে সেখানকার চিত্র।
আরও অনেক বিখ্যাত লেখকের মতো একজন সাংবাদিক হিসেবে সাহিত্যজীবন শুরু হয় চার্লসের। তাঁর নিজের বাবা একজন রিপোর্টার ছিলেন এবং চার্লস ‘দ্য মিরর অব পার্লামেন্ট’ এবং ‘দ্য ট্রু সান’ নামের দুটি সাময়িকীতে কাজ করেন গোড়ার দিকে। তারপর ১৮৩৩ সালে তিনি দ্য মর্নিং ক্রনিকলের পার্লামেন্ট-বিষয়ক সাংবাদিক হন।
এ সময় তিনি ‘বোজ’ ছদ্মনামে কিছু লেখা প্রকাশ করেন। ১৮৩৬ সালের এপ্রিলে জর্জ হোগার্থের কন্যা ক্যাথরিন হোগার্থকে বিয়ে করেন ডিকেন্স। এই জর্জ হোগার্থই ডিকেন্সের বই ‘স্কেচ বাই বোজ’ সম্পাদনা করেছিলেন। বিয়ের সময়ই তাঁর ‘পিকউইক পেপারস’ প্রকাশ শুরু হয়। এটি বই আকারে বের হয় ১৮৩৭ সালে। পাঠকদের মধ্যে দারুণ সারা ফেলে এটি। এরপর আর ডিকেন্সকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
কালজয়ী অনেক উপন্যাস রচনা করার পাশাপাশি আত্মজীবনীও লেখেন চার্লস ডিকেন্স। ‘হাউসহোল্ড ওয়ার্ডস’ এবং ‘অল ইয়ার রাউন্ড’সহ বিভিন্ন সাপ্তাহিক সাময়িকী সম্পাদনা করেন, ভ্রমণ বই লিখেছেন এবং দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেছেন। থিয়েটারেও প্রবল উৎসাহী ছিলেন। নাটক লেখেন এবং ১৮৫১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার সামনে মঞ্চে অভিনয় করেন।
ডিকেন্সের বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে ডেভিড কপারফিল্ড, অলিভার টুইস্ট, নিকোলাস নিকলবি, আ টেল অব টু সিটিজ, আ ক্রিসমাস ক্যারল, ব্লিক হাউস ইত্যাদি।
বিদেশেও অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দাসত্বের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন এবং অগাস্টাস এগ নামের এক শিল্পী এবং লেখক উইলকি কলিন্সের সঙ্গে ইতালি সফর করেন। অগাস্টাস এগ ডিকেন্সের শেষ অসমাপ্ত উপন্যাস ‘দ্য মিস্ট্রি অব এডউইন ড্রুড’ লিখতে অনুপ্রাণিত করেন।
দশম সন্তানের জন্মের পর ১৮৫৮ সালে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ডিকেন্সের। তবে এ সময় অভিনেত্রী এলেন টারনানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ১৮৭০ সালের ৯ জুন স্ট্রোক করে মারা যান ডিকেন্স। ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয় তাঁকে।
সূত্র: বিবিসি, অন দিজ দে ডট কম, উইকিপিডিয়া
ভিক্টোরিয়ান যুগের সেরা ঔপন্যাসিক মনে করা হয় তাঁকে। অলিভার টুইস্ট, ডেভিড কপারফিল্ডসহ তাঁর সৃষ্টি করা অনেক চরিত্র এখনো পরিচিত পাঠকদের কাছে। আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১৮১২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পৃথিবীতে আসেন চার্লস ডিকেন্স।
ইংল্যান্ডের পোর্টসমাউথে জন্ম ডিকেন্সের। বাবা জন ডিকেন্স ও মা এলিজাবেথ ডিকেন্স। জীবনের শুরুটা যে খুব ভালো কেটেছে তা বলা যাবে না। ৯ বছর বয়সে স্কুলে যাওয়ার সৌভাগ্য হলেও তা ছিল স্বল্পস্থায়ী। কারণ তাঁর বাবা, ‘ডেভিড কপারফিল্ডে’র মিস্টার মিকাওবার চরিত্রের অনুপ্রেরণা ছিলেন যিনি, ঋণের জন্য জেলে যান।
চার্লস ছাড়া পরিবারের বাকি সদস্যদের জন ডিকেন্সের সঙ্গে মার্শালসি কারাগারে বাস করতে পাঠানো হয়। চার্লসকে যেতে হয় ‘ওয়ারেনের ব্ল্যাকিং কারখানা’য় কাজ করতে। সেখানে জুতাসহ বিভিন্ন বস্তুতে কালো রং করতে হতো। কাজের পরিবেশ রীতিমতো ভয়ংকর। একাকিত্ব এবং হতাশা পেয়ে বসে তাঁকে।
তিন বছর পর আবার স্কুলে ভর্তি হওয়ার সুযোগ হয় ডিকেন্সের। তবে ওই কারখানায় কাজ করার দুঃসহ স্মৃতি কখনো ভুলতে পারেননি তিনি। তাঁর বিখ্যাত দুই উপন্যাস ‘ডেভিড কপারফিল্ড’ এবং ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশনসে’ উঠে এসেছে সেখানকার চিত্র।
আরও অনেক বিখ্যাত লেখকের মতো একজন সাংবাদিক হিসেবে সাহিত্যজীবন শুরু হয় চার্লসের। তাঁর নিজের বাবা একজন রিপোর্টার ছিলেন এবং চার্লস ‘দ্য মিরর অব পার্লামেন্ট’ এবং ‘দ্য ট্রু সান’ নামের দুটি সাময়িকীতে কাজ করেন গোড়ার দিকে। তারপর ১৮৩৩ সালে তিনি দ্য মর্নিং ক্রনিকলের পার্লামেন্ট-বিষয়ক সাংবাদিক হন।
এ সময় তিনি ‘বোজ’ ছদ্মনামে কিছু লেখা প্রকাশ করেন। ১৮৩৬ সালের এপ্রিলে জর্জ হোগার্থের কন্যা ক্যাথরিন হোগার্থকে বিয়ে করেন ডিকেন্স। এই জর্জ হোগার্থই ডিকেন্সের বই ‘স্কেচ বাই বোজ’ সম্পাদনা করেছিলেন। বিয়ের সময়ই তাঁর ‘পিকউইক পেপারস’ প্রকাশ শুরু হয়। এটি বই আকারে বের হয় ১৮৩৭ সালে। পাঠকদের মধ্যে দারুণ সারা ফেলে এটি। এরপর আর ডিকেন্সকে পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
কালজয়ী অনেক উপন্যাস রচনা করার পাশাপাশি আত্মজীবনীও লেখেন চার্লস ডিকেন্স। ‘হাউসহোল্ড ওয়ার্ডস’ এবং ‘অল ইয়ার রাউন্ড’সহ বিভিন্ন সাপ্তাহিক সাময়িকী সম্পাদনা করেন, ভ্রমণ বই লিখেছেন এবং দাতব্য সংস্থা পরিচালনা করেছেন। থিয়েটারেও প্রবল উৎসাহী ছিলেন। নাটক লেখেন এবং ১৮৫১ সালে রানি ভিক্টোরিয়ার সামনে মঞ্চে অভিনয় করেন।
ডিকেন্সের বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে আছে ডেভিড কপারফিল্ড, অলিভার টুইস্ট, নিকোলাস নিকলবি, আ টেল অব টু সিটিজ, আ ক্রিসমাস ক্যারল, ব্লিক হাউস ইত্যাদি।
বিদেশেও অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দাসত্বের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেন এবং অগাস্টাস এগ নামের এক শিল্পী এবং লেখক উইলকি কলিন্সের সঙ্গে ইতালি সফর করেন। অগাস্টাস এগ ডিকেন্সের শেষ অসমাপ্ত উপন্যাস ‘দ্য মিস্ট্রি অব এডউইন ড্রুড’ লিখতে অনুপ্রাণিত করেন।
দশম সন্তানের জন্মের পর ১৮৫৮ সালে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় ডিকেন্সের। তবে এ সময় অভিনেত্রী এলেন টারনানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। ১৮৭০ সালের ৯ জুন স্ট্রোক করে মারা যান ডিকেন্স। ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবেতে সমাহিত করা হয় তাঁকে।
সূত্র: বিবিসি, অন দিজ দে ডট কম, উইকিপিডিয়া
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৬ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৬ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৬ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৭ দিন আগে