আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
গোধূলি বেলার এমন চিত্র ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছিলেন বেলজিয়ামের চিত্রশিল্পী রেনে ম্যাগ্রিট। ১৯৫৪ সালে আঁকা ছবিটি নিলামে বিক্রি হলো ১২ কোটি ১ লাখ ডলারে।
গতকাল মঙ্গলবার নিলামঘর ক্রিস্টি নিউইয়র্কে ছবিটি নিলামে তোলে। ছবিটি এর আগেও নিলামে তোলা হয়েছিল। সে সময় দাম উঠেছিল ৯ কোটি ৫ লাখ ডলার।
এই চিত্রকর্মে রাত ও দিনের সম্মিলনের অর্থাৎ গোধূলি মুহূর্তকে ফুটিয়ে তোলার এই অনন্য দক্ষতার জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছেন ম্যাগ্রিট। এল’এমপায়ার দে লুমিয়ের (দ্য এম্পায়ার অব লাইট) শিরোনামে পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পী ম্যাগ্রিটের আঁকা এটি অন্যতম একটি বড় ক্যানভাসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণের ছবি। প্রায় ১৫ বছর ধরে দিন-রাতের আলোর পরিবর্তন নিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য আঁকার ওপর কাজ করেন। এ বিষয়বস্তুতে তিনি ১৭টি তেলচিত্র ও ১০টি জলচিত্র আঁকেন।
বাস্তবতা ও কল্পনা মিশ্রণ ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতেন ম্যাগ্রিট। দুই দশক অনুসন্ধানের পর আঁকা ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিংগুলোর মধ্যে পরাবাস্তববাদী চিন্তাকে তুলে ধরেন তিনি। ‘বউলার হ্যাট ম্যান’ বিষয়বস্তুতে আঁকা বেশ কিছু চিত্রকর্মের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন ম্যাগ্রিট।
নিলামঘর ক্রিস্টি জানায়, রেনে ম্যাগ্রিটের নিলামে ওঠা সব চিত্রকর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হলো এই ছবি। চিত্রকর্মটির প্রাক্তন মালিক প্রয়াত মার্কিন ইনটেরিয়র ডিজাইনার মিকা এরটেগুন। তিনি এই চিত্রকর্মটিকে তাঁর সংগ্রহের ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট রত্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই রের্কড গড়া মূল্যে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্মটির সঙ্গে ম্যাগ্রিটের আরও দুটি চিত্রকর্ম নিলামে তোলা হয়েছিল। ‘লা কুর দ’অমোর’ ও ‘লা মেমোয়ার’ নামে চিত্রকর্ম দুটি ১ কোটি ৫ লাখ ও ৩৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে।
নিলামে অন্যান্য আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে এড রুশচা ও ম্যাক্স আর্নস্টের চিত্রকর্মও ছিল।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিষয়ক ভাইস চেয়ারম্যান ম্যাক্স কার্টার সিএনএনকে বলেন, বিংশ শতাব্দীতে এই ধরনের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত এই চিত্রকর্ম। ছবিটি সামনাসামনি আরও বেশি সুন্দর।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে শিল্প বিক্রি যেখানে তলানিতে ঠেকেছে, সেসময় রেকর্ডমূল্যে এই চিত্রকর্মটি বিক্রি হওয়ায় শিল্পকর্মের বাজারকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর্ট বাসেল ও ইউবিএসের ২০২৪ সালের গ্লোবাল কালেক্টিং জরিপ অনুযায়ী, এই বছরের প্রথমার্ধে ক্রিস্টির নিলামে মোট ২১০ কোটি ডলারের চিত্রকর্ম বিক্রি হয়েছে, যা গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কম।
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
গোধূলি বেলার এমন চিত্র ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলেছিলেন বেলজিয়ামের চিত্রশিল্পী রেনে ম্যাগ্রিট। ১৯৫৪ সালে আঁকা ছবিটি নিলামে বিক্রি হলো ১২ কোটি ১ লাখ ডলারে।
গতকাল মঙ্গলবার নিলামঘর ক্রিস্টি নিউইয়র্কে ছবিটি নিলামে তোলে। ছবিটি এর আগেও নিলামে তোলা হয়েছিল। সে সময় দাম উঠেছিল ৯ কোটি ৫ লাখ ডলার।
এই চিত্রকর্মে রাত ও দিনের সম্মিলনের অর্থাৎ গোধূলি মুহূর্তকে ফুটিয়ে তোলার এই অনন্য দক্ষতার জন্য বেশ প্রশংসিত হয়েছেন ম্যাগ্রিট। এল’এমপায়ার দে লুমিয়ের (দ্য এম্পায়ার অব লাইট) শিরোনামে পরাবাস্তববাদী চিত্রশিল্পী ম্যাগ্রিটের আঁকা এটি অন্যতম একটি বড় ক্যানভাসে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণের ছবি। প্রায় ১৫ বছর ধরে দিন-রাতের আলোর পরিবর্তন নিয়ে প্রাকৃতিক দৃশ্য আঁকার ওপর কাজ করেন। এ বিষয়বস্তুতে তিনি ১৭টি তেলচিত্র ও ১০টি জলচিত্র আঁকেন।
বাস্তবতা ও কল্পনা মিশ্রণ ক্যানভাসে ফুটিয়ে তুলতেন ম্যাগ্রিট। দুই দশক অনুসন্ধানের পর আঁকা ল্যান্ডস্কেপ পেইন্টিংগুলোর মধ্যে পরাবাস্তববাদী চিন্তাকে তুলে ধরেন তিনি। ‘বউলার হ্যাট ম্যান’ বিষয়বস্তুতে আঁকা বেশ কিছু চিত্রকর্মের জন্য জনপ্রিয় ছিলেন ম্যাগ্রিট।
নিলামঘর ক্রিস্টি জানায়, রেনে ম্যাগ্রিটের নিলামে ওঠা সব চিত্রকর্মের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মূল্যে বিক্রি হলো এই ছবি। চিত্রকর্মটির প্রাক্তন মালিক প্রয়াত মার্কিন ইনটেরিয়র ডিজাইনার মিকা এরটেগুন। তিনি এই চিত্রকর্মটিকে তাঁর সংগ্রহের ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট রত্ন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এই রের্কড গড়া মূল্যে বিক্রি হওয়া চিত্রকর্মটির সঙ্গে ম্যাগ্রিটের আরও দুটি চিত্রকর্ম নিলামে তোলা হয়েছিল। ‘লা কুর দ’অমোর’ ও ‘লা মেমোয়ার’ নামে চিত্রকর্ম দুটি ১ কোটি ৫ লাখ ও ৩৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারে বিক্রি হয়েছে।
নিলামে অন্যান্য আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে এড রুশচা ও ম্যাক্স আর্নস্টের চিত্রকর্মও ছিল।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ক্রিস্টির বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীর শিল্প বিষয়ক ভাইস চেয়ারম্যান ম্যাক্স কার্টার সিএনএনকে বলেন, বিংশ শতাব্দীতে এই ধরনের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম আলোচিত এই চিত্রকর্ম। ছবিটি সামনাসামনি আরও বেশি সুন্দর।
বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ে শিল্প বিক্রি যেখানে তলানিতে ঠেকেছে, সেসময় রেকর্ডমূল্যে এই চিত্রকর্মটি বিক্রি হওয়ায় শিল্পকর্মের বাজারকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর্ট বাসেল ও ইউবিএসের ২০২৪ সালের গ্লোবাল কালেক্টিং জরিপ অনুযায়ী, এই বছরের প্রথমার্ধে ক্রিস্টির নিলামে মোট ২১০ কোটি ডলারের চিত্রকর্ম বিক্রি হয়েছে, যা গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কম।
নোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা শুধু কথাসাহিত্যের জন্যই নন, মানবিকতা ও বিশ্ব রাজনীতির প্রতি গভীর মনোযোগের জন্যও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিড হামলার শিকার নারীদের নিয়ে তাঁর লেখা হৃদয়বিদারক প্রবন্ধ ‘Weaker sex’ প্রমাণ করে, কীভাবে যোসার কলম ছুঁয়ে গিয়েছিল বাংলার পীড়িত নারীদের কান্না ও সংগ্রাম।
৫ দিন আগেনোবেলজয়ী পেরুভিয়ান সাহিত্যিক মারিও বার্গাস যোসা মারা গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পেরুর রাজধানী লিমায় তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তাঁর ছেলে আলভারো বার্গাস যোসা মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
৫ দিন আগেমৃত্তিকাবিজ্ঞানী অধ্যাপক আলমগীর হাইয়ের প্রথম একক চিত্র প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, ৫ নম্বর গ্যালারিতে চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়।
৫ দিন আগেজর্জ দুহামেল ১৮৮৪ সালের ৩০ জুন প্যারিসের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে খুব একটা সচ্ছল ছিল না। তিনি ছিলেন তৃতীয় সন্তান। সব মিলিয়ে তাঁর শৈশব-কৈশোরের স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়; যা তাঁর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস লে নতেয়্যাখ দু হ্যাভখ (Le Notaire du Havre) এ ফুটে ওঠে।
৬ দিন আগে