ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা
গত বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়েছিল করোনার আলফা ধরন। আর এবার দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। যে কারণে নতুন বছরের আনন্দও অনেকটাই ম্লান। মানুষ টিকা নেওয়ার পরেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওমিক্রনেই শেষ হতে পারে করোনা মহামারি।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তদের দেহে যে প্রতিরোধক্ষমতা পাওয়া গেছে, তা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আরও ভালো সুরক্ষা দেয়। যদিও ওই গবেষণা এখনো পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যাঁদের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের সংখ্যা তুলনায় অনেকটা কম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩৩ জনকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে টিকা পেয়েছেন এবং টিকা পাননি, উভয় ধরনের মানুষই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪ দিনের মধ্যে ওমিক্রনের ‘নিউট্রালজেশন এফেক্ট’ ১৪ গুণ বেড়েছে। এর পাশাপাশি আরও দেখা গেছে যে ডেলটা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধক্ষমতা প্রায় ৪ দশমিক ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফের ডেলটায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যেতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকা হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক অ্যালেক্স সিগাল বলেন, যদি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে বলা যায় এটি ডেলটা ভ্যারিয়েন্টকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে যেমন মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ওমিক্রনের কারণে, যদি এমনটাই চলতে থাকে, তাহলে বিষয়টি খারাপ নয়।
গবেষণায় বলা হয়, ওমিক্রন যদি ডেলটাকে জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে পারে এবং আগের ধরনগুলোর তুলনায় অনেক কম গুরুতর বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে করোনার প্রভাবে গুরুতর কোনো রোগের প্রকোপ কমে যাবে। করোনার সংক্রমণ তখন কোনো ব্যক্তি এবং একই সঙ্গে সমাজের জন্য কম বিঘ্ন ঘটাবে।
তবে গবেষকেরা বলছেন, এই যে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা, এটি ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তৈরি হয়েছে, নাকি টিকার কারণে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা আরও বেশি দেখা গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ডেলটায় আক্রান্তদের তুলনায় অসুস্থতা বেশ মৃদু। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগের এক গবেষণায় জানা গেছে, ডেলটার তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি ও গুরুতর রোগের ঝুঁকি কম।
এদিকে যুক্তরাজ্যের হেল্থ সিকিউরিটি এজেন্সিও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে যে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের ডেলটার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কম। তবে তারা আরও উল্লেখ করেছে, এসব ফলাফল প্রাথমিক। কারণ সেই সময়ে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ডেলটার তুলনায় গুরুতর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ কম।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ওমিক্রন আগের যেকোনো কোভিড ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
যুক্তরাজ্যের ‘কেমব্রিজ ইনস্টিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’-এর বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার নতুন অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের ফুসফুসকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা কম। মানবদেহের একটি কোষ থেকে অন্য কোষে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এটি করোনার অন্যান্য ধরনের মতো নয়। আর এ কারণে করোনাভাইরাসের অন্য রূপগুলোর চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ কম ভয়াবহ বলে মনে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার মতোই একটি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে পারে ওমিক্রন। এর উপসর্গও আপাততভাবে মৃদু।
এদিকে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে সুখবর জানাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওমিক্রনে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করার কথা জানিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে সেই দেশে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রন উচ্চসংক্রমণশীল হলেও সংক্রমণের ঢেউ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বৃহস্পতিবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা মধ্যরাতের কারফিউ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের জেরে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা কোভিড-১৯ সতর্ক ব্যবস্থার নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। মহামারির গতিপথ বিবেচনার ভিত্তিতে সতর্কতা হালনাগাদ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, স্প্যানিশ ফ্লুও ১০০ বছর আগে সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তখন বিশ্বে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। তখন শুধু ভারতেই এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। তবে এখন স্প্যানিশ ফ্লু ভয় পাওয়ার মতো কিছু নয়। ইন্ডিয়া টুডে এই উদাহরণ দিয়ে বলছে, ওই ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, করোনার ক্ষেত্রেও সম্ভবত তা-ই হতে চলেছে। ওমিক্রনও সাধারণ সর্দি-কাশির মতো হয়ে যেতে পারে।
ভারতের হসপিটাল চেইন সংস্থা ম্যাক্স গ্রুপের পরিচালক সন্দীপ বুধিরাজা বলছেন, ‘বর্তমান এবং ওই সময়ের মধ্যে বড় পার্থক্য হলো এখন আমাদের কাছে ভ্যাকসিন আছে, যা তখন ছিল না। তখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এখনকার মতো ছিল না। এই ভ্রমণের কারণে বিশ্বের মানুষের মধ্যে ভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে ক্রমশ। তা না হলে ভাইরাস ১০০ বছর আগে যেমন আচরণ করেছিল, এবারও কম বেশি তেমনই করত।’
সন্দীপ বুধিরাজা জানান, স্প্যানিশ ফ্লু শেষ হওয়ার আগেও দুই বছর পর্যন্ত দাপট দেখিয়েছে। তিনি মনে করেন, ওমিক্রনের মতো একটি স্ট্রেইনের কারণেই স্প্যানিশ ফ্লুর অবসান ঘটেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে ওমিক্রন এরই মধ্যে ডেলটাকে সরিয়ে প্রধান ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলেও এই সংক্রমণ বাড়ছে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতো করে করোনাকে পরাজিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ২০২২ সালে করোনাকে পরাজিত করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই সংস্থার প্রধান ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া একটি বিবৃতিতে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তবে কি ওমিক্রনেই শেষ হবে করোনার কশাঘাত? বিশেষজ্ঞদের ধারণা সত্যি হয়ে গেলে নিশ্চিতভাবেই সেটি হবে নতুন বছরে বিশ্ববাসীর পাওয়া সবচেয়ে বড় উপহার।
গত বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখিয়েছিল করোনার আলফা ধরন। আর এবার দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন। যে কারণে নতুন বছরের আনন্দও অনেকটাই ম্লান। মানুষ টিকা নেওয়ার পরেও পুরোপুরি নিশ্চিন্ত হতে পারছে না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ওমিক্রনেই শেষ হতে পারে করোনা মহামারি।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি গবেষণা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে আক্রান্তদের দেহে যে প্রতিরোধক্ষমতা পাওয়া গেছে, তা ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে আরও ভালো সুরক্ষা দেয়। যদিও ওই গবেষণা এখনো পিয়ার-রিভিউ করা হয়নি।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যাঁদের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছে, তাঁদের সংখ্যা তুলনায় অনেকটা কম। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনে আক্রান্ত ৩৩ জনকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে টিকা পেয়েছেন এবং টিকা পাননি, উভয় ধরনের মানুষই ছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ১৪ দিনের মধ্যে ওমিক্রনের ‘নিউট্রালজেশন এফেক্ট’ ১৪ গুণ বেড়েছে। এর পাশাপাশি আরও দেখা গেছে যে ডেলটা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধক্ষমতা প্রায় ৪ দশমিক ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধক্ষমতা বেড়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফের ডেলটায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যেতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকা হেলথ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক অ্যালেক্স সিগাল বলেন, যদি দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রনের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাহলে বলা যায় এটি ডেলটা ভ্যারিয়েন্টকে দূরে রাখতে সাহায্য করতে পারে। বর্তমানে যেমন মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে ওমিক্রনের কারণে, যদি এমনটাই চলতে থাকে, তাহলে বিষয়টি খারাপ নয়।
গবেষণায় বলা হয়, ওমিক্রন যদি ডেলটাকে জায়গা থেকে সরিয়ে দিতে পারে এবং আগের ধরনগুলোর তুলনায় অনেক কম গুরুতর বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে করোনার প্রভাবে গুরুতর কোনো রোগের প্রকোপ কমে যাবে। করোনার সংক্রমণ তখন কোনো ব্যক্তি এবং একই সঙ্গে সমাজের জন্য কম বিঘ্ন ঘটাবে।
তবে গবেষকেরা বলছেন, এই যে শক্তিশালী প্রতিরোধক্ষমতা, এটি ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার ফলে তৈরি হয়েছে, নাকি টিকার কারণে তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা আরও বেশি দেখা গেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ডেলটায় আক্রান্তদের তুলনায় অসুস্থতা বেশ মৃদু। দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগের এক গবেষণায় জানা গেছে, ডেলটার তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি ও গুরুতর রোগের ঝুঁকি কম।
এদিকে যুক্তরাজ্যের হেল্থ সিকিউরিটি এজেন্সিও পর্যবেক্ষণ দিয়েছে যে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের ডেলটার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ কম। তবে তারা আরও উল্লেখ করেছে, এসব ফলাফল প্রাথমিক। কারণ সেই সময়ে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ওমিক্রনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের ডেলটার তুলনায় গুরুতর রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ কম।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ওমিক্রন আগের যেকোনো কোভিড ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
যুক্তরাজ্যের ‘কেমব্রিজ ইনস্টিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস’-এর বিজ্ঞানীদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার নতুন অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের ফুসফুসকে সংক্রমিত করার ক্ষমতা কম। মানবদেহের একটি কোষ থেকে অন্য কোষে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এটি করোনার অন্যান্য ধরনের মতো নয়। আর এ কারণে করোনাভাইরাসের অন্য রূপগুলোর চেয়ে ওমিক্রনের সংক্রমণ কম ভয়াবহ বলে মনে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার মতোই একটি প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি করতে পারে ওমিক্রন। এর উপসর্গও আপাততভাবে মৃদু।
এদিকে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বিশ্বজুড়ে আতঙ্কের মধ্যে সুখবর জানাল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওমিক্রনে সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করার কথা জানিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে সেই দেশে। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রন উচ্চসংক্রমণশীল হলেও সংক্রমণের ঢেউ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে না।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, গত বৃহস্পতিবার দেশটির মন্ত্রিসভার এক বিবৃতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে জারি করা মধ্যরাতের কারফিউ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ওমিক্রনের জেরে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউয়ের চূড়া অতিক্রম করেছে।
খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকা কোভিড-১৯ সতর্ক ব্যবস্থার নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। মহামারির গতিপথ বিবেচনার ভিত্তিতে সতর্কতা হালনাগাদ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, স্প্যানিশ ফ্লুও ১০০ বছর আগে সারা বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তখন বিশ্বে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল। তখন শুধু ভারতেই এক কোটির বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। তবে এখন স্প্যানিশ ফ্লু ভয় পাওয়ার মতো কিছু নয়। ইন্ডিয়া টুডে এই উদাহরণ দিয়ে বলছে, ওই ক্ষেত্রে যা হয়েছিল, করোনার ক্ষেত্রেও সম্ভবত তা-ই হতে চলেছে। ওমিক্রনও সাধারণ সর্দি-কাশির মতো হয়ে যেতে পারে।
ভারতের হসপিটাল চেইন সংস্থা ম্যাক্স গ্রুপের পরিচালক সন্দীপ বুধিরাজা বলছেন, ‘বর্তমান এবং ওই সময়ের মধ্যে বড় পার্থক্য হলো এখন আমাদের কাছে ভ্যাকসিন আছে, যা তখন ছিল না। তখন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এখনকার মতো ছিল না। এই ভ্রমণের কারণে বিশ্বের মানুষের মধ্যে ভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে ক্রমশ। তা না হলে ভাইরাস ১০০ বছর আগে যেমন আচরণ করেছিল, এবারও কম বেশি তেমনই করত।’
সন্দীপ বুধিরাজা জানান, স্প্যানিশ ফ্লু শেষ হওয়ার আগেও দুই বছর পর্যন্ত দাপট দেখিয়েছে। তিনি মনে করেন, ওমিক্রনের মতো একটি স্ট্রেইনের কারণেই স্প্যানিশ ফ্লুর অবসান ঘটেছিল।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো দেশে ওমিক্রন এরই মধ্যে ডেলটাকে সরিয়ে প্রধান ভ্যারিয়েন্টে পরিণত হয়েছে। ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলেও এই সংক্রমণ বাড়ছে। এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতো করে করোনাকে পরাজিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও। ২০২২ সালে করোনাকে পরাজিত করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই সংস্থার প্রধান ড. তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া একটি বিবৃতিতে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তবে কি ওমিক্রনেই শেষ হবে করোনার কশাঘাত? বিশেষজ্ঞদের ধারণা সত্যি হয়ে গেলে নিশ্চিতভাবেই সেটি হবে নতুন বছরে বিশ্ববাসীর পাওয়া সবচেয়ে বড় উপহার।
এই তিক্ত পরিসংখ্যানগুলোই দেখায় যে কেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এত দীর্ঘ ও জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা দুটি বিপরীত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাদের ইতিহাস ও ধর্মীয় দাবিদাওয়ার ভিত্তি একই ভূমির ওপর, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। শতবর্ষের সহিংসতা ও উচ্ছেদের পর যদি অনেকে
২৩ মিনিট আগেদুই দেশের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ শুরু হয় ২০০৮ সালে। আন্তর্জাতিকভাবে ওই ৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার এলাকা ‘বিরোধপূর্ণ এলাকা’ হিসেবে পরিচিত। মূলত দুটি মন্দিরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ দুই দেশের। ২০০৮ সালে ওই দুই মন্দিরের একটিকে (প্রিয়াহ ভিহিয়ার) বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে ইউনেসকোর কাছে আবেদন করে কম্বোডিয়া
১ দিন আগেদ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানকে নিজেদের মতবাদ অনুযায়ী পুনর্গঠনের পথে এগোতে শুরু করে তালেবান। তাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে—চিকিৎসা কেন্দ্র, কারাগার, সামরিক ঘাঁটি থেকে শুরু করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে কট্টর ইসলামি আদর্শে গড়ে তোলা।
২ দিন আগেগাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা এবং দেশটির ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী ঔদ্ধত্য এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যেখান থেকে আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অন্তহীন যুদ্ধ এখন হামলে পড়েছে দামেস্কে। রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে সিরিয়ায়। তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনার যেন কেউই নেই।
২ দিন আগে