আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সি চিন পিং ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চীনের তৎপরতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। যাত্রা শুরু করে শত শত কোটি ডলারের ‘এক অঞ্চল, এক সড়ক (বিআরআই)’ প্রকল্প। ‘নিরপেক্ষতা’ ত্যাগ করে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি হয়ে ওঠে অনেক বেশি ‘প্ররোচক’ বা ‘সক্রিয়’।
এশিয়া, আফ্রিকা বা উত্তর আমেরিকায় সুস্পষ্ট হলেও এসব নীতি বা তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্যে অত্যন্ত প্রবল ও দৃষ্টিগ্রাহ্য। কিন্তু অঞ্চলটির নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বেইজিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইসরায়েল ও ভারত নিয়ে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা ‘আই২ ইউ২’ নামের একটি জোট, অঞ্চলটিতে চীনের প্রভাব বিস্তারকে খর্ব করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জোটটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা গত ১৪ জুলাই অনলাইনে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে করেন। সম্মেলন শেষে যৌথ ঘোষণায় সমুদ্র, জ্বালানি, যোগাযোগ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক গণমাধ্যম আল-মনিটর জানায়, এ ঘোষণার মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের একটি কোম্পানির সঙ্গে তেল আবিবের ‘হাইফা বন্দর’ ২০৫৪ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে ইজারা নেয় ভারতের বৃহত্তম বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনাকারী কোম্পানি আদানি পোর্টস। ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বন্দর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
একটা সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরব, কাতার, আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি হলেও গত বছর তা সবচেয়ে বেশি ছিল চীনের সঙ্গে। গত বছর অঞ্চলটির সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৩৩ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছায়।
কিন্তু এ ধারা হয়তো অব্যাহত থাকবে না। কারণ চীনের বিপুল জ্বালানি তেল দরকার। এই বিপুল চাহিদা মেটাতে সৌদির বাইরে অঞ্চলটির অন্য দেশ, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে নানা ধরনের জ্বালানি চুক্তি করেছে বেইজিং। অন্যদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তাব্যবস্থার নির্ভরযোগ্য সমাধান নেই বেইজিংয়ের হাতে।
জার্মানির বন শহরে অবস্থিত ‘প্রাচ্যের সঙ্গে অংশীদারত্ব বিষয়ক গবেষণাকেন্দ্রের (সিএআরপিও) গবেষক সেবাস্টিয়ান সন্স বলেন, বিআরইয়ের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষত সৌদি আরব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে। বাণিজ্যের বাইরে গত শতকের আশির দশক থেকে চীন সৌদিকে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্য সামরিক সরঞ্জাম, সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম এবং ড্রোন বিক্রি করলেও নিরাপত্তার জন্য রিয়াদকে সব সময় পাশ ফিরতে হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও দেশটিকে কড়া নাড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রের দরজায়।
কারণ সৌদি আরবের পুরোনো এ অর্থনৈতিক সহযোগী ও বৃহত্তম নিরাপত্তা সরবরাহকারীর এখনো বিকল্প হতে পারেনি চীন। তা ছাড়া সৌদি আরব যেহেতু বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের অন্যতম ‘ঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখতে চায়, তাই কোনো একক দেশের ওপর বড় ধরনের নির্ভর করবে না রিয়াদ।
যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল ফেলো জ্যাকোপো সিতাও মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বাণিজ্যে জোর ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতিতে ঘাটতি লক্ষ করেছেন। তিনি মনে করেন, গত দশকের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ‘অংশীদারত্বের কূটনীতি’ বেশ সফল। অঞ্চলটির একেক দেশের সঙ্গে চীনের এই নীতি একেক রকম ছিল। আমিরাতের সঙ্গে নীতিটি যে রকম ছিল, সৌদি আরবের সঙ্গে তেমনটি ছিল না।
অর্থাৎ এ সময় রিয়াদকে খানিকটা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ারও চেষ্টা করেছে বেইজিং। কিন্তু বাণিজ্যই ছিল বেইজিংয়ের বরাবরের অগ্রাধিকার। এই প্রেক্ষাপটে অস্থির মধ্যপ্রাচ্যে সামরিকসংক্রান্ত শক্তিশালী উদ্যোগ না থাকাটা চীনকে ভবিষ্যতে ভোগাবে বলে মনে করেন জ্যাকোপো সিতা।
সি চিন পিং ২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে চীনের তৎপরতায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে। যাত্রা শুরু করে শত শত কোটি ডলারের ‘এক অঞ্চল, এক সড়ক (বিআরআই)’ প্রকল্প। ‘নিরপেক্ষতা’ ত্যাগ করে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি হয়ে ওঠে অনেক বেশি ‘প্ররোচক’ বা ‘সক্রিয়’।
এশিয়া, আফ্রিকা বা উত্তর আমেরিকায় সুস্পষ্ট হলেও এসব নীতি বা তৎপরতা মধ্যপ্রাচ্যে অত্যন্ত প্রবল ও দৃষ্টিগ্রাহ্য। কিন্তু অঞ্চলটির নিরাপত্তাসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা বেইজিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইসরায়েল ও ভারত নিয়ে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা ‘আই২ ইউ২’ নামের একটি জোট, অঞ্চলটিতে চীনের প্রভাব বিস্তারকে খর্ব করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জোটটির শীর্ষস্থানীয় নেতারা গত ১৪ জুলাই অনলাইনে প্রথম শীর্ষ সম্মেলনে করেন। সম্মেলন শেষে যৌথ ঘোষণায় সমুদ্র, জ্বালানি, যোগাযোগ, মহাকাশ, স্বাস্থ্য, খাদ্যনিরাপত্তার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক গণমাধ্যম আল-মনিটর জানায়, এ ঘোষণার মাত্র কয়েক দিন আগে ইসরায়েলের একটি কোম্পানির সঙ্গে তেল আবিবের ‘হাইফা বন্দর’ ২০৫৪ সাল পর্যন্ত যৌথভাবে ইজারা নেয় ভারতের বৃহত্তম বন্দর নির্মাণ ও পরিচালনাকারী কোম্পানি আদানি পোর্টস। ইসরায়েলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বন্দর ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সাহায্য করবে।
একটা সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সৌদি আরব, কাতার, আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি হলেও গত বছর তা সবচেয়ে বেশি ছিল চীনের সঙ্গে। গত বছর অঞ্চলটির সঙ্গে চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৩৭ শতাংশ বেড়ে ৩৩ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছায়।
কিন্তু এ ধারা হয়তো অব্যাহত থাকবে না। কারণ চীনের বিপুল জ্বালানি তেল দরকার। এই বিপুল চাহিদা মেটাতে সৌদির বাইরে অঞ্চলটির অন্য দেশ, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে নানা ধরনের জ্বালানি চুক্তি করেছে বেইজিং। অন্যদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলের জটিল নিরাপত্তাব্যবস্থার নির্ভরযোগ্য সমাধান নেই বেইজিংয়ের হাতে।
জার্মানির বন শহরে অবস্থিত ‘প্রাচ্যের সঙ্গে অংশীদারত্ব বিষয়ক গবেষণাকেন্দ্রের (সিএআরপিও) গবেষক সেবাস্টিয়ান সন্স বলেন, বিআরইয়ের জন্য মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষত সৌদি আরব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশটির সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে। বাণিজ্যের বাইরে গত শতকের আশির দশক থেকে চীন সৌদিকে মধ্য পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্য সামরিক সরঞ্জাম, সম্প্রতি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম এবং ড্রোন বিক্রি করলেও নিরাপত্তার জন্য রিয়াদকে সব সময় পাশ ফিরতে হয়েছে। সাম্প্রতিক উত্তেজনা সত্ত্বেও দেশটিকে কড়া নাড়তে হয় যুক্তরাষ্ট্রের দরজায়।
কারণ সৌদি আরবের পুরোনো এ অর্থনৈতিক সহযোগী ও বৃহত্তম নিরাপত্তা সরবরাহকারীর এখনো বিকল্প হতে পারেনি চীন। তা ছাড়া সৌদি আরব যেহেতু বহুকেন্দ্রিক বিশ্বের অন্যতম ‘ঘটক’ হিসেবে ভূমিকা রাখতে চায়, তাই কোনো একক দেশের ওপর বড় ধরনের নির্ভর করবে না রিয়াদ।
যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরাল ফেলো জ্যাকোপো সিতাও মধ্যপ্রাচ্যে চীনের বাণিজ্যে জোর ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রতিশ্রুতিতে ঘাটতি লক্ষ করেছেন। তিনি মনে করেন, গত দশকের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে চীনের ‘অংশীদারত্বের কূটনীতি’ বেশ সফল। অঞ্চলটির একেক দেশের সঙ্গে চীনের এই নীতি একেক রকম ছিল। আমিরাতের সঙ্গে নীতিটি যে রকম ছিল, সৌদি আরবের সঙ্গে তেমনটি ছিল না।
অর্থাৎ এ সময় রিয়াদকে খানিকটা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ারও চেষ্টা করেছে বেইজিং। কিন্তু বাণিজ্যই ছিল বেইজিংয়ের বরাবরের অগ্রাধিকার। এই প্রেক্ষাপটে অস্থির মধ্যপ্রাচ্যে সামরিকসংক্রান্ত শক্তিশালী উদ্যোগ না থাকাটা চীনকে ভবিষ্যতে ভোগাবে বলে মনে করেন জ্যাকোপো সিতা।
বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শাসন—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হাত ধরে আবার ফিরে এসেছে এই প্রক্রিয়া। আগের দিন কানাডা-মেক্সিকোর ওপর কঠোর শুল্ক চাপিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুললেন ট্রাম্প। পরদিনই স্বীকার করলেন, এই শুল্ক আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকে ধ্বংস করতে পারে। পরে, সেই শঙ্কা থেকে অটোমোবাইল
৭ ঘণ্টা আগেভারতের মূল লক্ষ্য দেশীয় স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করা, যেখানে এরই মধ্যেই এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কেবল জরুরি হুমকি দেখা দিলেই বিদেশি স্টেলথ জেট কেনার চিন্তা করা হবে। অতএব, স্বল্পমেয়াদে জরুরি ক্রয় হলেও দীর্ঘ মেয়াদে ভারতের লক্ষ্য পরিষ্কার—নিজস্ব প্রযুক্তিতে যুদ্ধবিমান...
১ দিন আগেইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সব ধরনের সামরিক সহায়তা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি শুধু ইউক্রেনের জন্যই নয়, দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের জন্যও বড় একটি ধাক্কা। ইউক্রেনকে সহায়তা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউরোপের নেতারা মার্কিন প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় অনিশ্চয়তার কারণে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের ওপর চীনের প্রভাব বাড়তে পারে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। মার্কিন সমর্থন কমে গেলে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে এবং চীনসহ অন্যান্য দেশ এ সুযোগ নেবে বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন।
৩ দিন আগে