আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল, মিজোরামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে চলতি বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে। এতে খেত-খামার, গবাদিপশু ছাড়াও ১০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে এক লাখের বেশি ঘরবাড়ি।
সবাই বলছে, অতিবৃষ্টির কারণে এমনটি হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টি বেড়ে গেল কেন? এর জবাব খুঁজতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় এবং মহাসাগরীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রঘু মুর্তুগুদ্দে স্ক্রলডটকমে লেখেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক দশকে বৃষ্টিপাত, অনাবৃষ্টি তথা জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ সময় ধরে এ পরিবর্তন হয়েছে।
বায়ুমণ্ডলের এসব পরিবর্তনের কারণে কয়েক দিন টানা বৃষ্টিপাত হলেও এক বর্ষা মৌসুমের মোট বৃষ্টিপাত কমেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে দাবদাহ-সংক্রান্ত দূষণ বেড়েছে। বায়ুমণ্ডলের চক্রে পরিবর্তন আসায় ওলটপালট হয়ে গেছে বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক ধারা।
এসব অঞ্চলে এক দশকে হঠাৎ অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টির আরেকটি কারণ ‘লো-প্রেশার সিস্টেমের’ সংখ্যা হ্রাস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লো-প্রেশার সিস্টেম স্থলভাগের বৃষ্টিপাতের মাত্রা-পরিমাণ নির্ধারণ করে। এটা যেহেতু কমেছে, তাই বৃষ্টিপাতের ছন্দও ব্যাহত হচ্ছে। এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমের ৫০ শতাংশ বৃষ্টি নির্ভর করে লো-প্রেশার সিস্টেমের ওপর।
লো-প্রেশার সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরব সাগরের আর্দ্রতা। আরব সাগরের আর্দ্রতার সঙ্গে লো-প্রেশার সিস্টেমের প্রভাব যুক্ত হয়ে এই অঞ্চলে কয়েক দিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ দুটি একসঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘটনা কয়েক দশক আগে বছরে গড়ে দুটি হতো। সম্প্রতি তা বেড়ে বছরে গড়ে ছয়টা হচ্ছে।
কেউ যদি প্রশ্ন করে, আরব সাগরের প্রভাব মুম্বাই, কেরালা অঞ্চলে না হয়ে এত দূরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেন? এর একটা উত্তর হচ্ছে এই অঞ্চলের বিপুল বন-জঙ্গল। এসব বন-জঙ্গল আর্দ্রতা থেকে শুধু বৃষ্টিকে টেনে নিয়ে আসে না বরং তা ভূমির ব্যবহার বদলে যাওয়ার ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত হয়। এতে করে অতিবৃষ্টির ফলে দেখা দেয় ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস।
সুনির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে যখন বৃষ্টিপাত বাড়ে বা কমে, তখন কিন্তু ওই অঞ্চলের তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত গরমের কাল দীর্ঘ হয়। কোনো অঞ্চলের বায়ুমণ্ডল যখন তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে, স্বাভাবিকভাবে আর্দ্রতার চাহিদা বেড়ে যায়। গঙ্গা অববাহিকা থেকে এই অতিরিক্ত আর্দ্রতার জোগান আসে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ২০ শতাংশের বেশির ভাগ জোগান দেয় গঙ্গা অববাহিকা।
আসাম, মেঘালয়, অরুণাচল, মিজোরামসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে চলতি বর্ষা মৌসুম শুরু হতে না হতেই ব্যাপক বন্যা শুরু হয়েছে। এতে খেত-খামার, গবাদিপশু ছাড়াও ১০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে এক লাখের বেশি ঘরবাড়ি।
সবাই বলছে, অতিবৃষ্টির কারণে এমনটি হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করে বৃষ্টি বেড়ে গেল কেন? এর জবাব খুঁজতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুমণ্ডলীয় এবং মহাসাগরীয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রঘু মুর্তুগুদ্দে স্ক্রলডটকমে লেখেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এক দশকে বৃষ্টিপাত, অনাবৃষ্টি তথা জলবায়ুতে বড় পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন কারণে দীর্ঘ সময় ধরে এ পরিবর্তন হয়েছে।
বায়ুমণ্ডলের এসব পরিবর্তনের কারণে কয়েক দিন টানা বৃষ্টিপাত হলেও এক বর্ষা মৌসুমের মোট বৃষ্টিপাত কমেছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে দাবদাহ-সংক্রান্ত দূষণ বেড়েছে। বায়ুমণ্ডলের চক্রে পরিবর্তন আসায় ওলটপালট হয়ে গেছে বর্ষা মৌসুমের স্বাভাবিক ধারা।
এসব অঞ্চলে এক দশকে হঠাৎ অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টির আরেকটি কারণ ‘লো-প্রেশার সিস্টেমের’ সংখ্যা হ্রাস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া লো-প্রেশার সিস্টেম স্থলভাগের বৃষ্টিপাতের মাত্রা-পরিমাণ নির্ধারণ করে। এটা যেহেতু কমেছে, তাই বৃষ্টিপাতের ছন্দও ব্যাহত হচ্ছে। এ অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমের ৫০ শতাংশ বৃষ্টি নির্ভর করে লো-প্রেশার সিস্টেমের ওপর।
লো-প্রেশার সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরব সাগরের আর্দ্রতা। আরব সাগরের আর্দ্রতার সঙ্গে লো-প্রেশার সিস্টেমের প্রভাব যুক্ত হয়ে এই অঞ্চলে কয়েক দিনে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এ দুটি একসঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘটনা কয়েক দশক আগে বছরে গড়ে দুটি হতো। সম্প্রতি তা বেড়ে বছরে গড়ে ছয়টা হচ্ছে।
কেউ যদি প্রশ্ন করে, আরব সাগরের প্রভাব মুম্বাই, কেরালা অঞ্চলে না হয়ে এত দূরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কেন? এর একটা উত্তর হচ্ছে এই অঞ্চলের বিপুল বন-জঙ্গল। এসব বন-জঙ্গল আর্দ্রতা থেকে শুধু বৃষ্টিকে টেনে নিয়ে আসে না বরং তা ভূমির ব্যবহার বদলে যাওয়ার ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত হয়। এতে করে অতিবৃষ্টির ফলে দেখা দেয় ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধস।
সুনির্দিষ্ট কোনো অঞ্চলে যখন বৃষ্টিপাত বাড়ে বা কমে, তখন কিন্তু ওই অঞ্চলের তাপমাত্রায় বড় পরিবর্তন আসে। অতিরিক্ত গরমের কাল দীর্ঘ হয়। কোনো অঞ্চলের বায়ুমণ্ডল যখন তৃষ্ণার্ত হয়ে পড়ে, স্বাভাবিকভাবে আর্দ্রতার চাহিদা বেড়ে যায়। গঙ্গা অববাহিকা থেকে এই অতিরিক্ত আর্দ্রতার জোগান আসে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বৃষ্টিপাতের ২০ শতাংশের বেশির ভাগ জোগান দেয় গঙ্গা অববাহিকা।
হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস ঢাকায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
২ দিন আগেহাংঝৌভিত্তিক এই স্টার্টআপ বা উদ্যোগটি দাবি করেছে, তারা ডিপসিক আর১ মডেলটি সিলিকন ভ্যালির সাম্প্রতিকতম মডেলগুলোর তুলনায় অনেক কম খরচে তৈরি করেছে। এই ঘোষণা এআই দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য ও শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর...
৩ দিন আগে২০১১ সালে টেক্সাসের অস্টিন থেকে আসা একজন ইগল স্কাউট রস উলব্রিচট ‘সিল্ক রোড’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি অনলাইন কালোবাজার, যেখানে মাদক, অর্থ পাচার এবং সাইবার অপরাধমূলক লেনদেন পরিচালিত হতো। ২০১৩ সালে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত সাইটটি কয়েক মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব সংগ্রহ করেছিল।
৫ দিন আগেঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে চলা শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটে।
৯ দিন আগে