নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পাকিস্তান সিরিজ শেষে জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় ছুটিতে থাকলেও গতকাল দুপুরে মিরপুরে বিসিবি একাডেমি ভবনে দেখা গেল ত্রিশের বেশি বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের আগমন। ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক পরিচিত মুখই সেখানে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কাল হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
একাডেমির সভাকক্ষে দরজা বন্ধ করে ঘণ্টাখানেক যে বৈঠক হয়েছে, সেটি ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা সভা। সভায় দেখা গেছে মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, জিয়াউর রহমান, তানভীর ইসলাম, সাদমান ইসলাম, জাকের আলী অনিক, ইবাদত হোসেন, নাসির হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মার্শাল আইয়ুবের মতো দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখদের।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ক্রিকেটারদের ঢাকায় অবস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ৪ বা ৫ সেপ্টেম্বর কোয়াবের নির্বাচন আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কালকের সভায় আলোচনায় উঠে আসে কোয়াবের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিষয়টি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার বলেন, ‘সভায় উপস্থিত সবাই ঢাকায় থাকা ক্রিকেটার। আলোচনায় উঠে এসেছে তামিম ভাইয়ের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি। সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কারা হবেন, সেসব নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।’
তামিম ইকবালের কোয়াবের নেতৃত্ব আসার আলোচনা নতুন কিছু নয়। কোয়াব-সম্পর্কিত আগের কয়েকটি সভাতেও তাঁকে দেখা গেছে। তাঁর সভাপতি প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি তাই ঘুরেফিরে সামনে আসছে। কালকের সভায় কোয়াবের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্যদের কাউকে দেখা যায়নি। আহ্বায়ক বা সদস্যসচিব কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
১৫ জুলাই বিসিবি একাডেমি ভবনেই কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা হয়। সেখানেই গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই কোয়াবের পুরোনো নেতৃত্ব ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। উপস্থিত ক্রিকেটাররা কীভাবে তামিমকে সভাপতি করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেহেতু সাবেক ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার থাকছে না, প্রার্থী হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তামিমের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এজিএমে নেওয়া সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানিয়ে পুরোনো কমিটির একাধিক সদস্য ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা ‘তামিমপন্থী’ কমিটি বয়কট করে আলাদাভাবে নতুন কমিটি গঠন করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোয়াব আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘তামিমরা দাবি করছেন, শুধু বর্তমান জাতীয় দল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাই কোয়াবের সদস্য হবেন। কোয়াব শুধু জাতীয় বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সংগঠন নয়; এটা তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগের হাজারো ক্রিকেটারের সংগঠন। কিন্তু এখানে তিন ধাপের সদস্যপদ তৈরি করা হয়ছে।’
ওই সদস্য আরও যোগ করেন, ‘টাকার বিনিময়ে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটাররা জীবন সদস্য ও স্থায়ী সদস্য হতে পারবেন; কিন্তু ভোট দিতে পারবেন না। আবার জাতীয় দল ও বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রথম শ্রেণির (লিস্ট ‘এ’) বাইরের কেউ ভোট দিতে পারবেন না। তাঁদের এখন সহযোগী সদস্য করে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কোয়াব নিয়ে এখন যা হচ্ছে, তা প্রহসন।’
কোয়াবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘পুরোটাই অবৈধ। দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার সভায় বলেন, সাবেক ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার থাকলে ভোটের ফলে প্রভাব পড়বে। এটা আর ক্রিকেটারদের সংগঠন নেই। এলিট ক্লাব হয়ে গেছে! সব ইচ্ছেমতো হচ্ছে। ২৫-৩০ জন ক্রিকেটার সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ হওয়ার কথা গণতান্ত্রিক উপায়ে।’
আরও খবর পড়ুন:
পাকিস্তান সিরিজ শেষে জাতীয় দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড় ছুটিতে থাকলেও গতকাল দুপুরে মিরপুরে বিসিবি একাডেমি ভবনে দেখা গেল ত্রিশের বেশি বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটারদের আগমন। ঘরোয়া ক্রিকেটের অনেক পরিচিত মুখই সেখানে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কাল হয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক।
একাডেমির সভাকক্ষে দরজা বন্ধ করে ঘণ্টাখানেক যে বৈঠক হয়েছে, সেটি ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা সভা। সভায় দেখা গেছে মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, জিয়াউর রহমান, তানভীর ইসলাম, সাদমান ইসলাম, জাকের আলী অনিক, ইবাদত হোসেন, নাসির হোসেন, এনামুল হক বিজয়, মার্শাল আইয়ুবের মতো দেশের ক্রিকেটের পরিচিত মুখদের।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঘরোয়া মৌসুম শুরুর আগে ফিটনেস পরীক্ষার জন্য ক্রিকেটারদের ঢাকায় অবস্থানের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ৪ বা ৫ সেপ্টেম্বর কোয়াবের নির্বাচন আয়োজনের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কালকের সভায় আলোচনায় উঠে আসে কোয়াবের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিষয়টি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার বলেন, ‘সভায় উপস্থিত সবাই ঢাকায় থাকা ক্রিকেটার। আলোচনায় উঠে এসেছে তামিম ভাইয়ের সভাপতি হওয়ার বিষয়টি। সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কারা হবেন, সেসব নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।’
তামিম ইকবালের কোয়াবের নেতৃত্ব আসার আলোচনা নতুন কিছু নয়। কোয়াব-সম্পর্কিত আগের কয়েকটি সভাতেও তাঁকে দেখা গেছে। তাঁর সভাপতি প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি তাই ঘুরেফিরে সামনে আসছে। কালকের সভায় কোয়াবের বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্যদের কাউকে দেখা যায়নি। আহ্বায়ক বা সদস্যসচিব কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
১৫ জুলাই বিসিবি একাডেমি ভবনেই কোয়াবের বার্ষিক সাধারণ সভা হয়। সেখানেই গঠনতন্ত্র সংশোধনের মাধ্যমে সাবেক প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পর থেকেই কোয়াবের পুরোনো নেতৃত্ব ও বর্তমান ক্রিকেটারদের মধ্যে মতানৈক্য প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে। উপস্থিত ক্রিকেটাররা কীভাবে তামিমকে সভাপতি করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেহেতু সাবেক ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার থাকছে না, প্রার্থী হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তামিমের সভাপতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এজিএমে নেওয়া সিদ্ধান্তের তীব্র আপত্তি জানিয়ে পুরোনো কমিটির একাধিক সদস্য ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা ‘তামিমপন্থী’ কমিটি বয়কট করে আলাদাভাবে নতুন কমিটি গঠন করবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোয়াব আহ্বায়ক কমিটির একজন সদস্য বলেন, ‘তামিমরা দাবি করছেন, শুধু বর্তমান জাতীয় দল ও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররাই কোয়াবের সদস্য হবেন। কোয়াব শুধু জাতীয় বা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের সংগঠন নয়; এটা তৃতীয়, দ্বিতীয়, প্রথম বিভাগ ও প্রিমিয়ার লিগের হাজারো ক্রিকেটারের সংগঠন। কিন্তু এখানে তিন ধাপের সদস্যপদ তৈরি করা হয়ছে।’
ওই সদস্য আরও যোগ করেন, ‘টাকার বিনিময়ে সাবেক জাতীয় ক্রিকেটাররা জীবন সদস্য ও স্থায়ী সদস্য হতে পারবেন; কিন্তু ভোট দিতে পারবেন না। আবার জাতীয় দল ও বর্তমান ক্রিকেটারদের প্রথম শ্রেণির (লিস্ট ‘এ’) বাইরের কেউ ভোট দিতে পারবেন না। তাঁদের এখন সহযোগী সদস্য করে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কোয়াব নিয়ে এখন যা হচ্ছে, তা প্রহসন।’
কোয়াবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল আজকের পত্রিকা'কে বলেন, ‘পুরোটাই অবৈধ। দেশের একজন শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার সভায় বলেন, সাবেক ক্রিকেটারদের ভোটাধিকার থাকলে ভোটের ফলে প্রভাব পড়বে। এটা আর ক্রিকেটারদের সংগঠন নেই। এলিট ক্লাব হয়ে গেছে! সব ইচ্ছেমতো হচ্ছে। ২৫-৩০ জন ক্রিকেটার সব সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ হওয়ার কথা গণতান্ত্রিক উপায়ে।’
আরও খবর পড়ুন:
২০০ মিটার মিডলের সেমিফাইনালেই রেকর্ড গড়েছিলেন লিঁও মারশাঁ। ১ মিনিট ৫২.৬৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে ভেঙে দিয়েছিলেন রায়ান লোকটির ১৪ বছরের পুরোনো রেকর্ড। গতকাল ফাইনালে নিজের সেরা টাইমিংকে ছাপিয়ে যেতে না পারলেও ফ্রান্সের এই তারকা সাঁতারু এই ইভেন্টে দ্বিতীয় সেরা টাইমিং গড়েছেন। রেকর্ড গড়া সেমিফাইনালের ২৪ ঘণ্টার
৬ ঘণ্টা আগেনানান রেকর্ডের হাতছানি ছিল শুবমান গিলের সামনে। সেসব রেকর্ড ছুঁতে কিংবা ছাড়িয়ে যেতে ভারতের টেস্ট অধিনায়ককে বড় একটি ইনিংসই খেলতে হতো। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার সিরিজের শেষ টেস্টে ওভালে আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। ৩৫ বলে ২১ রান করে আউট হয়ে গেছেন। তাতেই তিনি ভেঙে দিয়েছেন সুনীল গাভা
৭ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েই জিম্বাবুয়েতে অনূর্ধ্ব-১৯ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে হারিয়েছিল স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে। কিন্তু এই জয়ের ধারা আর গতকাল ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৫ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেছে বাংলাদেশ।
৭ ঘণ্টা আগেজাতীয় বক্সিংয়ে আজ ছিল শেষদিন। মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণির ফাইনালের দিকেই নজর ছিল বেশি। যেখানে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের বোন আফরা খন্দকারকে হারিয়ে সোনা জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস।
৯ ঘণ্টা আগে