অনলাইন ডেস্ক
নারীর বগলের গন্ধ পুরুষের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তাদের মানসিক চাপও কমাতে পারে। এমনটাই জানা গেছে জাপানে হওয়া এক চমকপ্রদ গবেষণা থেকে। তবে এই প্রভাব সব সময় দেখা যায় না। মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, যখন নারীর গন্ধ পুরুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়, তখনই এই প্রভাব দেখা যায়। ওই সময় পুরুষ নারীর মুখও বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় মনে করেন।
জীববিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল সেলে প্রকাশিত এই গবেষণার নিবন্ধ থেকে দেখা গেছে, নারীর শরীরের গন্ধ মাসিক চক্র অনুযায়ী বদলায়। ডিম্বাণু নির্গমনের সময়, অর্থাৎ যখন নারীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তখন তাদের গায়ের গন্ধ পুরুষের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয়।
তবে শরীরের ঘামের এই গন্ধে যে রাসায়নিক উপাদানগুলো ভূমিকা রাখে, সেগুলো এত দিন অজানা ছিল। এবার টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন তিনটি রাসায়নিক যৌগ শনাক্ত করেছেন, যেগুলোর মাত্রা মাসিক চক্র অনুযায়ী ওঠানামা করে এবং ডিম্বাণু নির্গমনের সময় বাড়ে।
এই তিন যৌগ নারীর বগলের ঘামে মেশার পর পুরুষ ওই গন্ধকে আরও বেশি পছন্দ করেছেন। পাশাপাশি, তাঁরা একই নারীর মুখকে আগের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ও নারীত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, এই গন্ধ পুরুষের মধ্যে চাপ কমানোতে প্রভাব ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ এই গন্ধ পেয়েছেন, তাঁদের লালায় চাপের একটি রাসায়নিক চিহ্ন সাধারণভাবে অন্যদের তুলনায় কম ছিল।
গবেষণার অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড বায়োলজিকাল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক কাজুশিগে তোহারা বলেন, ‘এসব ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, নারীর শরীরের গন্ধ পুরুষ-নারীর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো ভূমিকা রাখেই।’
প্রাণিজগতে ‘ফেরোমোন’ নামের গন্ধভিত্তিক জৈবিক বার্তা অনেক পরিচিত। পোকামাকড়, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরা প্রজনন, সামাজিক বন্ধন বা এলাকা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করে। হলিউডে এই ‘ভালোবাসার গন্ধ’ নিয়ে যত গল্পই থাক, বাস্তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—মানুষের ক্ষেত্রে ঠিক একইভাবে ফেরোমোন কাজ করে কি না।
অবশ্য, পুরোনো কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পুরুষের ঘামের ‘অ্যান্ড্রোস্টাডিয়েনোন’ এবং নারীদের প্রস্রাবের ‘এসট্রাটেট্রায়েনল’ যৌগ মানসিক অবস্থা ও আকর্ষণে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এসব গবেষণা অনেক সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে গন্ধ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া ও অংশগ্রহণকারীদের পরিচ্ছন্নতা ঠিক না থাকায়।
জাপানের এই নতুন গবেষণায় সঠিক রাসায়নিক মিশ্রণ নির্ধারণ করাটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল। গবেষণার প্রধান লেখক নোজোমি ওহগি বলেন, ‘২০ জনের বেশি নারীর কাছ থেকে মাসিক চক্রের সুনির্দিষ্ট সময়ে বগলের গন্ধ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নারীর মাসিক চক্র পর্যবেক্ষণ করতে বারবার তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা ও অন্যান্য বিষয় জেনে নিতে হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া একজন অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রায় এক মাসের মতো সময় নিয়েছে।’
তবে এত কিছুর পরেও অধ্যাপক তোহারা এই তিন যৌগকে এখনই নিশ্চিতভাবে মানব ফেরোমোন বলতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, ডিম্বাণু নির্গমনের সময় বাড়ে এমন যৌগগুলো সত্যিকারের মানব-ফেরোমোন কি না।’
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়ে গেছে, এই গন্ধ কি শুধু মানুষের জন্য নির্দিষ্ট, যেভাবে প্রাণিজগতে ফেরোমোন হয়ে থাকে? তোহারা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি—এই যৌগগুলো ফেরোমোন-সদৃশ হতে পারে।’
গবেষকেরা এখন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গবেষণা করতে চান, যাতে জিনগত কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রভাব বাদ দেওয়া যায়। তাঁরা আরও খতিয়ে দেখতে চান, এসব যৌগ মানুষের মস্তিষ্কের কোন কোন অঞ্চলে প্রভাব ফেলে—বিশেষ করে আবেগ ও অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত এলাকাগুলোতে।
নারীর বগলের গন্ধ পুরুষের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তাদের মানসিক চাপও কমাতে পারে। এমনটাই জানা গেছে জাপানে হওয়া এক চমকপ্রদ গবেষণা থেকে। তবে এই প্রভাব সব সময় দেখা যায় না। মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, যখন নারীর গন্ধ পুরুষের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়, তখনই এই প্রভাব দেখা যায়। ওই সময় পুরুষ নারীর মুখও বেশি সুন্দর ও আকর্ষণীয় মনে করেন।
জীববিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল সেলে প্রকাশিত এই গবেষণার নিবন্ধ থেকে দেখা গেছে, নারীর শরীরের গন্ধ মাসিক চক্র অনুযায়ী বদলায়। ডিম্বাণু নির্গমনের সময়, অর্থাৎ যখন নারীর গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, তখন তাদের গায়ের গন্ধ পুরুষের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয়।
তবে শরীরের ঘামের এই গন্ধে যে রাসায়নিক উপাদানগুলো ভূমিকা রাখে, সেগুলো এত দিন অজানা ছিল। এবার টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন তিনটি রাসায়নিক যৌগ শনাক্ত করেছেন, যেগুলোর মাত্রা মাসিক চক্র অনুযায়ী ওঠানামা করে এবং ডিম্বাণু নির্গমনের সময় বাড়ে।
এই তিন যৌগ নারীর বগলের ঘামে মেশার পর পুরুষ ওই গন্ধকে আরও বেশি পছন্দ করেছেন। পাশাপাশি, তাঁরা একই নারীর মুখকে আগের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় ও নারীত্বপূর্ণ বলে মনে করেছেন। আরও চমকপ্রদ বিষয় হলো, এই গন্ধ পুরুষের মধ্যে চাপ কমানোতে প্রভাব ফেলেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব পুরুষ এই গন্ধ পেয়েছেন, তাঁদের লালায় চাপের একটি রাসায়নিক চিহ্ন সাধারণভাবে অন্যদের তুলনায় কম ছিল।
গবেষণার অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড বায়োলজিকাল কেমিস্ট্রির অধ্যাপক কাজুশিগে তোহারা বলেন, ‘এসব ফলাফল ইঙ্গিত দেয় যে, নারীর শরীরের গন্ধ পুরুষ-নারীর মধ্যে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো ভূমিকা রাখেই।’
প্রাণিজগতে ‘ফেরোমোন’ নামের গন্ধভিত্তিক জৈবিক বার্তা অনেক পরিচিত। পোকামাকড়, পাখি ও স্তন্যপায়ী প্রাণীরা প্রজনন, সামাজিক বন্ধন বা এলাকা চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে এগুলো ব্যবহার করে। হলিউডে এই ‘ভালোবাসার গন্ধ’ নিয়ে যত গল্পই থাক, বাস্তবে বিজ্ঞানীরা এখনো নিশ্চিত নন—মানুষের ক্ষেত্রে ঠিক একইভাবে ফেরোমোন কাজ করে কি না।
অবশ্য, পুরোনো কিছু গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পুরুষের ঘামের ‘অ্যান্ড্রোস্টাডিয়েনোন’ এবং নারীদের প্রস্রাবের ‘এসট্রাটেট্রায়েনল’ যৌগ মানসিক অবস্থা ও আকর্ষণে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এসব গবেষণা অনেক সময়ই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। বিশেষ করে গন্ধ শনাক্ত করার প্রক্রিয়া ও অংশগ্রহণকারীদের পরিচ্ছন্নতা ঠিক না থাকায়।
জাপানের এই নতুন গবেষণায় সঠিক রাসায়নিক মিশ্রণ নির্ধারণ করাটাই সবচেয়ে কঠিন ছিল। গবেষণার প্রধান লেখক নোজোমি ওহগি বলেন, ‘২০ জনের বেশি নারীর কাছ থেকে মাসিক চক্রের সুনির্দিষ্ট সময়ে বগলের গন্ধ সংগ্রহ করতে গিয়ে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক নারীর মাসিক চক্র পর্যবেক্ষণ করতে বারবার তাঁদের শরীরের তাপমাত্রা ও অন্যান্য বিষয় জেনে নিতে হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়া একজন অংশগ্রহণকারীর ক্ষেত্রে প্রায় এক মাসের মতো সময় নিয়েছে।’
তবে এত কিছুর পরেও অধ্যাপক তোহারা এই তিন যৌগকে এখনই নিশ্চিতভাবে মানব ফেরোমোন বলতে রাজি নন। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনই নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না, ডিম্বাণু নির্গমনের সময় বাড়ে এমন যৌগগুলো সত্যিকারের মানব-ফেরোমোন কি না।’
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রয়ে গেছে, এই গন্ধ কি শুধু মানুষের জন্য নির্দিষ্ট, যেভাবে প্রাণিজগতে ফেরোমোন হয়ে থাকে? তোহারা বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি—এই যৌগগুলো ফেরোমোন-সদৃশ হতে পারে।’
গবেষকেরা এখন আরও বৈচিত্র্যপূর্ণ অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে গবেষণা করতে চান, যাতে জিনগত কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রভাব বাদ দেওয়া যায়। তাঁরা আরও খতিয়ে দেখতে চান, এসব যৌগ মানুষের মস্তিষ্কের কোন কোন অঞ্চলে প্রভাব ফেলে—বিশেষ করে আবেগ ও অনুভূতির সঙ্গে যুক্ত এলাকাগুলোতে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী এমিলি এনজার এখন নিয়মিত আয় করছেন বুকের দুধ বিক্রি করে। পাঁচ সন্তানের এই মা প্রতিদিন সন্তানদের দুধ পান করানোর পর অতিরিক্ত যে দুধ পাম্প করেন, তা ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। উদ্দেশ্য—নিজের সন্তানের জন্য নয়, বরং বিক্রি করে বাড়তি আয় করা।
২ দিন আগেচীনের হুবেই প্রদেশের শিয়াংইয়াং শহরে ঘটেছে এক আজব দুর্ঘটনা। বাগানে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে একটি পাথরে বসেছিলেন ৭২ বছর বয়সী এক নারী। বসতেই গরমের আঁচ টের পেলেন খুব ভালোমতো! মাত্র ১০ সেকেন্ডেই তাঁর নিতম্ব পুড়ে গেল। যেনতেন পোড়া নয়, রীতিমতো ‘থার্ড ডিগ্রি বার্ন।’ এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
৩ দিন আগেসাপের কামড়ে মানুষ মারা যাবে—এ তো চিরচেনা খবর! কিন্তু এবার খবর উল্টো। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১ বছরের এক শিশু কামড়ে মেরে ফেলেছে বিষধর গোখরাকে! চোখ কপালে তুলে দেওয়া এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের পশ্চিম চম্পারণ জেলার মোহাচ্ছি বাংকটওয়া গ্রামে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন ঘটনা তাঁরা জীবনে কখনো দেখেননি—শুধু সিনেমাতে
৫ দিন আগে‘নির্ভীক’ শব্দটা অনেকেই গর্বের সঙ্গে ব্যবহার করেন। কিন্তু মানুষ সত্যিকার অর্থে পুরোপুরি নির্ভীক নয়। জন্মগতভাবে মানুষের ভয় খুব সীমিত—মাত্র দুটি। গবেষণা বলছে, মানুষ জন্মগতভাবে যেসব ভয় নিয়ে আসে, তার মধ্যে রয়েছে উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার ভয় এবং বিকট শব্দে চমকে ওঠা।
৫ দিন আগে