ডয়চে ভেলে
বিশাল মাত্রার অর্থনৈতিক সংকট, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা, সামরিক বাহিনীর মর্জি সামলে নওয়াজ শরিফের সম্ভাব্য জোট সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কতটা জোরালো করতে পারবে, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷
নির্বাচনে জয়ের উৎসবের শেষে পাকিস্তানের আগামী সরকারের সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে৷ বেহাল অর্থনীতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিও কঠিন কাজ হবে৷ বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বর্তমান উত্তেজনা কাটানো আপাতত সবচেয়ে জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে৷ ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে৷
নওয়াজ শরিফ চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেও অতীত অভিজ্ঞতা থেকে একটি শিক্ষা তাঁকে মনে রাখতেই হবে৷ সামরিক বাহিনীর সম্মতি ছাড়া পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ গতবার তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানে ডেকে ব্যক্তিগত উষ্ণতা দেখিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি৷
এবার ক্ষমতায় এলে শরিফ সেই সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর আরও নির্ভরশীল হতে বাধ্য৷ আইন-আদালতের খাঁড়া সত্ত্বেও তিনি যে দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পেরেছেন, সেটা সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বদান্যতা ছাড়া সম্ভবই হতো না৷ জেনারেল মুনিরের সঙ্গে সমঝোতা করতে না পারায় সেনা সমর্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ ক্ষমতা হারিয়ে কারাবন্দী রয়েছেন৷ ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা আরও জোরদার করা হয়েছে৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, সে দেশে ‘হাইব্রিড’ সামরিক শাসনের কাঠামো সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে যেকোনো নির্বাচিত সরকারের ভূমিকা ও ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত থাকতে বাধ্য৷
ইমরান খানের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে৷ প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও ইরানের সঙ্গেও উত্তেজনা বেড়ে গেছে৷ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো উন্নতি ঘটেনি৷ একমাত্র চীনের সমর্থন ও সহায়তার ওপর নির্ভর করে পাকিস্তান কোনো রকমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে টিকে রয়েছে৷ কৌশলগত স্বার্থে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকলেও সে দেশে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক সুবিধার প্রত্যাশা পুরোপুরি পূর্ণ হচ্ছে না৷
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া পাকিস্তানকে বাণিজ্য ও ট্রানজিটের বড় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন৷ চীনের তৈরি অবকাঠামো সেই লক্ষ্য পূরণ করবে বলে তাঁর মনে আশা ছিল৷ জেনারেল মুনির আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কোনো এক শক্তিকে বেছে নেওয়ার বদলে যতটা সম্ভব নিজস্বতা বজায় রাখার পক্ষে৷ তবে কার্যক্ষেত্রে পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি ও সংকট সেই উচ্চাভিলাষ আপাতত পূরণ করতে দিচ্ছে না৷ সেনা কর্মকর্তাদের সম্মতি নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী সেই পথে কতটা অগ্রসর হতে পারবেন, সে দিকে সবার নজর থাকবে৷
বিশাল মাত্রার অর্থনৈতিক সংকট, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা, সামরিক বাহিনীর মর্জি সামলে নওয়াজ শরিফের সম্ভাব্য জোট সরকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কতটা জোরালো করতে পারবে, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে৷
নির্বাচনে জয়ের উৎসবের শেষে পাকিস্তানের আগামী সরকারের সামনে বিশাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে৷ বেহাল অর্থনীতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি পাকিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিও কঠিন কাজ হবে৷ বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বর্তমান উত্তেজনা কাটানো আপাতত সবচেয়ে জরুরি বিষয় হয়ে উঠেছে৷ ভারত, ইরান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি সাম্প্রতিক কালে পাকিস্তানকে কঠিন অবস্থায় ফেলেছে৷
নওয়াজ শরিফ চতুর্থবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হলেও অতীত অভিজ্ঞতা থেকে একটি শিক্ষা তাঁকে মনে রাখতেই হবে৷ সামরিক বাহিনীর সম্মতি ছাড়া পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে কোনো বড় পদক্ষেপ নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ গতবার তিনি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক যতটা সম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন৷ ২০১৫ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানে ডেকে ব্যক্তিগত উষ্ণতা দেখিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন অধ্যায় শুরু করতে চেয়েছিলেন তিনি৷
এবার ক্ষমতায় এলে শরিফ সেই সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর আরও নির্ভরশীল হতে বাধ্য৷ আইন-আদালতের খাঁড়া সত্ত্বেও তিনি যে দেশে ফিরে নির্বাচনী প্রচার চালাতে পেরেছেন, সেটা সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরের বদান্যতা ছাড়া সম্ভবই হতো না৷ জেনারেল মুনিরের সঙ্গে সমঝোতা করতে না পারায় সেনা সমর্থিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আজ ক্ষমতা হারিয়ে কারাবন্দী রয়েছেন৷ ইতিমধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা আরও জোরদার করা হয়েছে৷ অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, সে দেশে ‘হাইব্রিড’ সামরিক শাসনের কাঠামো সৃষ্টি করা হয়েছে, যেখানে যেকোনো নির্বাচিত সরকারের ভূমিকা ও ক্ষমতা অত্যন্ত সীমিত থাকতে বাধ্য৷
ইমরান খানের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে৷ প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের তালেবান সরকার ও ইরানের সঙ্গেও উত্তেজনা বেড়ে গেছে৷ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো উন্নতি ঘটেনি৷ একমাত্র চীনের সমর্থন ও সহায়তার ওপর নির্ভর করে পাকিস্তান কোনো রকমে আন্তর্জাতিক মঞ্চে টিকে রয়েছে৷ কৌশলগত স্বার্থে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকলেও সে দেশে বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক সুবিধার প্রত্যাশা পুরোপুরি পূর্ণ হচ্ছে না৷
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া পাকিস্তানকে বাণিজ্য ও ট্রানজিটের বড় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন৷ চীনের তৈরি অবকাঠামো সেই লক্ষ্য পূরণ করবে বলে তাঁর মনে আশা ছিল৷ জেনারেল মুনির আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কোনো এক শক্তিকে বেছে নেওয়ার বদলে যতটা সম্ভব নিজস্বতা বজায় রাখার পক্ষে৷ তবে কার্যক্ষেত্রে পাকিস্তানের দুর্বল অর্থনীতি ও সংকট সেই উচ্চাভিলাষ আপাতত পূরণ করতে দিচ্ছে না৷ সেনা কর্মকর্তাদের সম্মতি নিয়ে নতুন প্রধানমন্ত্রী সেই পথে কতটা অগ্রসর হতে পারবেন, সে দিকে সবার নজর থাকবে৷
হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত বিলিয়নিয়ার জর্জ সরোসের ছেলে অ্যালেক্স সরোস ঢাকায় নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এই বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হয়েছে, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিদেশে সমস্ত আর্থিক সহায়তা স্থগিত করেছেন। এর ফলে বাংলাদেশেও মার্কিন সহায়তা বন্ধ হয়ে গেছে।
১ দিন আগেহাংঝৌভিত্তিক এই স্টার্টআপ বা উদ্যোগটি দাবি করেছে, তারা ডিপসিক আর১ মডেলটি সিলিকন ভ্যালির সাম্প্রতিকতম মডেলগুলোর তুলনায় অনেক কম খরচে তৈরি করেছে। এই ঘোষণা এআই দুনিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রাধান্য ও শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর...
৩ দিন আগে২০১১ সালে টেক্সাসের অস্টিন থেকে আসা একজন ইগল স্কাউট রস উলব্রিচট ‘সিল্ক রোড’ প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি অনলাইন কালোবাজার, যেখানে মাদক, অর্থ পাচার এবং সাইবার অপরাধমূলক লেনদেন পরিচালিত হতো। ২০১৩ সালে তাঁর গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত সাইটটি কয়েক মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব সংগ্রহ করেছিল।
৪ দিন আগেঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি বাংলাদেশে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে চলা শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতার অবসান ঘটে।
৮ দিন আগে