সম্পাদকীয়
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চাচাতো ভাই গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র হলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি অবন ঠাকুর নামেও পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ভারতবর্ষের আধুনিক চিত্রশিল্পের জনক।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৭১ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। নরমাল স্কুলে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। এরপর কিছুদিন তিনি সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু এন্ট্রান্স পরীক্ষার আগেই কলেজ ত্যাগ করেন। পরে তিনি নিজ চেষ্টায় ইংরেজি, ফরাসি, সংস্কৃত, বাংলা সাহিত্য এবং সংগীতে দক্ষতা অর্জন করেন। অবনীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা শুরু হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতেই। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাঁর চিত্রকলার পাঠ খানিকটা দেরিতে হয়। ২৫ বা ২৬ বছর বয়সে ইতালীয় শিল্পী গিলার্ডি, বিখ্যাত ইংরেজ চিত্রশিল্পী সি এল পামার, জাপানি টাইকান প্রমুখ চিত্রশিল্পীর কাছে তিনি চিত্রাঙ্কন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন।
কলকাতা আর্ট স্কুলে তাঁর কৃষ্ণলীলা সিরিজ প্রদর্শিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ই বি হ্যাভেলের উদ্যোগে লর্ড কার্জনের দিল্লি দরবারে আরও দুটি প্রদর্শনী এবং লন্ডনের ‘স্টুডিও’ পত্রিকায় চিত্রালোচনা প্রকাশিত হলে তাঁর আঁকা ছবি প্রকাশ্যে আসে। অবন ঠাকুরের আঁকা ‘শাজাহানের অন্তিমকাল’ ভীষণ খ্যাতনামা। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম হলো—বুদ্ধ ও সুজাতা, কালীদাসের ঋতুসঙ্ঘারবিষয়ক চিত্রকলা, চতুর্ভুজা ভারতমাতা, কচদেবযানী, শেষযাত্রা প্রভৃতি।
তিনি কলকাতা আর্ট কলেজে ১৯০৫ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত কার্যনির্বাহী অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯২১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ‘বাগেশ্রী অধ্যাপক’ নিযুক্ত হন এবং ১৯৪২ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।
লিখেছেন শিল্পবিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিল্প আলোচনা ও সমালোচনা। কেবল চিত্রশিল্পেই নয়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প বলার কুশলতা ও গদ্য লেখার হাতও ছিল অসামান্য। রানি বাগেশ্বরী অধ্যাপক থাকার সময় যে ২৯টি বক্তৃতা তিনি দিয়েছিলেন, সেগুলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪১ সালে ‘বাগেশ্বরীশিল্প প্রবন্ধাবলী’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছিল। শিশুসাহিত্যেও তিনি প্রতিষ্ঠিত একজন লেখক।
১৯৫১ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চাচাতো ভাই গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র হলেন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি অবন ঠাকুর নামেও পরিচিত। তাঁকে বলা হয় ভারতবর্ষের আধুনিক চিত্রশিল্পের জনক।
অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ১৮৭১ সালের ৭ আগস্ট কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে। নরমাল স্কুলে তাঁর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু হয়। এরপর কিছুদিন তিনি সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করেন, কিন্তু এন্ট্রান্স পরীক্ষার আগেই কলেজ ত্যাগ করেন। পরে তিনি নিজ চেষ্টায় ইংরেজি, ফরাসি, সংস্কৃত, বাংলা সাহিত্য এবং সংগীতে দক্ষতা অর্জন করেন। অবনীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা শুরু হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতেই। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তাঁর চিত্রকলার পাঠ খানিকটা দেরিতে হয়। ২৫ বা ২৬ বছর বয়সে ইতালীয় শিল্পী গিলার্ডি, বিখ্যাত ইংরেজ চিত্রশিল্পী সি এল পামার, জাপানি টাইকান প্রমুখ চিত্রশিল্পীর কাছে তিনি চিত্রাঙ্কন বিষয়ে শিক্ষালাভ করেন।
কলকাতা আর্ট স্কুলে তাঁর কৃষ্ণলীলা সিরিজ প্রদর্শিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ই বি হ্যাভেলের উদ্যোগে লর্ড কার্জনের দিল্লি দরবারে আরও দুটি প্রদর্শনী এবং লন্ডনের ‘স্টুডিও’ পত্রিকায় চিত্রালোচনা প্রকাশিত হলে তাঁর আঁকা ছবি প্রকাশ্যে আসে। অবন ঠাকুরের আঁকা ‘শাজাহানের অন্তিমকাল’ ভীষণ খ্যাতনামা। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম হলো—বুদ্ধ ও সুজাতা, কালীদাসের ঋতুসঙ্ঘারবিষয়ক চিত্রকলা, চতুর্ভুজা ভারতমাতা, কচদেবযানী, শেষযাত্রা প্রভৃতি।
তিনি কলকাতা আর্ট কলেজে ১৯০৫ থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত কার্যনির্বাহী অধ্যক্ষ ছিলেন। ১৯২১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ‘বাগেশ্রী অধ্যাপক’ নিযুক্ত হন এবং ১৯৪২ সালে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের দায়িত্ব পালন করেন।
লিখেছেন শিল্পবিষয়ক প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিল্প আলোচনা ও সমালোচনা। কেবল চিত্রশিল্পেই নয়, অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প বলার কুশলতা ও গদ্য লেখার হাতও ছিল অসামান্য। রানি বাগেশ্বরী অধ্যাপক থাকার সময় যে ২৯টি বক্তৃতা তিনি দিয়েছিলেন, সেগুলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪১ সালে ‘বাগেশ্বরীশিল্প প্রবন্ধাবলী’ নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেছিল। শিশুসাহিত্যেও তিনি প্রতিষ্ঠিত একজন লেখক।
১৯৫১ সালের ৫ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
পঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২ দিন আগেলালমনিরহাটের পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের রামদাস মৌজায় মজদের আড়া নামে একটি পতিত জঙ্গল ছিল। স্থানীয় ভাষায় ‘আড়া’ মানে জঙ্গলময় স্থান। ১৯৮৫ সালে স্থানীয়রা আড়াটি পরিষ্কার করে চাষাবাদের উদ্যোগ নেয়। ওই সময় মাটি খুঁড়ে সমতল করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে ফুলেল নকশার প্রচুর প্রাচীন ইট।
৬ দিন আগে...সাধারণ মানুষের অসীম দুঃখ-দুর্দশা আর বুর্জোয়া শাসকশ্রেণির অন্তর্গত কুৎসিত ক্ষমতালিপ্সা ও প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনীতি উচ্ছেদ করার নির্মম কর্মকাণ্ড দেখার পর, যেকোনো পরিণত কিশোর কোনো না কোনো প্রগতিশীল বামপন্থী রাজনৈতিক ভাবাদর্শের প্রতি আকৃষ্ট হবে—সমসাময়িক কালে সেটাই নিতান্ত স্বাভাবিক ছিল।
৭ দিন আগে২০০১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাত্র কয়েক ঘণ্টায় অ্যানা কুর্নিকোভা ভাইরাসটি তৈরি করেন নেদারল্যান্ডসের এক তরুণ, জান ডে উইট। ভাইরাসটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার কিছু দিন পর তিনি বুঝতে পারেন—তাঁর তৈরি এই ভাইরাস অনেক মানুষকে বিপদে ফেলেছে এবং বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করেছে। তখন তিনি বিষয়টি বাবা-মাকে জানান এবং নিজেই
৯ দিন আগে