Ajker Patrika

সফল কিষানি আনোয়ারা

আপডেট : ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০৭: ৫৪
Thumbnail image

যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের আবদুল খাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। ৫০ বছর  বয়সী এই নারী একজন সফল মা, কিষানি, গৃহিণী ও সংগঠক। ব্যক্তিজীবনে আনোয়ারা দুই পুত্রসন্তানের জননী। এ বছর আনোয়ারা উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বারবাকপুর মোড়লপাড়া নারী সামাজিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, বারবাকপুর মহিলা সিআইজি সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বারবাকপুর আইপিএম ক্লাবের নির্বাহী সদস্য।

বারবাকপুর গ্রামে আনোয়ারার বাড়িতে গিয়ে চোখে পড়ে পারিবারিক পুষ্টিবাগান প্রদর্শনীর খেত। বাড়ির পাশে বেড়া দিয়ে ঘিরে বিঘাখানেক জমিতে বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি পালন করেন তিনি। প্রতিবছর দু-চার হাজার টাকার চুইঝালের কলমও বিক্রি করেন তিনি। গবাদিপশুর পাশাপাশি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বর্ধনশীল জাতের ক্যাম্পে হাঁসও পালন করেন তিনি। আনোয়ারার ভিটায় রয়েছে আম, জাম, জামরুল, লিচু, বেল, সফেদা, বরই, বাতাবিলেবু, জাম্বুরা, কমলা, মাল্টাসহ প্রায় সব ধরনের ফলের গাছ। এসব গাছ বেয়ে উঠেছে চুইঝালের লতা। আনোয়ারার স্বামীর সাত বিঘা আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এসব জমিতে স্বল্পমাত্রায় রাসায়নিক সারের সঙ্গে ব্যবহার করেন নিজের উৎপাদিত ভার্মি কম্পোস্ট এবং চালা কম্পোস্ট সার। পোকামাকড় দূর করতে কীটনাশকের পরিবর্তে জৈব ভেষজের নির্যাস থেকে প্রতিষেধক তৈরি করে ব্যবহার করেন।

২০১৬ সালের প্রথম দিকে এলাকার ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেন দেড় শ টাকা দিয়ে ১০০ গ্রাম কেঁচো কিনে দিয়েছিলেন আনোয়ারাকে। এখন তাঁর কারখানায় প্রতি মাসে তৈরি হচ্ছে ২৭ থেকে ৩০ মণ জৈব সার। আনোয়ারার সাফল্য দেখে গ্রামের সবাই এই কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরিতে ঝুঁকেছেন।

আনোয়ারার দুই সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে মো. সাদ্দাম হোসেন প্রকৌশলী, ছোট ছেলে শরিফুল ইসলামও ডিপ্লোমা পড়েছেন। তাঁরা জানান, মায়ের বিষমুক্ত সবজি উৎপাদনে তাঁরা গর্বিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত