আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)
চটপটি আর ফুচকা ভালোবাসে না, এমন মানুষ বিরল। সেটা লক্ষ করেই দোকান খুলে বসেন ঘিওরের ঝুনু রানী সাহা। ‘গৃহিণী’র তকমা ছেড়ে সন্তানদের পড়াশোনা ও পরিবারের খরচ জোগাতে শুরু করা সেই ব্যবসা এখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। এলাকায় এখন জনপ্রিয় ঝুনুর ‘দিদির চটপটি’।
ঘিওর উপজেলার সাহাপাড়া গ্রামের শংকর কুমার সাহা (৪৫) বাজারে পান বিক্রি করে সংসার চালাতেন। স্নাতকে পড়ুয়া মেয়ে পূজা সাহা আর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছেলে সূর্য সাহার পড়াশোনা এবং সংসারের ব্যয় মেটাতে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় এগিয়ে আসেন ঝুনু রানী। সাংসারিক অসচ্ছলতা দূর করতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন চটপটি ও ফুচকা বিক্রি। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সদরের কালীগঙ্গা নদীতীরে ঝুনু রানীর দিদির চটপটি নামের দোকানটি দ্রুততম সময়ে পরিচিত হয়ে ওঠে এলাকায়। নদীতীরে ঘুরতে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। নদীতীর ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসবে দিদির চটপটি নিয়ে হাজির হন তিনি। এখন তিনি ঘিওর উপজেলা সদরের কচি-কাঁচা মেলায় দুর্গাপূজা উৎসবে দোকান সাজানোর কাজে ব্যস্ত। পূজার কদিন এখানেই তাঁর দোকান থাকবে।
উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার শীল গোবিন্দ জানিয়েছেন, ঝুনু সাহার চটপটির দোকান এই এলাকায় খুব জনপ্রিয়। তাঁদের খাবারের মান ভালো। দিদি যেখানে যান, সেখানেই ভিড় লেগে যায়। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসবের আয়োজকদের কাছে তাঁর দোকানের কদর বেশি।
উপজেলা শহরে কোনো ব্যবসা করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বেশ কঠিন। ঝুনু রানী সেটা পেরেছেন। পূজার মেলায় দোকান সাজাতে ব্যস্ত ঝুনুর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর সাফল্যের রহস্য। তিনি জানান, চটপটির বিভিন্ন উপকরণ তিনি নিজে তৈরি করেন। সেই সঙ্গে কড়া নজর রাখেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে। ফলে তাঁর ফুচকা ও চটপটি অনেক সুস্বাদু হয়।
একটি ভ্যান দিয়ে শুরু করলেও এখন স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে দুটি দোকানের মালিক। স্বাভাবিকভাবে ব্যবসার প্রসার বাড়ার সঙ্গে ফিরেছে সাংসারিক সচ্ছলতা।
ঝুনুকে দৃষ্টান্ত মানেন প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক অঞ্জনা সাহা। তিনি মনে করেন, ঘরে বসে না থেকে নারীদের ঝুনুর মতো উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
ঝুনুর সাফল্যের খবর আছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কাছেও। তিনি বলেন, সৎভাবে আয় করে সফল হওয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ঝুনু সাহা। তিনি জানান, ঝুনু রানী যদি চান, তাহলে উপজেলা প্রশাসন তাঁকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজের কাজে ব্যস্ত ঝুনু জানান, সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতায় ব্যবসার পরিধি বাড়ছে। এ রকম চললে সামনে বড় একটা রেস্টুরেন্ট দেবেন। এটিই এখন তাঁর একমাত্র ইচ্ছা। নিজে বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি বলে সন্তানদের সাধ্যমতো পড়াতে চান ঝুনু।
চটপটি আর ফুচকা ভালোবাসে না, এমন মানুষ বিরল। সেটা লক্ষ করেই দোকান খুলে বসেন ঘিওরের ঝুনু রানী সাহা। ‘গৃহিণী’র তকমা ছেড়ে সন্তানদের পড়াশোনা ও পরিবারের খরচ জোগাতে শুরু করা সেই ব্যবসা এখন ফুলেফেঁপে উঠেছে। এলাকায় এখন জনপ্রিয় ঝুনুর ‘দিদির চটপটি’।
ঘিওর উপজেলার সাহাপাড়া গ্রামের শংকর কুমার সাহা (৪৫) বাজারে পান বিক্রি করে সংসার চালাতেন। স্নাতকে পড়ুয়া মেয়ে পূজা সাহা আর ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছেলে সূর্য সাহার পড়াশোনা এবং সংসারের ব্যয় মেটাতে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় এগিয়ে আসেন ঝুনু রানী। সাংসারিক অসচ্ছলতা দূর করতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে শুরু করেন চটপটি ও ফুচকা বিক্রি। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলা সদরের কালীগঙ্গা নদীতীরে ঝুনু রানীর দিদির চটপটি নামের দোকানটি দ্রুততম সময়ে পরিচিত হয়ে ওঠে এলাকায়। নদীতীরে ঘুরতে আসা মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। নদীতীর ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসবে দিদির চটপটি নিয়ে হাজির হন তিনি। এখন তিনি ঘিওর উপজেলা সদরের কচি-কাঁচা মেলায় দুর্গাপূজা উৎসবে দোকান সাজানোর কাজে ব্যস্ত। পূজার কদিন এখানেই তাঁর দোকান থাকবে।
উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার শীল গোবিন্দ জানিয়েছেন, ঝুনু সাহার চটপটির দোকান এই এলাকায় খুব জনপ্রিয়। তাঁদের খাবারের মান ভালো। দিদি যেখানে যান, সেখানেই ভিড় লেগে যায়। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও উৎসবের আয়োজকদের কাছে তাঁর দোকানের কদর বেশি।
উপজেলা শহরে কোনো ব্যবসা করে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা বেশ কঠিন। ঝুনু রানী সেটা পেরেছেন। পূজার মেলায় দোকান সাজাতে ব্যস্ত ঝুনুর কাছে জানতে চাওয়া হয় তাঁর সাফল্যের রহস্য। তিনি জানান, চটপটির বিভিন্ন উপকরণ তিনি নিজে তৈরি করেন। সেই সঙ্গে কড়া নজর রাখেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে। ফলে তাঁর ফুচকা ও চটপটি অনেক সুস্বাদু হয়।
একটি ভ্যান দিয়ে শুরু করলেও এখন স্বামী-স্ত্রী মিলিয়ে দুটি দোকানের মালিক। স্বাভাবিকভাবে ব্যবসার প্রসার বাড়ার সঙ্গে ফিরেছে সাংসারিক সচ্ছলতা।
ঝুনুকে দৃষ্টান্ত মানেন প্রতিবেশী স্কুলশিক্ষক অঞ্জনা সাহা। তিনি মনে করেন, ঘরে বসে না থেকে নারীদের ঝুনুর মতো উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
ঝুনুর সাফল্যের খবর আছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কাছেও। তিনি বলেন, সৎভাবে আয় করে সফল হওয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ ঝুনু সাহা। তিনি জানান, ঝুনু রানী যদি চান, তাহলে উপজেলা প্রশাসন তাঁকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে সহায়তা করতে প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজের কাজে ব্যস্ত ঝুনু জানান, সবার ভালোবাসা ও সহযোগিতায় ব্যবসার পরিধি বাড়ছে। এ রকম চললে সামনে বড় একটা রেস্টুরেন্ট দেবেন। এটিই এখন তাঁর একমাত্র ইচ্ছা। নিজে বেশি পড়াশোনা করতে পারেননি বলে সন্তানদের সাধ্যমতো পড়াতে চান ঝুনু।
সারা বিশ্বে মুসলিম নারীদের বৈশিষ্ট্যমূলক একটি পোশাক হলো হিজাব বা হেড কভার। হিজাব বলতে মূলত মাথা ঢাকার একখণ্ড কাপড় বোঝায়। মাথা ঢাকা একটি ইসলাম ধর্মীয় বিধান হলেও বিশেষ করে পশ্চিমে এটি এখন মুসলিম নারীদের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছে।
১ ঘণ্টা আগেজয়পুরহাট ও দিনাজপুরে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এবং ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একই সঙ্গে অবিলম্বে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
২ দিন আগেদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে যে সুফল পাওয়া যায়, সেই জায়গায় তাঁরা পিছিয়ে আছেন এখনো। যেমন এখন অনলাইনে সরকারি বিভিন্ন কাজ, কেনাকাটা, আর্থিক লেনদেন করা যায়। কিন্তু সঠিক তথ্য ও ব্যবহারের অভাবে প্রান্তিক নারীরা এসব সুবিধা নিতে পারছ
৩ দিন আগেকোভিড ইফেক্ট তাঁকেও আক্রান্ত করেছিল। উচ্চশিক্ষিত খাদিজা ভালো বেতনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। কোভিডকালে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা ভালো যাচ্ছিল না। সে সময় খাদিজা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। নিয়মমাফিক অফিস থেকে ছুটি চাইলে অফিস জানিয়ে দিল, চাকরিটা ছেড়ে দিতে পারেন। খাদিজা চাকরিটা ছেড়ে দিলেন। খাদিজা জা
৩ দিন আগে