গোলাম ওয়াদুদ
আগে নির্বাচনে কোনো দল বা ব্যক্তি জয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ভোটার, আরও সহজ করে বললে সব প্রার্থীর সমর্থকেরা আলাদা উত্তেজনায় থাকত। এতে হৃদ্যন্ত্র, এবং কে জানে কিডনি-লিভার ইত্যাদিও হয়তো ঝুঁকিতে থাকত। উত্তেজনা ভালো নয়—মহামতি মাত্রই জানেন। এখন অবশ্য এই সত্য জানার জন্য মহান বা ওই পর্যায়ের কেউ না হলেও চলে। তাই উত্তেজনা প্রশমনের দিকেই সবার নজর।
কথা হচ্ছিল নির্বাচন নিয়ে। পুরোনো অভ্যাস অনুযায়ী নির্বাচন শব্দটা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা শব্দটি তুতো ভাই হিসেবে সামনে চলে এসেছে। সে যাই হোক, নির্বাচনের আগের রাতে প্রতিটি কেন্দ্রে একটি উৎসবের আমেজ থাকে। কেন্দ্র সাজানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কর্মকর্তাদের আগমন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট এলাকায় উৎসবের আমেজ নিয়ে আসত। আর মানুষ মোটামুটি সারা রাত অপেক্ষা করত ভোরের। নিজের মূল্যবান ভোট দিতে একটা অপেক্ষা ছিল। এখন এই গতির যুগে অপেক্ষা বিষয়টি তো একেবারে বেমানান।
আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে দেশে দেশে ভোট গ্রহণ চলত। সন্ধ্যার পর ভোটের ফল পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে দেখা যেত জয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। বিশ্ব আগের চেয়ে অনেক উন্নত, আধুনিক। নিজের কষ্ট লাঘবের জন্য মানুষ কত কষ্টই না করছে। নাগরিকদের মানসিক চাপ কমাতে নীতিনির্ধারকেরাও অহোরাত্রি মাথার ঘাম পায়ে শুধু নয়, চারপাশেও ফেলছেন। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নিজের ঘর্মাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নাগরিকদের আশ্বস্তও করছেন। এখন তাই কষ্ট করে রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হয় না। আগের রাতে ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্সবন্দী করা হয়। ভোটাররাও মেনে নিয়েছেন। অপেক্ষা, মানসিক চাপ, উত্তেজনা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেলে কে মানবে না বলুন।
এরপরও যেসব বেরসিক সকালে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে চান, তাঁদের জন্যও আছে কিছু ছাড়। যেমন, অনেকেই কোন প্রতীকে ভোট দেবেন, তা চিন্তা করতে অনেক সময় ব্যয় করেন। আর বেশি চিন্তা করলে মস্তিষ্কে চাপ পড়তে পারে। তাই বুথে বুথে তাঁদের সহায়তা করার জন্য একদল বিশেষজ্ঞ থাকেন অপেক্ষায়। তাঁরাই বলে দেন কোথায় কীভাবে সিল দিতে হবে। আদর্শ শিক্ষকের মতোই তাঁরা এ বিষয়ে ভোটারদের ক্লাস নেন বুথের ভেতরেই। এই পদ্ধতি নির্বাচনে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। দিকে দিকে এখন এই নির্বাচনের জয়জয়কার।
বরাবরের মতো এবারও রুশ দেশে এমনধারার নির্বাচনই হয়েছে। আর এতে রুশ জনগণের নয়নের মণি ভ্লাদিমির পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমার নির্বাচনে।
দুর্মুখেরা অবশ্য এই নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছে। মানুষের ভালো আর ক’জনই-বা সহ্য করতে পারে! বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, পুতিনের নাকি জনসমর্থন কমেছে। আবার অনেকে বলছে, ব্যালট বাক্স আগেই ভরে রাখা হয়েছিল। কেউ কেউ অভিযোগ করছে, ভোট দিতে তাদের জোর করা হয়েছে। এমন অভিযোগের বেশ কিছু প্রমাণ নাকি পেয়েছে সেখানে পরিদর্শনরত কিছু পর্যবেক্ষক দল।
বলে রাখা ভালো পুরোনো রেওয়াজ অনুযায়ী রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক দল সেখানে গেছে। এই দলে ছিলেন কোনো দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কোনো দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠন, আবার কোনো দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার বা সচিবেরা। মহামতি পুতিনের আতিথেয়তা নিয়ে তাঁরা এ কেমন প্রতিদান দিলেন বলুন। অথচ পুতিনকে দেখুন এত আপ্যায়ন সত্ত্বেও তাঁর বদনাম যারা করল, তাঁদের তিনি কিচ্ছুটি বললেন না। শুধু রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা কোনো ‘উল্লেখযোগ্য অনিয়মের’ অভিযোগ পাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট দেওয়ার দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে বলে জানা গেছে।
দেশে দেশে এই দীর্ঘ লাইনের ভোট নেওয়া শেষ হয় না। সকাল বিকেলে একই ভোটারকে দীর্ঘ লাইনে দেখা যায় বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। তাঁরা সাধারণ ভোটারের জন্য খুবই উপকারী। তাঁদের জন্য দেশে দেশে আজ সাধারণ ভোটাররা ভোটের ঝামেলা থেকে বেঁচে গেছেন।
যা হোক, রাশিয়ার নির্বাচন ‘সুষ্ঠু’ হয়েছে। অভিযোগ বা অন্য যা কিছু—সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বলতে পারেন অতি ‘আবেগে’ সমর্থকেরা এসব বলছে।
আগে নির্বাচনে কোনো দল বা ব্যক্তি জয়ী হওয়ার আগ পর্যন্ত সব ভোটার, আরও সহজ করে বললে সব প্রার্থীর সমর্থকেরা আলাদা উত্তেজনায় থাকত। এতে হৃদ্যন্ত্র, এবং কে জানে কিডনি-লিভার ইত্যাদিও হয়তো ঝুঁকিতে থাকত। উত্তেজনা ভালো নয়—মহামতি মাত্রই জানেন। এখন অবশ্য এই সত্য জানার জন্য মহান বা ওই পর্যায়ের কেউ না হলেও চলে। তাই উত্তেজনা প্রশমনের দিকেই সবার নজর।
কথা হচ্ছিল নির্বাচন নিয়ে। পুরোনো অভ্যাস অনুযায়ী নির্বাচন শব্দটা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা শব্দটি তুতো ভাই হিসেবে সামনে চলে এসেছে। সে যাই হোক, নির্বাচনের আগের রাতে প্রতিটি কেন্দ্রে একটি উৎসবের আমেজ থাকে। কেন্দ্র সাজানো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাচন কর্মকর্তাদের আগমন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট এলাকায় উৎসবের আমেজ নিয়ে আসত। আর মানুষ মোটামুটি সারা রাত অপেক্ষা করত ভোরের। নিজের মূল্যবান ভোট দিতে একটা অপেক্ষা ছিল। এখন এই গতির যুগে অপেক্ষা বিষয়টি তো একেবারে বেমানান।
আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে দেশে দেশে ভোট গ্রহণ চলত। সন্ধ্যার পর ভোটের ফল পেয়ে আনন্দ মিছিল করতে দেখা যেত জয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের। কিন্তু এখন সময় বদলেছে। বিশ্ব আগের চেয়ে অনেক উন্নত, আধুনিক। নিজের কষ্ট লাঘবের জন্য মানুষ কত কষ্টই না করছে। নাগরিকদের মানসিক চাপ কমাতে নীতিনির্ধারকেরাও অহোরাত্রি মাথার ঘাম পায়ে শুধু নয়, চারপাশেও ফেলছেন। শুধু তাই নয়, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে নিজের ঘর্মাক্ত ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নাগরিকদের আশ্বস্তও করছেন। এখন তাই কষ্ট করে রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে হয় না। আগের রাতে ব্যালটে সিল দিয়ে বাক্সবন্দী করা হয়। ভোটাররাও মেনে নিয়েছেন। অপেক্ষা, মানসিক চাপ, উত্তেজনা ইত্যাদি থেকে মুক্তি পেলে কে মানবে না বলুন।
এরপরও যেসব বেরসিক সকালে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিতে চান, তাঁদের জন্যও আছে কিছু ছাড়। যেমন, অনেকেই কোন প্রতীকে ভোট দেবেন, তা চিন্তা করতে অনেক সময় ব্যয় করেন। আর বেশি চিন্তা করলে মস্তিষ্কে চাপ পড়তে পারে। তাই বুথে বুথে তাঁদের সহায়তা করার জন্য একদল বিশেষজ্ঞ থাকেন অপেক্ষায়। তাঁরাই বলে দেন কোথায় কীভাবে সিল দিতে হবে। আদর্শ শিক্ষকের মতোই তাঁরা এ বিষয়ে ভোটারদের ক্লাস নেন বুথের ভেতরেই। এই পদ্ধতি নির্বাচনে এক অন্য মাত্রা যোগ করেছে। দিকে দিকে এখন এই নির্বাচনের জয়জয়কার।
বরাবরের মতো এবারও রুশ দেশে এমনধারার নির্বাচনই হয়েছে। আর এতে রুশ জনগণের নয়নের মণি ভ্লাদিমির পুতিনের দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ স্টেট দুমার নির্বাচনে।
দুর্মুখেরা অবশ্য এই নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ তুলছে। মানুষের ভালো আর ক’জনই-বা সহ্য করতে পারে! বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, পুতিনের নাকি জনসমর্থন কমেছে। আবার অনেকে বলছে, ব্যালট বাক্স আগেই ভরে রাখা হয়েছিল। কেউ কেউ অভিযোগ করছে, ভোট দিতে তাদের জোর করা হয়েছে। এমন অভিযোগের বেশ কিছু প্রমাণ নাকি পেয়েছে সেখানে পরিদর্শনরত কিছু পর্যবেক্ষক দল।
বলে রাখা ভালো পুরোনো রেওয়াজ অনুযায়ী রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক দল সেখানে গেছে। এই দলে ছিলেন কোনো দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, কোনো দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংগঠন, আবার কোনো দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার বা সচিবেরা। মহামতি পুতিনের আতিথেয়তা নিয়ে তাঁরা এ কেমন প্রতিদান দিলেন বলুন। অথচ পুতিনকে দেখুন এত আপ্যায়ন সত্ত্বেও তাঁর বদনাম যারা করল, তাঁদের তিনি কিচ্ছুটি বললেন না। শুধু রাশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা কোনো ‘উল্লেখযোগ্য অনিয়মের’ অভিযোগ পাননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট দেওয়ার দীর্ঘ লাইনও দেখা গেছে বলে জানা গেছে।
দেশে দেশে এই দীর্ঘ লাইনের ভোট নেওয়া শেষ হয় না। সকাল বিকেলে একই ভোটারকে দীর্ঘ লাইনে দেখা যায় বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়। তাঁরা সাধারণ ভোটারের জন্য খুবই উপকারী। তাঁদের জন্য দেশে দেশে আজ সাধারণ ভোটাররা ভোটের ঝামেলা থেকে বেঁচে গেছেন।
যা হোক, রাশিয়ার নির্বাচন ‘সুষ্ঠু’ হয়েছে। অভিযোগ বা অন্য যা কিছু—সবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। বলতে পারেন অতি ‘আবেগে’ সমর্থকেরা এসব বলছে।
এই ঘটনার জেরে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে অশ্লীল ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে তদন্ত চলছে। সিস্টার হংয়ের ঘটনা সামনে আসতেই চীনা নেটিজেনদের একাংশের মধ্যে আলোচনায় আসে ২০১৬ সালের আরেক প্রতারণার কাহিনি।
২ দিন আগেঅনেকের কাছেই মদের বোতলে ডুবে থাকা সাপ, মোটেই রুচিকর বা মনোহর দৃশ্য নয়। তবে এশিয়ার কিছু অঞ্চলে এই ছবি আশার প্রতীক, স্বাস্থ্য ভালো রাখার প্রতিশ্রুতি। এই ব্যতিক্রমী পানীয়টির নাম ‘স্নেক ওয়াইন’ বা সাপের ওয়াইন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এটি পান করা হয়ে আসছে এই অঞ্চলে। অনেকেরই বিশ্বাস, এতে রয়েছে ওষধিগুণ।
৩ দিন আগেনারীর বগলের গন্ধ পুরুষদের আচরণে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনকি তাদের মানসিক চাপও কমাতে পারে। এমনটাই জানা গেছে, জাপানে হওয়া এক চমকপ্রদ গবেষণা থেকে। তবে এই প্রভাব সব সময় দেখা যায় না। মাসের নির্দিষ্ট কিছু সময়ে, যখন নারীদের গন্ধ পুরুষদের কাছে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়, তখনই এই প্রভাব দেখা যায়।
৫ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী এমিলি এনজার এখন নিয়মিত আয় করছেন বুকের দুধ বিক্রি করে। পাঁচ সন্তানের এই মা প্রতিদিন সন্তানদের দুধ পান করানোর পর অতিরিক্ত যে দুধ পাম্প করেন, তা ব্যাগে ভরে সংরক্ষণ করেন ফ্রিজে। উদ্দেশ্য—নিজের সন্তানের জন্য নয়, বরং বিক্রি করে বাড়তি আয় করা।
৬ দিন আগে