
মানবজীবনে আত্মীয়তার সম্পর্ক এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বন্ধন। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার সমাজের ভিত্তি দৃঢ় করে এবং মানবতার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য প্রকাশ করে। বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় এক সর্বোত্তম আদর্শ।

দন্তরাজি মুক্তার মতো উজ্জ্বল, কথা বলার সময় জ্বলজ্বল করত। গায়ের রং দুধে-আলতা। নাসিকা ছিল ইগল চঞ্চুর মতো। ভরাট চোয়াল, উচ্চ গ্রীবা, নিবিড় ঘন শ্মশ্রু। তিনি ছিলেন নাতিদীর্ঘ, নাতি খর্ব—মধ্যম আকৃতির মানুষ। শরীর যেমন স্থূল ছিল না, তেমনি কৃশও ছিল না। তাঁর অঙ্গসৌষ্ঠব ছিল অপরূপ।

খাইবার যুদ্ধ, বনু কুরায়জা ও নাজির যুদ্ধে তিনি একজন সেনাপতি ও মুসলমানদের প্রধান হিসেবে রণক্ষেত্র অতিক্রম করছিলেন, তখন তাঁর বাহন ছিল সামান্য একটি গাধা। কিন্তু নবীজি (সা.)-এর চরিত্র ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী। (মিশকাতুল মাসাবিহ: ৫৮২১; আখলাকুন্নবী: ১২০)

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব। ছিলেন দয়া ও ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক। জাতি, ধর্ম, বর্ণনির্বিশেষে সবার জন্য ছিল তাঁর বুকভরা দরদ আর ভালোবাসা। তাঁর চরিত্রের অতি বিস্ময়কর একটি দিক ছিল, সবার সঙ্গে তিনি ভালো ব্যবহার করতেন। সুন্দর আচরণ করতেন। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়াতেন।