রাসুল (সা.)-এর শিক্ষা প্রতিটি অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান হয়ে উঠেছিল। তিনি মূর্তিপূজার চূর্ণ করে গড়ে তোলেন আল্লাহর একত্ববাদের দালান। নারীর দিলেন তার প্রাপ্ত মর্যাদা। কন্যাশিশুর অধিকার নিশ্চিত করলেন। সামাজিক অসংগতি, সুদ ও লুণ্ঠন বিলুপ্ত করে প্রতিষ্ঠা ন্যায় ও ইনসাফ।
মানব ইতিহাসের কিছু মুহূর্ত সমগ্র বিশ্বের জন্য যুগান্তকারী হয়ে দাঁড়ায়। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্ম সেইরূপ এক ঘটনা। প্রসিদ্ধ মত অনুযায়ী, তিনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার সুবহে সাদিকের সময় পবিত্র মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের হাশেমি গোত্রে জন্মগ্রহণ করেন।
মানবতার মুক্তির দূত, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বিশ্বের গোটা মানবজাতির জন্য সর্বোত্তম আদর্শ। মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর প্রতিটি কথা, কাজ, অনুমোদন, আদেশ, নিষেধ, উপদেশ, নির্দেশনা মেনে চলা কল্যাণকর। মহান আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)কে উত্তম আদর্শ...
সাহাবায়ে কেরাম বর্ণনা করেছেন, তাঁর চেহারা ছিল পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল, চোখের জ্যোতি হৃদয়কে মুগ্ধ করত, আর মুখমণ্ডল থেকে উদ্ভাসিত মৃদু হাসি মানুষের মন ছুঁয়ে যেত। শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্য—সদাচরণ, নম্রতা, ধৈর্য, আন্তরিকতা ও দয়া—সমস্ত মানবজাতির জন্য এক অনন্য আদর্শ স্থাপন...