ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
ইতিহাসের পাতায় এমন কিছু দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যায়, যা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, বরং যুগযুগান্তর মানবসভ্যতার জন্য চিরন্তন শিক্ষা হয়ে থাকে। মদিনা সনদ বা মদিনার সংবিধান তেমনই একটি দলিল। আরব উপদ্বীপে বহুধর্মীয় ও বহুজাতীয় সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সহাবস্থানের এক অনন্য চুক্তি ছিল এটি।
হিজরতের পর মদিনার সমস্ত গোত্র ও সম্প্রদায়কে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) এ সনদ প্রণয়ন করেন। ইসলামের ইতিহাসে এ সনদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। কারণ এটি ছিল মুসলিম ও অমুসলিম—উভয় সম্প্রদায়কে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রথম লিখিত সংবিধান।
মদিনা সনদের প্রেক্ষাপট: ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, মদিনায় তখন প্রধানত তিনটি জনগোষ্ঠী বসবাস করত—
মদিনায় বসবাসকারী এসব ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও সংঘাত ছিল। বিশেষত আওস ও খাজরাজ গোত্রের মধ্যকার দীর্ঘকালীন যুদ্ধ-বিগ্রহ চলে আসছিল। ইহুদিরাও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কেবল নবী হিসেবেই নয়, বরং একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও রাসুলুল্লাহ (সা.) এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধান, মদিনায় বসবাসকারী সমস্ত মানুষের পারস্পরিক সহাবস্থান, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সবাইকে নিয়ে এক লিখিত চুক্তি করেন। এ চুক্তিটাই ইতিহাসে ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত।
মদিনা সনদ ও বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা:
ঐতিহাসিকদের মতে, মদিনা সনদ মোট ৪৭টি ধারা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। সনদে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার, কর্তব্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সম্পর্কের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ সংবিধানের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা নিম্নরূপ—
সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো যে সংবিধান মেনে চলে, সেখানে মানবাধিকার সংরক্ষণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার সংবলিত যতগুলো নীতি স্থান পেয়েছে, তার সবই মদিনা সনদে বিদ্যমান ছিল। ফলে বলা যায়, মদিনা সনদ আধুনিক সংবিধান ও বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্যতম প্রাচীন ভিত্তি।
মদিনা সনদ সর্বযুগের সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অনন্য শিক্ষা। নবীজি (সা.) প্রমাণ করেছেন, ভিন্ন মত, ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন গোত্র সবাইকে সঙ্গে নিয়েও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। আজকের পৃথিবী যখন যুদ্ধ-বিগ্রহ, সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন মদিনা সনদ আমাদের শেখায় একতাবদ্ধ থাকাই শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
ইতিহাসের পাতায় এমন কিছু দলিল-দস্তাবেজ পাওয়া যায়, যা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়, বরং যুগযুগান্তর মানবসভ্যতার জন্য চিরন্তন শিক্ষা হয়ে থাকে। মদিনা সনদ বা মদিনার সংবিধান তেমনই একটি দলিল। আরব উপদ্বীপে বহুধর্মীয় ও বহুজাতীয় সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সহাবস্থানের এক অনন্য চুক্তি ছিল এটি।
হিজরতের পর মদিনার সমস্ত গোত্র ও সম্প্রদায়কে নিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) এ সনদ প্রণয়ন করেন। ইসলামের ইতিহাসে এ সনদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। কারণ এটি ছিল মুসলিম ও অমুসলিম—উভয় সম্প্রদায়কে নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার প্রথম লিখিত সংবিধান।
মদিনা সনদের প্রেক্ষাপট: ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে যখন রাসুলুল্লাহ (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেন, মদিনায় তখন প্রধানত তিনটি জনগোষ্ঠী বসবাস করত—
মদিনায় বসবাসকারী এসব ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও সংঘাত ছিল। বিশেষত আওস ও খাজরাজ গোত্রের মধ্যকার দীর্ঘকালীন যুদ্ধ-বিগ্রহ চলে আসছিল। ইহুদিরাও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে জড়িত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কেবল নবী হিসেবেই নয়, বরং একজন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবেও রাসুলুল্লাহ (সা.) এসব দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সমাধান, মদিনায় বসবাসকারী সমস্ত মানুষের পারস্পরিক সহাবস্থান, শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার স্বার্থে সবাইকে নিয়ে এক লিখিত চুক্তি করেন। এ চুক্তিটাই ইতিহাসে ‘মদিনা সনদ’ নামে পরিচিত।
মদিনা সনদ ও বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থা:
ঐতিহাসিকদের মতে, মদিনা সনদ মোট ৪৭টি ধারা নিয়ে গঠিত হয়েছিল। সনদে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর অধিকার, কর্তব্য, পারস্পরিক সহাবস্থান ও সম্পর্কের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ সংবিধানের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ধারা নিম্নরূপ—
সাম্প্রতিক সময়ে পৃথিবীর রাষ্ট্রগুলো যে সংবিধান মেনে চলে, সেখানে মানবাধিকার সংরক্ষণ, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ মানুষের মৌলিক অধিকার সংবলিত যতগুলো নীতি স্থান পেয়েছে, তার সবই মদিনা সনদে বিদ্যমান ছিল। ফলে বলা যায়, মদিনা সনদ আধুনিক সংবিধান ও বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার অন্যতম প্রাচীন ভিত্তি।
মদিনা সনদ সর্বযুগের সমগ্র মানবজাতির জন্য এক অনন্য শিক্ষা। নবীজি (সা.) প্রমাণ করেছেন, ভিন্ন মত, ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন গোত্র সবাইকে সঙ্গে নিয়েও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। আজকের পৃথিবী যখন যুদ্ধ-বিগ্রহ, সাম্প্রদায়িকতা ও বিভাজনের অন্ধকারে নিমজ্জিত, তখন মদিনা সনদ আমাদের শেখায় একতাবদ্ধ থাকাই শান্তি প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
৭ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
১ দিন আগেআল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বানের পথ বড়ই বন্ধুর। এ পথে বিপদ-আপদের কমতি নেই। আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ না থাকলে এ পথে টিকে থাকা মুশকিল। আল্লাহর পথে আহ্বানকারী বা দায়ির কাজ হলো মানুষকে প্রবৃত্তির দাসত্ব, বর্ণবৈষম্য ও ঐতিহ্য-আভিজাত্য থেকে মুক্ত হওয়া এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়ার আহ্বান জানানো।
১ দিন আগে