Ajker Patrika

এক নজরে মহানবী (সা.)-এর জীবনাচরণের কয়েকটি দিক

আদিয়াত উল্লাহ
নবী মুহাম্মদ (সা.)। ছবি: সংগৃহীত
নবী মুহাম্মদ (সা.)। ছবি: সংগৃহীত

মানব মননের সর্বোত্তম বিকাশ ও আল্লাহর সব হুকুম-আহকাম, আদেশ-নিষেধ পালনের মাধ্যমে মানবীয় দুর্বলতার ঊর্ধ্বে উঠে মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি ও আখিরাতে তাঁর দিদার লাভের নিমিত্তে আল্লাহ তাআলা যেসব নির্বাচিত ব্যক্তিকে তাঁর নবী ও রাসুল হিসেবে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন, নবী করিম (সা.) তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ।

তাঁর জীবনের প্রতিটি দিক, কর্মপদ্ধতি ও ওহির আলোকে তাঁর জীবনাচরণ মানুষের জীবনে হেদায়াত ও অবারিত নুরের এক অনন্য উৎস। তিনি ও তাঁর আদর্শ সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর এক অনন্য উপহার।

জীবনের সর্বক্ষেত্রে তাঁর আদর্শ অনুসরণ মুমিনদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় এবং মানবজাতির ইহকালীন সফলতা ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র পথ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মাঝে (তাঁর চারিত্রিক গুণাবলি ও জীবনাচরণে) রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১)

কোরআনের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি: রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল কোরআনের প্রতিটি আয়াত, আদেশ ও নিষেধের এক জীবন্ত ও অনন্য চিত্র। কোরআন যেন প্রতিটি হরফে হরফে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্রের মাধ্যমে যথার্থভাবে চিত্রিত হচ্ছিল। সাইয়িদা আয়েশা (রা.)-কে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চরিত্র সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘কোরআনই ছিল তাঁর চরিত্র। কোরআনের রাগে তিনি রাগান্বিত হতেন এবং তার সন্তুষ্টিতে তিনি সন্তুষ্ট হতেন।’ (জামেউল ওয়াসাইল ফি শারহিশ শামাইল, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্রে যা এসেছে’ অধ্যায়)

সব প্রশংসনীয় গুণের পূর্ণতাদানকারী: রাসুলুল্লাহ (সা.) মানবচরিত্রের সব গুণের এক অনন্য আধার ছিলেন। তাঁর চরিত্র ছিল সব প্রকার গুণের এক উত্তম, অভূতপূর্ব, অনন্য ও চমৎকার সমন্বয়। তাঁর মাঝে ছিল না কোনো নিন্দনীয় অভ্যাস ও স্বভাব। তিনি ছিলেন সত্যবাদী, উত্তম আমানতদার, ওয়াদা রক্ষাকারী, আল্লাহর নেয়ামতের সর্বোত্তম শোকরকারী, লজ্জাশীল ও অনন্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেই ইরশাদ করেন, ‘আমি চরিত্রের সব উত্তম গুণের পূর্ণতা দানের জন্যই প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদে আহমাদ: ৮৯৫২)

ছোটদের প্রতি দয়ার্দ্রতার অনন্য উদাহরণ: রাসুলুল্লাহ (সা.) ছোটদের প্রতি ছিলেন দয়ার এক অনন্য সাগর। তিনি ছোটদের আদর করার প্রতি গুরুত্বারোপ করতেন। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সে আমাদের মধ্যে গণ্য নয়, যে আমাদের ছোটদের প্রতি রহম করে না এবং বড়দের অধিকার আদায় করে না।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৪৯৪৩, জামে তিরমিজি: ১৯২০,২০৩২, মুসনাদে আহমাদ: ৬৭৩৩, আল আদাবুল মুফরাদ: ৩৫৪)

তিনি প্রায়শই ছোটদের নিয়ে আনন্দ করতেন, মজা করতেন, তাদের কাছে টেনে নিয়ে আদর করতেন, চুমু খেতেন, স্নেহের হাত বুলিয়ে দিতেন মাথার ওপর। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর নাতি হাসান (রা.)-কে চুমু খেলেন। আকরা ইবনে হাবিস (রা.) পাশে বসা ছিলেন। তিনি বললেন, ‘আমার ১০টা সন্তান। একজনকেও আমি কখনো চুমু দিইনি।’ নবী করিম (সা.) তাঁর দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘নিশ্চয় যে দয়া করে না, তার প্রতি দয়া করা হবে না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৯৭, সহিহ্ মুসলিম: ২৩১৮)

এতিম শিশুদের এক অনন্য আশ্রয় ছিলেন তিনি। মুতার যুদ্ধে জাফর (রা.) শহীদ হলে তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান, তাঁর কাঁধে জাফর (রা.)-এর পরিবারের দায়িত্ব তুলে নেন এবং এতিম শিশুদের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। জাফর (রা.)-এর বড় পুত্র আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ‘রাসুলে করিম (সা.) এসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলেন এবং আমাদের জন্য দোয়া করলেন—‘‘হে আল্লাহ, আপনি নিজেই জাফরের সন্তানদের অভিভাবক হয়ে যান।’’ (মুস্তাদরাকে হাকেম: ১৩৭৯)

পরিবার ও স্ত্রীদের সঙ্গে আচরণ: নিজ স্ত্রীগণ ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নবীজি (সা.)-এর আচরণ ছিল অনুপম, উত্তম ও সুন্দর। পরিবারের সদস্যদের সবার সঙ্গে উত্তম ও যথাযথ আচরণ করতেন তিনি। এ জন্য পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল স্বাভাবিক, সুন্দর ও হৃদ্যতাপূর্ণ। নবীজি (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে ওই ব্যক্তি উত্তম যে তার পরিবারের নিকট উত্তম। আর আমি আমার পরিবারের নিকট তোমাদের চেয়ে উত্তম।’ (জামে তিরমিজি: ৩৮৯৫, সুনানে দারেমি: ২২৬০, মিশকাতুল মাসাবিহ: ৩২৫২)। এখানে পরিবার বলতে স্ত্রীকে বোঝানো হয়েছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২২ অক্টোবর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৬ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজ ওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০০৪: ৪২ মিনিট
ফজর০৪: ৪৩ মিনিট০৫: ৫৮ মিনিট
জোহর১১: ৪৪ মিনিট০৩: ৪৯ মিনিট
আসর০৩: ৫০ মিনিট০৫: ২৫ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৭ মিনিট০৬: ৪১ মিনিট
এশা০৬: ৪২ মিনিট০৪: ৪২ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধার্মিকতাই সুখী দাম্পত্যের মূল চাবিকাঠি

ইসলাম ডেস্ক 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বিয়ে মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়। এটি কেবল দুটি মানুষের মিলন নয়, বরং দুটি পরিবার, দুটি আত্মা ও দুটি হৃদয়ের পবিত্র বন্ধন। বিয়ের মাধ্যমে দাম্পত্যজীবনে গড়ে ওঠে পারস্পরিক ভালোবাসা, শান্তি ও মধুর সম্পর্ক।

তাই ইসলাম এই সম্পর্ককে শুধু সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখেনি, বরং একে করেছে ইবাদতের অংশ। এ কারণেই নবীজি (সা.) পুরুষদের স্ত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নারীকে চারটি কারণে বিয়ে করা হয়। ১. তার সম্পদ, ২. তার বংশমর্যাদা, ৩. তার সৌন্দর্য, ৪. তার দ্বীনদার। অতএব তুমি দ্বীনদারকেই প্রাধান্য দাও। না হলে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫০৯০)

এ হাদিস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একজন পুরুষ যখন স্ত্রী নির্বাচন করবে, তখন তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মূলত চারটি দিক কাজ করে। সৌন্দর্য, সম্পদ, বংশমর্যাদা ও দ্বীনদার। এগুলো মানুষের স্বভাবজাত চাহিদা। কিন্তু এর মধ্যে ইসলাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে দ্বীনদার ও আদর্শবান নারীকে।

কারণ, সৌন্দর্য ক্ষণস্থায়ী, সম্পদ পরিবর্তনশীল, বংশমর্যাদা বাহ্যিক মর্যাদা মাত্র; কিন্তু দ্বীনদার হলো এমন এক গুণ, যা জীবনকে আখিরাতের সফলতার পথে নিয়ে যায় এবং দাম্পত্যসম্পর্ককে প্রকৃত অর্থে স্থায়ী সুখ-শান্তির নিশ্চয়তা দেয়।

নবীজি (সা.)-এর এ নির্দেশনার মূল কথা হলো, যখনই দ্বীনদার কোনো নারী পাওয়া যাবে, তখন তাকেই সর্বাগ্রে বিবেচনায় নিতে হবে। তাকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো গুণসম্পন্নাকে প্রাধান্য দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে না।

কারণ দ্বীনদার ছাড়া অন্য সব গুণ একসময় ম্লান হয়ে যায়, কিন্তু দ্বীনদারের আলো দাম্পত্যজীবনকে চিরভালোবাসা, আস্থা ও সন্তুষ্টিতে ভরিয়ে রাখে।

অতএব, একজন মুসলিম যুবকের জন্য স্ত্রী নির্বাচনকালে সর্বোত্তম নির্দেশনা হলো, এমন নারীকে বেছে নেওয়া, যিনি দ্বীনদার, আল্লাহভীরু ও ইসলামি আদর্শে জীবন পরিচালনা করতে অভ্যস্ত। এর মাধ্যমে সংসার হবে শান্তিময়, জীবন হবে কল্যাণময় এবং আখিরাত হবে সফল।

লেখক: ইবরাহীম আল খলীল, সহকারী শিক্ষাসচিব, মাদ্রাসা আশরাফুল মাদারিস, তেজগাঁও ঢাকা

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

লজ্জাহীনতা—নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ

শাব্বির আহমদ
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

চরিত্রের এক অসাধারণ ও স্বভাবজাত গুণ—লজ্জা। এই গুণ মানুষকে পশুত্বের স্তর থেকে পৃথক করে মনুষ্যত্বের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করে। এটি যেমন মানবিক বৈশিষ্ট্য, তেমন ইসলামের দৃষ্টিতে ইমানের অপরিহার্য অঙ্গ। কেউ যখন লজ্জাবোধ হারায়, তার তখন নৈতিক পতনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কেননা কোনো পাপকাজে লিপ্ত হওয়ার ক্ষেত্রে লজ্জাহীন ব্যক্তির আর কোনো দ্বিধা থাকে না।

নবী করিম (সা.) স্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘লজ্জা ইমানের একটি বিশেষ শাখা।’ (সহিহ্ বুখারি)। আর এ লজ্জাবোধ মানুষকে ইমান ও স্বচ্ছতার পথে চলতে সহযোগিতা করে। বলা যায়, লজ্জা হলো একটি অভ্যন্তরীণ জবাবদিহির কাঠগড়া, যা মানুষকে পাপ ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। যার মধ্যে লাজুকতা যতটুকু থাকে, সে পাপ ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হতে ততটাই সংকোচবোধ করে।

লজ্জাহীনতা কেন নৈতিক পতনের প্রথম ধাপ? কারণ, যখন লজ্জা চলে যায়, তখন আর কোনো কিছুই নৈতিক মানদণ্ড হিসেবে অবশিষ্ট থাকে না। নবীজি (সা.) চরম লজ্জাহীনতার পরিণতি বোঝাতে গিয়ে বলেন, ‘যখন তুমি নির্লজ্জ হয়ে পড়বে, তখন যা ইচ্ছা তা-ই করো।’ (সহিহ্ বুখারি)। তাঁর এ কথাটি মূলত একটি হুঁশিয়ারি। লজ্জাহীনতা মানুষকে সব ধরনের অন্যায় ও অশ্লীল কাজের দিকে ঠেলে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত তাকে ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত করে। পক্ষান্তরে লজ্জাশীলতা মানুষকে জান্নাতের পথে নিয়ে যায়। হাদিসের ভাষায়, ‘লজ্জা ইমানের অঙ্গ, আর ইমানদারের স্থান জান্নাত। লজ্জাহীনতা দুশ্চরিত্রের অঙ্গ, আর দুশ্চরিত্রের স্থান জাহান্নাম।’ (জামে তিরমিজি)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আজকের নামাজের সময়সূচি: ২১ অক্টোবর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক 
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত
আজকের নামাজের সময়সূচি। ছবি: সংগৃহীত

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি, ০৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—

আজকের নামাজের সময়সূচি
নামাজওয়াক্ত শুরুওয়াক্ত শেষ
তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়০০: ০০৪: ৪২ মিনিট
ফজর০৪: ৪৩ মিনিট০৫: ৫৭ মিনিট
জোহর১১: ৪৪ মিনিট০৩: ৪৯ মিনিট
আসর০৩: ৫০ মিনিট০৫: ২৬ মিনিট
মাগরিব০৫: ২৮ মিনিট০৬: ৪২ মিনিট
এশা০৬: ৪৩ মিনিট০৪: ৪২ মিনিট

উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:

বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট

নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।

আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জনতার জন্য হিজাব আইন, খামেনির উপদেষ্টার মেয়ের জন্য ডানাকাটা জামা’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বন্ধ করবে: আমীর খসরু

সিটি করপোরেশন হচ্ছে সাভার

যুক্তরাষ্ট্রের এইচ-১বি ভিসায় নতুন নির্দেশিকা, বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্যও স্বস্তি

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত