ইসলাম ডেস্ক
মানবজীবনে আত্মীয়তার সম্পর্ক এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বন্ধন। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার সমাজের ভিত্তি দৃঢ় করে এবং মানবতার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য প্রকাশ করে।
বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় এক সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর সমগ্র জীবন ও আচরণে প্রতিফলিত হয়েছে ভালোবাসা, দয়া, সহমর্মিতা এবং সম্পর্কের প্রতি অনন্য সম্মান। তিনি শিখিয়েছেন—আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা ইমানের অংশ, আর এর প্রতি উদাসীনতা আল্লাহর সন্তুষ্টিকে হারানোর কারণ।
রাসুল (সা.)-এর আত্মীয়স্বজন
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সর্বোত্তম আত্মীয়তা রক্ষাকারী ব্যক্তি। সাহাবিদের বর্ণনায়, ‘তিনি ছিলেন মানুষের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহশীল ও সর্বোত্তম আত্মীয়তা রক্ষাকারী।’ তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে ছিল গভীর ভালোবাসা, সম্মান ও যত্নপূর্ণ সম্পর্ক।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ১১ জন চাচার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন হজরত হামজা (রা.) এবং আব্বাস (রা.)—যাঁরা ইমান এনেছিলেন। অন্যদিকে, আবু তালিব, আবু লাহাবসহ অন্য চাচারা ইসলাম গ্রহণ করেননি। রাসুল (সা.)-এর ছয়জন ফুফুর মধ্যে হজরত সাফিইয়া (রা.) ছিলেন অন্যতম এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ২৫ জন চাচাতো ভাই ছিলেন, যাঁদের মধ্যে কেবল আবু তালিবের পুত্র তালিব এবং আবু লাহাবের পুত্র উতাইবা ছাড়া প্রায় সবাই ইসলাম গ্রহণ করেন। এঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিলেন হজরত আলী (রা.), জাফর (রা.), আকিল (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) প্রমুখ। চাচাতো বোনদের মধ্যে ছিলেন উম্মে হানি বিনতে আবু তালিব। ফুফাতো ভাইবোনদের মধ্যে জুবাইর বিন আওয়াম এবং জাইনাব বিনতে জাহাশ (রা.) অন্যতম।
দুধ ভাইবোনদের মধ্যে ছিলেন হামজা বিন আবদুল মুত্তালিব, আবু সুফইয়ান বিন হারিস এবং শাইমা বিনতে হারিস। তাঁদের সঙ্গেও নবীজির ছিল গভীর হৃদ্যতা ও ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দুধ-মায়ের পরিবারকে সম্মান ও ভালোবাসায় সিক্ত রাখতেন।
নবীজি (সা.)-এর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবতার সর্বোত্তম আদর্শের প্রতিচ্ছবি। আত্মীয়দের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, দয়া ও সম্মান সমাজে ঐক্য, শান্তি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তি স্থাপন করেছে। তিনি শিখিয়েছেন—আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা আল্লাহর নিকট প্রিয়তম কাজ।
তাই আমাদেরও উচিত তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, তাদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা এবং সম্পর্কের সেতুবন্ধন দৃঢ় করে এক সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা।
তথ্যসূত্র: সহিহ্ মুসলিম: ১০৭২, জাদুল মাআদ: ১/১০৪, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৩/৪০৮, সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১/১৬২
লেখক: আরিফ মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট, সিআরপি, সাভার, ঢাকা
মানবজীবনে আত্মীয়তার সম্পর্ক এক অতীব গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বন্ধন। পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার সমাজের ভিত্তি দৃঢ় করে এবং মানবতার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য প্রকাশ করে।
বিশ্বমানবতার মুক্তিদূত হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় এক সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর সমগ্র জীবন ও আচরণে প্রতিফলিত হয়েছে ভালোবাসা, দয়া, সহমর্মিতা এবং সম্পর্কের প্রতি অনন্য সম্মান। তিনি শিখিয়েছেন—আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা ইমানের অংশ, আর এর প্রতি উদাসীনতা আল্লাহর সন্তুষ্টিকে হারানোর কারণ।
রাসুল (সা.)-এর আত্মীয়স্বজন
রাসুলুল্লাহ (সা.) ছিলেন পৃথিবীর সর্বোত্তম আত্মীয়তা রক্ষাকারী ব্যক্তি। সাহাবিদের বর্ণনায়, ‘তিনি ছিলেন মানুষের প্রতি সর্বাধিক অনুগ্রহশীল ও সর্বোত্তম আত্মীয়তা রক্ষাকারী।’ তাঁর আত্মীয়দের সঙ্গে ছিল গভীর ভালোবাসা, সম্মান ও যত্নপূর্ণ সম্পর্ক।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ১১ জন চাচার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিলেন হজরত হামজা (রা.) এবং আব্বাস (রা.)—যাঁরা ইমান এনেছিলেন। অন্যদিকে, আবু তালিব, আবু লাহাবসহ অন্য চাচারা ইসলাম গ্রহণ করেননি। রাসুল (সা.)-এর ছয়জন ফুফুর মধ্যে হজরত সাফিইয়া (রা.) ছিলেন অন্যতম এবং তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ২৫ জন চাচাতো ভাই ছিলেন, যাঁদের মধ্যে কেবল আবু তালিবের পুত্র তালিব এবং আবু লাহাবের পুত্র উতাইবা ছাড়া প্রায় সবাই ইসলাম গ্রহণ করেন। এঁদের মধ্যে প্রসিদ্ধ ছিলেন হজরত আলী (রা.), জাফর (রা.), আকিল (রা.) ও আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) প্রমুখ। চাচাতো বোনদের মধ্যে ছিলেন উম্মে হানি বিনতে আবু তালিব। ফুফাতো ভাইবোনদের মধ্যে জুবাইর বিন আওয়াম এবং জাইনাব বিনতে জাহাশ (রা.) অন্যতম।
দুধ ভাইবোনদের মধ্যে ছিলেন হামজা বিন আবদুল মুত্তালিব, আবু সুফইয়ান বিন হারিস এবং শাইমা বিনতে হারিস। তাঁদের সঙ্গেও নবীজির ছিল গভীর হৃদ্যতা ও ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্ক। এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দুধ-মায়ের পরিবারকে সম্মান ও ভালোবাসায় সিক্ত রাখতেন।
নবীজি (সা.)-এর জীবন থেকে আমাদের শিক্ষা
রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ছিল মানবতার সর্বোত্তম আদর্শের প্রতিচ্ছবি। আত্মীয়দের প্রতি তাঁর ভালোবাসা, দয়া ও সম্মান সমাজে ঐক্য, শান্তি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তি স্থাপন করেছে। তিনি শিখিয়েছেন—আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা আল্লাহর নিকট প্রিয়তম কাজ।
তাই আমাদেরও উচিত তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা, তাদের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করা এবং সম্পর্কের সেতুবন্ধন দৃঢ় করে এক সুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখা।
তথ্যসূত্র: সহিহ্ মুসলিম: ১০৭২, জাদুল মাআদ: ১/১০৪, আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া: ৩/৪০৮, সিয়ারু আলামিন নুবালা: ১/১৬২
লেখক: আরিফ মাহমুদ, শিক্ষার্থী, ফিজিওথেরাপি ডিপার্টমেন্ট, সিআরপি, সাভার, ঢাকা
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
৯ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৬ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
১ দিন আগেআল্লাহর পথে মানুষকে আহ্বানের পথ বড়ই বন্ধুর। এ পথে বিপদ-আপদের কমতি নেই। আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ না থাকলে এ পথে টিকে থাকা মুশকিল। আল্লাহর পথে আহ্বানকারী বা দায়ির কাজ হলো মানুষকে প্রবৃত্তির দাসত্ব, বর্ণবৈষম্য ও ঐতিহ্য-আভিজাত্য থেকে মুক্ত হওয়া এবং আল্লাহর আনুগত্যে নিজেকে সঁপে দেওয়ার আহ্বান জানানো।
১ দিন আগে