নাঈমুল হাসান তানযীম

মহানবী (সা.) ছিলেন অপূর্ব কান্তিময় চেহারার অনুপম এক ব্যক্তিত্ব। উজ্জ্বল কান্তি, প্রফুল্ল মুখশ্রী, প্রশস্ত ললাট, ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো। প্রথম দর্শনে মনে হতো সেই ঠোঁটে যেন গোলাপি আভা বুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দন্তরাজি মুক্তার মতো উজ্জ্বল, কথা বলার সময় জ্বলজ্বল করত। গায়ের রং দুধে-আলতা। নাসিকা ছিল ইগল চঞ্চুর মতো। ভরাট চোয়াল, উচ্চ গ্রীবা, নিবিড় ঘন শ্মশ্রু। তিনি ছিলেন নাতিদীর্ঘ, নাতি খর্ব—মধ্যম আকৃতির মানুষ। শরীর যেমন স্থূল ছিল না, তেমনি কৃশও ছিল না। তাঁর অঙ্গসৌষ্ঠব ছিল অপরূপ। কোথাও মেদের বাহুল্য নেই, উদরে স্ফীতি নেই, কেশরাজি স্বতঃকুঞ্চিত, দীর্ঘ ঘন সন্নিবেশিত, মস্তকাবৃত।
সুন্দর, সুদর্শন, সুবিস্তৃত কৃষ্ণবর্ণ নয়নযুগল, প্রকৃতি যেন নিজে কাজল দিয়ে রেখেছে। ভ্রুযুগল নাতিসূক্ষ্ম পরস্পর সংযোজিত। শুধু হালকা লোম তাদের পৃথক করে রেখেছে। আঁখিপল্লবের প্রান্তদেশ ধারালো। বাহু দুটি মাংসল, সুগঠিত, সাধারণের তুলনায় একটু বেশি লম্বা, জানু পর্যন্ত প্রলম্বিত।
পায়ের গোছা সুগঠিত, সামান্য বাঁকানো। হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি সোজাভাবে সামনের দিকে একটু ঝুঁকে চলতেন। মনে হতো যেন কিছুটা উঁচু ভূমি থেকে নিচের দিকে নেমে আসছেন। কোথাও দাঁড়ালে মনে হতো আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের নিদর্শন চোখের সামনে উদ্ভাসিত হচ্ছে।
মৌনাবলম্বন করলে তাঁর প্রফুল্ল মুখমণ্ডলে গম্ভীর ভাবের অভিব্যক্তি ঘটত। কথা বললে শ্রোতার মনপ্রাণ বিমোহিত হতো। দূর থেকে দেখলে কেমন মোহন, মনোমুগ্ধকর রূপরাশি; বাছে এলে কত মধুর, কত শান্ত স্মিত খুশি ছড়ানো সেই অনুপম সুন্দর প্রকৃতি।
তাঁকে দেখলে মনে হতো চিন্তাশীল, ধ্যানমগ্ন, গম্ভীর, কিন্তু আনন্দময়। তিনি হাসতেন, সে হাসি কখনো মুচকি হাসির সীমা ছাড়িয়ে যেত না। তাঁর ভাষা ছিল অতি মিষ্ট ও প্রাঞ্জল। উচ্চারণে একটুও ত্রুটি নেই, কোনো অতিরিক্ততা নেই, বাক্যগুলো যেন মুক্তার হার। ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন।
(শামায়েলের বিভিন্ন গ্রন্থ অবলম্বনে, ই.ফা.বা. সিরাত স্মারক-১৪৪৪ হিজরি সংখ্যা থেকে সংগৃহীত)

মহানবী (সা.) ছিলেন অপূর্ব কান্তিময় চেহারার অনুপম এক ব্যক্তিত্ব। উজ্জ্বল কান্তি, প্রফুল্ল মুখশ্রী, প্রশস্ত ললাট, ঠোঁট গোলাপের পাপড়ির মতো। প্রথম দর্শনে মনে হতো সেই ঠোঁটে যেন গোলাপি আভা বুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দন্তরাজি মুক্তার মতো উজ্জ্বল, কথা বলার সময় জ্বলজ্বল করত। গায়ের রং দুধে-আলতা। নাসিকা ছিল ইগল চঞ্চুর মতো। ভরাট চোয়াল, উচ্চ গ্রীবা, নিবিড় ঘন শ্মশ্রু। তিনি ছিলেন নাতিদীর্ঘ, নাতি খর্ব—মধ্যম আকৃতির মানুষ। শরীর যেমন স্থূল ছিল না, তেমনি কৃশও ছিল না। তাঁর অঙ্গসৌষ্ঠব ছিল অপরূপ। কোথাও মেদের বাহুল্য নেই, উদরে স্ফীতি নেই, কেশরাজি স্বতঃকুঞ্চিত, দীর্ঘ ঘন সন্নিবেশিত, মস্তকাবৃত।
সুন্দর, সুদর্শন, সুবিস্তৃত কৃষ্ণবর্ণ নয়নযুগল, প্রকৃতি যেন নিজে কাজল দিয়ে রেখেছে। ভ্রুযুগল নাতিসূক্ষ্ম পরস্পর সংযোজিত। শুধু হালকা লোম তাদের পৃথক করে রেখেছে। আঁখিপল্লবের প্রান্তদেশ ধারালো। বাহু দুটি মাংসল, সুগঠিত, সাধারণের তুলনায় একটু বেশি লম্বা, জানু পর্যন্ত প্রলম্বিত।
পায়ের গোছা সুগঠিত, সামান্য বাঁকানো। হেঁটে যাওয়ার সময় তিনি সোজাভাবে সামনের দিকে একটু ঝুঁকে চলতেন। মনে হতো যেন কিছুটা উঁচু ভূমি থেকে নিচের দিকে নেমে আসছেন। কোথাও দাঁড়ালে মনে হতো আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের নিদর্শন চোখের সামনে উদ্ভাসিত হচ্ছে।
মৌনাবলম্বন করলে তাঁর প্রফুল্ল মুখমণ্ডলে গম্ভীর ভাবের অভিব্যক্তি ঘটত। কথা বললে শ্রোতার মনপ্রাণ বিমোহিত হতো। দূর থেকে দেখলে কেমন মোহন, মনোমুগ্ধকর রূপরাশি; বাছে এলে কত মধুর, কত শান্ত স্মিত খুশি ছড়ানো সেই অনুপম সুন্দর প্রকৃতি।
তাঁকে দেখলে মনে হতো চিন্তাশীল, ধ্যানমগ্ন, গম্ভীর, কিন্তু আনন্দময়। তিনি হাসতেন, সে হাসি কখনো মুচকি হাসির সীমা ছাড়িয়ে যেত না। তাঁর ভাষা ছিল অতি মিষ্ট ও প্রাঞ্জল। উচ্চারণে একটুও ত্রুটি নেই, কোনো অতিরিক্ততা নেই, বাক্যগুলো যেন মুক্তার হার। ব্যক্তিত্বে তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন।
(শামায়েলের বিভিন্ন গ্রন্থ অবলম্বনে, ই.ফা.বা. সিরাত স্মারক-১৪৪৪ হিজরি সংখ্যা থেকে সংগৃহীত)

যশ-খ্যাতি ও পদ-পদবির জন্য জন্য আমরা কত কিছুই না করি। তবে ইতিহাসের পাতায় আমরা এমন অনেক উজ্জ্বল মনীষীর সন্ধান পাই, যাঁরা ক্ষমতা বা পদকে পদদলিত করে সর্বদাই নীতি ও আদর্শকে এগিয়ে রেখেছেন। এমনই একজন মহান মনীষী হলেন নুমান বিন সাবিত, যিনি মুসলিম বিশ্বে ইমাম আবু হানিফা নামে পরিচিত।
৩ ঘণ্টা আগে
অগ্নিকাণ্ড মানবজীবনে একটি অপ্রত্যাশিত ও ভয়ংকর দুর্যোগ, যা মুহূর্তেই জান ও মালের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে। এমন চরম বিপদের মুহূর্তে একজন মুমিনের কর্তব্য হলো, আগুন নেভানোর পার্থিব চেষ্টার পাশাপাশি আল্লাহর প্রতি ভরসা রেখে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করা।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৯ ঘণ্টা আগে
পবিত্র কোরআনের অন্যতম ছোট ও তাৎপর্যপূর্ণ সুরা হলো সুরা ইখলাস। মাত্র চার আয়াতবিশিষ্ট এই সুরাটির অন্তর্নিহিত ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শিক্ষার আলোকে এই সুরার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ (তাওহিদ), অদ্বিতীয়তা ও অনন্য মহিমা সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
১ দিন আগে