ইসলাম ডেস্ক
পবিত্র কোরআন হলো ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি এবং মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি কেবল ধর্মীয় উপদেশের সংগ্রহ নয়, বরং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ ও এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রতিটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থের গভীরে এমন প্রজ্ঞা ও জ্ঞান নিহিত, যা মানব মস্তিষ্ককে চিন্তাভাবনা ও গবেষণার জন্য নিরন্তর আহ্বান জানায়।
১. ভাষাগত অলৌকিকতা
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। সেই যুগে বিজ্ঞান, দর্শন বা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো উন্নত ছিল না। এতত্সত্ত্বেও, কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকেরাও এর একটি সুরার মতো সুরা তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী শৈলীই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং এটি স্বয়ং আল্লাহর বাণী।
২. জ্ঞান ও বিজ্ঞানের পথনির্দেশক
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। কোরআনে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা বিশদভাবে বলা হয়েছে।
তাতে নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার এবং সৃষ্টির অধিকার—এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নেই যা বাদ পড়েছে। এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআন শত শত বছর আগেই সেসব বিষয়ে সুদূরপ্রসারী ইঙ্গিত দিয়েছে। এর গভীর তত্ত্বগুলো শুধু মাথা খাঁটিয়ে গবেষণা ও বিচার-বিশ্লেষণ করেই আবিষ্কার করা সম্ভব।
৩. অপরিবর্তনীয়তা ও চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতা
আল কোরআন এমন এক মুজিজা (অলৌকিক নিদর্শন) যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো নির্দিষ্ট কোনো নবী বা মানব গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকলেও, কোরআন সমগ্র মানবজাতির জন্য অবতীর্ণ।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিয়ামত পর্যন্ত এর একটি অক্ষরও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক, কোরআনের বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক এবং চিরন্তন সত্যের প্রতীক। এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র কোরআন মেনে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক।
পবিত্র কোরআন হলো ইসলাম ধর্মের মূল ভিত্তি এবং মানবজীবনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা। এটি কেবল ধর্মীয় উপদেশের সংগ্রহ নয়, বরং আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে প্রেরিত এক অনন্য অলৌকিক গ্রন্থ ও এক পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান। কোরআনের প্রতিটি শব্দ, অক্ষর এবং অর্থের গভীরে এমন প্রজ্ঞা ও জ্ঞান নিহিত, যা মানব মস্তিষ্ককে চিন্তাভাবনা ও গবেষণার জন্য নিরন্তর আহ্বান জানায়।
১. ভাষাগত অলৌকিকতা
আজ থেকে প্রায় ১৪০০ বছর আগে নিরক্ষর মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যমে এই কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। সেই যুগে বিজ্ঞান, দর্শন বা সমাজব্যবস্থা আজকের মতো উন্নত ছিল না। এতত্সত্ত্বেও, কোরআনের ভাষা, শৈলী ও ভাব এত উচ্চমানের যে সে সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি ও সাহিত্যিকেরাও এর একটি সুরার মতো সুরা তৈরি করতে পারেননি। কোরআনের এই ভাষাগত সৌন্দর্য ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী শৈলীই প্রমাণ করে এটি কোনো মানব রচিত গ্রন্থ হতে পারে না, বরং এটি স্বয়ং আল্লাহর বাণী।
২. জ্ঞান ও বিজ্ঞানের পথনির্দেশক
কোরআনের নির্দেশনাগুলো শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, বরং সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রযোজ্য। এটি মানুষকে ন্যায়, দয়া, শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধ সম্পর্কে শিক্ষা দেয়। কোরআনে জ্ঞানার্জনের গুরুত্ব, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা এবং পরিবেশ ও মানবতার প্রতি দায়িত্ববোধের কথা বিশদভাবে বলা হয়েছে।
তাতে নারী-পুরুষের অধিকার, প্রাণীর অধিকার এবং সৃষ্টির অধিকার—এমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নেই যা বাদ পড়েছে। এমনকি আধুনিক বিজ্ঞান যখন মহাবিশ্ব, ভ্রূণের সৃষ্টি বা সমুদ্রের রহস্য উন্মোচন করছে, তখন দেখা যায়—মহাগ্রন্থ কোরআন শত শত বছর আগেই সেসব বিষয়ে সুদূরপ্রসারী ইঙ্গিত দিয়েছে। এর গভীর তত্ত্বগুলো শুধু মাথা খাঁটিয়ে গবেষণা ও বিচার-বিশ্লেষণ করেই আবিষ্কার করা সম্ভব।
৩. অপরিবর্তনীয়তা ও চিরন্তন প্রাসঙ্গিকতা
আল কোরআন এমন এক মুজিজা (অলৌকিক নিদর্শন) যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। অন্য ধর্মগ্রন্থগুলো নির্দিষ্ট কোনো নবী বা মানব গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত থাকলেও, কোরআন সমগ্র মানবজাতির জন্য অবতীর্ণ।
কোরআনের সবচেয়ে বড় মুজিজা হলো এর অপরিবর্তনীয়তা। আল্লাহ তাআলা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিয়ামত পর্যন্ত এর একটি অক্ষরও কেউ পরিবর্তন করতে পারবে না। যতই যুগ পরিবর্তিত হোক, যতই প্রযুক্তি উন্নত হোক, কোরআনের বাণী আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক, প্রেরণাদায়ক এবং চিরন্তন সত্যের প্রতীক। এটি হৃদয়কে আলোয় ভরিয়ে দেয়, মনের অন্ধকার দূর করে এবং মানুষকে ন্যায় ও সত্যের পথে চলার শিক্ষা দেয়।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র কোরআন মেনে জীবন যাপন করার তৌফিক দান করুন।
লেখক: জনি সিদ্দিক, প্রাবন্ধিক।
ইসলামে পরিচ্ছন্নতা শুধু বাহ্যিক পরিধি বা স্বাস্থ্যবিধি নয়, বরং এটি ইমানের অপরিহার্য অংশ। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ঘোষণা করেছেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অর্ধেক।’ (সহিহ্ মুসলিম)। এটি প্রমাণ করে যে একজন মুমিনের জীবনে পবিত্রতার গুরুত্ব কতখানি।
৫ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৩ ঘণ্টা আগেমানবজীবনের এক অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলাম এই অর্থনৈতিক খাতকে শুধু জীবিকার মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। তবে এ জন্য প্রয়োজন ন্যায়নিষ্ঠা, সততা ও আল্লাহভীতি। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করো না; তবে পারস্পরিক...
১৮ ঘণ্টা আগেআত্মনির্ভরশীল মানুষমাত্রই সমাজে শ্রদ্ধার পাত্র। ইসলাম তার অনুসারীদের কেবল আত্মনির্ভরশীল হতে উৎসাহিতই করে না, বরং এই প্রচেষ্টাকে ইবাদত হিসেবে গণ্য করে। ইসলামে মানুষ থেকে অমুখাপেক্ষিতা মুমিনের মর্যাদার প্রতীক।
১ দিন আগে