উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি কয়েক দফায় বাড়ার পর কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ আজ (বুধবার) রাত ১০টায় নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা তিস্তা তীরবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।
গত কয়েক দিনের অতিবৃষ্টিতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বাঁধের ১৬টি দরজা দিয়ে পানি ছাড়া হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় প্রতি দরজায় ৬ ইঞ্চি করে পানি ছাড়া হচ্ছে।
পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদে ভাঙন শুরু হয়েছে। নদের পানি বৃদ্ধি ও পানির গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কপোতাক্ষ নদের ভাঙনে কপিলমুনি ইউনিয়নের ভেদামারি গ্রাম ও হরিঢালী ইউনিয়নে দর্গামহল গ্রাম বিলীন হতে চলেছে। ঘরবাড়ি পানিতে ভেসে যাওয়ায় এখানকার মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে
গত দুই দিন ধরে প্রবল বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ছে। এতে কাপ্তাইয়ে অবস্থিত পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনও বেড়েছে। চালু করা সম্ভব হয়েছে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব কটি, অর্থাৎ পাঁচটি ইউনিট। এগুলো থেকে সর্বমোট ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে এখন।