Ajker Patrika

গঙ্গাচড়ায় উজানের ঢলে ডুবে গেছে আমনখেত

গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২২, ১৫: ১২
গঙ্গাচড়ায় উজানের ঢলে ডুবে গেছে আমনখেত

উজানের ঢলে আবারও বেড়েছে তিস্তা নদীর পানি। এতে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় প্রায় এক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ আমনের খেত। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। পানিবন্দী পরিবারগুলো গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় নিয়েছে উঁচু নিরাপদ স্থানে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। আর সোমবার বিকেলে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল।

এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যাকবলিত লোকজন আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে, বাঁধ ও আশ্রয়কেন্দ্রসহ আত্মীয়ের বাড়িতে। উপজেলার চর পশ্চিম ইচলি গ্রামের রুপালী বেগম বলেন, ‘সোমবার বিকেল থাকি বাড়িত পানি আসা সুরু হইছে। প্রতিবারে নদীত পানি আসার আগত চেয়ারম্যান মাইকে জানে দেয়, এবার কোনো আগাম মাইকে জানায়ও নাই। এ জন্য হঠাৎ পানি আসার কারণে বাড়ি থাকি কিছু বাহির করিবার পাই নাই; চাল, ধান ঘরে যা ছিল, সবগুলা ভিজি গেইছে। ভাত রান্না করি খামো কোনো উপায় নাই।’

একই ইউনিয়নের মশিউর রহমান বলেন, ‘কালকে থাকি রাস্তায় ধারে পলিথিন টাংগি আছি। কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার আইসে নাই। ভোট আসলে এবার খালি নানা প্রতিশ্রুতি বেরায়, ভোটও শ্যাষ প্রতিশ্রুতিও বানের পানিত ভাসি যায়। বউ বাচ্চা নিয়া না খেয়া আছি, সরকারের লোকজনের কি কোনো খবর আছে। সরকার তো চায় হামরা নদীর পারের মানুষ না খেয়া মরি। সরকার নদীও বান্ধি দিবার নেয়। হামার গুলার কোনো সামাধানও দিবার নেয়। কাল রাত থাকি না খেয়া আছি।’

বাঘেরহাট এলাকার বাসিন্দা সাদেকুল বলেন, ‘পানি খাওয়া যে টিউবল, সেটাও পানির নিচত তলে আছে, পানি খাবারও বুদ্ধি নাই। সকাল থাকি বাসিমুখে আছি, একনা দানা মুখে যায় নাই।’

কোলকোন্দ ইউনিয়নের চরবিনবিনা এলাকার মজিবার রহমান বলেন, ‘হঠাৎ পানি আসার কারণে কোনো কিছু ঘর থাকি বাহির করিবার পাই নাই, সবকিছু পানিতে ভিজি গেইছে।’

কোলকোন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রায় ৩০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।’

লক্ষ্মীটারি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হাদি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বছর সব থেকে বড় বন্যা এটি। এ বন্যায় আমার ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পুকুরের মাছ, আমনের খেতসহ প্রায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পানি কমলে তা নির্ধারণ করা যাবে। পানি বৃদ্ধির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণসহায়তা দেওয়া হয়নি।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং তাদের ত্রাণসহায়তা দেওয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত