Ajker Patrika

রাস্তা ডুবলে বাড়তি কাপড় নিয়ে যেতে হয় বিদ্যালয়ে

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
রাস্তা ডুবলে বাড়তি কাপড় নিয়ে যেতে হয় বিদ্যালয়ে

অল্প বৃষ্টিপাত হলেই ডুবে যায় রাস্তা। নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বর্ষা মৌসুমজুড়ে রাস্তায় থাকে পানি। এতে হাঁটুপানি পেরিয়ে চলাচল করেন চার গ্রামের মানুষ। রাস্তাটি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ি এলাকায়।

জানা গেছে, চর সরিষাবাড়ি এলাকা মূলত নদীতীরবর্তী চরাঞ্চল। এ কারণে বেশির ভাগ স্থান বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে ডুবে থাকে। কাঁচা রাস্তাটি সংস্কার না করায় দুর্ভোগ কমছে না এলাকার মানুষের।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. জনাব আলী, মো. আবদুল আজিজ ও জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আশপাশের চার গ্রামের মানুষ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। পানিতে ডুবে কিংবা সাপের ছোবলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়েও দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়। শিশুরা হাঁটুপানি পার হয়ে চলাচল করে।’

আকমল হোসেন নামের এক কৃষক বলেন, ‘৩১ বছর ধরে এই এলাকার অন্যতম সমস্যা রাস্তা ও সেতু। ভোট এলেই সবাই এই রাস্তা ও সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু ভোট শেষ হলে আর কারও দেখা পাওয়া যায় না।’

এ বিষয়ে চর সরিষাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুল রহমান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই ঝুঁকি নিয়ে আমাদের স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এই রাস্তা ও একটি সেতুর জন্য বারবার আবেদন করছি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। একটু পানি হলেই ব্যাগে করে বাড়তি কাপড় নিয়ে আসতে হয়। এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ চাই।’

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মো. হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, ‘আমি যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, তখন থেকেই দেখছি, এই অবস্থায় মানুষ চলাচল করে আসছে। বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার আবেদন করেও কোনো ফল হয়নি।’

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মান্নান বলেন, ‘এলাকার জনগণের সহযোগিতায় বিদ্যালয় ও সরিষাবাড়ি গ্রামে যাতায়াতের একটি রাস্তা করা হয়েছে। তবে রাস্তাটি রেকর্ডভুক্ত নয়। সরেজমিনে দেখে জনদুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য দ্রুত এটি সংস্কার ও সেতুর কাজ সম্পন্ন করা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত