ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
অসময়ে বাড়ছে মানিকগঞ্জের ঘিওরের ইছামতী, পুরাতন ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানি। এসব নদীর পাড়ের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙনের আতঙ্ক। বসতবাড়ি, ফসলি জমি যেকোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।
সদ্যবিগত বর্ষায় ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে চলে গেছে প্রায় অর্ধশত বসতভিটা, ব্রিজ, কালভার্ট, ফসলি জমি, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা। ইছামতী শাখা নদীর ভাঙনের শিকার বড় রামকান্তপুর কুঠিবাড়ি এলাকার ২৬টি পরিবার। এর ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যেই নতুন করে বাড়ছে পানি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘিওর সদর ইউনিয়নের পঞ্চরাস্তা এলাকায় পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর উত্তর পাড়ে ভাঙনে কমপক্ষে ১৫টি বসতবাড়ি ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় হুমকির মুখে আছে সরকারি খাদ্য গুদাম ও শ্মশানঘাট। শ্রীধরনগর, কুস্তা, মাইলাগী, ঘিওর পূর্বপাড়া, ঘিওর নদীর উত্তর পারের বাজার এবং ব্রিজসহ ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠানও ঝুঁকিতে।
নদীর ভাঙনে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর গরুর হাট অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চবিদ্যালয়, কুস্তা ব্রিজ, ঘিওর-গোলাপনগরের রাস্তা, ব্যাপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রাম ও সেখানকার কবরস্থান।
জাবরা গ্রামের মো. আজিম মিয়া বলেন, ‘অসময়ে নতুন করে ভাঙনে আমার মতো আরও অনেকেই ফসলি জমি হারাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনে আমার ২ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।’
ইছামতী নদীর ভাঙনের শিকার মহাদেব শীল, বক্কার মিয়া, মো. মোস্তফা কামাল ও পারুল আক্তার জানান, ‘পোলাপান লইয়া সব সময় ডরের মধ্যে থাকি। রাইত একটুও ঘুমাইতে পারি না। কহন না জানি নদী সব লইয়া যায়। আমাগো বসতবাড়ি ভাঙন রোধে সরকারের সাহায্য চাই।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ পানি বাড়ার সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি। ইতিমধ্যে ঘিওর হাট, কুস্তা ব্রিজ ও খাদ্য গুদাম, শ্মশান, মন্দির ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা, বাঁধ ও সংস্কারসহ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে।’
ভাঙন রোধের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আপাতত সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কুস্তা বেইলী ব্রিজে গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ভাঙনরোধে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ধলেশ্বরী নদী পুনঃখনন কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।’
সেপ্টেম্বরেও ঘিওর উপজেলার ইছামতী, পুরাতন ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানি অসময়ে বৃদ্ধিতে ভাঙনের ঘটনা ঘটে।
অসময়ে বাড়ছে মানিকগঞ্জের ঘিওরের ইছামতী, পুরাতন ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানি। এসব নদীর পাড়ের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ভাঙনের আতঙ্ক। বসতবাড়ি, ফসলি জমি যেকোনো সময় নদীগর্ভে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী।
সদ্যবিগত বর্ষায় ভাঙনের ফলে নদী গর্ভে চলে গেছে প্রায় অর্ধশত বসতভিটা, ব্রিজ, কালভার্ট, ফসলি জমি, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা। ইছামতী শাখা নদীর ভাঙনের শিকার বড় রামকান্তপুর কুঠিবাড়ি এলাকার ২৬টি পরিবার। এর ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছেন স্থানীয়রা। এর মধ্যেই নতুন করে বাড়ছে পানি।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঘিওর সদর ইউনিয়নের পঞ্চরাস্তা এলাকায় পুরাতন ধলেশ্বরী নদীর উত্তর পাড়ে ভাঙনে কমপক্ষে ১৫টি বসতবাড়ি ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বড় হুমকির মুখে আছে সরকারি খাদ্য গুদাম ও শ্মশানঘাট। শ্রীধরনগর, কুস্তা, মাইলাগী, ঘিওর পূর্বপাড়া, ঘিওর নদীর উত্তর পারের বাজার এবং ব্রিজসহ ১২-১৩টি প্রতিষ্ঠানও ঝুঁকিতে।
নদীর ভাঙনে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী ঘিওর গরুর হাট অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকির মধ্যে রয়েছে কুস্তা কফিল উদ্দিন দরজি উচ্চবিদ্যালয়, কুস্তা ব্রিজ, ঘিওর-গোলাপনগরের রাস্তা, ব্যাপারীপাড়া কবরস্থান, রসুলপুর গ্রাম ও সেখানকার কবরস্থান।
জাবরা গ্রামের মো. আজিম মিয়া বলেন, ‘অসময়ে নতুন করে ভাঙনে আমার মতো আরও অনেকেই ফসলি জমি হারাচ্ছেন। ইতিমধ্যে কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনে আমার ২ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।’
ইছামতী নদীর ভাঙনের শিকার মহাদেব শীল, বক্কার মিয়া, মো. মোস্তফা কামাল ও পারুল আক্তার জানান, ‘পোলাপান লইয়া সব সময় ডরের মধ্যে থাকি। রাইত একটুও ঘুমাইতে পারি না। কহন না জানি নদী সব লইয়া যায়। আমাগো বসতবাড়ি ভাঙন রোধে সরকারের সাহায্য চাই।’
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ পানি বাড়ার সঙ্গে নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবগত করেছি। ইতিমধ্যে ঘিওর হাট, কুস্তা ব্রিজ ও খাদ্য গুদাম, শ্মশান, মন্দির ভাঙনের কবল থেকে রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা, বাঁধ ও সংস্কারসহ কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে।’
ভাঙন রোধের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘আপাতত সাড়ে আট হাজার জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর কাজ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া কুস্তা বেইলী ব্রিজে গাইড ওয়ালসহ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ইতিমধ্যে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ভাঙনরোধে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে ধলেশ্বরী নদী পুনঃখনন কাজ ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে।’
সেপ্টেম্বরেও ঘিওর উপজেলার ইছামতী, পুরাতন ধলেশ্বরী ও কালীগঙ্গা নদীর পানি অসময়ে বৃদ্ধিতে ভাঙনের ঘটনা ঘটে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বাড়ির মালিক জজ মিয়াকে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুরে রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
১৯ মিনিট আগেরাজধানীর মালিবাগ এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন নাইমুর রহমান সিফাত (২৯) নামের এক যুবক। নিখোঁজের চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো সন্ধান পায়নি ওই যুবকের পরিবার। সিফাতের সন্ধান চেয়ে আকুতি জানিয়েছে তাঁর পরিবার।
২৩ মিনিট আগেনিহত ব্যক্তি ফাঁকা বাসায় ঘটনার রাতে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্কের কথা বলে আসামিদের বাসায় ডেকে আনে। কিন্তু পরে টাকা না দিয়ে মোবাইলে শারীরিক সম্পর্কের ধারণ করা ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা চাকু দিয়ে ওই ব্যক্তিকে গলা ও ঊরুতে আঘাত করে হত্যা করেন।
৩০ মিনিট আগেহবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. ফরিদুর রহমানকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হবিগঞ্জ শহরের শ্মশানঘাটস্থ সদর উপজেলা এনসিপির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ দাবি করেন পদযাত্রা বাস্তবায়ন কমিটির আ
৪৩ মিনিট আগে