দুর্গাপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচয় বিপন্ন করেছে।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভারতজুড়ে বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকার কেন ‘হঠাৎ’ অভিযান শুরু করেছে—এর কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার গত জুন মাস থেকে বিশেষভাবে দেশটিতে বাংলাভাষীদের ওপর চড়াও হয়েছে। সরকারের ভাষ্য এরা ‘বাংলাদেশি’ অবৈধ অভিবাসী।
ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ ভুটান, নেপাল ও মালদ্বীপের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানদের আম উপহার পাঠাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকারের একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
দেশ থেকে ‘অবৈধ অভিবাসী’ বিতাড়নের উদ্যোগের অংশ হিসেবে ভারতের নির্বাচন কমিশন ৮০ মিলিয়ন তথা ৮ কোটি মানুষকে তাদের পরিচয় নতুন করে প্রমাণ করার নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে, এই ৮ কোটি মানুষকে ভোট বঞ্চিত করার এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে বিশ্বের কথিত বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশটিতে।