আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে যে বৈষম্য চলছে, তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই ধরনের আচরণ ভারতীয় সংবিধান ও বহুত্ববাদের মূল চেতনার বিরোধী, এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জানা উচিত—বাংলাভাষীদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করে সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
সম্প্রতি কিছু রাজ্যে বাংলাভাষী ভারতীয়দের গ্রেপ্তার করে, তাদের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিএসএফ জড়িত বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
তিনি জানান, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের খিসাহারসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০০-৪০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে রাজস্থানে আটকে রয়েছেন। তাদের বৈধ পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্বের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা আটক, যা মমতার মতে ‘ভাষাগত বৈষম্যের উদাহরণ’। মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলা বলার জন্য কি এখন অপরাধী হতে হয়? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাষা বললেই কি সন্দেহের চোখে দেখা হবে?’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো এসব ঘটনার কথা জানেন না, কিন্তু তিনি বিষয়টি সরাসরি তাঁর নজরে আনবেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দিল্লি, ওডিশা ও মধ্যপ্রদেশসহ আরও কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থানে আটক বাংলার বাসিন্দাদের কিছু ছবি নিজ মোবাইল থেকে সাংবাদিকদেরও দেখান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আপনি যদি বাংলা বলেন, তাহলে আপনাকে সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হবে? শুনেছি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমাদের বলে দিন, আপনারা বাংলা নিষিদ্ধ করছেন। আমরা রাস্তায় নামব।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি এই বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে “হান্টিং” অভিযান সম্পর্কে কিছুই জানে না?’
বিধানসভায় ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোসারফ হোসেন রাজস্থানে আটকে থাকা শ্রমিকদের বিষয়টি উত্থাপন করার পর, মুখ্যসচিব মনোজ পান্ত রাজস্থানের মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগেও, ১৬ জুন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে এ মাসের শুরুতে বেশ কয়েকজন বাংলাভাষী শ্রমিককে এই অভিযোগে আটক করা হয় এবং পরে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হলে, কোনো রকম যাচাই ছাড়াই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্য থেকে এসে বসবাস করছেন। কিন্তু আমরা কখনো তাদের প্রতি এইরকম আচরণ করিনি। কারণ এটি ভারতের বহু ভাষা ও সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যায়।’ মমতা আরও বলেন, বর্তমানে ২২ লাখ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য রাজ্যে কাজ করেন ও থাকেন। প্রশ্ন তোলেন তামিল বা সিংহলি ভাষায় কথা বললেই একইভাবে শ্রীলঙ্কায় এবং গোর্খাদের নেপালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কিনা।
বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের প্রতি বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে যে বৈষম্য চলছে, তা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মঙ্গলবার বিধানসভায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এই ধরনের আচরণ ভারতীয় সংবিধান ও বহুত্ববাদের মূল চেতনার বিরোধী, এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জানা উচিত—বাংলাভাষীদের ‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বলে চিহ্নিত করে সীমান্তে পাঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
সম্প্রতি কিছু রাজ্যে বাংলাভাষী ভারতীয়দের গ্রেপ্তার করে, তাদের বৈধ পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও, জোর করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিএসএফ জড়িত বলেও অভিযোগ করেন মমতা।
তিনি জানান, উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের খিসাহারসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৩০০-৪০০ জন পরিযায়ী শ্রমিক বর্তমানে রাজস্থানে আটকে রয়েছেন। তাদের বৈধ পরিচয়পত্র ও নাগরিকত্বের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা আটক, যা মমতার মতে ‘ভাষাগত বৈষম্যের উদাহরণ’। মমতা প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলা বলার জন্য কি এখন অপরাধী হতে হয়? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাষা বললেই কি সন্দেহের চোখে দেখা হবে?’ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হয়তো এসব ঘটনার কথা জানেন না, কিন্তু তিনি বিষয়টি সরাসরি তাঁর নজরে আনবেন।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, দিল্লি, ওডিশা ও মধ্যপ্রদেশসহ আরও কয়েকটি বিজেপি শাসিত রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। রাজস্থানে আটক বাংলার বাসিন্দাদের কিছু ছবি নিজ মোবাইল থেকে সাংবাদিকদেরও দেখান মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘অবস্থা ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। আপনি যদি বাংলা বলেন, তাহলে আপনাকে সীমান্তে ঠেলে দেওয়া হবে? শুনেছি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা পড়ানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে আমাদের বলে দিন, আপনারা বাংলা নিষিদ্ধ করছেন। আমরা রাস্তায় নামব।’ তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘অমিত শাহের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি এই বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে “হান্টিং” অভিযান সম্পর্কে কিছুই জানে না?’
বিধানসভায় ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক মোসারফ হোসেন রাজস্থানে আটকে থাকা শ্রমিকদের বিষয়টি উত্থাপন করার পর, মুখ্যসচিব মনোজ পান্ত রাজস্থানের মুখ্যসচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগেও, ১৬ জুন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি শাসিত রাজ্য ও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে সীমান্তে পাঠানো হচ্ছে। মহারাষ্ট্র ও দিল্লিতে এ মাসের শুরুতে বেশ কয়েকজন বাংলাভাষী শ্রমিককে এই অভিযোগে আটক করা হয় এবং পরে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হলে, কোনো রকম যাচাই ছাড়াই তাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেছেন মমতা ব্যানার্জি।
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে প্রায় দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্য থেকে এসে বসবাস করছেন। কিন্তু আমরা কখনো তাদের প্রতি এইরকম আচরণ করিনি। কারণ এটি ভারতের বহু ভাষা ও সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত মূল্যবোধের বিরুদ্ধে যায়।’ মমতা আরও বলেন, বর্তমানে ২২ লাখ বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক অন্যান্য রাজ্যে কাজ করেন ও থাকেন। প্রশ্ন তোলেন তামিল বা সিংহলি ভাষায় কথা বললেই একইভাবে শ্রীলঙ্কায় এবং গোর্খাদের নেপালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে কিনা।
ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়, বরং তাদের এখন শান্তিচুক্তির পথে এগোনো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ফিল্ড মার্শাল লর্ড রিচার্ডস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের পডকাস্ট ‘ওয়ার্ল্ড অব ট্রাবল’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিচার্ডস বলেছেন, ইউক্রেনকে লড়াই করতে
৪ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে মাত্র সাত মিনিটে। অবিশ্বাস্য এই অভিযানে চোরেরা ব্যবহার করেছে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’।
৪ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল আইসিসির কাছে পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেছিল। একই সময়ে আদালতের এখতিয়ার
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে অন্যায়ের শিকার হয়ে টানা ৪৩ বছর কারাভোগের পর অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম সুবু বেদাম। কিন্তু মুক্তির আনন্দ উপভোগ করার আগেই নতুন এক সংকটে পড়েছেন তিনি। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) এখন বেদামকে ভারতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগে