আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতজুড়ে বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকার কেন ‘হঠাৎ’ অভিযান শুরু করেছে—এর কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার গত জুন মাস থেকে বিশেষভাবে দেশটিতে বাংলাভাষীদের ওপর চড়াও হয়েছে। সরকারের ভাষ্য এরা ‘বাংলাদেশি’ অবৈধ অভিবাসী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট গতকাল বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকারকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলেছে। এই হলফনামায় গত জুনে দেশজুড়ে বাংলাভাষীদের ‘হঠাৎ করে’ বেআইনি বাংলাদেশি অভিবাসী সন্দেহে টার্গেট করে চালানো তল্লাশির যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ওডিশায় বাংলাভাষী অভিবাসীদের তথাকথিত বেআইনি আটক ও ছয়জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করার ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক হেবিয়াস করপাস মামলার শুনানি হচ্ছিল। এ সময় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘এর পেছনে কী কারণ ছিল? এটি কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল?’
আদালত বলেন, ‘এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে, না হলে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। এটি বেআইনি কর্মকাণ্ডও হতে পারে। অভিযোগ উঠেছে, শুধু বাংলা বলার কারণে মানুষকে বাংলাদেশে বেআইনিভাবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’ এ সময় বীরভূমের এক পরিবারের তিন সদস্যকে বাংলাদেশে পাঠানোর ঘটনায়ও রাজ্য সরকার ও দিল্লি পুলিশকেও হলফনামা দিতে বলেন আদালত।
রাজ্যপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় কথা বলা মানেই কাউকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সন্দেহ করার সুযোগ নেই। শুধু বাংলা বলার কারণে কাউকে আটক বা দেশ থেকে বের করে দেওয়া যায় না। এটার জন্য একটি নির্ধারিত পদ্ধতি রয়েছে।’ তিনি জানতে চান, কতজনকে এভাবে আটক বা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, বাংলা বলার কারণে কাউকে ফেরত পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সেখান থেকে প্রায় ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলা বলতেন। তবে পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
কেন্দ্র সরকারের আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন, ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারির পর হেবিয়াস করপাস মামলা করা যায় কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দিল্লি ও কলকাতা দুই জায়গাতেই একই ধরনের হেবিয়াস করপাস মামলা দায়ের হওয়া নিয়েও আদালতে বিতর্ক হয়। আবেদনকারীদের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী জানান, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের আত্মীয়রা দিল্লি হাইকোর্টে চলা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
এই বক্তব্যের জবাবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘চালাকি করার চেষ্টা করবেন না। অন্য কোথাও আগে মামলা হয়েছে কি না, তা জানা কি আপনাদের দায়িত্ব নয়? আপনারা কি ভাবেন, আমাদের আদেশ কাগজের টুকরো? এটা কেমন আচরণ?’
ভারতজুড়ে বাংলাভাষীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্র সরকার কেন ‘হঠাৎ’ অভিযান শুরু করেছে—এর কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার গত জুন মাস থেকে বিশেষভাবে দেশটিতে বাংলাভাষীদের ওপর চড়াও হয়েছে। সরকারের ভাষ্য এরা ‘বাংলাদেশি’ অবৈধ অভিবাসী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্ট গতকাল বুধবার ভারতের কেন্দ্র সরকারকে একটি হলফনামা দাখিল করতে বলেছে। এই হলফনামায় গত জুনে দেশজুড়ে বাংলাভাষীদের ‘হঠাৎ করে’ বেআইনি বাংলাদেশি অভিবাসী সন্দেহে টার্গেট করে চালানো তল্লাশির যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ওডিশায় বাংলাভাষী অভিবাসীদের তথাকথিত বেআইনি আটক ও ছয়জনকে বাংলাদেশে ‘পুশ-ইন’ করার ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক হেবিয়াস করপাস মামলার শুনানি হচ্ছিল। এ সময় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ বলেন, ‘এর পেছনে কী কারণ ছিল? এটি কি পূর্বপরিকল্পিত ছিল?’
আদালত বলেন, ‘এই বিষয়গুলো স্পষ্ট করতে হবে, না হলে ভুল বার্তা ছড়িয়ে পড়বে। এটি বেআইনি কর্মকাণ্ডও হতে পারে। অভিযোগ উঠেছে, শুধু বাংলা বলার কারণে মানুষকে বাংলাদেশে বেআইনিভাবে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।’ এ সময় বীরভূমের এক পরিবারের তিন সদস্যকে বাংলাদেশে পাঠানোর ঘটনায়ও রাজ্য সরকার ও দিল্লি পুলিশকেও হলফনামা দিতে বলেন আদালত।
রাজ্যপক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় কথা বলা মানেই কাউকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সন্দেহ করার সুযোগ নেই। শুধু বাংলা বলার কারণে কাউকে আটক বা দেশ থেকে বের করে দেওয়া যায় না। এটার জন্য একটি নির্ধারিত পদ্ধতি রয়েছে।’ তিনি জানতে চান, কতজনকে এভাবে আটক বা ফেরত পাঠানো হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী বলেন, বাংলা বলার কারণে কাউকে ফেরত পাঠানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পর সেখান থেকে প্রায় ১৬৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে কয়েকজন বাংলা বলতেন। তবে পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
কেন্দ্র সরকারের আইনজীবী অশোক চক্রবর্তী বলেন, ফেরত পাঠানোর নির্দেশ জারির পর হেবিয়াস করপাস মামলা করা যায় কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দিল্লি ও কলকাতা দুই জায়গাতেই একই ধরনের হেবিয়াস করপাস মামলা দায়ের হওয়া নিয়েও আদালতে বিতর্ক হয়। আবেদনকারীদের আইনজীবী রঘুনাথ চক্রবর্তী জানান, যাদের ফেরত পাঠানো হয়েছে তাদের আত্মীয়রা দিল্লি হাইকোর্টে চলা মামলার বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
এই বক্তব্যের জবাবে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘চালাকি করার চেষ্টা করবেন না। অন্য কোথাও আগে মামলা হয়েছে কি না, তা জানা কি আপনাদের দায়িত্ব নয়? আপনারা কি ভাবেন, আমাদের আদেশ কাগজের টুকরো? এটা কেমন আচরণ?’
ইউক্রেনের পক্ষে যুদ্ধ জেতা সম্ভব নয়, বরং তাদের এখন শান্তিচুক্তির পথে এগোনো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ফিল্ড মার্শাল লর্ড রিচার্ডস। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্টের পডকাস্ট ‘ওয়ার্ল্ড অব ট্রাবল’-এ দেওয়া সাক্ষাৎকারে রিচার্ডস বলেছেন, ইউক্রেনকে লড়াই করতে
১ ঘণ্টা আগেফ্রান্সের প্যারিসে বিশ্ববিখ্যাত ল্যুভর মিউজিয়ামে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে মাত্র সাত মিনিটে। অবিশ্বাস্য এই অভিযানে চোরেরা ব্যবহার করেছে ‘চেরি পিকার’ (ট্রাকের ওপর বসানো একধরনের হাইড্রোলিক মই) ও ‘অ্যাঙ্গেল গ্রাইন্ডার’।
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। চলতি বছরের মে মাসে ইসরায়েল আইসিসির কাছে পরোয়ানা বাতিলের আবেদন করেছিল। একই সময়ে আদালতের এখতিয়ার
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে অন্যায়ের শিকার হয়ে টানা ৪৩ বছর কারাভোগের পর অবশেষে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন সুব্রহ্মণ্যম সুবু বেদাম। কিন্তু মুক্তির আনন্দ উপভোগ করার আগেই নতুন এক সংকটে পড়েছেন তিনি। রোববার (১৯ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ (আইসিই) এখন বেদামকে ভারতে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
৩ ঘণ্টা আগে