হামাস

গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার বিনিময়ে সকল বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। হামাসের প্রস্তাবে ছিল—গাজায় যুদ্ধের ইতি টানা, ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজায় হামাসের শাসন মেনে নেওয়ার বি

দক্ষিণ ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবরের হামলা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারির বিরুদ্ধে একটি ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করেছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। হামলার ন্যায্যতা দাবির পাশাপাশি তারা এও স্বীকার করেছে যে, সেদিন ‘ইসরায়েলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়া এবং গাজার

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধকে কেন্দ্র করে লোহিতসাগরে চলাচলকারী বিদেশি জাহাজে আক্রমণ করছে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। এ কারণে পণ্যবাহী জাহাজগুলো সুয়েজ খাল এড়িয়ে আফ্রিকা হয়ে বিকল্প রুটে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহনে খরচ যেমন বেড়ে গেছে, তেমনি সময়ও লাগছে বেশি। নতুন এই সংকটে আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছ

ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে উৎখাতে এই যুদ্ধ শুরু করেছে ইসরায়েল। তবে সেই হামাসকে নিয়েই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তুলল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা বলছে, হামাসকে তৈরি করেছে ইসরায়েল। তাদের অর্থায়নও করছে দেশটি।  

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের (আইআরজি) চার সদস্য নিহত হয়েছেন। আজ শনিবারের হামলায় শহরের বেশ কয়েকটি জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেসব এলাকায় কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা গেছে।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল ইতিমধ্যে ইরানের ওপর সরাসরি আক্রমণ চালাচ্ছে এবং তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা অর্জন থেকে বিরত রাখতে সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করছে।

ইরান এই সপ্তাহে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দেশ ইরাক, সিরিয়া ও পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেসঙ্গে ইরানসমর্থিত বিভিন্ন মিলিশিয়া গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা করে যাচ্ছে। একই সময়ে চলছে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের লড়াই৷ উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, এই সংঘর্ষ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে, এমনকি তার

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেভাবে গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা করছেন তাতে তাঁর ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এক্সিওস বিষয়টি জানিয়েছে। তিক্ততার বিষয়টি এমন একপর্যায়ে গড়িয়েছে যে, বাইডেন বিগত ২০ দিনেরও বেশি সময় ধরে নেতানিয়া

জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই মামলায় ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি ইরানের মতো শত্রু দেশগুলো ছাড়াও একই অভিযোগ করে আসছে ফিলিস্তিনিরাও।

যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটিশ বাহিনী গতকাল মঙ্গলবার ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের ১৮টি ড্রোন এবং তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেছে। লোহিতসাগরে আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের পথে চলা জাহাজগুলো লক্ষ্য করে এসব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক বাহিনী।

গত ৭ অক্টোবর, হামাস দক্ষিণ ইসরায়েলে একটি সাহসী এবং মরিয়া অভিযান চালিয়ে সেখানকার বেশ কয়েকটি শহর দখল করে। হত্যা করে ১ হাজার ১৪০ জনকে। বিমান, স্থল ও সমুদ্রপথে হামাসের এই সমন্বিত হামলা ছিল একেবারে অপ্রতিরোধ্য। এই ঘটনার কারণে যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে হামাসকে নিষিদ্ধ করেছে। আর এটি

লেবাননে শীর্ষ তিন হিজবুল্লাহ নেতা হত্যার শোধ নিতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে গোষ্ঠীটি। আজ মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো ইসরায়েলের সাফেদে সামরিক হেডকোয়ার্টারে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ। 

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২১০ জনে। এই সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫৯ হাজার ১৬৭ জন। এ ছাড়া, এই আপডেট জানানোর আগের ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ১২৬ জন নিহত হয়

লেবাননের অভ্যন্তরে ইসরায়েলি হামলায় এবার দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছে। লেবাননের নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে  বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে সীমান্তের কাছে চালানো

দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর এক জ্যেষ্ঠ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার গোষ্ঠীটির রেদওয়ান বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন সূত্র। 

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে উত্তর গাজায় ওষুধ সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল রোববার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা  রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরের ২৫ তারিখে ইসরায়েলি হামলায় স্ত্রী, কন্যা, পুত্র ও দুই নাতি-নাতনি হারিয়েছিলেন গাজার আল-জাজিরা ব্যুরো প্রধান ওয়ায়েল আল-দাহদৌহ। এবার ইসরায়েলি হামলায় তিনি তাঁর আরেক ছেলেকে হারালেন। বাবার মতো পেশায় সাংবাদিক ছিলেন হামজা আল-দাহদৌহ