শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
ইপেপার
সর্বশেষ
জাতীয়
রাজনীতি
বিশ্ব
ভারত
পাকিস্তান
চীন
এশিয়া
মধ্যপ্রাচ্য
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা
লাতিন আমেরিকা
ইউরোপ
আফ্রিকা
সারা দেশ
ঢাকা
চট্টগ্রাম
বরিশাল
ময়মনসিংহ
সিলেট
রংপুর
রাজশাহী
খুলনা
অর্থনীতি
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজার
করপোরেট
নতুন উদ্যোগ
বিশ্ববাণিজ্য
খেলা
ফুটবল
ক্রিকেট
টেনিস
অন্য খেলা
ফ্রি হিট
মতামত
সাক্ষাৎকার
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫
বিনোদন
সিনেমা
বলিউড
দক্ষিণের সিনেমা
গান
হলিউড
টেলিভিশন
সিরিয়াল
লোক-সংস্কৃতি
ফ্যাক্টচেক
দেশ
বিদেশ
জানি, কিন্তু ভুল
আজকের ফ্যাক্ট
আমাদের সম্পর্কে
ফ্যাক্টচেক টিম
রেটিং
অনুরোধ
জীবনধারা
ভ্রমণ
খাবারদাবার
ফিচার
সাজসজ্জা
রূপবটিকা
মানসিক স্বাস্থ্য
যত্নআত্তি
জেনে নিন
গ্যাজেট
সোশ্যাল মিডিয়া
নো হাউ
চাকরি
ক্যারিয়ার টিপস
ইপেপার
ভাষা আন্দোলন
‘সব ভাষার পরিচর্যায় সহায়তা করা দরকার’
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও সাম্যবাদী চিন্তক যতীন সরকার। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পাকিস্তানের জন্মম
বাঁশ-কলাগাছের অস্থায়ী শহীদ মিনারই ভরসা
ভাষা আন্দোলনের সাত দশক পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার ৭৩ শতাংশেরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়নি কোনো শহীদ মিনার। মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পালনে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণ করে কাজ চালাতে দেখা যায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে। অন্যদিকে বরগুনার আমতলী উপজেলায় ৮৭ শতাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শহীদ ম
কেমন ছিল ভাষা আন্দোলনের ভূগোল
সকালের সভাটি আমতলায় হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দরজা দিয়ে ১৪৪ ধারা ভাঙার মিছিলগুলো বেরিয়েছিল একের পর এক, সে কথা আগেও বলেছি। সামনের রাস্তায় পুলিশের নৃশংসতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভেতরের ছোট দরজা পেরিয়ে সবাই প্রথমে মেডিকেল কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন এবং এরপর মেডিকেলের ভেতর দিয়ে পরিষদ ভবনের
খানসামায় ৯৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮৭টিতে নেই শহীদ মিনার
ভাষা আন্দোলনের ৭১ বছর পেরিয়ে গেলেও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার ৮৪ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো তৈরি হয়নি কোনো শহীদ মিনার। অধিকাংশ বিদ্যালয়ে জাতীয় দিবস পালন করা হয় শুধু জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে।
ফজলুল হক হলের পুকুর পাড়ের বৈঠক
এ কথা সত্য যে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার ব্যাপারে ২০ ফেব্রুয়ারি (১৯৫২) রাতে ফজলুল হক হলের পুকুরপাড়ে ১১ জন ছাত্রনেতার বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভাষা আন্দোলনের গবেষকদের কেউ কেউ অবশ্য বলার চেষ্টা করেন, সে সময় পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করতে বদ্ধপরিকর ছিলেন; তাই ওই ১১ জনের বৈঠক না হলেও কিছু
ভাষার জন্য ভালোবাসা
জাতিগতভাবে আমরা বহন করছি ভাষার জন্য জীবন উৎসর্গ করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে আমাদের ভাষা আন্দোলনের একটা অংশজুড়ে ছিলেন নারীরা। ভারতের মানভুমে (বর্তমান পুরুলিয়া) ১৯১২ সালে শুরু হয়েছিল বাংলা ভাষার আন্দোলন। ১৯৫৬ সালে তা সফল হয়। সেই ধারাবাহিক আন্দোলনে ১৯৫৪ সালে হয়েছিল টুসু সত্যাগ্রহ।
সতীন সেন ভাষা আন্দোলনের আরেক শহীদ
ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত ফেব্রুয়ারি মাস এলে আমরা আবেগদীপ্ত হই। স্মরণ করি, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের নানা ঘটনা এবং এই ইতিহাসনির্মাতাদের। সময়-সময় নকলদের ভিড়ে আসল নামগুলো বিস্মৃত হতেও দেখা যায়।
ভাষা নিয়ে আবেগ ও আত্মজিজ্ঞাসা
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে গিয়ে বাঙালি যে গৌরবের সমাচার তৈরি করেছে, তা তুলনাহীন। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাঙালি হেঁটেছে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এ দেশের মানুষ নবীন রাষ্ট্রকে উন্নত করতে ছিল ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু ভাষার প্
ভাষা নিয়ে বিপাকে
উনিশ শতকের শেষে এবং বিশ শতকের শুরুতে বাঙালি মুসলমান এক অদ্ভুত ভাষা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। ধর্মের ভাষা আরবি, সংস্কৃতির ভাষা ফারসি, ভারতের অন্যান্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের ভাষা উর্দু, রাজভাষা ইংরেজি এবং মাতৃভাষা বাংলা। কোনটা রেখে কোনটাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সে প্রশ্নে খানিকটা বিহ্বল হয়েছিল বাঙালি।
বাংলা যখন দূরের ভাষা
১৯৪৭ সালের দেশভাগের পর ভাষার প্রশ্নটি সামনে এসে গেল, গড়ে উঠল ইতিহাস। কিন্তু সে ইতিহাস আলোচনার আগে একটু বুঝে নেওয়া দরকার, বাংলা ভাষাকে কী চোখে দেখত সে কালের অভিজাতশ্রেণি। কেন বাংলা ভাষা নিয়ে সংশয় কাটাতে পারছিল না সাধারণ বাঙালি।
ভাষা নিয়ে যুদ্ধ আবদুল হকের
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারির পটভূমি তৈরি হয়েছিল আরও অনেক আগেই। ভাষা-বিতর্ক চলছিল। সে সময় যাঁরা ভাষা-বিতর্কে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছিলেন, আবদুল হক তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ভাষা প্রসঙ্গে তাঁর সেই লড়াই নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার।
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির সম্মুখযাত্রা
ফেব্রুয়ারি ফিরে এসেছে। ’৫২-র ফেব্রুয়ারিতে গড়া আন্দোলন-সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও ভাষা-সংস্কৃতির প্রতি উৎসর্গকৃত শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর মাস। এবার ৭২তম ২১ ফেব্রুয়ারিকে আমরা মাসব্যাপী স্মরণ করতে যাচ্ছি। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সাল থেকে ২১ ফেব্রুয়ারিকে মাসব্যাপী স্মরণ করার একটি রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। ১৯৫২
আন্দোলনটি ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার
ঐতিহাসিক সত্য হলো, ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান আন্দোলনের সাফল্যের সবচেয়ে বড় অংশীদার ছিল যে বাঙালি, সেই বাঙালিই ১৯৪৮ সালে প্রবলভাবে পাকিস্তান রাষ্ট্রটির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিল। ১৯৪৮ সালে ভাষার প্রশ্ন সামনে এলে বাঙালি নিজের সাংস্কৃতিক পরিচয়কে সবচেয়ে বড় বলে মনে করে এবং তাদের সেই উপলব্ধি এই জাতির বিকাশের জন
কেন এই অবহেলা?
ইতিহাসের কাল পরিক্রমায় ভাষা আন্দোলনই হলো মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। আর তাই ভাষাশহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আমাদের গর্বের শেষ নেই। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। কিন্তু বেদনার কথা যে ভাষাশহীদদের পরিবারের সদস্যদের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনো
ভাষার জন্য পৃথিবীর আরও যেখানে রক্ত ঝরেছে
বাঙালিদের মতো আরও অনেকে দেশেই মানুষকে ভাষার জন্য স্বৈরাচার শাসকদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে। সেখানে ঝরেছে রক্ত। নিজেদের ভাষার মর্যাদার দাবিতে যেসব দেশে আন্দোলন হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম—ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, কানাডা ও লাটভিয়া।
২১ এল যেভাবে
১৯৪০ সালের লাহোর প্রস্তাবে ভারতের মুসলিমপ্রধান উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে একাধিক স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছিল মুসলিম লীগ। কিন্তু পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হয়নি—এমনকি স্বায়ত্তশাসনও দেওয়া হয়নি। পূর্ব বাংলার মানুষের মনে তখন থ
বাগেরহাটে এক গ্রামে ড. হালিমা খাতুনসহ ৭ ভাষাসৈনিক
বাগেরহাট সদর উপজেলার বাদেকাপাড়া গ্রাম। শহর লাগোয়া হওয়ায় গ্রামটির পরিচিতি রয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন এই গ্রামেই সাত বীর সন্তান। তাঁরা হলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ড. হালিমা খাতুন, প্রাক্তন ছাত্রনেতা শেখ আশরাফ হোসেন, এ জেড এম দেলোয়ার হোসেন, শেখ নজিবর রহমান, শেখ মারুফুল হক, শেখ