নারী ফুটবল

এমন নয় যে ভারতের বিপক্ষে কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল; বরং বাংলাদেশের মেয়েদের ফুটবলে অনেক ঐতিহাসিক জয়ের প্রতিপক্ষ ছিল প্রতিবেশী দেশের দল। তবু নামটা ‘ভারত’ বলেই অবচেতন মনে চাপ জেঁকে বসে মনে। যে চাপ আফঈদা খন্দকাররা গ্রুপ পর্বে ভারতকে একবার হারিয়ে অনেকটা কাটিয়ে উঠেছিলেন। 

নিজের সেরাটা দিয়ে খেলবেন বলেছিলেন সানজিদা আক্তার। কথা রেখেছেন বাংলাদেশি উইঙ্গার। ইস্ট বেঙ্গল এফসিকে এনে দিয়েছেন একমাত্র গোল। কিন্তু গোল করেও জাতীয় দল সতীর্থ সাবিনা খাতুনের দল কিকস্টার্ট এফসির বিপক্ষে জিততে পারেনি সানজিদার দল। 

দল বেধে বাংলাদেশের সবাই ছুটে গেলেন ফটোগ্রাফারদের দিকে। গ্যালারিতে তখন ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ রব। শেষ সময়ের গোলে ভারতকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করার পর নিজ সমর্থকদের অভিবাদন নিলেন লাল-সবুজের ফুটবলাররা। 

সুযোগের পর সুযোগ হাতছাড়া। কখনো সেটা নিজেদের ভুলে, আবার কখনো নেপালের রক্ষণের দক্ষতায়। সেই দেয়ালে প্রথম ফাটল ধরালেন মোসাম্মৎ সাগরিকা। জোড়া গোলে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখালেন লাল-সবুজ ফরোয়ার্ড। 

জেনিফার হারমোসোকে লুইস রুবিয়ালেসের চুমুকাণ্ড নিয়ে আলোচনা যেন শেষই হচ্ছে না। স্পেনের ফুটবল ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি রুবিয়ালেসকে নিয়ে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ঘটনা। এবার তাঁর সঙ্গে ফেঁসে যাচ্ছেন আরও দুজন। 

ভারতের নারী লিগে খেলতে আজ দুপুরে বিমানে উঠেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। অধিনায়কের পথ ধরে এবার ভারতে খেলতে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন জাতীয় দলের তারকা ফরোয়ার্ড সানজিদা আক্তার।   

আগামী বছর হবে নারী সাফ। শিরোপা ধরে রাখতে বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানোর অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। মেয়েদের জন্য বড় কোনো দলের ব্যবস্থা করতে না পারলেও জানুয়ারিতে র‍্যাঙ্কিংয়ের বাইরে থাকা সৌদি আরবে গিয়ে তাদের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করেছিল বাংলাদেশ

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ উন্নতি হয়েছে সাবিনা খাতুনদের। আজ সর্বশেষ র‍্যাঙ্কিং প্রকাশ করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

সাফ জয়ের পর ২০২৩ সালে এলোমেলো একটা সময় পার করেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নানা কাণ্ডে বিতর্কিত বছরটা নারী ফুটবলাররা শেষ করেছেন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুই ম্যাচ জিতে। কেমন ছিল ২০২৩ সাল, নতুন বছরে কী থাকছে চাওয়া—তা নিয়ে নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। সাক্ষাৎকার নিয়েছ

একবার তহুরা খাতুন, আরেকবার ঋতুপর্ণা চাকমা; সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক লিন বিন বিয়াট্রিসকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখল বাংলাদেশের আক্রমণভাগ। শট ঠেকাতে ঠেকাতে হালই ছেড়ে দিলেন সিঙ্গাপুর গোলরক্ষক। প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে গোল উৎসব করল বাংলাদেশের নারী ফুটবল দল। বিতর্কে ভরা ২০২৩ সাল শেষ হলো বিশাল এক জয় দিয়ে।

সাফ জয়ের পর যে গতিতে এগোনোর কথা ছিল, বাংলাদেশের নারী ফুটবল পিছিয়েছে তার চেয়ে বেশি। ফুটবল ফেডারেশনের গাফিলতি, দীর্ঘদিনের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের পদত্যাগ, পরীক্ষিত ফুটবলারদের অবসর আর নিয়মিত খেলার মধ্যে থাকতে না পারার মতো নানা কাণ্ডে মেয়েদের ফুটবল ২০২৩ সালে পার করেছে টালমাটাল এক বছর। বিতর্কিত এমন একটা

রুপনা চাকমা মাঝেমধ্যে মাঝমাঠে একা দাঁড়িয়ে রইলেন। পাস দেওয়া আর নেওয়া ছাড়া যেন আর কিছুই করার ছিল না বাংলাদেশ গোলরক্ষকের। নিজেদের অর্ধে রক্ষণের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে রইলেন সিঙ্গাপুরের ফুটবলাররা যে রুপনাকে ছোটখাটো পরীক্ষা নেওয়ার সামান্য সুযোগটাও তাঁদের হয়নি। 

জয়ে দিয়ে এশিয়ান গেমসের শেষটা করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ সাইফুল বারী টিটু। কিন্তু তাঁর সেই চাওয়া পূরণ হয়নি। আজ ‘ডি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছে তাঁর দল। 

জাপানের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ায় ছড়ি ঘোরালেও বিশ্ব ফুটবলে এখনো তলানিতে পড়ে আছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল। বিশ্ব ফুটবল কতটা রূঢ় সেই সবক সাবিনা খাতুনদের এবার দিল বিশ্বকাপ খেলা ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের গলায় পরালো গোলের মালা

যেভাবে শুরু করেছিল জাপানের মেয়েরা তাতে শঙ্কা জেগেছিল, প্রতি দুই মিনিট অন্তর না হোক, হয়তো প্রতি পাঁচ মিনিটে গোলের ধাক্কা সইতে হতে পারে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে। শেষটায় অবশ্য স্বস্তি। পাঁচ মিনিট নয়, বাংলাদেশ জাপানের কাছে হেরেছে প্রতি ১২ মিনিটে একটি করে গোল হজম করে!

আর এক দিন পরেই প্রথম সাফ জয়ের বর্ষপূর্তি। কিন্তু বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের সুযোগ পাচ্ছে কই! আগামীকাল যখন হাংঝুর এশিয়ান গেমস ভিলেজে পৌঁছাবেন সাবিনা খাতুনরা, তখন হয়তো সবার চোখেই থাকবে লম্বা ধকলের ক্লান্তি।

চুমু কাণ্ডে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতির পদ ছাড়বেন না বলে শুরু থেকেই বলে আসছিলেন লুইস রুবিয়ালেস। শেষ পর্যন্ত তুমুল চাপের মুখে নিজের পদ ধরে রাখতে পারেননি। পরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন রুবিয়ালেস।