নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঠিক ১০ দিন আগে বাংলাদেশ-ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের ফাইনাল। টাইব্রেকারে দুই দলের ফল ১১ শটেও অমীমাংসিত থাকার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও ভারত অধিনায়ক নিতু লিন্ডাকে মাঠ থেকে ডেকে নেন শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার সিলভা জয়সুরিয়া ডিলন। দুই অধিনায়ককে দ্রুত কিছু বুঝিয়ে মাঠের রেফারি রাই অঞ্জনাকে বলেন টস করতে।
লঙ্কান ম্যাচ কমিশনারের সেই সিদ্ধান্ত আরেকটু হলে ধসিয়ে দিতে বসেছিল বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী সম্পর্ককে। তাঁর এক ভুল সিদ্ধান্তে ৮ ফেব্রুয়ারির অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের ফাইনাল হয়ে গেছে বিতর্কিত এক ফাইনাল।
বাংলাদেশ-ভারতের সেই ফাইনালের ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে আজ বাফুফে ভবনে । ফাইনালের ১০ দিন পর যৌথ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের হাতে সাফের ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের হাতে ট্রফি ওঠার পরও সেই ফাইনাল নিয়েই কথাবার্তা।
কমলাপুরে ১০ দিন আগের ফাইনালে সেদিন কী ঘটেছিল সেটা আরেকবার পুনরাবৃত্তি করা যাক। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ফাইনালে সাগরিকার গোলে বাংলাদেশ সমতায় ফিরেছিল একদম শেষ সময়ে এসে। সেখান থেকে খেলা যায় টাইব্রেকারে। ১১ শটে টাইব্রেকার অমীমাংসিত থাকার পর সেই বিতর্কিত টসের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ কমিশনার। কী কারণে এবং কিসের টস সেটা বোঝার সময়ই পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। টসের পর দেখা গেল ভারত অধিনায়কের উল্লাস আর বাংলাদেশ অধিনায়কের বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকা।
ম্যাচের সময় ধারণা করা হচ্ছিল, ভাষাগত সমস্যার কারণে রেফারি রাই অঞ্জনার কথা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন আফঈদা। তাই টসের মর্ম তিনি বুঝতে পারেননি। ফাইনালের ১০ দিন পর সেদিন কী হয়েছিল, মাঠে আর কী বলেছিলেন কমিশনার—সেটাই আজ সাংবাদিকদের বললেন আফঈদা। দিলেন অবাক করার মতো এক তথ্য, ‘আমি টিটু স্যারের(সাইফুল বারী, নারী দলের কোচ) কাছে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার আগেই রেফারি আমাকে ডেকে নেন। যাওয়ার পর ম্যাচ কমিশনার আর রেফারি আমার সঙ্গে হাত মেলালেন আর বললেন গুড লাক। আর তেমন কিছু বলেননি। আমাদের ম্যানেজারের সঙ্গেও কথা বলেননি। অনেকেই বলেছেন, ম্যানেজার আর কোচ মাঠে থাকার পরও কেন টস করা হলো! এর কারণ কোচ-ম্যানেজারও জানেন না, আমিও জানি না।’
টসে হারার পর রেফারি রাই অঞ্জনা ও কমিশনারকে ঘিরে ধরেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের আপত্তিতে বাইলজ দেখে নিজের ভুল বুঝতে পারেন ম্যাচ কমিশনার। ভারতকে জানানো হয় টাইব্রেকার চালিয়ে নেওয়ার। সিদ্ধান্ত জানানোর পর আপত্তি তুলে ভারত মাঠ ছেড়ে যায়। শিরোপার নিষ্পত্তি আসে আড়াই ঘণ্টা পর। যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় দুই দলকে।
নিয়ম অনুযায়ী কোনো দল মাঠ ছেড়ে গেলে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে ফিরে না এলে জয়ী ঘোষণা করার কথা প্রতিপক্ষকে। কিন্তু যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পরই মাঠে আসেন ভারত অধিনায়ক, সেটিও আড়াই ঘণ্টা বেশি সময় পর। ভারতের এমন কাণ্ডের কোনো প্রতিবাদ কেন হলো না সেই প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। জবাবে বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বললেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা তাদের ভালোবাসি, সম্মান করি। আমাদের ত্যাগ করতে হয়েছে, কিন্তু আমরা যোগ্য চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। আর আমরা কেন ভারতের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাব। ম্যাচ কমিশনার এএফসির। এএফসি এ নিয়ে তদন্ত করছে।’
ঠিক ১০ দিন আগে বাংলাদেশ-ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের ফাইনাল। টাইব্রেকারে দুই দলের ফল ১১ শটেও অমীমাংসিত থাকার পর বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার ও ভারত অধিনায়ক নিতু লিন্ডাকে মাঠ থেকে ডেকে নেন শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার সিলভা জয়সুরিয়া ডিলন। দুই অধিনায়ককে দ্রুত কিছু বুঝিয়ে মাঠের রেফারি রাই অঞ্জনাকে বলেন টস করতে।
লঙ্কান ম্যাচ কমিশনারের সেই সিদ্ধান্ত আরেকটু হলে ধসিয়ে দিতে বসেছিল বাংলাদেশ-ভারত প্রতিবেশী সম্পর্ককে। তাঁর এক ভুল সিদ্ধান্তে ৮ ফেব্রুয়ারির অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফের ফাইনাল হয়ে গেছে বিতর্কিত এক ফাইনাল।
বাংলাদেশ-ভারতের সেই ফাইনালের ঘটনা ঘুরেফিরে এসেছে আজ বাফুফে ভবনে । ফাইনালের ১০ দিন পর যৌথ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের হাতে সাফের ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছে। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকারের হাতে ট্রফি ওঠার পরও সেই ফাইনাল নিয়েই কথাবার্তা।
কমলাপুরে ১০ দিন আগের ফাইনালে সেদিন কী ঘটেছিল সেটা আরেকবার পুনরাবৃত্তি করা যাক। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ফাইনালে সাগরিকার গোলে বাংলাদেশ সমতায় ফিরেছিল একদম শেষ সময়ে এসে। সেখান থেকে খেলা যায় টাইব্রেকারে। ১১ শটে টাইব্রেকার অমীমাংসিত থাকার পর সেই বিতর্কিত টসের সিদ্ধান্ত নেন ম্যাচ কমিশনার। কী কারণে এবং কিসের টস সেটা বোঝার সময়ই পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। টসের পর দেখা গেল ভারত অধিনায়কের উল্লাস আর বাংলাদেশ অধিনায়কের বোকার মতো দাঁড়িয়ে থাকা।
ম্যাচের সময় ধারণা করা হচ্ছিল, ভাষাগত সমস্যার কারণে রেফারি রাই অঞ্জনার কথা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছিলেন আফঈদা। তাই টসের মর্ম তিনি বুঝতে পারেননি। ফাইনালের ১০ দিন পর সেদিন কী হয়েছিল, মাঠে আর কী বলেছিলেন কমিশনার—সেটাই আজ সাংবাদিকদের বললেন আফঈদা। দিলেন অবাক করার মতো এক তথ্য, ‘আমি টিটু স্যারের(সাইফুল বারী, নারী দলের কোচ) কাছে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার আগেই রেফারি আমাকে ডেকে নেন। যাওয়ার পর ম্যাচ কমিশনার আর রেফারি আমার সঙ্গে হাত মেলালেন আর বললেন গুড লাক। আর তেমন কিছু বলেননি। আমাদের ম্যানেজারের সঙ্গেও কথা বলেননি। অনেকেই বলেছেন, ম্যানেজার আর কোচ মাঠে থাকার পরও কেন টস করা হলো! এর কারণ কোচ-ম্যানেজারও জানেন না, আমিও জানি না।’
টসে হারার পর রেফারি রাই অঞ্জনা ও কমিশনারকে ঘিরে ধরেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের আপত্তিতে বাইলজ দেখে নিজের ভুল বুঝতে পারেন ম্যাচ কমিশনার। ভারতকে জানানো হয় টাইব্রেকার চালিয়ে নেওয়ার। সিদ্ধান্ত জানানোর পর আপত্তি তুলে ভারত মাঠ ছেড়ে যায়। শিরোপার নিষ্পত্তি আসে আড়াই ঘণ্টা পর। যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয় দুই দলকে।
নিয়ম অনুযায়ী কোনো দল মাঠ ছেড়ে গেলে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে ফিরে না এলে জয়ী ঘোষণা করার কথা প্রতিপক্ষকে। কিন্তু যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করার পরই মাঠে আসেন ভারত অধিনায়ক, সেটিও আড়াই ঘণ্টা বেশি সময় পর। ভারতের এমন কাণ্ডের কোনো প্রতিবাদ কেন হলো না সেই প্রশ্ন ছিল সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে। জবাবে বাফুফে নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ বললেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা তাদের ভালোবাসি, সম্মান করি। আমাদের ত্যাগ করতে হয়েছে, কিন্তু আমরা যোগ্য চ্যাম্পিয়ন ছিলাম। আর আমরা কেন ভারতের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাব। ম্যাচ কমিশনার এএফসির। এএফসি এ নিয়ে তদন্ত করছে।’
গত জুনে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচটির দ্বিতীয়ার্ধ দেরিতে শুরু হওয়ায় শাস্তির মুখে পড়েছে বাফুফে। তাদের ১৫০০ ডলার (প্রায় দুই লাখ টাকা) জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)।
২ ঘণ্টা আগে১১০ রানে অলআউট হয়ে কার্যত ম্যাচের প্রথমার্ধেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল পাকিস্তান। মিরপুর শেরেবাংলার উইকেটে নিজেদের মেলে ধরতে ব্যর্থ সফরকারী ব্যাটাররা। ম্যাচ হারের পর তাই সফরকারী দলের যত ক্ষোভ উইকেট নিয়ে। পাকিস্তান অধিনায়ক তো বলেই দিলেন, বাংলাদেশে এসে ভালো উইকেট আশা করা যায় না!
৩ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দেখতে আজ মিরপুর শেরেবাংলার গ্যালারিতে হাজির হয়েছিলেন অনেক নামীদামি ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
৪ ঘণ্টা আগেদুর্দান্ত বোলিংয়ে পাকিস্তানকে অল্প রানে আটকে রেখে জয়ের অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন বোলাররা। ব্যাটাররাও নিজেদের কাজ সারলেন দারুণভাবে। পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটি আর তাওহীদ হৃদয়ের কার্যকর এক ইনিংসের সৌজন্যে ২৭ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে বড় জয় পেল বাংলাদেশ। ৯ বছর বেশি সময় পর পাকিস্তানের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের ম্যাচ
৫ ঘণ্টা আগে