প্রশ্ন: গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের তুলনায় এবার একেবারে অন্য রূপে দেখা গেল। নিজেকে বদলে ফেলে বাংলাদেশকে কিছু দিতে পারার অনুভূতিটা কেমন?
সৌরভী আকন্দ প্রীতি: ক্যাম্পে আসার পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করছি। অনেক কষ্ট করছি। এই কষ্টের ফল অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে পেয়েছি। আমি অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে খেলেছি, বড় আপুদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। জীবনে এটা আমার দ্বিতীয় শিরোপা।
প্রশ্ন: ক্যাম্পে তিন বছর হয়ে গেল। এ তিন বছরে নিজের পরিবর্তন কেমন দেখছেন?
সৌরভী: ২০২১ সালে যখন ক্যাম্পে ডাক পাই, তখন আমার বয়স ১২ বছর। এই এতটুকু ছিলাম (হাত দিয়ে বোঝালেন অনেক ছোট ছিলেন)। এখন শারীরিকভাবে বড় হয়েছি, পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, অনেক লম্বাও হয়ে গেছি (হাসি)।
প্রশ্ন: নিজের খেলাটা কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন? সবচেয়ে বেশি কী বদলেছেন এ সময়ে?
সৌরভী: সবচেয়ে বেশি পাল্টেছে যেটা, ফার্স্ট টাচ। যেকোনো খেলোয়াড়ের এটা বেশি দরকার। এ নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি। টিটু স্যারও (সাইফুল বারী টিটু, বাংলাদেশ কোচ) বলতেন, প্রীতি ফার্স্ট টাচ একজন ফুটবলারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তোমার এটা ভালো হয় না। ভালো করো। কাজ করার পর ফার্স্ট টাচ ভালো হয়েছে। ফিনিশিংও ভালো হয়েছে।
প্রশ্ন: ৫ গোল করে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। আরেকটা করলে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হতে পারতেন। এ নিয়ে কোনো আফসোস আছে?
সৌরভী: এতটা নাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই আসল কথা। আমার দল জিতেছে। আমার সতীর্থরা জিতেছে। আল্লাহ হয়তো চেয়েছিলেন শিরোপা জিতব কিন্তু সেরা গোলদাতার পুরস্কার পাব না।
প্রশ্ন: আপনার গোল উদ্যাপন দেখলে মনে হয় কারও দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করছেন! এটার পেছনে কোনো গল্প আছে?
সৌরভী: এই উদ্যাপনটা (দুই হাত ভাঁজ করে চুপ করে থাকা) টিটু স্যার দেখিয়েছেন। এ সাফেই টিম মিটিংয়ে স্যার বলেছিলেন, তুমি কি গোল করে চুপ করে থাকবে? উদ্যাপন করবে না? মনে মনে ভাবছিলাম, যদি ম্যাচে গোল করতে পারি স্যারকে দেখাব আমার উদ্যাপন। (উদ্যাপনটা হচ্ছে) চুপ করে থাকব। কিছু বলব না। স্যার এই উদ্যাপন দেখে বললেন, প্রীতি, মাঠে তুমি এটা কী করলে? আমি বললাম, স্যার আপনিই তো বলেছিলেন মিটিংয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে। আমি সেটিই করেছি (হাসি)।
প্রশ্ন: গ্রুপ পর্বে আপনারা তিন ম্যাচেই আগে গোল করেছিলেন। যে কারণে চাপটা টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু ফাইনালে শুরুতেই গোল হজম করে বসলেন। মনে হচ্ছিল, আপনারা চাপে পড়ে এলোমেলো খেলছেন। বিরতির সময় কোচ ড্রেসিংরুমে কী বলেছিলেন যে দ্বিতীয়ার্ধে আপনাদের খেলার ধরন বদলে গেল?
সৌরভী: কোচ বলেছিলেন, তোমরা এ কেমন ফুটবল খেলছো! এটা তো জাম্বুরা খেলা, গ্রামে খেলে। তোমরা এখানে খ্যাপ খেলতে এসেছো যে যেমন ইচ্ছে তেমন করে বল মারছো! তোমরা পাস দিয়ে খেলো, মাঠ বড় করে খেলো, বল দেওয়া-নেওয়া করো, ধরে খেলো। তোমরা তো খেলা জানো। এলোমেলো মারছো কেন? আমি যেন এমন খেলা না দেখি। পাসিং ফুটবল খেলো। গোল এমনি চলে আসবে। প্রথমার্ধে আমাদের মিডফিল্ড-ডিফেন্স এলোমেলো খেলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সেটা পরিবর্তন করে আমরা ছোট ছোট পাসে খেলে আক্রমণে ওঠা শুরু করলাম।
প্রশ্ন: সাফের এই দলে আপনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, আগেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। দলে অনেক নতুন ফুটবলার। তাদের কীভাবে উজ্জীবিত করেছেন?
সৌরভী: জুনিয়রদের সব সময় সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বলেছি, যে যখন সুযোগ পাবে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবা। বলেছি, কোচদের কথা বুঝতে না পারলে আমাদের সিনিয়রদের কাছে জিজ্ঞেস করবে। ওরাও কিছু বুঝতে না পারলে আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করত।
প্রশ্ন: এখন পরের লক্ষ্য কী হবে?
সৌরভী: দেশকে আরও দিতে চাই। পরিবারের জন্য কিছু করতে চাই। নিজের সেরাটা দিতে চাই। নিজের আরও উন্নতি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে জাতীয় দলে ঢুকতে হবে।
প্রশ্ন: গত বছর অনূর্ধ্ব-১৭ সাফের তুলনায় এবার একেবারে অন্য রূপে দেখা গেল। নিজেকে বদলে ফেলে বাংলাদেশকে কিছু দিতে পারার অনুভূতিটা কেমন?
সৌরভী আকন্দ প্রীতি: ক্যাম্পে আসার পর থেকেই কঠোর পরিশ্রম করছি। অনেক কষ্ট করছি। এই কষ্টের ফল অনূর্ধ্ব-১৬ সাফে পেয়েছি। আমি অনূর্ধ্ব-১৭ সাফে খেলেছি, বড় আপুদের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-২০ দলে খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। জীবনে এটা আমার দ্বিতীয় শিরোপা।
প্রশ্ন: ক্যাম্পে তিন বছর হয়ে গেল। এ তিন বছরে নিজের পরিবর্তন কেমন দেখছেন?
সৌরভী: ২০২১ সালে যখন ক্যাম্পে ডাক পাই, তখন আমার বয়স ১২ বছর। এই এতটুকু ছিলাম (হাত দিয়ে বোঝালেন অনেক ছোট ছিলেন)। এখন শারীরিকভাবে বড় হয়েছি, পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে, অনেক লম্বাও হয়ে গেছি (হাসি)।
প্রশ্ন: নিজের খেলাটা কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন? সবচেয়ে বেশি কী বদলেছেন এ সময়ে?
সৌরভী: সবচেয়ে বেশি পাল্টেছে যেটা, ফার্স্ট টাচ। যেকোনো খেলোয়াড়ের এটা বেশি দরকার। এ নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি। টিটু স্যারও (সাইফুল বারী টিটু, বাংলাদেশ কোচ) বলতেন, প্রীতি ফার্স্ট টাচ একজন ফুটবলারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তোমার এটা ভালো হয় না। ভালো করো। কাজ করার পর ফার্স্ট টাচ ভালো হয়েছে। ফিনিশিংও ভালো হয়েছে।
প্রশ্ন: ৫ গোল করে অনূর্ধ্ব-১৬ সাফের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন। আরেকটা করলে সর্বোচ্চ গোলদাতাও হতে পারতেন। এ নিয়ে কোনো আফসোস আছে?
সৌরভী: এতটা নাই। চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই আসল কথা। আমার দল জিতেছে। আমার সতীর্থরা জিতেছে। আল্লাহ হয়তো চেয়েছিলেন শিরোপা জিতব কিন্তু সেরা গোলদাতার পুরস্কার পাব না।
প্রশ্ন: আপনার গোল উদ্যাপন দেখলে মনে হয় কারও দিকে তাকিয়ে প্রতিবাদ করছেন! এটার পেছনে কোনো গল্প আছে?
সৌরভী: এই উদ্যাপনটা (দুই হাত ভাঁজ করে চুপ করে থাকা) টিটু স্যার দেখিয়েছেন। এ সাফেই টিম মিটিংয়ে স্যার বলেছিলেন, তুমি কি গোল করে চুপ করে থাকবে? উদ্যাপন করবে না? মনে মনে ভাবছিলাম, যদি ম্যাচে গোল করতে পারি স্যারকে দেখাব আমার উদ্যাপন। (উদ্যাপনটা হচ্ছে) চুপ করে থাকব। কিছু বলব না। স্যার এই উদ্যাপন দেখে বললেন, প্রীতি, মাঠে তুমি এটা কী করলে? আমি বললাম, স্যার আপনিই তো বলেছিলেন মিটিংয়ে এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে। আমি সেটিই করেছি (হাসি)।
প্রশ্ন: গ্রুপ পর্বে আপনারা তিন ম্যাচেই আগে গোল করেছিলেন। যে কারণে চাপটা টের পাওয়া যায়নি। কিন্তু ফাইনালে শুরুতেই গোল হজম করে বসলেন। মনে হচ্ছিল, আপনারা চাপে পড়ে এলোমেলো খেলছেন। বিরতির সময় কোচ ড্রেসিংরুমে কী বলেছিলেন যে দ্বিতীয়ার্ধে আপনাদের খেলার ধরন বদলে গেল?
সৌরভী: কোচ বলেছিলেন, তোমরা এ কেমন ফুটবল খেলছো! এটা তো জাম্বুরা খেলা, গ্রামে খেলে। তোমরা এখানে খ্যাপ খেলতে এসেছো যে যেমন ইচ্ছে তেমন করে বল মারছো! তোমরা পাস দিয়ে খেলো, মাঠ বড় করে খেলো, বল দেওয়া-নেওয়া করো, ধরে খেলো। তোমরা তো খেলা জানো। এলোমেলো মারছো কেন? আমি যেন এমন খেলা না দেখি। পাসিং ফুটবল খেলো। গোল এমনি চলে আসবে। প্রথমার্ধে আমাদের মিডফিল্ড-ডিফেন্স এলোমেলো খেলছিল। দ্বিতীয়ার্ধে সেটা পরিবর্তন করে আমরা ছোট ছোট পাসে খেলে আক্রমণে ওঠা শুরু করলাম।
প্রশ্ন: সাফের এই দলে আপনি একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, আগেও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। দলে অনেক নতুন ফুটবলার। তাদের কীভাবে উজ্জীবিত করেছেন?
সৌরভী: জুনিয়রদের সব সময় সমর্থন দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বলেছি, যে যখন সুযোগ পাবে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলার চেষ্টা করবা। বলেছি, কোচদের কথা বুঝতে না পারলে আমাদের সিনিয়রদের কাছে জিজ্ঞেস করবে। ওরাও কিছু বুঝতে না পারলে আমাদের কাছে এসে জিজ্ঞেস করত।
প্রশ্ন: এখন পরের লক্ষ্য কী হবে?
সৌরভী: দেশকে আরও দিতে চাই। পরিবারের জন্য কিছু করতে চাই। নিজের সেরাটা দিতে চাই। নিজের আরও উন্নতি করতে হবে। কঠোর পরিশ্রম করে জাতীয় দলে ঢুকতে হবে।
ছেলেদের ফুটবলে ব্রাজিল পাঁচবার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলেও সবশেষ শিরোপা জিতেছে ২০০২ সালে। পরের ২৪ বছরে বলার মতো সাফল্য বলতে ২০১৯ কোপা আমেরিকার শিরোপা জয়। ছেলেদের ফুটবলে ব্রাজিল যেখানে ধুঁকছে, সেখানে তাদের নারী ফুটবলাররা খেলছেন দাপট দেখিয়ে। উরুগুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফের নারী কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠল
৩৯ মিনিট আগেবাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দীন জাতীয় দলে গত ডিসেম্বরে যুক্ত হওয়ার পর গত আট মাসে মুদ্রার দুটি পিঠই দেখে ফেলেছেন। জাতীয় দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় সালাহ উদ্দীন সমালোচিত হয়েছেন। অথচ ঘরোয়া ক্রিকেটের সাফল্যে তিনি এত দিন শুধু প্রশংসা পেয়ে অভ্যস্ত ছিলেন। এসব নিয়েই গতকাল মাস্কো...
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের হয়ে ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল। এ যাত্রায় তাঁদের সঙ্গ দিয়েছেন কলকাতার দুজন সাঁতারু। চার জন মিলে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিট।
১৩ ঘণ্টা আগেসাকিব-মাশরাফিদের সৌজন্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট হামাগুড়ি থেকে উঠে দাঁড়াতে শিখেছে। শিখেছে দৌড়াতে। ‘পঞ্চপাণ্ডব’ বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন ভিন্ন উচ্চতায়। তাঁদের সবার ক্যারিয়ার প্রায় শেষ। মাশরাফি বিন মর্তুজা, তামিম ইকবাল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরে। মুশফিকুর রহিম খেলছেন শুধু
১৩ ঘণ্টা আগে