গরু

ঘরের ভেতর বিদ্যুতের আলোয় ঝিলিক দিচ্ছে গায়ের রং। ওজন তার ১ হাজার ৪৮০ কেজি বা ৩৭ মণ। উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, দৈর্ঘ্য সাড়ে ৮ ফুট। বেঁধে রাখা হয়েছে চারটি দড়ি দিয়ে। তারপরও একটু নড়ে উঠলে বুকে কাঁপন ধরে।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের পুঠিয়া গ্রামের মো. কোরবান সরকার পেশায় একজন কৃষক। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ‘অস্ট্রেলিয়ান ক্রস’ জাতের একটি গরু লালনপালন করেছেন। নাম রেখেছেন ‘সেকেন্দার’।

ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে শেরপুরে কোরবানির পশুর হাট জমে ওঠেনি এখনো। এর মধ্যে উপজেলার নওহাটা পৌর গরুর হাট মাতাচ্ছে রাজা, বাদশা ও জমিদার নামের তিনটি গরু।

নেত্রকোনার বারহাট্টায় লালন-পালন করা একটি ষাঁড়ের নাম ‘হাওর অঞ্চলের রাজা’। কালো ও আংশিক সাদা ষাঁড়টির দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ৪০ মণ।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের দশবাহা গ্রামের মাউন অ্যাগ্রো ফার্মে রয়েছে ৫১টি গরু। এগুলোর মধ্যে আমেরিকান জাতের বাহামা ষাঁড়টির বয়স সব থেকে বেশি।

টাঙ্গাইলের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (চর্মরোগ)। ইতিমধ্যে ভাইরাসজনিত এই রোগ গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে গরুর চামড়া ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্য।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে রংপুরের তারাগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে কৃষক ও খামারিরা হাটভর্তি গরু আনলেও ক্রেতার তেমন দেখা মিলছে না।

প্রায় চার বছর ধরে দুটি ষাঁড় লালন-পালন করছেন আব্দুল করিম। আদর করে ষাঁড় দুটির নাম দিয়েছেন হিরো আলম ও যুবরাজ। ফ্রিজিয়ান জাতের এই দুই ষাঁড়ের বর্তমান ওজন ১২০০ ও ১২৫০ কেজি। আব্দুল করিমের আশা, এবারের কোরবানির পশুর হাটে তাঁর এই দুই স্বপ্নের দাম হাঁকবেন ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা...

কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গরুটি দেখার জন্য ইতিমধ্যে খামারে ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভিড় বাড়ছে। সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার হীরাঝিল এলাকার কাসসাফ অ্যাগ্রো ফার্মের গরুটির দাম হাঁকানো হচ্ছে পাঁচ লাখ টাকা।

দুয়ারে কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ফুলবাড়িয়া উপজেলার নয়নতারা ও গৌরীপুরের তুফান। তবে বন্যার কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত খামারিরা।

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১ হাজার ৭০০ কেজি ওজন হয়েছে ষাড় ‘সম্রাটের’। জবাই করার পর এটি থেকে ২৮-৩০ মণ মাংস পাওয়া যাওয়ার দাবি করছেন ষাড়ের মালিক আমানুল্লাহ আমান। তিনি আসন্ন কোরবানির বাজারে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ টাকা।

করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার স্বপ্ন নিয়ে খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ছোট-বড় ৩ ডজন খামারে প্রায় শত কোটি টাকার পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন গো-খামারিরা। কিন্তু হঠাৎ গো-খাদ্যের বাজারমূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে খামারিদের। আসন্ন কোরবানির ঈদ ঘিরে খামারিদের গরু হৃষ্টপুষ্ট করতে ব্যয় বেড়েছে অনেক।

বিদেশে যাওয়ার সময় পাঁচটি গরু ও আটটি মহিষ শ্বশুরের জিম্মায় রেখে যান লক্ষ্মীপুরের রামগতির আব্দুল ওদুদ। ১১ বছর পর ২০১৮ সালে তিনি দেশে এসে দেখেন গরু-মহিষের সংখ্যা বেড়ে যথাক্রমে সাত ও ২০ হয়েছে। পরবর্তীতে তিনটি মহিষ মারা যায় 

শখের বসে হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের একটি বাছুর গরু কিনে আড়াই বছর আগে লালন পালন শুরু করেছিলেন রাজশাহীর তানোর পৌরশহরের জিওল চাঁনপুর এলাকার সেলিম রেজা। কালো-সাদা রঙের গরুটির এখন উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। ওজন ৮৫০ কেজি

ছোট বড় সব বয়সী গরুর মধ্যেই এ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে গরু লালন-পালন করছেন অনেকে। ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় খামারিদের আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।

দেখতে দৈত্যকায় গরুটির ডাকনাম বুলডোজার। পরম যত্নে লালনপালন এবং বড় করেছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বামুয়াহাটি গ্রামের শাহ শিবলী সাদিক। তাঁর দাবি, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরুটি লালনপালন করেছেন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা জোবাইদ হোসেন রনি। চাকরির পেছনে না ছুটে বাড়িতেই শুরু করেন গরুর খামার। সেখানে ছোটবড় মিলে উন্নত জাতের ১০টি গরু রয়েছে।