নিত্যনতুন রেকর্ডে নাম লেখানো যেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দারুণ এক অভ্যাসে পরিণত করেছেন। গোলের রেকর্ডের পাশাপাশি অন্যান্য রেকর্ডেও উঠে যায় তাঁর নাম। এবার যে রেকর্ড পর্তুগিজ ফুটবলার গড়েছেন তাতে আছেন শুধু নিজেই।
রিয়াল ভায়াদোলিদকে পেয়ে রীতিমতো তেতে উঠলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁর রুদ্ররূপেই গত পরশু রাতে লা লিগার ম্যাচে পুড়ল ভায়াদোলিদ। এমবাপ্পের হ্যাটট্রিকে দলটিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে এটি তাঁর প্রথম হ্যাটট্রিক। এর সুবাদে রিয়ালের সাবেক কিংবদন্তি রোনালদো নাজারিওর রেকর্ডেও ভাগ...
আক্রমণের পর আক্রমণ, দিশেহারা হয়ে ওঠে আল-তাউনের রক্ষণ। কিন্তু ফুটবল তো গোলের খেলা। আক্রমণ যেমনই হোক, কাঙ্ক্ষিত গোলই তো মুখ্য। উল্টো নিজেরাই প্রথমার্ধে গোল হজম করে পিছিয়ে যায় আল নাসর। সফল হতে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোও, আইমেরিক লাপোর্তের গোলে কোনোরকম হার এড়ায় তারা।
রেকর্ড গড়ার মতো সহজ কাজ আর কী হতে পারে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে। বয়স ৪০ ছুঁইছুঁই হলেও সেটা তাঁকে দেখে বোঝার উপায় নেই। পাল্লা দিয়ে গোল করে চলেছেন। সৌদি আরবে গত রাতে বিরল এক রেকর্ড গড়লেন পর্তুগিজ এই ফরোয়ার্ড। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসিও সেই রেকর্ড থেকে আছেন অনেক দূরে।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জায়গায় কেন রদ্রি পেলেন ব্যালন ডি’অর—পুরস্কারটি দেওয়ার পর থেকেই হৈ চৈ পড়ে যায় সামাজিকমাধ্যমে। অনেকেই ভিনির পক্ষে কথা বলেছেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দাবি, ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডের সঙ্গে এখানে অন্যায় করা হয়েছে।
২০২৪ সাল এখনো শেষ হয়নি। এরই মধ্যে ২০৩৪ সালে ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজকের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে ফিফা। প্রায় ৯ বছর পরে হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ এককভাবে আয়োজন করবে সৌদি আরব।
খেলা, ফুটবল, লিওনেল মেসি, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, আর্জেন্টিনা ফুটবল, পর্তুগাল ফুটবল
কথায় আছে, ‘ওয়াইন যত পুরোনো হয়, তার স্বাদ তত ভালো হয়’। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যেন সেই পুরোনো ওয়াইন। যতই বয়স হচ্ছে, বাড়ছে স্বাদ। এ মৌসুমেই দেখুন না হলে! সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছেন ১৮ গোল ও ৪ অ্যাসিস্ট।
ইন্টারনেট ভেঙে দেবেন, এমন কাউকে আনতে যাচ্ছেন বলে আলোড়ন তুলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের অতিথি কে হতে পারেন, সেটা নিয়ে চলছিল অনেক জল্পনা-কল্পনা।
বাইসাইকেল কিকে এর আগেও গোল করেছেন করেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে ৩৯ বছর বয়সে বাইসাইকেল কিকে গোল করে পর্তুগিজ মহাতারকা যেন রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিলেন। রোনালদোর জোড়া গোলে গতকাল উয়েফা নেশনস লিগে পোল্যান্ডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগাল...
শেষ বাঁশি বাজার অপেক্ষা। ঠিক তার আগমুহূর্তে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় আল নাসর। এগিয়ে গেলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, যে ক্লাবের হয়ে আগে কখনো পেনাল্টিতে ব্যর্থ হননি পর্তুগিজ সুপারস্টার। আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতেই শট নিলেন তিনি। বল উড়ে গেল ক্রসবারের ওপর দিয়ে।
কখনো খুদে জাদুকর কখনোবা এলিয়েন। প্রায় দুই দশক ফুটবলপ্রেমীদের বুঁদ করে রেখেছিলেন ডান আর বাম পায়ের জাদুতে। ক্যারিয়ারের শেষলগ্নেও এখনো তারা থেকে মহাতারকা হয়ে ঔজ্জ্বল্য ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু বয়স তো কখনো আপস করে না। নক্ষত্রেরও একদিন পতন হয়।
এমেরিক লাপোর্তের গোলে জয়ের পথেই ছিল আল নাসর। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়িয়ে আল শাবাবকে সমতার সুযোগ করে দেন আল নাসরের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার আলী আল হাসান। কিন্তু যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে আল নাসরকে ২-১ ব্যবধানের স্বস্তির জয় এনে দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একদম শেষ সময়ে পেনাল্টি
মেজাজ হারানোর ঘটনা কি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কাছে একেবারে নতুন? মোটেই তা নয়। গোল করতে না পারার হতাশা বা মাঠের কোনো সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলে তৎক্ষণাৎ ক্ষোভ ঝারতে দেখা যায় তাঁকে। পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের কাছে তখন সেটা কোন টুর্নামেন্ট, তাতে যায় আসে না।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গত বছর কেটেছিল দুর্দান্ত। গোল যেমন করেছেন, তেমনি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন। তবে পর্তুগালের জার্সিতে এ বছর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। হতাশাজনক ইউরোতে একটা গোলও করতে পারেননি।
গোল করে আকাশের দিকে তাকালেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুই হাত প্রসারিত করেন। চোখও ছলছল করছিল পর্তুগিজ তারকা ফরোয়ার্ডের। দূর আকাশের তারা হয়ে যাওয়া বাবার কথা রোনালদো স্মরণ করলেন এভাবেই।
এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম ম্যাচে ছিলেন নিষ্প্রভ। তবে প্রিমিয়ার লিগে ফিরতেই স্বরূপে ফিরলেন আর্লিং হালান্ড। পেলেন গোলের দেখা। গতকাল ঘরের মাঠ ইতিহাদে আর্সেনালের বিপক্ষে ৯ মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটিকে এগিয়ে দেন নরওয়েজীয় স্ট্রাইকার। ম্যাচটিতে অবশ্য শেষ মুহূর্তের গোলে হার এড়িয়েছে গত চারবারের লিগ চ্যাম্