আবির আহসান রুদ্র
ইউরোপ প্রথমবারের মতো মঙ্গলের পৃষ্ঠে চলাচলের উপযোগী যান তৈরি করেছে। নাম রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন। ২০২৮ সালের মধ্যে যানটি পাঠানোর পরিকল্পনা আছে প্রস্তুতকারকদের।
তবে, মঙ্গলের মূল সমস্যা হচ্ছে হিমশীতল আবহাওয়া। রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন গ্রহটির পৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর মাইনাস ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার মুখোমুখি হবে। তাই প্রকৌশলীরা যানটিকে যথাসম্ভব গরম রাখতে ‘তেজস্ক্রিয়তা ক্ষয়’ প্রক্রিয়া ব্যবহার করবেন। সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গল অভিযানে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট তৈরি করবে। এই ডিভাইস সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত শক্তির ওপর নির্ভর না করে ক্ষয়ে যাওয়া আইসোটোপ থেকে শক্তি ব্যবহার করবে।
রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিটকে বিশেষ করে তুলবে প্লুটোনিয়াম ২৩৮-এর পরিবর্তে আমেরিসিয়াম ২৪১-এর অভিনব ব্যবহার। প্লুটোনিয়ামের চেয়ে কম শক্তিশালী হলেও আমেরিসিয়াম অনেক সস্তা ও সহজলভ্য। তাই তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিটের জন্য বেশি শক্তির প্রয়োজন হলেও বেশি অর্থ খরচের প্রয়োজন হবে না।
মঙ্গলে পৌঁছালে তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট যানটির অবতরণ কাঠামোর তাপ সরঞ্জামগুলোকে সাহায্য করবে। এটি পরবর্তী সময়ে রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনকে মঙ্গলের পৃষ্ঠ স্পর্শ করার আগে যথাসম্ভব শক্তি জোগাবে। যানটি কেবল ল্যান্ডার ত্যাগ করার পরই সোলার প্যানেল প্রসারিত করবে। এতে কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করতে পারবে।
নেচার জার্নালের তথ্যমতে, আগে ইউরোপীয় মহাকাশ অভিযান যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। কারণ, দেশ দুটি ইউরোপকে প্লুটোনিয়াম ২৩৮ সরবরাহ করত। মঙ্গলে যান পাঠানোর মিশনে শুরুতে রাশিয়া যুক্ত থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চুক্তি থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের পুরো অভিযানের সঙ্গে নাসাকে যুক্ত করে সম্পূর্ণ নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়। তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট ছাড়াও মঙ্গলে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র রকেট ও ল্যান্ডার ব্রেকিং ইঞ্জিন সরবরাহ করবে।
নতুন তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট ইউরোপের রেডিও আইসোটোপ এনার্জি প্রজেক্টের অংশ। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণে একই ধরনের শক্তির উৎস তৈরি করা। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে, এই দশকের শেষের দিকে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা আমেরিসিয়াম ব্যবহার করে পারমাণবিক ব্যাটারি তৈরি করার সামর্থ্য অর্জন করবে। শুধু তাপ উৎপাদনের পরিবর্তে এই ব্যাটারি মহাকাশযানের জন্য শক্তিকে রূপান্তর করবে বিদ্যুতে।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে কাজ করতে লম্বা তালিকার নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু নেচার জার্নালের মতে, ২০২৮ সালের মধ্যে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন সাড়ে ৬ ফুট লম্বা ড্রিল দিয়ে মঙ্গলের পৃষ্ঠ খনন করে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে বেড়াবে।
সূত্র: নেচার ও পপুলার সায়েন্স
ইউরোপ প্রথমবারের মতো মঙ্গলের পৃষ্ঠে চলাচলের উপযোগী যান তৈরি করেছে। নাম রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন। ২০২৮ সালের মধ্যে যানটি পাঠানোর পরিকল্পনা আছে প্রস্তুতকারকদের।
তবে, মঙ্গলের মূল সমস্যা হচ্ছে হিমশীতল আবহাওয়া। রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন গ্রহটির পৃষ্ঠে পৌঁছানোর পর মাইনাস ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার মুখোমুখি হবে। তাই প্রকৌশলীরা যানটিকে যথাসম্ভব গরম রাখতে ‘তেজস্ক্রিয়তা ক্ষয়’ প্রক্রিয়া ব্যবহার করবেন। সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুযায়ী, মঙ্গল অভিযানে ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি নাসার সঙ্গে যুক্ত হয়ে তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট তৈরি করবে। এই ডিভাইস সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত শক্তির ওপর নির্ভর না করে ক্ষয়ে যাওয়া আইসোটোপ থেকে শক্তি ব্যবহার করবে।
রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিটকে বিশেষ করে তুলবে প্লুটোনিয়াম ২৩৮-এর পরিবর্তে আমেরিসিয়াম ২৪১-এর অভিনব ব্যবহার। প্লুটোনিয়ামের চেয়ে কম শক্তিশালী হলেও আমেরিসিয়াম অনেক সস্তা ও সহজলভ্য। তাই তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিটের জন্য বেশি শক্তির প্রয়োজন হলেও বেশি অর্থ খরচের প্রয়োজন হবে না।
মঙ্গলে পৌঁছালে তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট যানটির অবতরণ কাঠামোর তাপ সরঞ্জামগুলোকে সাহায্য করবে। এটি পরবর্তী সময়ে রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনকে মঙ্গলের পৃষ্ঠ স্পর্শ করার আগে যথাসম্ভব শক্তি জোগাবে। যানটি কেবল ল্যান্ডার ত্যাগ করার পরই সোলার প্যানেল প্রসারিত করবে। এতে কার্যক্রম পরিচালনায় কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট ব্যাকআপ হিসেবে কাজ করতে পারবে।
নেচার জার্নালের তথ্যমতে, আগে ইউরোপীয় মহাকাশ অভিযান যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল। কারণ, দেশ দুটি ইউরোপকে প্লুটোনিয়াম ২৩৮ সরবরাহ করত। মঙ্গলে যান পাঠানোর মিশনে শুরুতে রাশিয়া যুক্ত থাকলেও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চুক্তি থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়া হয়। এ কারণে রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিনের পুরো অভিযানের সঙ্গে নাসাকে যুক্ত করে সম্পূর্ণ নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়। তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট ছাড়াও মঙ্গলে যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র রকেট ও ল্যান্ডার ব্রেকিং ইঞ্জিন সরবরাহ করবে।
নতুন তেজস্ক্রিয় হিটার ইউনিট ইউরোপের রেডিও আইসোটোপ এনার্জি প্রজেক্টের অংশ। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, ভবিষ্যতে মহাকাশ ভ্রমণে একই ধরনের শক্তির উৎস তৈরি করা। সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করলে, এই দশকের শেষের দিকে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা আমেরিসিয়াম ব্যবহার করে পারমাণবিক ব্যাটারি তৈরি করার সামর্থ্য অর্জন করবে। শুধু তাপ উৎপাদনের পরিবর্তে এই ব্যাটারি মহাকাশযানের জন্য শক্তিকে রূপান্তর করবে বিদ্যুতে।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ নিয়ে কাজ করতে লম্বা তালিকার নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু নেচার জার্নালের মতে, ২০২৮ সালের মধ্যে মঙ্গলে যাওয়ার জন্য ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির যথেষ্ট প্রস্তুতি রয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর পর রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন সাড়ে ৬ ফুট লম্বা ড্রিল দিয়ে মঙ্গলের পৃষ্ঠ খনন করে প্রাণের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে বেড়াবে।
সূত্র: নেচার ও পপুলার সায়েন্স
এআই চ্যাটবট কি একদিন আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে পারে? নতুন এক গবেষণা বলছে, হ্যাঁ পারে। এটি আর নিছক বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি নয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলগুলো দিন দিন আরও তীক্ষ্ণ ও ধূর্ত হয়ে উঠছে।
৬ ঘণ্টা আগেইন্টারনেটে যে কেউ হঠাৎ ভাইরাল হতে পারে। অনেক সময় তার পেছনে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যাও থাকে না। এমনই এক ঘটনা ঘটেছে জাপানের এক নারী সাওরি আরাকিকে ঘিরে।
১৩ ঘণ্টা আগেআর্দ্র আবহাওয়াতেও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারে—এমন একধরনের ভাঁজযোগ্য সৌরকোষ তৈরি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা। এটি খুব কম খরচেই তৈরি করা সম্ভব বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা। তাই এই উদ্ভাবন সৌরপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১৩ ঘণ্টা আগেমিস্টার বিস্ট নামে পরিচিত ইউটিবের সুপারস্টার জিমি ডোনাল্ডসন নতুন ইতিহাস গড়লেন। তাঁর প্রধান চ্যানেল ৪০০ মিলিয়ন বা ৪০ কোটি সাবস্ক্রাইবার পার করায় বিশ্বের প্রথম একক ক্রিয়েটরের স্বীকৃতি পেলেন তিনি। এই উপলক্ষে ইউটিউব তাঁকে একটি বিশেষ ধরনের প্লে বাটন ট্রফি প্রদান করে, যা এই অবিস্মরণীয় কৃতিত্বের স্মারক।
১৬ ঘণ্টা আগে