অনলাইন ডেস্ক
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সাহায্যে তৈরি করা ভুয়া মামলার তথ্য আদালতে দাখিল করায় যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের এক আইনজীবীকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। আদালতের দাখিল করা এক নথিতে তিনি এমন কিছু মামলার উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যা আসলে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি—এমনকি স্বীকৃত কোনো আইনি তথ্যভান্ডারেও না। আদালত বলছেন, এই ভুলের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ একজন আইনজীবীর দায়িত্ব সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে আদালতে উপস্থাপন করা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি৪-এর বরাতে জানা যায়, রিচার্ড বেডনার নামে ইউটাহ-ভিত্তিক এক আইনজীবী সম্প্রতি একটি মামলায় ‘ইন্টারলোকিউটরি আপিল’-সংক্রান্ত একটি আবেদনপত্র দাখিল করেন, যেখানে একাধিক ভুল ও মিথ্যা মামলার উল্লেখ পাওয়া যায়। ওই আবেদনে বেডনারের সহকর্মী ছিলেন আরেক আইনজীবী ডগলাস ডারবানো। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডারবানো আবেদন তৈরির কাজে জড়িত ছিলেন না।
আদালতে দাখিল করা ওই আবেদনের পর প্রতিপক্ষের আইনজীবী আবিষ্কার করেন যে আবেদনে উল্লেখিত কিছু মামলা আদতেই কোনো আইনি ডেটাবেইস নেই এবং তা সম্ভবত কেবল চ্যাটজিপিটিতে খুঁজে পাওয়া যায়। একটি মামলার নাম ছিল ‘Royer v Nelson’, যা বাস্তবে কোনো আইনি রেকর্ডেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আদালতে দাখিল করা একটি নথিতে বলা হয়, ‘আবেদনের কিছু অংশ সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মিথ্যা মামলার উদ্ধৃতি ও ভুল উদ্ধৃতিও।’
এ ঘটনার জন্য বেডনার ক্ষমা চেয়ে দায় স্বীকার করেন। এবিসি ৪ জানায়, এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে বেডনার এবং তার আইনজীবী স্বীকার করেন যে আবেদনে ‘চ্যাটজিপিটি’ দ্বারা তৈরি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা আইনি তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তারা এর পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন।
বেডনার জানান, একটি ‘অপরিচিত, লাইসেন্সবিহীন আইনি সহকারী’ ওই আবেদন তৈরি করেছিলেন এবং বেডনার নিজে যথাযথভাবে যাচাই না করেই আদালতে তা দাখিল করেন। পরে ওই সহকারী, যিনি একজন আইনের ছাত্র ছিলেন, তাঁকে আইনজীবীর ফার্ম থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আদালতে বেডনার জানিয়েছেন, তিনি আদালতের শুনানি ও মামলার আবেদনের জন্য প্রতিপক্ষের আইনজীবীর ফি প্রদান করবেন এবং ক্লায়েন্টের কাছ থেকে যে ফি নেওয়া হয়েছিল, সেটিও ফেরত দেবেন। পাশাপাশি, তিনি ইউটাহ-ভিত্তিক আইন সহায়তা প্রদানকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’-এ ১ হাজার ডলার অনুদান দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউটাহ আপিল কোর্ট এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আইনি গবেষণার ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির মতো এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, তবে প্রতিটি আইনজীবীর দায়িত্ব হলো আদালতে দাখিল করার আগে সমস্ত তথ্যের নির্ভুলতা যাচাই করা। এ ক্ষেত্রে বেডনার সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।’
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সাহায্যে তৈরি করা ভুয়া মামলার তথ্য আদালতে দাখিল করায় যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের এক আইনজীবীকে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। আদালতের দাখিল করা এক নথিতে তিনি এমন কিছু মামলার উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যা আসলে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি—এমনকি স্বীকৃত কোনো আইনি তথ্যভান্ডারেও না। আদালত বলছেন, এই ভুলের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। কারণ একজন আইনজীবীর দায়িত্ব সব তথ্য ভালোভাবে যাচাই করে আদালতে উপস্থাপন করা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম এবিসি৪-এর বরাতে জানা যায়, রিচার্ড বেডনার নামে ইউটাহ-ভিত্তিক এক আইনজীবী সম্প্রতি একটি মামলায় ‘ইন্টারলোকিউটরি আপিল’-সংক্রান্ত একটি আবেদনপত্র দাখিল করেন, যেখানে একাধিক ভুল ও মিথ্যা মামলার উল্লেখ পাওয়া যায়। ওই আবেদনে বেডনারের সহকর্মী ছিলেন আরেক আইনজীবী ডগলাস ডারবানো। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডারবানো আবেদন তৈরির কাজে জড়িত ছিলেন না।
আদালতে দাখিল করা ওই আবেদনের পর প্রতিপক্ষের আইনজীবী আবিষ্কার করেন যে আবেদনে উল্লেখিত কিছু মামলা আদতেই কোনো আইনি ডেটাবেইস নেই এবং তা সম্ভবত কেবল চ্যাটজিপিটিতে খুঁজে পাওয়া যায়। একটি মামলার নাম ছিল ‘Royer v Nelson’, যা বাস্তবে কোনো আইনি রেকর্ডেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আদালতে দাখিল করা একটি নথিতে বলা হয়, ‘আবেদনের কিছু অংশ সম্ভবত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মিথ্যা মামলার উদ্ধৃতি ও ভুল উদ্ধৃতিও।’
এ ঘটনার জন্য বেডনার ক্ষমা চেয়ে দায় স্বীকার করেন। এবিসি ৪ জানায়, এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে বেডনার এবং তার আইনজীবী স্বীকার করেন যে আবেদনে ‘চ্যাটজিপিটি’ দ্বারা তৈরি বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা আইনি তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল এবং তারা এর পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছেন।
বেডনার জানান, একটি ‘অপরিচিত, লাইসেন্সবিহীন আইনি সহকারী’ ওই আবেদন তৈরি করেছিলেন এবং বেডনার নিজে যথাযথভাবে যাচাই না করেই আদালতে তা দাখিল করেন। পরে ওই সহকারী, যিনি একজন আইনের ছাত্র ছিলেন, তাঁকে আইনজীবীর ফার্ম থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
আদালতে বেডনার জানিয়েছেন, তিনি আদালতের শুনানি ও মামলার আবেদনের জন্য প্রতিপক্ষের আইনজীবীর ফি প্রদান করবেন এবং ক্লায়েন্টের কাছ থেকে যে ফি নেওয়া হয়েছিল, সেটিও ফেরত দেবেন। পাশাপাশি, তিনি ইউটাহ-ভিত্তিক আইন সহায়তা প্রদানকারী অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘অ্যান্ড জাস্টিস ফর অল’-এ ১ হাজার ডলার অনুদান দেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
ইউটাহ আপিল কোর্ট এক বিবৃতিতে জানায়, ‘আইনি গবেষণার ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির মতো এআই প্রযুক্তির ব্যবহার ভবিষ্যতে আরও বাড়বে, তবে প্রতিটি আইনজীবীর দায়িত্ব হলো আদালতে দাখিল করার আগে সমস্ত তথ্যের নির্ভুলতা যাচাই করা। এ ক্ষেত্রে বেডনার সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন।’
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
অ্যাপ ভিত্তিক অর্থ লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম গুগল ওয়ালেট থেকে পেপ্যাল বাদ দেওয়া হচ্ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুগল ওয়ালেট ব্যবহারকারীরা তাঁদের পেপ্যাল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন না।
৯ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ইনস্টাগ্রাম শুধু ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম নয়, ভিডিও-ও এখানে সমান জনপ্রিয়। প্ল্যাটফর্মটিতে খুব সহজেই একসঙ্গে একাধিক ছবি ও ভিডিও যুক্ত করে একটি ক্যারাসোল পোস্ট তৈরি করা যায়। এতে আপনার কনটেন্ট আরও আকর্ষণীয় হয় এবং ব্যবহারকারীরা একের পর এক সোয়াইপ করে সব কনটেন্ট দেখতে পারেন।
১১ ঘণ্টা আগেচীনের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি হুয়াওয়ের নতুন স্মার্টফোন সিরিজ ‘পুরা ৮০’ উন্মোচন হবে আগামী ১১ জুন। এর সঙ্গে একাধিক স্মার্ট পণ্যও উন্মোচন করবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি।
১ দিন আগেকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তথা এআই—এর সর্বশেষ মডেলগুলো ব্যবহারকারীদের কাছে মিথ্যা বলছে। এমনই অভিযোগ করেছেন এআই গডফাদারদের একজন কানাডার শিক্ষাবিদ জোশুয়া বেনজিও। তিনি বলেছেন, কেবল মিথ্যা বলাই নয়, আরও অনেক বিপজ্জনক বৈশিষ্ট্য দেখাচ্ছে এআই।
১ দিন আগে