অনলাইন ডেস্ক
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অন্তর্ভুক্ত করলে বিভিন্ন কাজ দ্রুত ও সহজভাবে করা যায়। তাই এআই নিয়ে অতি উৎসাহী ব্যবসায়ীরা। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বিশেষ করে নেতৃত্ব পর্যায়ে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণার অভাব থাকায় সংস্থাগুলোর মধ্যে এর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এক জরিপের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণের চেষ্টা করে মার্কিন বহুজাতিক পেশাদার সংস্থা এক্সচেঞ্জার। বিশ্বের ৩ হাজার ৪৫০টি সি-স্যুট নেতার এবং ৩ হাজার কর্মীর তথ্য নেওয়া হয় এই জরিপে। এখানে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর বার্ষিক আয় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
উল্লেখ্য, একটি ব্যবসায়িক সংস্থার শীর্ষস্থানীয় নির্বাহী দলকে সি-স্যুট বোঝায়। যেখানে সি দিয়ে ‘চিফ’ (প্রধান) বোঝানো হয়। এই দলের সদস্যরা সংস্থার মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণত সি স্যুটের অন্তর্ভুক্ত কিছু প্রধান পদ হলো—প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও), প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও), প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)।
এক্সচেঞ্জারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সি-স্যুট নেতারা ২০২৫ সালে তাদের সংস্থায় আরও বেশি পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন, যেখানে চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বেশি পরিবর্তন হওয়ার আশা করছেন ৭২ শতাংশ সি-স্যুট নেতা।
অন্যদিকে একই স্তরের পরিবর্তন থাকবে বলে আশা করছেন ২৩ শতাংশ নেতা। এর আগে সি-স্যুট নেতাদের ৮৮ শতাংশ আশা করেছিলেন যে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আরও বেশি পরিবর্তন হবে। তবে ২০২৪ সালে তুলনামূলক কম পরিবর্তন হয়।
২০২৫ সালে ব্যবসায়িক পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য নিজেদের ‘খুব প্রস্তুত’ মনে করছেন বিভিন্ন শিল্পের কমসংখ্যক সি-স্যুট নেতা। বিষয়টি কর্মীদের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। তারা নেতাদের তুলনায় আরও কম আত্মবিশ্বাসী।
সি-স্যুট নেতাদের গড় প্রস্তুতির স্তর ছিল ৪৩ শতাংশ। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও উভয়ের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে, তবু নেতারা এআইতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
২০২৫ সালে জেনেরেটিভ এআইতে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত বলে মনে করেন বেশির ভাগ (৮৬ শতাংশ) সি-স্যুট নেতা। অন্যদিকে ৮৩ শতাংশ নেতাই দাবি করেছেন যে, গত বছরের জেনেরেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তারা আগামী বছরের জন্য ‘ইতিবাচক ব্যবসায়িক প্রভাবের আরও বড় সম্ভাবনা’ দেখতে পাচ্ছেন।
এ ছাড়া, আইটি খাতকে এআই বিনিয়োগের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে দেখছেন ৫০ শতাংশ সি-স্যুট নেতা। এর পরেই ইঞ্জিনিয়ারিং, উৎপাদন, প্রোডাকশন এবং অপারেশন (৩৮ শতাংশ) এবং গ্রাহকসেবা (২৯ শতাংশ) অবস্থান করছে।
এ ছাড়া, গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রাখে জেনেরেটিভ এআই। কারণ এটি বিশাল পরিমাণে ডেটা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন করতে পারে এবং এরপর গ্রাহকদের সঙ্গে কথোপকথনে প্রাসঙ্গিক তথ্য ব্যবহার করে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশ সুবিধা থাকলেও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। সি-সুইট নেতারা মূলত ‘রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট’ (বিনিয়োগের ওপর লাভ) স্পষ্ট না হওয়া (২৬ শতাংশ) এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতাগুলো প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা (সি-স্যুট নেতারা) এবং সাধারণ কর্মীরা জেনেরেটিভ এআইয়ের গুরুত্ব এবং সম্ভাব্য উপকারিতা সম্পর্কে আলাদা ধারণা পোষণ করেন। সি-স্যুট নেতারা এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং তা কীভাবে ব্যবসায়িক সফলতা আনতে পারে তা আরও গভীরভাবে বুঝতে পারেন। তবে কর্মীরা তা তেমনভাবে উপলব্ধি করতে পারেন না। এর ফলে, দুই পক্ষের মধ্যে ২০ শতাংশ পার্থক্য তৈরি হচ্ছে।
এদিকে, ৫৫ শতাংশ কর্মী জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআই টুলস ব্যবহার করার পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ এবং স্পষ্ট দিকনির্দেশনা তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ক্ষেত্রে। এটি আরও ভালো যোগাযোগ এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
তথ্যসূত্র: জেডনেট
ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই অন্তর্ভুক্ত করলে বিভিন্ন কাজ দ্রুত ও সহজভাবে করা যায়। তাই এআই নিয়ে অতি উৎসাহী ব্যবসায়ীরা। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহার নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বিশেষ করে নেতৃত্ব পর্যায়ে এই প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণার অভাব থাকায় সংস্থাগুলোর মধ্যে এর ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতাকে বাধাগ্রস্ত করেছে।
এক জরিপের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি বিশ্লেষণের চেষ্টা করে মার্কিন বহুজাতিক পেশাদার সংস্থা এক্সচেঞ্জার। বিশ্বের ৩ হাজার ৪৫০টি সি-স্যুট নেতার এবং ৩ হাজার কর্মীর তথ্য নেওয়া হয় এই জরিপে। এখানে অংশগ্রহণকারী সংস্থাগুলোর বার্ষিক আয় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
উল্লেখ্য, একটি ব্যবসায়িক সংস্থার শীর্ষস্থানীয় নির্বাহী দলকে সি-স্যুট বোঝায়। যেখানে সি দিয়ে ‘চিফ’ (প্রধান) বোঝানো হয়। এই দলের সদস্যরা সংস্থার মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। সাধারণত সি স্যুটের অন্তর্ভুক্ত কিছু প্রধান পদ হলো—প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও), প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও), প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (সিআইও) ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও)।
এক্সচেঞ্জারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সি-স্যুট নেতারা ২০২৫ সালে তাদের সংস্থায় আরও বেশি পরিবর্তন প্রত্যাশা করছেন, যেখানে চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরও বেশি পরিবর্তন হওয়ার আশা করছেন ৭২ শতাংশ সি-স্যুট নেতা।
অন্যদিকে একই স্তরের পরিবর্তন থাকবে বলে আশা করছেন ২৩ শতাংশ নেতা। এর আগে সি-স্যুট নেতাদের ৮৮ শতাংশ আশা করেছিলেন যে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আরও বেশি পরিবর্তন হবে। তবে ২০২৪ সালে তুলনামূলক কম পরিবর্তন হয়।
২০২৫ সালে ব্যবসায়িক পরিবেশের পরিবর্তনের জন্য নিজেদের ‘খুব প্রস্তুত’ মনে করছেন বিভিন্ন শিল্পের কমসংখ্যক সি-স্যুট নেতা। বিষয়টি কর্মীদের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়েছে। তারা নেতাদের তুলনায় আরও কম আত্মবিশ্বাসী।
সি-স্যুট নেতাদের গড় প্রস্তুতির স্তর ছিল ৪৩ শতাংশ। কর্মীদের আত্মবিশ্বাস ৩৬ শতাংশে নেমে এসেছে। যদিও উভয়ের মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে, তবু নেতারা এআইতে বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত।
২০২৫ সালে জেনেরেটিভ এআইতে তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য প্রস্তুত বলে মনে করেন বেশির ভাগ (৮৬ শতাংশ) সি-স্যুট নেতা। অন্যদিকে ৮৩ শতাংশ নেতাই দাবি করেছেন যে, গত বছরের জেনেরেটিভ এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তারা আগামী বছরের জন্য ‘ইতিবাচক ব্যবসায়িক প্রভাবের আরও বড় সম্ভাবনা’ দেখতে পাচ্ছেন।
এ ছাড়া, আইটি খাতকে এআই বিনিয়োগের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে দেখছেন ৫০ শতাংশ সি-স্যুট নেতা। এর পরেই ইঞ্জিনিয়ারিং, উৎপাদন, প্রোডাকশন এবং অপারেশন (৩৮ শতাংশ) এবং গ্রাহকসেবা (২৯ শতাংশ) অবস্থান করছে।
এ ছাড়া, গ্রাহকসেবার ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা রাখে জেনেরেটিভ এআই। কারণ এটি বিশাল পরিমাণে ডেটা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন করতে পারে এবং এরপর গ্রাহকদের সঙ্গে কথোপকথনে প্রাসঙ্গিক তথ্য ব্যবহার করে তাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম।
এআই প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশ সুবিধা থাকলেও এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাধা রয়েছে। সি-সুইট নেতারা মূলত ‘রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট’ (বিনিয়োগের ওপর লাভ) স্পষ্ট না হওয়া (২৬ শতাংশ) এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো-সংক্রান্ত সীমাবদ্ধতাগুলো প্রধান বাধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ব্যবসায়ী নেতারা (সি-স্যুট নেতারা) এবং সাধারণ কর্মীরা জেনেরেটিভ এআইয়ের গুরুত্ব এবং সম্ভাব্য উপকারিতা সম্পর্কে আলাদা ধারণা পোষণ করেন। সি-স্যুট নেতারা এই প্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং তা কীভাবে ব্যবসায়িক সফলতা আনতে পারে তা আরও গভীরভাবে বুঝতে পারেন। তবে কর্মীরা তা তেমনভাবে উপলব্ধি করতে পারেন না। এর ফলে, দুই পক্ষের মধ্যে ২০ শতাংশ পার্থক্য তৈরি হচ্ছে।
এদিকে, ৫৫ শতাংশ কর্মী জানিয়েছে, জেনারেটিভ এআই টুলস ব্যবহার করার পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ এবং স্পষ্ট দিকনির্দেশনা তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে ক্ষেত্রে। এটি আরও ভালো যোগাযোগ এবং প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়।
তথ্যসূত্র: জেডনেট
সারা বিশ্বের প্রযুক্তি বাজারকে কাঁপিয়ে দিয়েছে চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গবেষণা প্রতিষ্ঠান ডিপসিকের তৈরি করা নতুন এআই ভাষা মডেল ‘ডিপসিক আর১ ’। তাই এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের আধিপত্য বজায় রাখতে রিজনিং মডেল ‘ও ৩ মিনি’ বিনা মূল্যে ব্যবহারে সুযোগ দিচ্ছে ওপেনএআই।
৯ মিনিট আগেটেক জায়ান্ট গুগল তার ‘প্ল্যাটফর্মস অ্যান্ড ডিভাইস’ দলে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কর্মীদের জন্য একটি ‘ভলিউন্টারি এক্সিট’ প্রোগ্রাম চালু করছে। অর্থাৎ এই বিভাগে কর্মীরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে পারবে। পিক্সেল এবং অ্যান্ড্রয়েড প্রকল্পগুলো একত্রিত করে গত বছর এই ডিভিশন তৈরি করে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগেহোয়াটসঅ্যাপে ১০০ সাংবাদিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তির ওপর নজরদারি করেছে ইসরায়েলি সংস্থা প্যারাগন সলিউশনস। মেটা-মালিকানাধীন এই ম্যাসেজিং অ্যাপের এক কর্মী জানিয়েছে, কিছু হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্ট ‘সম্ভবত আক্রান্ত’ হয়েছে স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে। তাদের ডিভাইসের নিরাপত্তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেযখন ডিপসিকের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে, তখন একটি পুরোনো জাপানি ধারণা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। আর সেটি হলো ‘কাইজেন’। এর অর্থ অবিচ্ছিন্ন উন্নতি। আজকাল কাইজেনের ধারণাটি শুধু জাপান নয়, চীনের জন্যও শক্তিশালী এক কৌশল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পশ্চিমা বিশ্বের জন্য এটি উদ্বেগ
১ দিন আগে