Ajker Patrika

মেসির প্রতি কেন পিএসজির দুয়োধ্বনি 

আপডেট : ২৪ জুন ২০২৩, ১৩: ৩৯
মেসির প্রতি কেন পিএসজির দুয়োধ্বনি 

প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) শুরুর দিকে সময়টা ভালোই যাচ্ছিল লিওনেল মেসির। পারফরম্যান্স যেমনই হোক, পিএসজির সমর্থকদের থেকে উৎসাহ পেতেন তিনি। তবে হঠাৎ করেই সবকিছু ধীরে ধীরে পাল্টাতে থাকে। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের প্রতি বিরূপ আচরণ করতে থাকেন পিএসজির সমর্থকেরা। 

২০২১ সালে বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে আসেন মেসি। ক্লাবটির হয়ে দুই মৌসুম দুই ভিন্ন কোচের অধীনে খেলেন তিনি। ২০২১-২২ মৌসুম তিনি খেলেন মরিসিও পচেত্তিনোর অধীনে এবং ক্রিস্তফ গালতিয়েরের অধীনে খেলেন ২০২২-২৩ মৌসুম। দুটি লিগ ওয়ান ও একটি ট্রফি দেস চ্যাম্পিয়ন—দুই মৌসুমে তিনটি শিরোপা মেসি জেতেন পিএসজির জার্সিতে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা হয়নি তাঁর। মেসি, নেইমার, কিলিয়ান এমবাপ্পে—এই ত্রয়ী নিয়ে গড়া পিএসজির জেতা হয়নি অধরা চ্যাম্পিয়নস লিগ। এ ছাড়া এ বছরের মে মাসে সৌদি আরবে বেড়াতে যান মেসি। পিএসজির অনুমতি ছাড়া যাওয়ায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের থেকে শাস্তিও পেয়েছিলেন। মেসির প্রতি সমর্থকদের ক্ষোভ বেড়ে যায় অনেক। বিশেষ করে পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচে আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারকে দুয়ো দেওয়া তো নিয়মিত ঘটনা ছিল। গোল করা তো পরের ব্যাপার, তাঁর পায়ে বল মানেই গ্যালারি থেকে দুয়ো আসত। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডকে লক্ষ্য করে শিষ দেওয়া হয়েছিল। পিএসজির আলট্রাস সমর্থকেরা ক্লাবের বাইরে মেসিকে কটাক্ষ করে স্লোগানও দিয়েছেন। 

সমর্থকদের এমন বিরূপ আচরণে পিএসজির পরিবেশ মেসির কাছে হয়ে ওঠে ‘বিষাক্ত’। এ বছরের জুনে প্যারিসিয়ানদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ইতি ঘটেছে। পিএসজির অবস্থা নিয়ে আরএমসি স্পোর্টকে মেসি বলেন, ‘প্রথমে সবকিছু ভালোই ছিল। ক্লাব থেকে অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনা পেয়েছিলাম। হঠাৎ প্যারিসে সমর্থকদের অনেকেই ভিন্ন রকম আচরণ শুরু করেন। প্যারিসে সমর্থকদের বড় অংশের মধ্যে ভাঙন ধরে। আমি এটা অবশ্যই চাইনি। এমন ঘটনা নেইমার ও এমবাপ্পের সঙ্গেও ঘটেছে। তবে যারা আমাকে শুরুর মতো ভালোবেসেছেন, তাদের আমি মনে রেখেছি।’ 

পিএসজির পর মেসির এখন গন্তব্য ইন্টার মিয়ামি। আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তির কাছাকাছি ইন্টার মিয়ামি। এরই মধ্যে তিনি মিয়ামিতে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনে ফেলেছেন। ২০১৯ সালে মিয়ামিতে পোর্শ ডিজাইন টাওয়ারে মেসি একটি অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে তাঁর খরচ হয়েছে ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ৯৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। পোর্শ ডিজাইন টাওয়ার এই বাড়ি তৈরি হয়েছে ২০১৭ সালে। এই বিল্ডিং থেকে মিয়ামি সমুদ্রসৈকত কয়েক সেকেন্ড দূরে। আর ইন্টার মিয়ামি স্টেডিয়াম থেকে তা ২৫ মিনিট দূরের পথ। মেসির নতুন বাড়িতে রয়েছে সিনেমা, গলফ, রেসিং সিমুলেটরস এবং ঘরোয়া পর্যায়ে রেস্তোরাঁর ব্যবস্থা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত