২০১৩ সালে নেইমারকে কেনার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের তখনকার উঠতি তারকা শেষ পর্যন্ত পেরেজকে অপেক্ষায় রেখে নাম লেখান রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনায়। নেইমারকে না পাওয়ার জিদ থেকেই অন্য পন্থায় হেঁটেছিলেন পেরেজ যা আজ রিয়ালকে দেখাচ্ছে তাদের ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন।
বার্সার আর্থিক বিপর্যয় আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানো- দুই জায়গাতেই নেইমার সংযোগ আছে। ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে নেইমার পিএসজিতে চলে যাওয়ার পর কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে খেলোয়াড় কিনেছিলেন বার্সার তখনকার প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শূন্যস্থান পূরণ করতে গিয়ে ফিলিপে কুতিনহো, উসমানে দেম্বেলে ও আতোঁয়ান গ্রিজমানকে কিনতে যে পরিমাণ অর্থ ঢেলেছিলেন বার্তেমেউ সেটাই আজ বার্সার আর্থিক দুরবস্থার প্রধান কারণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দেখে সতর্ক হয়েছেন পেরেজ। বর্তমানের নেইমার নয়, ভবিষ্যতের নেইমারদের পেছনে ঠান্ডা মাথায় খরচ করে ইউরোপ জয়ের মতো একটা দল বানিয়েছেন রিয়াল প্রধান।
পেরেজের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল ২০১৫ সাল থেকে। সেই সময় থেকে এই আট বছরে কেবল এডেন হ্যাজার্ড ও লুকা জোভিচ ছাড়া কোনো খেলোয়াড়ের পেছনেই ৫ কোটি ইউরোর বেশি খরচ করেনি রিয়াল। বুঝে শুনে টাকা খরচের এই সিদ্ধান্তটাই করোনার সময় রিয়ালকে দেখিয়েছে লাভের মুখ। আর ব্যর্থ খেলোয়াড় কিনে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে বার্সা।
কিলিয়ান এমবাপ্পে'র পেছনে অবশ্য টাকা ঢালতে চেয়েছিলেন পেরেজ তার অন্যতম কারণ এমবাপ্পের বয়স। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা, রদ্রিগোদের মতো ফুটবলারদের পেছনে খুব বেশি খরচ করতে হয়নি পেরেজকে। এই ফুটবলাররাই এখন কার্লো আনচেলত্তির তুরুপের তাস।
রেনে থেকে কামাভিঙ্গাকে কিনতে রিয়ালের খরচ হয়েছে ৩১ মিলিয়ন ইউরো। সান্তোস থেকে রদ্রিগো ও ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ভিনিসিয়ুস এসেছেন ৪৫ মিলিয়ন ইউরোতে। চেলসি থেকে অ্যান্টনিও রুডিগার আগামী মৌসুমে রিয়ালে আসবেন বিনা ট্রান্সফার ফিতে।
বড় নামের পেছনে না ছুটে মেধাবী, তরুণদের নিয়ে পেরেজের নতুন তারকার হাট বানানোর পরিকল্পনাটা সফল বাস্তবায়ন করেছেন আনচেলত্তি। করিম বেনজেমা-লুকা মদ্রিচের মতো ‘বুড়ো’দের পা যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখনই কামাভিঙ্গা-রদ্রিগোকে ম্যাচের ফল ঘুরিয়ে দিচ্ছেন ইতালিয়ান কোচ। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের যেমন পিএসজির বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। ম্যাচের ৩৩ মিনিট বাকি থাকতে কামাভিঙ্গা ও রদ্রিগো নামতেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। চাপমুক্ত হয়েই ১৬ মিনিটের হ্যাটট্রিকে রিয়ালকে জেতালেন করিম বেনজেমা।
কামাভিঙ্গা-রদ্রিগো জুটির জাদু রিয়ালকে তুলেছে আজকে রাতের ফাইনালেও। সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যখন ফাইনালের সুবাতাস পাচ্ছে ম্যানসিটি তখন দুই মিনিটের দুই গোলে রিয়ালকে অতিরিক্ত সময়ে খেলার সুযোগ বানিয়ে দেন ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ ‘নেইমার’ রদ্রিগো। এমবাপ্পে কিনতে না পারার দুঃখ হয়তো এখনো থাকতে আছে পেরেজের, কিন্তু আজ লিভারপুলকে হারিয়ে প্রেসিডেন্টের সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে তারই পরিকল্পিত ‘বেবি গ্যালাকটিকোস’।
লিভারপুল-রিয়াল সম্পর্কিত পড়ুন:
২০১৩ সালে নেইমারকে কেনার খুব কাছে চলে গিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের তখনকার উঠতি তারকা শেষ পর্যন্ত পেরেজকে অপেক্ষায় রেখে নাম লেখান রিয়ালের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনায়। নেইমারকে না পাওয়ার জিদ থেকেই অন্য পন্থায় হেঁটেছিলেন পেরেজ যা আজ রিয়ালকে দেখাচ্ছে তাদের ১৪তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্ন।
বার্সার আর্থিক বিপর্যয় আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়া রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানো- দুই জায়গাতেই নেইমার সংযোগ আছে। ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ইউরোতে নেইমার পিএসজিতে চলে যাওয়ার পর কাণ্ডজ্ঞানহীনভাবে খেলোয়াড় কিনেছিলেন বার্সার তখনকার প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শূন্যস্থান পূরণ করতে গিয়ে ফিলিপে কুতিনহো, উসমানে দেম্বেলে ও আতোঁয়ান গ্রিজমানকে কিনতে যে পরিমাণ অর্থ ঢেলেছিলেন বার্তেমেউ সেটাই আজ বার্সার আর্থিক দুরবস্থার প্রধান কারণ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের দেখে সতর্ক হয়েছেন পেরেজ। বর্তমানের নেইমার নয়, ভবিষ্যতের নেইমারদের পেছনে ঠান্ডা মাথায় খরচ করে ইউরোপ জয়ের মতো একটা দল বানিয়েছেন রিয়াল প্রধান।
পেরেজের পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল ২০১৫ সাল থেকে। সেই সময় থেকে এই আট বছরে কেবল এডেন হ্যাজার্ড ও লুকা জোভিচ ছাড়া কোনো খেলোয়াড়ের পেছনেই ৫ কোটি ইউরোর বেশি খরচ করেনি রিয়াল। বুঝে শুনে টাকা খরচের এই সিদ্ধান্তটাই করোনার সময় রিয়ালকে দেখিয়েছে লাভের মুখ। আর ব্যর্থ খেলোয়াড় কিনে লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে দেউলিয়া হওয়ার ঝুঁকিতে আছে বার্সা।
কিলিয়ান এমবাপ্পে'র পেছনে অবশ্য টাকা ঢালতে চেয়েছিলেন পেরেজ তার অন্যতম কারণ এমবাপ্পের বয়স। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা, রদ্রিগোদের মতো ফুটবলারদের পেছনে খুব বেশি খরচ করতে হয়নি পেরেজকে। এই ফুটবলাররাই এখন কার্লো আনচেলত্তির তুরুপের তাস।
রেনে থেকে কামাভিঙ্গাকে কিনতে রিয়ালের খরচ হয়েছে ৩১ মিলিয়ন ইউরো। সান্তোস থেকে রদ্রিগো ও ফ্ল্যামেঙ্গো থেকে ভিনিসিয়ুস এসেছেন ৪৫ মিলিয়ন ইউরোতে। চেলসি থেকে অ্যান্টনিও রুডিগার আগামী মৌসুমে রিয়ালে আসবেন বিনা ট্রান্সফার ফিতে।
বড় নামের পেছনে না ছুটে মেধাবী, তরুণদের নিয়ে পেরেজের নতুন তারকার হাট বানানোর পরিকল্পনাটা সফল বাস্তবায়ন করেছেন আনচেলত্তি। করিম বেনজেমা-লুকা মদ্রিচের মতো ‘বুড়ো’দের পা যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখনই কামাভিঙ্গা-রদ্রিগোকে ম্যাচের ফল ঘুরিয়ে দিচ্ছেন ইতালিয়ান কোচ। চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের যেমন পিএসজির বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল রিয়াল। ম্যাচের ৩৩ মিনিট বাকি থাকতে কামাভিঙ্গা ও রদ্রিগো নামতেই ঘুরে গেল ম্যাচের মোড়। চাপমুক্ত হয়েই ১৬ মিনিটের হ্যাটট্রিকে রিয়ালকে জেতালেন করিম বেনজেমা।
কামাভিঙ্গা-রদ্রিগো জুটির জাদু রিয়ালকে তুলেছে আজকে রাতের ফাইনালেও। সেমি ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে যখন ফাইনালের সুবাতাস পাচ্ছে ম্যানসিটি তখন দুই মিনিটের দুই গোলে রিয়ালকে অতিরিক্ত সময়ে খেলার সুযোগ বানিয়ে দেন ব্রাজিলের ভবিষ্যৎ ‘নেইমার’ রদ্রিগো। এমবাপ্পে কিনতে না পারার দুঃখ হয়তো এখনো থাকতে আছে পেরেজের, কিন্তু আজ লিভারপুলকে হারিয়ে প্রেসিডেন্টের সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে তারই পরিকল্পিত ‘বেবি গ্যালাকটিকোস’।
লিভারপুল-রিয়াল সম্পর্কিত পড়ুন:
জাতীয় দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। তবে সমালোচনার পাশ কাটিয়ে তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে বাফুফে। কিন্তু এবার ভরা সংবাদ সম্মেলনে কোচের পদত্যাগ চাইলেন জাতীয় দল কমিটির সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহীন, যা কিছুটা বিস্ময়েরই মতোই ছিল।
৩ ঘণ্টা আগেক্রিকেট মাঠে চমকপ্রদ সব বাউন্ডারি ক্যাচের দৃশ্য প্রায়ই মন কাড়ে দর্শকদের। তবে কিছু ‘অস্বাভাবিক’ ক্যাচ নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক উঠেছে। বিশেষ করে মাইকেল নেসার ও টম ব্যানটনের বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) ধরা ক্যাচ ঘিরে সমালোচনা হয় বিস্তর। এবার সেই বিতর্ক এড়াতে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে এল মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব...
৩ ঘণ্টা আগেকাল ভোর ৬টায় শুরু হচ্ছে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। নতুন কলেবরে সাজানো বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই মাঠে নামছে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও সৌদি ক্লাব আল আহলি। ম্যাচটি সরাসরি কোনো টেলিভিশন সম্প্রচার করবে না। ফিফা সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি করেছে ব্রিটিশ ব্রিটিশ ওভার-দ্য-টপ (ওটিটি) স্পোর্টস স্ট্রিমিং...
৪ ঘণ্টা আগেযে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ৮ দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থেকেছে, সেই প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু হচ্ছে ৩২ দলকে নিয়ে। ফুটবলের জন্য যেটিকে ‘নতুন যুগে’র সূচনা বলছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো।
৫ ঘণ্টা আগে