বার্সেলোনার সঙ্গে নতুন চুক্তি লামিনে ইয়ামাল অবশেষে করেই ফেলেছেন। ৬ বছর এই চুক্তিতে মোটা অঙ্কের টাকা পাচ্ছেন তিনি। যেখানে প্রত্যেক সপ্তাহেই পাচ্ছেন ৫ কোটি টাকার বেশি। নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে গতকাল রাতে ইয়ামালের সঙ্গে নতুন চুক্তির কথা জানিয়েছে বার্সেলোনা। এক বিবৃতিতে ক্লাবটি বলেছে, ‘বার্সেলোন
দারুণ এক মৌসুম পার করছেন রাফিনিয়া। এর সুফলও পেলেন ক্লাব থেকে। চুক্তির মেয়াদের বাকি ছিল আরও দুই বছর। বাড়ানোর খুব তাড়া ছিল না। তবে মৌসুমজুড়ে যেভাবে পারফর্ম করেছেন রাফিনিয়া, চলতি মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গারের আরও চুক্তি মেয়াদ বাড়িয়েছে বার্সেলোনা।
এই মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি নিয়ে তুমুল আলোচনা। ছবিটি হয়তো আপনি এরই মধ্যে দেখে ফেলেছেন। ইতালিয়ান স্বনামধন্য ক্রীড়া সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো গতকাল সোমবার একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে দেখা যায়, দুই শিশু ফুটবল নিয়ে খেলছে। ছবির ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘লামিনে ইয়ামালের ভাই ও রাফিনিয়ার ছেলে।’
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেছে বার্সেলোনা। তবু মৌসুমটা তাদের দুর্দান্তই কাটছে। দুটি শিরোপা জেতা হয়ে গিয়েছিল আগেই। বার্সেলোনা অপেক্ষায় ছিল লা লিগার। এস্পানিওলের মাঠে জিতে লিগ শিরোপাও নিশ্চিত হয়ে যায় কাতালানদের। তারপরই বড় আকারে উদ্যাপনের প্রস্তুতি। ঘরোয়া ট্রেবল জিতে ছাদখোলা বাসেই...
দারুণ এক মৌসুম পার করছেন লামিন ইয়ামাল। নিজের পারফরম্যান্সের সঙ্গে দলকেও এনে দিচ্ছেন সাফল্য। রাতে তাঁর চোখ ধাঁধানো গোল ও অ্যাসিস্টে কাতালান ডার্বিতে স্টেডিয়ামে এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার ২৮ তম শিরোপা ঘরে তুলল বার্সেলোনা। চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৩ ম্যাচে ১৭ গোল করার
জিতলেই শিরোপা জয়ের উদ্যাপন করার সুযোগ, এস্পানিওলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই সমীকরণটা বুঝে নিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবলই খেলেছে কাতালানরা। পায়নি কোনো গোলও। শিরোপার অপেক্ষা কি তাহলে বাড়ছে? সমর্থকদের মনে যখন মলিন ছায়া—তখনই ইয়ামালের চোখ ধাঁধানো গোল।
বার্সেলোনার ২০২৪-২৫ মৌসুমের লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। তবে রিয়াল মাদ্রিদ এখনো শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গত রাতে জয়ের পর আত্মবিশ্বাস বেড়েছে রিয়ালের।
এই না হলে এল ক্লাসিকো! বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ ম্যাচের স্কোরলাইন ৪-৩ বলেই শুধু নয়। উত্তেজনায় পরিপূর্ণ এল ক্লাসিকোতে রেফারি আলেহান্দ্রো হার্নান্দেজ হার্নান্দেজও পড়েছেন বিতর্কের মুখে।
১৮ বছর পূর্ণ হতে এখনো বাকি দুই মাসের বেশি সময়। তবে লামিনে ইয়ামালকে দেখে কি তা বোঝার উপায় আছে? প্রতিপক্ষকে যেভাবে বোকা বানিয়ে গোল করছেন, তাতে প্রশংসা কুড়োচ্ছেন অসংখ্য ফুটবলপ্রেমীর। বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক রীতিমতো মুগ্ধ ইয়ামালের পারফরম্যান্স দেখে।
স্প্যানিশ সুপার কাপ, লা লিগা এবং কোপা দেল রের ফাইনাল মিলিয়ে এই মৌসুমে তিন সাক্ষাতের তিনবারই বার্সেলোনার কাছে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তিন ম্যাচের তিনটিতে কমপক্ষে ৩ গোল করে হজম করতে হয়েছে বার্নাব্যুর দলটিকে। তাই আজ আরেকটি এল ক্লাসিকোয় অনেকের কাছে ফেবারিট বার্সেলোনা। আর জেতার জন্য প্রেরণাও আছে...
সুপারম্যান, বাজপাখি—ইন্টার মিলানের গোলরক্ষক ইয়ান সোমেরের গত রাতের পারফরম্যান্স দেখে এসব উপাধিই মনে আসবে। প্রাণপণে লড়তে থাকা বার্সেলোনাকে বলতে গেলে তিনিই হারিয়ে দিয়েছেন। গোলপোস্টের নিচে দাঁড়িয়ে বার্সার একের পর এক শট ফিরিয়ে দিয়ে সোমের বনে গেলেন ম্যাচের মহানায়ক।
সমানে সমানে লড়াই বলতে যা বোঝায়, তা-ই হলো বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান সেমিফাইনালে। দুই দলই প্রাণপণে চেষ্টা করেছে। যার ফল দুই লেগ মিলিয়ে সেমির স্কোরলাইন, ইন্টার মিলান ৭: বার্সেলোনা ৬। এই মৌসুমে ফাইনালের কাছাকাছি গিয়ে ব্যর্থ হলেও বার্সেলোনা তেমন একটা হতাশ নয়।
২০২৪-২৫ মৌসুমের লা লিগা শেষভাগে এসে পড়েছে। টুর্নামেন্ট যতই গড়াচ্ছে, ততই জমজমাট হয়ে উঠছে। এমনকি শেষ অংশে এসে কোনো কোনো ম্যাচ ছড়াচ্ছে আলো। একই সঙ্গে খেলোয়াড়দের চোট চিন্তা বাড়াচ্ছে দলগুলোর।
চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। ফিরতি লেগে ৬ মে সান সিরোতে মুখোমুখি হবে দুই দল। তবে মিলানে যাওয়ার আগে ধাক্কা খেল বার্সা। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়েছেন দলটির তারকা ডিফেন্ডার জুলস কুন্দে।
সাড়ে তিন মাস পর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ এসেছিল রিয়াল মাদ্রিদের কাছে। কোপা দেল রের ফাইনালে গত রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সার বিপক্ষে রিয়াল লড়াই করে সমানে সমানে। শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সা।
আবারও সেই রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সেলোনার আরও একটি শিরোপা জয়। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর জয়ে এবার জিতল কোপা দেল রের শিরোপা। হ্যান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার লক্ষ্য এবার ট্রেবল জয়।
এল ক্লাসিকোউ উত্তাপ, উন্মাদনা আর রোমাঞ্চ না থাকলে হয় নাকি। সবকিছু মিলিয়ে ফাইনালটা হলো ফাইনালের মতো করেই। পাঁচ গোলের এই থ্রিলারে শেষ হাসি হেসেছে বার্সেলোনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়ে কোপা দেল রের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।