ক্রীড়া ডেস্ক
এক সপ্তাহ আগেও পাকিস্তান আনন্দে ভাসছিল, তিন দশক পর প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক তারা। দলের ব্যর্থতায় সেই আনন্দ নিমেষে মিলিয়ে গেল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফরম্যান্সের দৈন্যে পাকিস্তান ‘ক্রিকেটের মৃত্যু’ হয়েছে বলে এখন শোক প্রকাশ চলছে সেখানে! গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দেশটির পুরো ক্রিকেট কাঠামোতে আমূল পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সাবেকরা।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—সবশেষ টুর্নামেন্টগুলো থেকে পাকিস্তান বিদায় নেয় গ্রুপপর্বে। ক্রিকেটপ্রিয় দেশটি স্পষ্টই বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে আছে। প্রথম ম্যাচেই তারা নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ৬০ রানে। তারপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। গত পরশু নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় সব আশাই শেষ পাকিস্তানের। কাল রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি নিছক আনুষ্ঠানিকতা।
প্রিয় দল বারবার হতাশই করল, জড়ো হওয়া ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাই ৪৬ বছর বয়সী পাকিস্তানে সরকারি চাকরিজীবী নাসিম সত্তি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বললেন, ‘সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার হলো, তারা লড়াইটুকুও করতে পারেনি। দলে না আছে মানসম্পন্ন বোলার, না আছে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। এমন অবস্থায় মনে হয়, পাকিস্তান ক্রিকেট মরে গেছে।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম উত্তরণের পরামর্শ দিয়েছেন—দলে ঢালাও পরিবর্তন ও ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো শক্তিশালী করার। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে এই খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছি, কিন্তু তারা কিছুই শিখছে না বা উন্নতি করছে না। এটা বড় পরিবর্তন আনার সময়। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে আমরা সাধারণ মানের নয়, বরং বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি।’
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ততটা প্রতিযোগিতামূলক নয়, আর নিম্নমানের উইকেট খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে পারছে না। ব্যর্থতার পেছনে বারবার বোর্ড, কোচিং স্টাফ ও নির্বাচন প্যানেলের পরিবর্তন পাকিস্তান ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা মূলত রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে হয়ে থাকে মনে করছেন তাঁরা। যেটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল যোগ্যতার ভিত্তিতে।
পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে হতাশ সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফই বললেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে হতাশ করেছে। আমাদের মেধার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং প্রশাসনে দক্ষ পেশাদারদের আনতে হবে, রাজনৈতিক ভিত্তিতে নয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, নির্বাচক কমিটি ও অধিনায়কের বারবার পরিবর্তন আমাদের একটি স্থায়ী কাঠামো ও শক্তিশালী দল গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি বললেন, ‘পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মানসিকতা আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না, আমাদের ক্রিকেট কাঠামোয় সম্পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন, যাতে আমরা আগ্রাসী মানসিকতার খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি।’
এক সপ্তাহ আগেও পাকিস্তান আনন্দে ভাসছিল, তিন দশক পর প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজক তারা। দলের ব্যর্থতায় সেই আনন্দ নিমেষে মিলিয়ে গেল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফরম্যান্সের দৈন্যে পাকিস্তান ‘ক্রিকেটের মৃত্যু’ হয়েছে বলে এখন শোক প্রকাশ চলছে সেখানে! গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার পর দেশটির পুরো ক্রিকেট কাঠামোতে আমূল পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন সাবেকরা।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, এরপর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি—সবশেষ টুর্নামেন্টগুলো থেকে পাকিস্তান বিদায় নেয় গ্রুপপর্বে। ক্রিকেটপ্রিয় দেশটি স্পষ্টই বেশ খারাপ সময়ের মধ্যে আছে। প্রথম ম্যাচেই তারা নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ৬০ রানে। তারপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে ৬ উইকেটে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছায়। গত পরশু নিউজিল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় সব আশাই শেষ পাকিস্তানের। কাল রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে তাদের শেষ ম্যাচটি নিছক আনুষ্ঠানিকতা।
প্রিয় দল বারবার হতাশই করল, জড়ো হওয়া ক্ষোভ উগরে দিয়ে তাই ৪৬ বছর বয়সী পাকিস্তানে সরকারি চাকরিজীবী নাসিম সত্তি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বললেন, ‘সবচেয়ে হতাশাজনক ব্যাপার হলো, তারা লড়াইটুকুও করতে পারেনি। দলে না আছে মানসম্পন্ন বোলার, না আছে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার। এমন অবস্থায় মনে হয়, পাকিস্তান ক্রিকেট মরে গেছে।’
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম উত্তরণের পরামর্শ দিয়েছেন—দলে ঢালাও পরিবর্তন ও ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো শক্তিশালী করার। তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক বছর ধরে এই খেলোয়াড়দের সুযোগ দিচ্ছি, কিন্তু তারা কিছুই শিখছে না বা উন্নতি করছে না। এটা বড় পরিবর্তন আনার সময়। আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামোকে শক্তিশালী করতে হবে, যাতে আমরা সাধারণ মানের নয়, বরং বিশ্বমানের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি।’
বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ততটা প্রতিযোগিতামূলক নয়, আর নিম্নমানের উইকেট খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য উপযুক্তভাবে প্রস্তুত করতে পারছে না। ব্যর্থতার পেছনে বারবার বোর্ড, কোচিং স্টাফ ও নির্বাচন প্যানেলের পরিবর্তন পাকিস্তান ক্রিকেটের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনটা মূলত রাজনৈতিক স্বার্থের কারণে হয়ে থাকে মনে করছেন তাঁরা। যেটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল যোগ্যতার ভিত্তিতে।
পাকিস্তানের পারফরম্যান্সে হতাশ সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফই বললেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান পরিস্থিতি আমাকে হতাশ করেছে। আমাদের মেধার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং প্রশাসনে দক্ষ পেশাদারদের আনতে হবে, রাজনৈতিক ভিত্তিতে নয়। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড, নির্বাচক কমিটি ও অধিনায়কের বারবার পরিবর্তন আমাদের একটি স্থায়ী কাঠামো ও শক্তিশালী দল গঠনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
আরেক সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি বললেন, ‘পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের মানসিকতা আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে যায় না, আমাদের ক্রিকেট কাঠামোয় সম্পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন, যাতে আমরা আগ্রাসী মানসিকতার খেলোয়াড় তৈরি করতে পারি।’
শ্রীলঙ্কা সফর ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ হার। তবে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে শেষটা রাঙিয়েছে বাংলাদেশ দল। সেই জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাল থেকে লিটন দাসরা নতুন টি-টোয়েন্টি শুরু জয়ের অভিযানে নামবেন পাকিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটার মোহাম্মদ নাঈম শেখ তো এই সিরিজে আগে রাখছেন বাংলাদেশকেই। নিজেদের
১ সেকেন্ড আগেওপেনিংয়ে ব্যাটিং করতে সাকিব আল হাসানকে দেখা যায় না বললেই চলে। তবে ম্যাক্সসিক্সটিন ক্যারিবিয়ান টি-টেন লিগে ওপেনিংয়ে নেমে রীতিমতো তাণ্ডব চালালেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে জয়ের দেখা পেল তাঁর দল মায়ামি ব্লেইজ। টানা দুই হারের পর গ্র্যান্ড কেম্যান ফ্যালকনসকে ১৩ রানে হারিয়েছে মায়ামি।
৩১ মিনিট আগে২১ মাস পর জাতীয় দলে ফিরেছেন নাঈম শেখ। শ্রীলঙ্কা সফরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকলেও সুযোগ পেয়েছেন কেবল একটি ম্যাচে। পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামার সুযোগ পান তিনি। সেটিও উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জাকের আলী অনিকের হঠাৎ অসুস্থতার কারণে। পরিকল্পনায় তাঁর থাকার কথা ছিল পাঁচ নম্বরে,
৩ ঘণ্টা আগেবলার মতো নামের লম্বা সারি নেই। এই মুহূর্তে আছেন শুধু রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিনের গুরুত্ব বুঝতেও বেশ সময় লেগেছে বাংলাদেশের। সাবেক কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো-চন্ডিকা হাথুরুসিংহে একরকম মরুভূমিতেই যেন লেগ স্পিনের গাছ ফলাতে চাইলেন। মাঝেমধ্যে আবার কেউ এলেও থিতু হতে পারেননি।
৪ ঘণ্টা আগে