শাহ আলম খান, ঢাকা

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের ভাগ্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শুল্ক চুক্তি নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিপ্রায় অনুযায়ী ৩১ জুলাই চুক্তি করার শেষ সময়। এর মধ্যেই বাংলাদেশকে ইউএসটিআরের সঙ্গে তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফার আলোচনায় বসতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে আমরা ইউএসটিআরের কাছে চূড়ান্ত অবস্থানপত্র দেব। সেটি আমলে নিয়ে ইউএসটিআর বাংলাদেশকে ফের বৈঠকের আহ্বান জানাবে, যার শিডিউল অনুযায়ী বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে রওনা হবে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউএসটিআর থেকে সম্ভাব্য বৈঠকের সময়সূচি পায়নি বাংলাদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ২২ জুলাই ওয়াশিংটনে রওনা হতে পারে। সে জন্য ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। তার আগে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে ঢাকার অবস্থানপত্র চূড়ান্ত হবে।
কী থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে—সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে রাজি হননি কর্মকর্তারা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত, তা চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মূল দাবি, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, দেশটির কিছু পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় কোনো সীমারেখা না টানা। মার্কিনিদের এই অভিপ্রায় পূরণে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে সমতাভিত্তিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে পুরোপুরি একমত হয়েছে ঢাকা। এর জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বিদ্যমান সম্ভাব্য সব সুযোগ কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিজপণ্য গম, তুলা, এলএনজি, রাসায়নিক সামগ্রী, মূলধনি যন্ত্রপাতি, বোয়িং বিমান এবং সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি দেশটিকে শতভাগ কিংবা এর কাছাকাছি হিসেবের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও অনেকটা ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, যার অনুপাত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া মার্কিন উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের মোকাবিলা করছে এমন সব অশুল্ক বাধা তুলে দেওয়ারও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে। আলোচিত এই শুল্ক চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের আবদার এখানেই থেমে নেই। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রুলস অনুযায়ী, আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে মোকাবিলা করা সম্ভব এমন সব বিষয়েও বাংলাদেশের অবস্থানপত্রে আইনের বিভিন্ন ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সম্পূরক নোট জুড়ে দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অনুযায়ী। এ ছাড়া অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বাকি স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর আগেই একটি নন-ডিসক্লজার অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চুক্তির আওতায় মার্কিন শর্তাবলি ও দাবি-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ই প্রকাশ না করার শর্ত রয়েছে। ফলে চুক্তিতে কী আছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিভাগের এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চুক্তির প্রশ্নে মার্কিন দাবি ও শর্তের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় স্পষ্ট। একটি বাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যু, অন্যটি অবাণিজ্য-সংক্রান্ত। আমরা বাণিজ্য ইস্যুগুলোর বিষয়ে সমাধানে পৌঁছে গেছি। কিন্তু অবাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, যা আমরা ইতিবাচক-নেতিবাচক—উভয়ই যুক্ত করে সারসংক্ষেপ আকারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতামতের জন্য পাঠানোর সুপারিশ করেছি। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে, সেগুলোই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার ওপর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে চূড়ান্ত নেগোসিয়েশনের টেবিলে বসবে।’
দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে বাংলাদেশকেও তা মেনে চলতে হবে। তার মানে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্যকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে, তা অন্য কোনো দেশকে না দেওয়ার শর্ত রয়েছে। বাংলাদেশ যেন চীনের প্রতি অতিমাত্রার আমদানিনির্ভরতা কমায়, সে শর্তও রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার জিএসপি স্কিমে বরাবরই প্রাধান্য পেয়ে আসছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণ, মানবাধিকার, সুশাসন এবং শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের বিষয়গুলো। সেখানে এবার আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনের বিষয়ও নতুন করে যুক্ত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাজিদ হোসেন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুরো প্রক্রিয়াটি অনিশ্চয়তায় ঢাকা। বাংলাদেশ শুরুতেই জোরালোভাবে অবস্থান জানাতে পারেনি, ফলে এখন সময় হারানোর সুযোগ নেই। অন্য প্রতিযোগীরা যদি ছাড় পায়, আর বাংলাদেশ না পারে, তাহলে চাপ আরও বাড়বে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১৬-১৯ শতাংশ শুল্কে পণ্য রপ্তানি হয়। নতুন হার কার্যকর হলে তা ৫১-৫৪ শতাংশে দাঁড়াবে। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানান, ‘এই বাড়তি শুল্ক যোগ হলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক কারখানা টিকতে পারবে না, কর্মসংস্থান মার খাবে। সরকারের উচিত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দেখানোর।

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের ভাগ্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শুল্ক চুক্তি নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিপ্রায় অনুযায়ী ৩১ জুলাই চুক্তি করার শেষ সময়। এর মধ্যেই বাংলাদেশকে ইউএসটিআরের সঙ্গে তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফার আলোচনায় বসতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে আমরা ইউএসটিআরের কাছে চূড়ান্ত অবস্থানপত্র দেব। সেটি আমলে নিয়ে ইউএসটিআর বাংলাদেশকে ফের বৈঠকের আহ্বান জানাবে, যার শিডিউল অনুযায়ী বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে রওনা হবে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউএসটিআর থেকে সম্ভাব্য বৈঠকের সময়সূচি পায়নি বাংলাদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ২২ জুলাই ওয়াশিংটনে রওনা হতে পারে। সে জন্য ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। তার আগে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে ঢাকার অবস্থানপত্র চূড়ান্ত হবে।
কী থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে—সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে রাজি হননি কর্মকর্তারা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত, তা চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মূল দাবি, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, দেশটির কিছু পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় কোনো সীমারেখা না টানা। মার্কিনিদের এই অভিপ্রায় পূরণে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে সমতাভিত্তিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে পুরোপুরি একমত হয়েছে ঢাকা। এর জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বিদ্যমান সম্ভাব্য সব সুযোগ কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিজপণ্য গম, তুলা, এলএনজি, রাসায়নিক সামগ্রী, মূলধনি যন্ত্রপাতি, বোয়িং বিমান এবং সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি দেশটিকে শতভাগ কিংবা এর কাছাকাছি হিসেবের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও অনেকটা ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, যার অনুপাত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া মার্কিন উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের মোকাবিলা করছে এমন সব অশুল্ক বাধা তুলে দেওয়ারও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে। আলোচিত এই শুল্ক চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের আবদার এখানেই থেমে নেই। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রুলস অনুযায়ী, আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে মোকাবিলা করা সম্ভব এমন সব বিষয়েও বাংলাদেশের অবস্থানপত্রে আইনের বিভিন্ন ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সম্পূরক নোট জুড়ে দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অনুযায়ী। এ ছাড়া অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বাকি স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর আগেই একটি নন-ডিসক্লজার অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চুক্তির আওতায় মার্কিন শর্তাবলি ও দাবি-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ই প্রকাশ না করার শর্ত রয়েছে। ফলে চুক্তিতে কী আছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিভাগের এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চুক্তির প্রশ্নে মার্কিন দাবি ও শর্তের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় স্পষ্ট। একটি বাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যু, অন্যটি অবাণিজ্য-সংক্রান্ত। আমরা বাণিজ্য ইস্যুগুলোর বিষয়ে সমাধানে পৌঁছে গেছি। কিন্তু অবাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, যা আমরা ইতিবাচক-নেতিবাচক—উভয়ই যুক্ত করে সারসংক্ষেপ আকারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতামতের জন্য পাঠানোর সুপারিশ করেছি। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে, সেগুলোই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার ওপর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে চূড়ান্ত নেগোসিয়েশনের টেবিলে বসবে।’
দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে বাংলাদেশকেও তা মেনে চলতে হবে। তার মানে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্যকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে, তা অন্য কোনো দেশকে না দেওয়ার শর্ত রয়েছে। বাংলাদেশ যেন চীনের প্রতি অতিমাত্রার আমদানিনির্ভরতা কমায়, সে শর্তও রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার জিএসপি স্কিমে বরাবরই প্রাধান্য পেয়ে আসছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণ, মানবাধিকার, সুশাসন এবং শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের বিষয়গুলো। সেখানে এবার আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনের বিষয়ও নতুন করে যুক্ত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাজিদ হোসেন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুরো প্রক্রিয়াটি অনিশ্চয়তায় ঢাকা। বাংলাদেশ শুরুতেই জোরালোভাবে অবস্থান জানাতে পারেনি, ফলে এখন সময় হারানোর সুযোগ নেই। অন্য প্রতিযোগীরা যদি ছাড় পায়, আর বাংলাদেশ না পারে, তাহলে চাপ আরও বাড়বে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১৬-১৯ শতাংশ শুল্কে পণ্য রপ্তানি হয়। নতুন হার কার্যকর হলে তা ৫১-৫৪ শতাংশে দাঁড়াবে। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানান, ‘এই বাড়তি শুল্ক যোগ হলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক কারখানা টিকতে পারবে না, কর্মসংস্থান মার খাবে। সরকারের উচিত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দেখানোর।
শাহ আলম খান, ঢাকা

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের ভাগ্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শুল্ক চুক্তি নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিপ্রায় অনুযায়ী ৩১ জুলাই চুক্তি করার শেষ সময়। এর মধ্যেই বাংলাদেশকে ইউএসটিআরের সঙ্গে তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফার আলোচনায় বসতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে আমরা ইউএসটিআরের কাছে চূড়ান্ত অবস্থানপত্র দেব। সেটি আমলে নিয়ে ইউএসটিআর বাংলাদেশকে ফের বৈঠকের আহ্বান জানাবে, যার শিডিউল অনুযায়ী বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে রওনা হবে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউএসটিআর থেকে সম্ভাব্য বৈঠকের সময়সূচি পায়নি বাংলাদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ২২ জুলাই ওয়াশিংটনে রওনা হতে পারে। সে জন্য ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। তার আগে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে ঢাকার অবস্থানপত্র চূড়ান্ত হবে।
কী থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে—সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে রাজি হননি কর্মকর্তারা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত, তা চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মূল দাবি, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, দেশটির কিছু পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় কোনো সীমারেখা না টানা। মার্কিনিদের এই অভিপ্রায় পূরণে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে সমতাভিত্তিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে পুরোপুরি একমত হয়েছে ঢাকা। এর জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বিদ্যমান সম্ভাব্য সব সুযোগ কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিজপণ্য গম, তুলা, এলএনজি, রাসায়নিক সামগ্রী, মূলধনি যন্ত্রপাতি, বোয়িং বিমান এবং সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি দেশটিকে শতভাগ কিংবা এর কাছাকাছি হিসেবের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও অনেকটা ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, যার অনুপাত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া মার্কিন উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের মোকাবিলা করছে এমন সব অশুল্ক বাধা তুলে দেওয়ারও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে। আলোচিত এই শুল্ক চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের আবদার এখানেই থেমে নেই। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রুলস অনুযায়ী, আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে মোকাবিলা করা সম্ভব এমন সব বিষয়েও বাংলাদেশের অবস্থানপত্রে আইনের বিভিন্ন ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সম্পূরক নোট জুড়ে দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অনুযায়ী। এ ছাড়া অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বাকি স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর আগেই একটি নন-ডিসক্লজার অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চুক্তির আওতায় মার্কিন শর্তাবলি ও দাবি-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ই প্রকাশ না করার শর্ত রয়েছে। ফলে চুক্তিতে কী আছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিভাগের এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চুক্তির প্রশ্নে মার্কিন দাবি ও শর্তের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় স্পষ্ট। একটি বাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যু, অন্যটি অবাণিজ্য-সংক্রান্ত। আমরা বাণিজ্য ইস্যুগুলোর বিষয়ে সমাধানে পৌঁছে গেছি। কিন্তু অবাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, যা আমরা ইতিবাচক-নেতিবাচক—উভয়ই যুক্ত করে সারসংক্ষেপ আকারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতামতের জন্য পাঠানোর সুপারিশ করেছি। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে, সেগুলোই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার ওপর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে চূড়ান্ত নেগোসিয়েশনের টেবিলে বসবে।’
দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে বাংলাদেশকেও তা মেনে চলতে হবে। তার মানে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্যকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে, তা অন্য কোনো দেশকে না দেওয়ার শর্ত রয়েছে। বাংলাদেশ যেন চীনের প্রতি অতিমাত্রার আমদানিনির্ভরতা কমায়, সে শর্তও রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার জিএসপি স্কিমে বরাবরই প্রাধান্য পেয়ে আসছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণ, মানবাধিকার, সুশাসন এবং শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের বিষয়গুলো। সেখানে এবার আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনের বিষয়ও নতুন করে যুক্ত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাজিদ হোসেন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুরো প্রক্রিয়াটি অনিশ্চয়তায় ঢাকা। বাংলাদেশ শুরুতেই জোরালোভাবে অবস্থান জানাতে পারেনি, ফলে এখন সময় হারানোর সুযোগ নেই। অন্য প্রতিযোগীরা যদি ছাড় পায়, আর বাংলাদেশ না পারে, তাহলে চাপ আরও বাড়বে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১৬-১৯ শতাংশ শুল্কে পণ্য রপ্তানি হয়। নতুন হার কার্যকর হলে তা ৫১-৫৪ শতাংশে দাঁড়াবে। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানান, ‘এই বাড়তি শুল্ক যোগ হলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক কারখানা টিকতে পারবে না, কর্মসংস্থান মার খাবে। সরকারের উচিত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দেখানোর।

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়, তার ওপর নির্ভর করছে দেশটিতে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতের ভাগ্য।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য শুল্ক চুক্তি নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিপ্রায় অনুযায়ী ৩১ জুলাই চুক্তি করার শেষ সময়। এর মধ্যেই বাংলাদেশকে ইউএসটিআরের সঙ্গে তৃতীয় ও চূড়ান্ত দফার আলোচনায় বসতে হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী রোববারের মধ্যে আমরা ইউএসটিআরের কাছে চূড়ান্ত অবস্থানপত্র দেব। সেটি আমলে নিয়ে ইউএসটিআর বাংলাদেশকে ফের বৈঠকের আহ্বান জানাবে, যার শিডিউল অনুযায়ী বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে রওনা হবে। তবে গতকাল বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইউএসটিআর থেকে সম্ভাব্য বৈঠকের সময়সূচি পায়নি বাংলাদেশ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ২২ জুলাই ওয়াশিংটনে রওনা হতে পারে। সে জন্য ফ্লাইটের টিকিট বুকিং দেওয়া হয়েছে। তার আগে আগামীকাল শনিবারের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সম্মতির ভিত্তিতে ঢাকার অবস্থানপত্র চূড়ান্ত হবে।
কী থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে—সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাতে রাজি হননি কর্মকর্তারা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত, তা চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে জানিয়ে দেওয়া হবে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের মূল দাবি, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো, দেশটির কিছু পণ্যের আমদানি বৃদ্ধি এবং শুল্কমুক্ত সুবিধায় কোনো সীমারেখা না টানা। মার্কিনিদের এই অভিপ্রায় পূরণে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে সমতাভিত্তিক অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির বিষয়ে পুরোপুরি একমত হয়েছে ঢাকা। এর জন্য দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বিদ্যমান সম্ভাব্য সব সুযোগ কাজে লাগাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিজপণ্য গম, তুলা, এলএনজি, রাসায়নিক সামগ্রী, মূলধনি যন্ত্রপাতি, বোয়িং বিমান এবং সামরিক সরঞ্জামসহ অন্যান্য আমদানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি দেশটিকে শতভাগ কিংবা এর কাছাকাছি হিসেবের পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার বিষয়েও অনেকটা ঐকমত্যে পৌঁছানো গেছে, যার অনুপাত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া মার্কিন উদ্যোক্তারা বাংলাদেশের মোকাবিলা করছে এমন সব অশুল্ক বাধা তুলে দেওয়ারও দৃঢ় প্রতিশ্রুতি থাকছে বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে। আলোচিত এই শুল্ক চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের আবদার এখানেই থেমে নেই। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) রুলস অনুযায়ী, আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষির মাধ্যমে মোকাবিলা করা সম্ভব এমন সব বিষয়েও বাংলাদেশের অবস্থানপত্রে আইনের বিভিন্ন ধারা ও অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সম্পূরক নোট জুড়ে দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের চাওয়া অনুযায়ী। এ ছাড়া অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বাকি স্পর্শকাতর ইস্যুগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বাংলাদেশের শুল্ক চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুর আগেই একটি নন-ডিসক্লজার অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ চুক্তির আওতায় মার্কিন শর্তাবলি ও দাবি-সংক্রান্ত কোনো বিষয়ই প্রকাশ না করার শর্ত রয়েছে। ফলে চুক্তিতে কী আছে, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আলোচনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন বিভাগের এমন কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘চুক্তির প্রশ্নে মার্কিন দাবি ও শর্তের ক্ষেত্রে দুটি বিষয় স্পষ্ট। একটি বাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যু, অন্যটি অবাণিজ্য-সংক্রান্ত। আমরা বাণিজ্য ইস্যুগুলোর বিষয়ে সমাধানে পৌঁছে গেছি। কিন্তু অবাণিজ্য-সংক্রান্ত ইস্যুগুলোর বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত প্রয়োজন, যা আমরা ইতিবাচক-নেতিবাচক—উভয়ই যুক্ত করে সারসংক্ষেপ আকারে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মতামতের জন্য পাঠানোর সুপারিশ করেছি। সেখান থেকে যে নির্দেশনা আসবে, সেগুলোই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ঢাকার চূড়ান্ত অবস্থানপত্রে অন্তর্ভুক্ত করবে। যার ওপর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ওয়াশিংটনে চূড়ান্ত নেগোসিয়েশনের টেবিলে বসবে।’
দায়িত্বশীল বিভিন্ন সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অবাণিজ্য-সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনো দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়, তাহলে বাংলাদেশকেও তা মেনে চলতে হবে। তার মানে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়া দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা বিনিয়োগ-সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের যেসব পণ্যকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে, তা অন্য কোনো দেশকে না দেওয়ার শর্ত রয়েছে। বাংলাদেশ যেন চীনের প্রতি অতিমাত্রার আমদানিনির্ভরতা কমায়, সে শর্তও রয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার জিএসপি স্কিমে বরাবরই প্রাধান্য পেয়ে আসছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণ, মানবাধিকার, সুশাসন এবং শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিতের বিষয়গুলো। সেখানে এবার আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রশ্নে একটি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনের বিষয়ও নতুন করে যুক্ত হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাজিদ হোসেন বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পুরো প্রক্রিয়াটি অনিশ্চয়তায় ঢাকা। বাংলাদেশ শুরুতেই জোরালোভাবে অবস্থান জানাতে পারেনি, ফলে এখন সময় হারানোর সুযোগ নেই। অন্য প্রতিযোগীরা যদি ছাড় পায়, আর বাংলাদেশ না পারে, তাহলে চাপ আরও বাড়বে।’
বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গড়ে ১৬-১৯ শতাংশ শুল্কে পণ্য রপ্তানি হয়। নতুন হার কার্যকর হলে তা ৫১-৫৪ শতাংশে দাঁড়াবে। বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান জানান, ‘এই বাড়তি শুল্ক যোগ হলে মার্কিন বাজারে প্রতিযোগিতা অসম্ভব হয়ে পড়বে। অনেক কারখানা টিকতে পারবে না, কর্মসংস্থান মার খাবে। সরকারের উচিত আলোচনার টেবিলে দর-কষাকষিতে সক্ষমতার সর্বোচ্চটুকু দেখানোর।

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৬ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৬ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৬ ঘণ্টা আগেজয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে না কোনো শাখা, অবকাঠামো বা এটিএম বুথ; গ্রাহকেরা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেই ২৪ ঘণ্টায় যেকোনো সময় পাবেন সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা।
নতুন যুগের আবেদনকারীরা
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে ব্রিটিশ বাংলা ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, ডিজিটাল ব্যাংকিং অব ভুটান-ডিকে, আমার ডিজিটাল ব্যাংক-২২ এমএফআই, ৩৬ ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, বুস্ট-রবি, আমার ব্যাংক (প্রস্তাবিত), অ্যাপ ব্যাংক-ফার্মারস, নোভা ডিজিটাল ব্যাংক (বাংলালিংক ও স্কয়ার), মৈত্রী ডিজিটাল ব্যাংক পিএলসি, উপকারী ডিজিটাল ব্যাংক, মুনাফা ইসলামী ডিজিটাল ব্যাংক-আকিজ এবং বিকাশ ডিজিটাল ব্যাংক। আবেদনের শেষ সময় ২ নভেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্তভাবে এই ১২ প্রতিষ্ঠানের আবেদন জমা পড়েছে।
মূলধনে বড় শর্ত
২০২৩ সালের ১৪ জুন প্রণীত বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ডিজিটাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য ন্যূনতম ৩০০ কোটি টাকার পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে কোম্পানি আইন অনুসারে পরিচালিত হতে হবে এবং প্রচলিত ব্যাংকের মতোই সিআরআর (নগদ জমা অনুপাত) ও এসএলআর (বিধিবদ্ধ জমা অনুপাত) বজায় রাখতে হবে।
এই ব্যাংকগুলো বড় বা মাঝারি শিল্পে ঋণ দিতে পারবে না এবং কোনো ধরনের ঋণপত্র (এলসি) খুলতেও পারবে না। কেবল ক্ষুদ্রঋণ, খুচরা পর্যায়ের লেনদেন এবং ডিজিটাল সেবা প্রদানের সুযোগ থাকবে। অনুমোদনের পাঁচ বছরের মধ্যে আইপিও আনতে হবে, যার পরিমাণ উদ্যোক্তাদের প্রাথমিক বিনিয়োগের সমান হতে হবে।
অ্যাপেই পুরো ব্যাংকিং
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ব্যাংকগুলো হবে সম্পূর্ণ অ্যাপনির্ভর। কোনো শাখা বা এটিএম থাকবে না; বরং গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল কার্ড, কিউআর কোড এবং মোবাইল লেনদেনের মাধ্যমে সব সেবা নিতে পারবেন। প্লাস্টিক কার্ডের পরিবর্তে সব লেনদেন হবে ডিজিটাল উপায়ে। গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম বা এজেন্ট সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। সব সেবা পরিচালিত হবে বাংলাদেশ পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম রেগুলেশন, ২০১৪-এর আওতায়; যা ডিজিটাল লেনদেনে নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
যোগ্যতার কঠোর মানদণ্ড
কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি ব্যক্তি বা তাঁর পরিবারের সদস্য এই ডিজিটাল ব্যাংকের উদ্যোক্তা হতে পারবেন না। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হতে ব্যাংকিং পেশায় অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এ ছাড়া পর্ষদের অন্তত ৫০ শতাংশ সদস্যকে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং, সাইবার নিরাপত্তা ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞানসম্পন্ন হতে হবে।
ক্যাশলেস সমাজের পথে
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘ডিজিটাল ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়া।’ তিনি জানান, এসব ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে, কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে এবং ক্যাশলেস সমাজ গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যাচাইয়ের পর অনুমোদন
প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর টেকনিক্যাল ও বিজনেস কমিটি নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করবে। নির্ধারিত মানদণ্ডে উত্তীর্ণরা ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ পেয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। চূড়ান্ত সনদ পাওয়ার পর বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে নতুন বছরের প্রথমে শুরু হতে পারে তাদের অপারেশনাল কার্যক্রম।
চ্যালেঞ্জ এখন দক্ষতার
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রথাগত ব্যাংকে ডিজিটাল সেবা হালনাগাদ রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই স্বতন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ব্যাংক সময়ের দাবি। তবে এই ব্যাংক পরিচালনায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে দক্ষ জনবল পাওয়া, পাশাপাশি তথ্য-উপাত্ত ব্যবস্থাপনা, জনসচেতনতা ও বিপণন কৌশল তথা নিয়ন্ত্রণ কাঠামো শক্ত রাখা।’

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৬ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৬ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
এ বছর প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, চীন, পাকিস্তান, তুরস্ক, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, ভিয়েতনাম, জার্মানি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১০টি দেশ থেকে ৪৫ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
এরা মূলত ফ্যাব্রিক মিল (ডেনিম ও নন-ডেনিম), গার্মেন্টস প্রস্তুতকারক, সুতা উৎপাদক, ওয়াশিং ও লন্ড্রি, অ্যাকসেসরিজ ও ট্রিমস, কেমিক্যালস, মেশিনারি বা প্রযুক্তি এবং লজিস্টিকস ক্যাটাগরিতে পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
২ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৬ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ মঙ্গলবার সংস্থার চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৯৮০ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভা শেষে বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিএসইসি জানায়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টিড শ্রীপুর টাউনশীপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও ১ হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যারান্টার) হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক এবং অ্যাডভাইজার ও অ্যারেঞ্জার হিসেবে আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড দায়িত্ব পালন করেছে। আইএফআইসি ব্যাংক ওই বন্ড ইস্যু করেনি। মূলত রিয়েল এস্টেট কোম্পানি শ্রীপুর টাউনশীপ লিমিটেড (এসটিএল) ওই বন্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করেছে। কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীকে ধারণা দেয় যে, এ বন্ড আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে; কিন্তু ব্যাংকটি ছিল মূলত বন্ডটির জামিনদার। এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করা হয়।
বিএসইসি এও জানায়, এর আগে ৯৬৫ তম কমিশন সভায় ওই বন্ডের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। একই অপরাধে এবার ব্যাংকের তৎকালীন এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে কমিশন।

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৬ ঘণ্টা আগে
পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ...
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

পোশাক উৎপাদনে ন্যূনতম ২০ শতাংশ মার্কিন কাঁচামাল ব্যবহার করা হলে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির ক্ষেত্রে আরোপিত অতিরিক্ত শুল্ক থেকে বাংলাদেশের আনুপাতিক ছাড় পাওয়ার সুযোগ দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা বা বাস্তবায়ন নির্দেশনা না থাকায় দ্রুত স্পষ্টীকরণ চেয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় মার্কিন তুলা রপ্তানিকারক সংগঠন কটন ইউএসএর এক উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি তুলে ধরে বিজিএমইএ। বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বাংলাদেশের তৈরি পোশাকে মার্কিন তুলার ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ঘোষিত শুল্ক সুবিধা বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান ও পরিচালক নাফিস-উদ-দৌলা। মার্কিন প্রতিনিধিদলে ছিলেন ইকমের লি ইন, কারগিলের ক্রিস্টা রিকম্যান, এলডিসির ডিয়েগো লোজাদা, ওলাম এগ্রির ওয়েসলি রেন্টজ, ক্যারোলিনা কটন গ্রোয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়েন বোসম্যানসহ আরও অনেকে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নতুন শুল্কছাড় বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের জন্য এক বড় সুযোগ। কিন্তু এই সুবিধা কার্যকরভাবে পেতে কারখানাগুলোকে কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যাখ্যা পাওয়া গেলে উদ্যোক্তারা প্রস্তুতি নিতে পারবেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, বর্তমানে আমদানি করা তুলার প্রায় ১০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে, যা দ্বিগুণ বা ৩ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। তবে এ জন্য প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ও সুচিন্তিত কৌশলগত পদক্ষেপ। মার্কিন তুলার উচ্চ গুণগত মান ও তুলনামূলক সুবিধার বিষয়ে গবেষণা করে সুতা উৎপাদনকারীদের তথ্য সরবরাহ করা হলে তাঁরা আমদানি বাড়াতে উৎসাহিত হবেন।

৩৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের চাপ এড়াতে বাণিজ্য ও অবাণিজ্য-সংক্রান্ত অনেক বিষয়ে ছাড় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে খুশি রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে আগামী রোববার মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরে (ইউএসটিআর) বাংলাদেশের চূড়ান্ত অবস্থানপত্র পাঠানো হবে বলে জানা গেছে। এরপর বাংলাদেশের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র কতটুকু সাড়া দেয়...
১৮ জুলাই ২০২৫
দেশের ব্যাংকিং সেবাকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পরিসরে। এ লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে অ্যাপনির্ভর ব্যাংক গঠনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে দেশি ও বিদেশি ১২টি প্রতিষ্ঠান নতুন প্রজন্মের এই ব্যাংক স্থাপনে আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে অনুমোদনের আবেদন করেছে। প্রস্তাবিত এসব ব্যাংকের থাকবে...
২ ঘণ্টা আগে
দেশের ডেনিম শিল্পের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী ‘বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-এর ১৯ তম আসর আজ। দুই দিনের এই এক্সপো অনুষ্ঠিত হবে ৫ ও ৬ নভেম্বর রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি)।
৬ ঘণ্টা আগে
সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধান ভঙ্গের দায়ে আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে পাঁচ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
৬ ঘণ্টা আগে