Ajker Patrika

আইসিসির ‘বিশেষ একাদশে’ রিশাদ 

আপডেট : ৩০ জুন ২০২৪, ১৩: ৫৮
আইসিসির ‘বিশেষ একাদশে’ রিশাদ 

২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো রিশাদ হোসেনের জন্য প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট। এত বড় মঞ্চে প্রথমবারেই দুর্দান্ত খেলেছেন রিশাদ। লেগ স্পিনের জাদুতে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের দারুণ পরীক্ষা নিয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্ট শেষে আইসিসির ‘বিশেষ একাদশে’ জায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের এই তরুণ লেগ স্পিনার। 

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল দিয়ে শেষ হলো নবম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার ঘণ্টাখানেক পরই নিজেদের ফেসবুক পেজে আইসিসি বিশ্বকাপ ফ্যান্টাসির সেরা একাদশ ঘোষণা করেছে। ‘বিশেষ একাদশে’ বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি রিশাদ। বাংলাদেশের লেগ স্পিনারের পয়েন্ট ৪৭৮। এবারের বিশ্বকাপে ৭.৭৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। টুর্নামেন্ট শেষেও সর্বোচ্চ ১০ উইকেট শিকারির তালিকায় আছেন তিনি। 

চ্যাম্পিয়ন ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানেরও তিন জন করে ক্রিকেটার আছেন আইসিসি ফ্যান্টাসির একাদশে। অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষকের দায়িত্বে থাকছেন রশিদ খান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগানদের আরেক প্রতিনিধি ফজলহক ফারুকি এবারের বিশ্বকাপে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী এখন ফারুকি ও আর্শদীপ সিং। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই যে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলেছে আফগানিস্তান, তাতে রশিদ, গুরবাজ, ফারুকি তিন ক্রিকেটারের অসামান্য অবদান রয়েছে। রশিদ ছিলেন বিশ্বকাপে আফগানদের দলপতি। 

 ১৭ উইকেট আর্শদীপও জায়গা করে নিয়েছেন আইসিসি বিশ্বকাপ ফ্যান্টাসির সেরা একাদশে। বাকি দুই ভারতীয় হলেন জসপ্রীত বুমরা ও হার্দিক পান্ডিয়া। বার্বাডোজে গতকাল নিশ্চিত হারতে বসা ম্যাচ ভারতকে অবিশ্বাস্যভাবে জিতিয়েছেন পান্ডিয়া। বুমরা টুর্নামেন্ট জুড়েই দুর্দান্ত খেলেছেন। অস্ট্রেলিয়ার তিন ক্রিকেটার হলেন ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কাস স্টয়নিস। ওয়ার্নার এই বিশ্বকাপেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি ত্রিস্তান স্তাবস। 

বিশ্বকাপ শেষে আইসিসি ফ্যান্টাসি একাদশে রিশাদ হোসেন। ছবি: আইসিসি এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি মিলে বিশ্বকাপে সাতবার সেমিফাইনালে আটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কখনো বৃষ্টির বাধা, হিসাব মেলাতে না পারা, ল্যানস ক্লুজনারের খেপাটে দৌড়—১৯৯২ থেকে শুরু করে নানা ঘটনায় শেষ চারেই থেমে যেত প্রোটিয়াদের পথচলা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকা অষ্টমবারের চেষ্টায় এবার সেমির ফাড়া কাটিয়েছে। গ্রুপ পর্ব, সুপার এইটে একের পর এক ম্যাচ জেতা দক্ষিণ আফ্রিকা ধরা খেল ফাইনালে এসেই। অন্যদিকে ভারত ১১ বছর পর আইসিসি ইভেন্টের শিরোপাখরা কাটিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত