ক্রীড়া ডেস্ক
উইন্ডিজ বোর্ডের সভা জ্যামাইকা টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লুআই)। ডেকেছে জরুরি বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওয়েস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামী সব সাবেক ক্রিকেটারকে। তবে ২৭ রানে অলআউট হওয়ার যন্ত্রণা তাড়া করছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেসিডেন্ট ড. কিশোর শ্যালোকে।
এই কঠিন সময়ে শ্যালো পাশে দাঁড়িয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট সমর্থকদের পাশে। এক আবেগঘন বার্তায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রত্যেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটপ্রেমীর মতো আমিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট পরাজয়ের যন্ত্রণা গভীরভাবে অনুভব করেছি। ফলটা কষ্ট দিয়েছে, শুধু পরাজয়ের ধরনেই নয়, বরং এ কারণে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আমাদের জনগণের জন্য কী প্রতিনিধিত্ব করে—গর্ব, পরিচয়, আর সম্ভাবনা। এই পরাজয়ের পর অনেকের, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের, কিছু নিদ্রাহীন রাত অপেক্ষা করছে। আমি জানি, তারাও এই হারের ভার ঠিক আমাদের মতোই অনুভব করছে। তবে হতাশা স্বাভাবিক হলেও, আমাদের এই মুহূর্তটিকে আমাদের পথচলার সংজ্ঞা বানাতে দেওয়া যাবে না।’
পুনর্গঠনের বার্তা দিয়ে শ্যালো বলেন, ‘আমরা এখন একটি পুনর্গঠনের পর্যায়ে আছি। আমরা ধাপে ধাপে পরবর্তী প্রজন্মে বিনিয়োগ করছি, এবং সেই চেতনা আবার জাগিয়ে তুলছি, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে এক সময়ের শক্তিধর দল করে তুলেছিল। উন্নতি কখনোই সহজ বা সোজাসাপ্টা হয় না। এটি সময়, ধৈর্য আর বিশ্বাসের দাবি রাখে—বিশেষত কঠিন সময়ে। সামনের পথ আমাদের পরীক্ষা নেবে, কিন্তু যখন আমাদের খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দেয়, তখন আমি তাদের প্রতিভা ও প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস রাখি।’
বোলিং-ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে শ্যালো বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে। আমাদের ব্যাটাররা চেষ্টা করছে, এখন তাদের আরও সচেতনভাবে উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। এখন পেছনে সরে যাওয়ার সময় নয়। বরং এখন আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে থাকার সময়। এই ধরনের মুহূর্তই আমাদের গড়তে সহায়তা করে।’
জরুরি সভা ডাকার কথা উল্লেখ করে শ্যালো বলেন, ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমি ক্রিকেট কৌশল ও আম্পায়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানকে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বানের পরামর্শ দিয়েছি—অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজ, বিশেষ করে শেষ ম্যাচটি পর্যালোচনার জন্য। এই আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের তিন কিংবদন্তি ব্যাটার—স্যার ক্লাইভ লয়েড, স্যার ভিভ রিচার্ডস ও ব্রায়ান লারাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এই কমিটিতে এরই মধ্যে থাকা ড. শিবনারায়ণ চন্দরপল, ড. দ্য মোস্ট অনারেবল ডেসমন্ড হেইনস ও ইয়ান ব্রাডশ’র সঙ্গে যোগ দেবেন।’
শ্যালো জানিয়েছেন, পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের। কিংবদন্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সামনে এগোতে চান তাঁরা, ‘এই আয়োজন কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। এরা সেই মানুষ, যারা আমাদের গৌরবময় সময়গুলো গড়ে দিয়েছিলেন। আগামী দিনের ক্রিকেট উন্নয়নে তাদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা চাই, এই আলোচনা থেকে বাস্তবধর্মী ও কার্যকর সুপারিশ উঠে আসুক। গত কয়েক সপ্তাহের আমার বার্তার সঙ্গে সংগতি রেখেই বলছি—এটি বিভাজনের সময় নয়, বরং একসঙ্গে কাজ করার সময়। আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে—ভক্ত, খেলোয়াড়, কোচ, কিংবদন্তি ও প্রশাসকদের নিয়ে—যদি আমরা সত্যিকারের অগ্রগতি চাই। এখনো অনেক কাজ বাকি। তবে আমাদের সেই কাজটি করতে হবে লক্ষ্য নিয়ে, আর করতে হবে একসঙ্গে।’
উইন্ডিজ বোর্ডের সভা জ্যামাইকা টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড (সিডব্লুআই)। ডেকেছে জরুরি বৈঠক। সেখানে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ওয়েস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের নামী সব সাবেক ক্রিকেটারকে। তবে ২৭ রানে অলআউট হওয়ার যন্ত্রণা তাড়া করছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রেসিডেন্ট ড. কিশোর শ্যালোকে।
এই কঠিন সময়ে শ্যালো পাশে দাঁড়িয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট সমর্থকদের পাশে। এক আবেগঘন বার্তায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘প্রত্যেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটপ্রেমীর মতো আমিও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট পরাজয়ের যন্ত্রণা গভীরভাবে অনুভব করেছি। ফলটা কষ্ট দিয়েছে, শুধু পরাজয়ের ধরনেই নয়, বরং এ কারণে যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আমাদের জনগণের জন্য কী প্রতিনিধিত্ব করে—গর্ব, পরিচয়, আর সম্ভাবনা। এই পরাজয়ের পর অনেকের, বিশেষ করে খেলোয়াড়দের, কিছু নিদ্রাহীন রাত অপেক্ষা করছে। আমি জানি, তারাও এই হারের ভার ঠিক আমাদের মতোই অনুভব করছে। তবে হতাশা স্বাভাবিক হলেও, আমাদের এই মুহূর্তটিকে আমাদের পথচলার সংজ্ঞা বানাতে দেওয়া যাবে না।’
পুনর্গঠনের বার্তা দিয়ে শ্যালো বলেন, ‘আমরা এখন একটি পুনর্গঠনের পর্যায়ে আছি। আমরা ধাপে ধাপে পরবর্তী প্রজন্মে বিনিয়োগ করছি, এবং সেই চেতনা আবার জাগিয়ে তুলছি, যা ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটকে বিশ্বমঞ্চে এক সময়ের শক্তিধর দল করে তুলেছিল। উন্নতি কখনোই সহজ বা সোজাসাপ্টা হয় না। এটি সময়, ধৈর্য আর বিশ্বাসের দাবি রাখে—বিশেষত কঠিন সময়ে। সামনের পথ আমাদের পরীক্ষা নেবে, কিন্তু যখন আমাদের খেলোয়াড়েরা নিজেদের উজাড় করে দেয়, তখন আমি তাদের প্রতিভা ও প্রতিশ্রুতির ওপর বিশ্বাস রাখি।’
বোলিং-ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে শ্যালো বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে কিছু ইতিবাচক ইঙ্গিত পেয়েছি, বিশেষ করে বোলিংয়ে। আমাদের ব্যাটাররা চেষ্টা করছে, এখন তাদের আরও সচেতনভাবে উন্নতির জন্য কাজ করতে হবে। এখন পেছনে সরে যাওয়ার সময় নয়। বরং এখন আরও ঘনিষ্ঠভাবে একসঙ্গে থাকার সময়। এই ধরনের মুহূর্তই আমাদের গড়তে সহায়তা করে।’
জরুরি সভা ডাকার কথা উল্লেখ করে শ্যালো বলেন, ‘তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ হিসেবে আমি ক্রিকেট কৌশল ও আম্পায়ারিং কমিটির চেয়ারম্যানকে একটি জরুরি বৈঠক আহ্বানের পরামর্শ দিয়েছি—অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজ, বিশেষ করে শেষ ম্যাচটি পর্যালোচনার জন্য। এই আলোচনাকে আরও সমৃদ্ধ করতে আমি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের তিন কিংবদন্তি ব্যাটার—স্যার ক্লাইভ লয়েড, স্যার ভিভ রিচার্ডস ও ব্রায়ান লারাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা এই কমিটিতে এরই মধ্যে থাকা ড. শিবনারায়ণ চন্দরপল, ড. দ্য মোস্ট অনারেবল ডেসমন্ড হেইনস ও ইয়ান ব্রাডশ’র সঙ্গে যোগ দেবেন।’
শ্যালো জানিয়েছেন, পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করা হবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের। কিংবদন্তিদের সঙ্গে পরামর্শ করে সামনে এগোতে চান তাঁরা, ‘এই আয়োজন কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়। এরা সেই মানুষ, যারা আমাদের গৌরবময় সময়গুলো গড়ে দিয়েছিলেন। আগামী দিনের ক্রিকেট উন্নয়নে তাদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। আমরা চাই, এই আলোচনা থেকে বাস্তবধর্মী ও কার্যকর সুপারিশ উঠে আসুক। গত কয়েক সপ্তাহের আমার বার্তার সঙ্গে সংগতি রেখেই বলছি—এটি বিভাজনের সময় নয়, বরং একসঙ্গে কাজ করার সময়। আমাদের একতাবদ্ধ হতে হবে—ভক্ত, খেলোয়াড়, কোচ, কিংবদন্তি ও প্রশাসকদের নিয়ে—যদি আমরা সত্যিকারের অগ্রগতি চাই। এখনো অনেক কাজ বাকি। তবে আমাদের সেই কাজটি করতে হবে লক্ষ্য নিয়ে, আর করতে হবে একসঙ্গে।’
অনেক দিন ধরেই বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার বেহাল দশা। তার ওপর এখন বর্ষাকালে নিয়মিত বৃষ্টির কারণে স্টেডিয়ামের অবস্থা হয়েছে আরও বাজে। দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক ফুটবল সংস্থা (সাফ) এবার চারটি ম্যাচের ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ।
৬ মিনিট আগেবাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ এখন ১-১ সমতায়। কলম্বোর প্রেমাদাসায় আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিটা হয়ে গেল সিরিজ নির্ধারণী। এই ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে।
১ ঘণ্টা আগেকোচ, অধিনায়কদের যে জ্বালা-যন্ত্রণার শেষ নেই। দল জিতলে যেমন বাহ্বা পান, তেমনি ম্যাচ হারলে তাঁদের ওপর আসে একের পর এক অভিযোগ। লর্ডসে গত পরশু কাছাকাছি গিয়ে ম্যাচ হারের পর ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের দিকে উঠেছে অভিযোগের আঙুল।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস দিয়ে অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরছে ১২৮ বছর পর। টেলিভিশনে খেলা দেখতে ভারত, বাংলাদেশ—অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ার দর্শকদের কথা বিবেচনা করে খেলার সময় সূচি তৈরি করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হবে। সব ম্যাচই হবে ক্যালিফোর্নিয়ার পোমোনা ফেয়ারগ্রাউন্ডে তৈরি...
৩ ঘণ্টা আগে