Ajker Patrika

পাকিস্তানের ৫০০, ইংল্যান্ডের ৮০০, বাংলাদেশের কত

ক্রীড়া ডেস্ক   
Thumbnail image
জয়ের আশা ছাড়তে নারাজ ফিল সিমন্স। ছবি: আজকের পত্রিকা

জোড়া সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ২ উইকেটে ৩০৭ রান। প্রথম দিনেই যেন বাংলাদেশের ঘাড়ে চেপে বসেছে এইডেন মার্করামের দল। প্রোটিয়ারা যে প্রথম ইনিংসে ভালো একটা স্কোর পাচ্ছে সেটি মোটামুটি নিশ্চিতই হয়ে গেছে।

আজ সারা দিন ৮১ ওভার বোলিং করে ২ উইকেট নিতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। মেহেদী হাসান মিরাজ-হাসান মাহমুদদের জন্য দিনটা হতাশার হলেও সেটি মানতে নারাজ প্রধান কোচ ফিল সিমন্স, ‘বলতে পারি না আমি হতাশ। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ছিল একটি চমৎকার ব্যাটিং উইকেট। আমি মনে করি বোলাররা পরিশ্রম করেছে এবং ভালো বোলিং করেছে। কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। অন্যভাবে হতে পারত, চার বা পাঁচটি উইকেটও পেতে পারতাম। তবে জানেন, এটি একটি কঠিন দিন। এ আগেও এমন কঠিন দিন দেখেছি। তাই, হতাশ বলব না।’

তাইজুল দুটি উইকেট নিলেও ব্যর্থ হয়েছেন বাকিরা। সিমন্স অবশ্য জানিয়েছেন, একদিনেই তাঁরা জয়ের আশা ছাড়তে চানা না। টেস্টে প্রতি দিন ও সেশনে রং বদলায়। সিমন্স বললেন, ‘এখন দলের আলোচনা হচ্ছে, আগামীকাল সকালে আমাদের এসে দ্রুত উইকেট নিতে হবে, যেন নিজেদের বোলিং করার জন্য একটি ভালো অবস্থানে রাখা যায়।’

সিমন্স উদাহরণ হিসেবে টানলেন পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের মুলতানের প্রথম টেস্ট। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করার পর ইংল্যান্ড করেছিল ৮২৩। সেই ম্যাচ শেষ পর্যন্ত হেরে বসে পাকিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ বললেন, ‘তারপর যখন আমরা ব্যাট করব...আমরা টেস্ট ম্যাচে দেখেছি, পাকিস্তানে একটি দলের ৫০০, অন্য দলের ৮০০ রান হয়েছে এবং তাতেও ফল হয়েছে। তাই সব সময়ই একটি ফল পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।’ তবে ইংল্যান্ডের মতো দক্ষিণ আফ্রিকাকে পাল্টা জবাবে কত রান তুলতে পারবে, সেটি দেখার অপেক্ষা।

সিমন্স জয় ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবছেন না, ‘আর এখন আমরা আজকের ঘটনার দিকে তাকিয়ে আগামীকাল সকালে কীভাবে ভিন্নভাবে কাজ করতে পারি, সেটি দেখব। যাতে কিছু অতিরিক্ত উইকেট পেতে পারি এবং নিজেদের ভালো অবস্থানে রাখতে পারি। প্রথমেই ম্যাচটি জেতার বিষয়টি ভাবা উচিত, তারপর অন্য কিছু।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত