নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে আমরা এক ব্যক্তির ইতিহাসে পরিণত করেছি। কিন্তু কোনো জাতি এক ব্যক্তি দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। দেশ স্বাধীনের পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যাঁরা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সবার অবদান রয়েছে। প্রবাসী অ্যাডভাইজার তাজউদ্দীন আহমদ, মওলানা ভাসানী, মুজাফফর আহমেদসহ সবারই অবদান রয়েছে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি আগরতলায় ফিরে আসতাম, তখন তাজউদ্দীন ভাই সব সময় বলতেন, জাফরুল্লাহ, আমি জানি আলজেরিয়ার ইতিহাস, এ দেশ যখন স্বাধীন হবে, তখন হয়তো আমি থাকব না। এটাই হলো জাতির দুর্ভাগ্য! যারা জাতিকে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা সব সময় স্মরণযোগ্য হয় না। সেই একই অবস্থা হয়েছে আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ এবং আমাদের প্রবাসী সরকার তাজউদ্দীন আহমদের ক্ষেত্রে। আমাদের তাঁদের মনে রাখা উচিত।’
ডা. জাফরুল্লাহর মতে, মানুষের মস্তিষ্ক সব সময় সবকিছু মনে রাখতে পারে না, অনেক কিছুই ভুলে যায়। তাই এ দেশের ইতিহাস বারে বারে বলতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘১৯৭৪ সালে দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। অমর্ত্য সেন তাঁর বইয়ে লিখেছেন, সেই বছর সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভিক্ষ হওয়ায় সেখানে ৩ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারও শোনা যাচ্ছে। অনাহারে মারা যাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু অর্ধাহার ও অপুষ্টিতে আছে।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে স্মরণ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মওদুদ আহমদের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ইংল্যান্ডে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যাঁরা ইংল্যান্ডে যেতেন, তাঁদের বাসস্থানের ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে তিনি আন্দোলন করছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যারিস্টার মওদুদ ও আমিনুল ইসলাম প্রবাসী সরকারকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।’
মওদুদ আহমদকে স্মরণ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা দুজন দুই দল করতাম। কিন্তু সম্পর্ক ছিল আন্তরিক ও পারিবারিক। মওদুদ আহমদ ’৫২ সালে ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ছাত্ররাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন কেউ কেউ অস্বীকার করতে চাইছে। চুয়াত্তর সালের জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরশাদের আমলে কারাগারে ছিলেন, বিএনপির আমলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি কারাবাস নিয়ে বই লিখেছেন।’
জেএসডির সভাপতি আরও বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি (মওদুদ আহমদ) একজন দক্ষ মানুষ ছিলেন। আমরা তাঁকে সম্মান দিতে পারিনি। বর্তমান সরকার তাঁকে অসম্মান করেছে। এই সরকার কারও অবদান মূল্যায়ন করে না। কেউরে মর্যাদা দিতে রাজি নয়। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের সমস্ত ইতিহাস একটি পরিবারের কাছে বিলীন করা হচ্ছে। কারও একক অবদানে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একবার ভাবেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা যদি সেই দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান, বুদ্ধিজীবীরা সমর্থন দিতেন, তাহলে আমেরিকান ডেমোক্রেসির কী অবস্থা হতো! কিন্তু সে দেশের সেনাপ্রধান সেটা করেননি। আর আমার দেশের সেনাপ্রধান, আমি শুধু বর্তমান সেনাপ্রধানের উদ্দেশেই বলছি না—সেরকমটা পারবে না। পুলিশপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা বলেন আর বুদ্ধিজীবী বলেন, প্রত্যেকেই নিজের বিশ্বাস গিলে ফেলে এমনভাবে কথা বলছি, যাতে আমার নেতা সন্তুষ্ট হন।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকে আমরা এক ব্যক্তির ইতিহাসে পরিণত করেছি। কিন্তু কোনো জাতি এক ব্যক্তি দ্বারা সৃষ্টি হয়নি। দেশ স্বাধীনের পেছনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যাঁরা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সবার অবদান রয়েছে। প্রবাসী অ্যাডভাইজার তাজউদ্দীন আহমদ, মওলানা ভাসানী, মুজাফফর আহমেদসহ সবারই অবদান রয়েছে।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় এ মন্তব্য করেন জাফরুল্লাহ। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ স্মৃতি পরিষদ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘যখন আমি আগরতলায় ফিরে আসতাম, তখন তাজউদ্দীন ভাই সব সময় বলতেন, জাফরুল্লাহ, আমি জানি আলজেরিয়ার ইতিহাস, এ দেশ যখন স্বাধীন হবে, তখন হয়তো আমি থাকব না। এটাই হলো জাতির দুর্ভাগ্য! যারা জাতিকে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা সব সময় স্মরণযোগ্য হয় না। সেই একই অবস্থা হয়েছে আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মওদুদ এবং আমাদের প্রবাসী সরকার তাজউদ্দীন আহমদের ক্ষেত্রে। আমাদের তাঁদের মনে রাখা উচিত।’
ডা. জাফরুল্লাহর মতে, মানুষের মস্তিষ্ক সব সময় সবকিছু মনে রাখতে পারে না, অনেক কিছুই ভুলে যায়। তাই এ দেশের ইতিহাস বারে বারে বলতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘১৯৭৪ সালে দুঃশাসনের কারণে বাংলাদেশের দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। অমর্ত্য সেন তাঁর বইয়ে লিখেছেন, সেই বছর সবচেয়ে বেশি খাদ্য উৎপাদন হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভিক্ষ হওয়ায় সেখানে ৩ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। সেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি আবারও শোনা যাচ্ছে। অনাহারে মারা যাচ্ছে না ঠিকই, কিন্তু অর্ধাহার ও অপুষ্টিতে আছে।’
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে স্মরণ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘মওদুদ আহমদের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ইংল্যান্ডে। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে যাঁরা ইংল্যান্ডে যেতেন, তাঁদের বাসস্থানের ব্যবস্থা নিয়ে সেখানে তিনি আন্দোলন করছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যারিস্টার মওদুদ ও আমিনুল ইসলাম প্রবাসী সরকারকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।’
মওদুদ আহমদকে স্মরণ করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘আমরা দুজন দুই দল করতাম। কিন্তু সম্পর্ক ছিল আন্তরিক ও পারিবারিক। মওদুদ আহমদ ’৫২ সালে ঢাকা কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ছাত্ররাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এখন কেউ কেউ অস্বীকার করতে চাইছে। চুয়াত্তর সালের জরুরি অবস্থার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন। এরশাদের আমলে কারাগারে ছিলেন, বিএনপির আমলেও গ্রেপ্তার হয়েছেন। তিনি কারাবাস নিয়ে বই লিখেছেন।’
জেএসডির সভাপতি আরও বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি (মওদুদ আহমদ) একজন দক্ষ মানুষ ছিলেন। আমরা তাঁকে সম্মান দিতে পারিনি। বর্তমান সরকার তাঁকে অসম্মান করেছে। এই সরকার কারও অবদান মূল্যায়ন করে না। কেউরে মর্যাদা দিতে রাজি নয়। মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও ভাষা আন্দোলনের সমস্ত ইতিহাস একটি পরিবারের কাছে বিলীন করা হচ্ছে। কারও একক অবদানে বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই।’
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘একবার ভাবেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেটা যদি সেই দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান, বুদ্ধিজীবীরা সমর্থন দিতেন, তাহলে আমেরিকান ডেমোক্রেসির কী অবস্থা হতো! কিন্তু সে দেশের সেনাপ্রধান সেটা করেননি। আর আমার দেশের সেনাপ্রধান, আমি শুধু বর্তমান সেনাপ্রধানের উদ্দেশেই বলছি না—সেরকমটা পারবে না। পুলিশপ্রধান বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতা বলেন আর বুদ্ধিজীবী বলেন, প্রত্যেকেই নিজের বিশ্বাস গিলে ফেলে এমনভাবে কথা বলছি, যাতে আমার নেতা সন্তুষ্ট হন।’
স্মরণসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি মো. আবদুল মতিন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির ডিস্টিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য প্রমুখ।
মনোনয়নপত্র সশরীরে জমা দেওয়া, দল নিবন্ধন নবায়ন, দল নিবন্ধনের সময় বাড়ানো, ঋণখেলাপি ও হলফনামায় ভুল তথ্য দিলে সদস্যপদ বাতিলসহ অন্তত ১০টি দাবি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে তুলে ধরেছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন কমিশনের বক্তব্যে
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকের পক্ষে নয় এবং এই নীতিটি সংবিধানে সংযুক্ত করার পক্ষেও দলটি একমত। সংবিধান সংস্কার নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অসন্তুষ্ট নয় বিএনপি। বরং রাষ্ট্র ও জনগণের কল্যাণে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী কাঠামো দাঁড় করানোর জন্য তাঁরা সর্বাত্মক...
১০ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের কাছে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গতকাল তাদের সুপারিশমালা জমা দেওয়ার পর কয়েকটি সুপারিশ নিয়ে তীব্র আলোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার এবং ভরণপোষণের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার সুপারিশগুলো নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে।
১১ ঘণ্টা আগেসংস্কারের বিষয়ে আর কোনো সংকট দেখছে না বিএনপি। এই অবস্থায় চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব বলে মনে করছে দলটি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে কোনো সংকট নেই। সবাই সবার মতামত দিয়েছে। ঐকমত্য কোথায় কোথায় হয়েছে, তা জানতে এক সপ্তাহের...
১২ ঘণ্টা আগে