নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে গতকাল সারা দিন উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির মাঠ।
গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই। মূলত প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ভারতের পরিকল্পনায় ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় শুক্রবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া জুমার নামাজের পরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এসব মিছিল থেকে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তাঁরা।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল জুমার নামাজের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্য গিয়ে শেষ হয়। অন্য দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের একটি মিছিল মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, হলপাড়া, রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের দিকে যায়।
মিছিল-পরবর্তী এক সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের অধিক শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না। আওয়ামী লীগ মানেই খুনি।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরাও। মিছিলের পর সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের পাখির মতো হত্যা করেছে, তাদের আমরা বেঁচে থাকতে এই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেবে না। আমরা এখানে জড়ো হয়েছি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে। যত দিন না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান এবং দলটির নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরাও। এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনারা যদি ঢাকার বাইরে অন্য কোনো দেশের বা অন্য কোনো এজেন্সির প্রেসক্রিপশনে চলতে চান, তাহলে আপনাদেরও ছেড়ে কথা বলব না। যারা সেনাবাহিনীকে ভারতের প্রেসক্রিপশনে চালাতে চায়, তাদের আমরা শেখ হাসিনা যে পথে গেছে সেই পথে পাঠিয়ে দেব।’
ছাত্রশিবির জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলা মানে আমাদের শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা। আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে দেশের রাজনীতিতে আসতে হলে, আমাদের লাশের ওপর দিয়ে আসতে হবে।’
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ছাত্র-জনতা পুনরায় তাদের রুখে দেবে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ ঘোষণা’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। গতকাল বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক এ বি জোবায়ের। এর আগে বিকেল পৌনে ৪টায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করে এ বি জোবায়ের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা রুখে দিতে এবং প্রতিশোধ নিতে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। এ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’ ঘোষণা করছি। আওয়ামী লীগবিরোধী যেকোনো মত ও পথের লোক এ প্ল্যাটফর্মের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।’
আজ শনিবার বিকেল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং গণহত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে প্ল্যাটফর্মটি। এ সময় রাজু ভাস্কর্যে গণইফতারেরও আয়োজন করা হবে।
প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে গতকাল সারা দিন উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির মাঠ।
গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানান, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা সরকারের নেই। মূলত প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের পরেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রনেতারা।
বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, ভারতের পরিকল্পনায় ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। ওই রাতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা করা হয় শুক্রবার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া জুমার নামাজের পরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমেও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এসব মিছিল থেকে বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেওয়া হবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা নেই বলে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটি প্রত্যাহারেরও দাবি জানান তাঁরা।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে গতকাল জুমার নামাজের পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, সূর্য সেন হল, ভিসি চত্বর হয়ে রাজু ভাস্কর্য গিয়ে শেষ হয়। অন্য দিকে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের একটি মিছিল মধুর ক্যানটিন, শ্যাডো, হলপাড়া, রাজু ভাস্কর্য হয়ে কেন্দ্রীয় মসজিদের দিকে যায়।
মিছিল-পরবর্তী এক সমাবেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাইলে বাংলাদেশে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। দুই হাজারের অধিক শহীদ এবং হাজার হাজার আহতের রক্তের শপথ, আমাদের দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে দেব না। আওয়ামী লীগ মানেই খুনি।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরাও। মিছিলের পর সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যারা আমাদের ভাইদের পাখির মতো হত্যা করেছে, তাদের আমরা বেঁচে থাকতে এই বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেবে না। আমরা এখানে জড়ো হয়েছি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে। যত দিন না আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হয়, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান এবং দলটির নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরাও। এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘আমরা সেনাবাহিনীকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আপনারা যদি ঢাকার বাইরে অন্য কোনো দেশের বা অন্য কোনো এজেন্সির প্রেসক্রিপশনে চলতে চান, তাহলে আপনাদেরও ছেড়ে কথা বলব না। যারা সেনাবাহিনীকে ভারতের প্রেসক্রিপশনে চালাতে চায়, তাদের আমরা শেখ হাসিনা যে পথে গেছে সেই পথে পাঠিয়ে দেব।’
ছাত্রশিবির জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলা মানে আমাদের শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা। আমাদের শরীরে এক ফোঁটা রক্ত থাকা পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেব না।’
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গতকাল ভোর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই কর্মসূচি পালন করে শিক্ষার্থীরা।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে দেশের রাজনীতিতে আসতে হলে, আমাদের লাশের ওপর দিয়ে আসতে হবে।’
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নায়েবে আমির আহমেদ আলী কাসেমী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হলে জুলাই অভ্যুত্থানের মতো ছাত্র-জনতা পুনরায় তাদের রুখে দেবে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আন্দোলন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ ঘোষণা’ নামে নতুন প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীদের একাংশ। গতকাল বিকেল সোয়া ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক এ বি জোবায়ের। এর আগে বিকেল পৌনে ৪টায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তাঁরা।
প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করে এ বি জোবায়ের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রচেষ্টা রুখে দিতে এবং প্রতিশোধ নিতে আমরা আন্দোলন অব্যাহত রাখব। এ আন্দোলন অব্যাহত রাখতে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ আন্দোলন’ ঘোষণা করছি। আওয়ামী লীগবিরোধী যেকোনো মত ও পথের লোক এ প্ল্যাটফর্মের অধীনে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।’
আজ শনিবার বিকেল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং গণহত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে প্ল্যাটফর্মটি। এ সময় রাজু ভাস্কর্যে গণইফতারেরও আয়োজন করা হবে।
প্রতিবেদনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সহায়তা নেওয়া হয়েছে।

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে গতকাল সারা দিন উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির মাঠ। গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান...
২২ মার্চ ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’
পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’
তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’
পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’
তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে গতকাল সারা দিন উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির মাঠ। গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান...
২২ মার্চ ২০২৫
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘আমরা একটা কথা শুনতে পাচ্ছি। সরকার একধরনের সমঝোতা করে বার্নিং ইস্যু হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছে। তারা কিছুটা বিএনপিকে সন্তুষ্ট করতে চায়, কিছুটা অন্যদের।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির অনেক খেলা আছে। আমরা খেলতে চাই না। আগামীকাল সোমবার জামায়াতের দলীয় বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে সবার আগে প্রার্থী দিয়েছি। ক্যান্ডিডেট দিলাম, টাকা খরচ করছি, সবকিছু করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবুও বিএনপি বলে, আমরা নাকি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না। অথচ তারা এখনো একটা আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।’
বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই আহ্বান এখন মিডিয়ার মাধ্যমে দিচ্ছি। দেখি তারা কাল মিডিয়ায় কী প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, আব্দুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘আমরা একটা কথা শুনতে পাচ্ছি। সরকার একধরনের সমঝোতা করে বার্নিং ইস্যু হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছে। তারা কিছুটা বিএনপিকে সন্তুষ্ট করতে চায়, কিছুটা অন্যদের।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির অনেক খেলা আছে। আমরা খেলতে চাই না। আগামীকাল সোমবার জামায়াতের দলীয় বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে সবার আগে প্রার্থী দিয়েছি। ক্যান্ডিডেট দিলাম, টাকা খরচ করছি, সবকিছু করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবুও বিএনপি বলে, আমরা নাকি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না। অথচ তারা এখনো একটা আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।’
বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই আহ্বান এখন মিডিয়ার মাধ্যমে দিচ্ছি। দেখি তারা কাল মিডিয়ায় কী প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, আব্দুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে গতকাল সারা দিন উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির মাঠ। গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান...
২২ মার্চ ২০২৫
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’
গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’
তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’
গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’
তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। এই দাবিতে গতকাল শুক্রবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে গতকাল সারা দিন উত্তপ্ত ছিল রাজনীতির মাঠ। গত বৃহস্পতিবার ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান...
২২ মার্চ ২০২৫
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
১ ঘণ্টা আগে