নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকার ‘মুখথুবড়ে পড়লে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০—এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী যে সরকার, সে সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা এই সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করি এবং করব—একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর এই নির্বাচন, যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।’
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি আজ মুখ থুবড়ে পড়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে। তাই আমরা আশা করব, এ সরকার যে কমিশন করেছেন—তার রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী করণীয়—একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যাদের রায় দেবে তাদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে এবং দেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। পাশাপাশি দেশের যে সব সমস্যার জট বেঁধে আছে তা সমাধান করবে। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতা এবং দেশের মানুষের যে দাবি তা পূরণ হতে হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
সাগর-রুনির বিচার এখনো হয়নি জানিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘অবিলম্বে সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং এই বিচার দ্রুত করতে হবে। এত দিন সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণ একটাই; আওয়ামী লীগ সরকার এখানে জড়িত ছিল। তখন প্রতিবেদন জমা হয়নি, বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আজ এই বিচার বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।’
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। গণতন্ত্র একবার এনেছেন জিয়াউর রহমান, আরেকবার এনেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর দীর্ঘ ১৬ বছর দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে সর্বশেষ ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যেভাবে অর্জিত হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সাইফুদ্দিন মনিকে স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাইফুদ্দিন মনির স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা দ্রুত একটি গণতন্ত্র ফিরে পাব, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাব এবং দ্রুত একটি জনগণের সরকার পাব। যেখানে এই দেশের সরকার পরিচালিত হবে জনগণের মাধ্যমে।’
বিএনপির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে, সেটা আর বলতে চাই না। তারা দেশটাকে জেল বানিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রাস্তায় মিশিয়ে ফেলছে। শেখ হাসিনা মনে করেন, দেশটা তাঁর বাবার সম্পত্তি; যেটা মনে করতেন তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনা শুধু এবারই পালায়নি, এর আগে ৭৫—এ তিনি বোরকা পরে পালিয়েছেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পালায়নি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমাদের নেত্রীকে তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, খালেদা জিয়া পালিয়ে যাননি। গত ১৬ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেল-জুলুম-হত্যার শিকার হয়েছে। জামায়াতও অনেক ত্যাগ শিকার করেছে, হেফাজত ইসলামীও অবদান রেখেছে।’
আ. লীগের সঙ্গে কোনো আপস হবে না জানিয়ে নাজিমউদ্দিন আলম বলেন, ‘যেকোনো আন্দোলনে ৯০—এর গণঅভ্যুত্থান অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। জুলাই-আগস্টে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। আমরা প্রয়োজন হলে রাস্তায় নামব।’
তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে দেখতে চান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করব। আমরা অবিলম্বে দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার সন্তান দেশের বাইরে থাকবে, এটা আমরা দেখতে চাই না।’
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামে সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘অবিলম্বে বিএনপির সব নেতা-কর্মীর নামে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সকল রাজবন্দীদের মুক্ত করে দিতে হবে।’ আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাইফুদ্দিন মনির জন্য দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, দলটির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডাকসুর সাবেক জিএস নাজিমুদ্দিন আলম, জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘মুখথুবড়ে পড়লে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০—এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী যে সরকার, সে সরকারকে আমরা সহযোগিতা করতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা এই সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করি এবং করব—একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য। আর এই নির্বাচন, যত দ্রুত সম্ভব হতে হবে।’
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যদি আজ মুখ থুবড়ে পড়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে। তাই আমরা আশা করব, এ সরকার যে কমিশন করেছেন—তার রিপোর্ট পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরবর্তী করণীয়—একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ যাদের রায় দেবে তাদের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হবে এবং দেশ শান্তিপূর্ণভাবে চলবে। পাশাপাশি দেশের যে সব সমস্যার জট বেঁধে আছে তা সমাধান করবে। একই সঙ্গে ছাত্র-জনতা এবং দেশের মানুষের যে দাবি তা পূরণ হতে হবে। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
সাগর-রুনির বিচার এখনো হয়নি জানিয়ে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘অবিলম্বে সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে এবং এই বিচার দ্রুত করতে হবে। এত দিন সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার বিলম্ব হওয়ার কারণ একটাই; আওয়ামী লীগ সরকার এখানে জড়িত ছিল। তখন প্রতিবেদন জমা হয়নি, বিলম্ব হয়েছে। কিন্তু আজ এই বিচার বিলম্ব হওয়ার কথা নয়।’
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘দীর্ঘ অনেক বছর আমরা আন্দোলন করেছি, সংগ্রাম করেছি। গণতন্ত্র একবার এনেছেন জিয়াউর রহমান, আরেকবার এনেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। আর দীর্ঘ ১৬ বছর দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলন করে সর্বশেষ ছাত্রজনতার গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা পেয়েছি গণতন্ত্র। গণতন্ত্র যেভাবে অর্জিত হয়েছে তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।’
সাইফুদ্দিন মনিকে স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সাইফুদ্দিন মনির স্বপ্ন তখনই পূরণ হবে, যখন জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিতের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় আমরা দ্রুত একটি গণতন্ত্র ফিরে পাব, দ্রুত ভোটাধিকার ফিরে পাব এবং দ্রুত একটি জনগণের সরকার পাব। যেখানে এই দেশের সরকার পরিচালিত হবে জনগণের মাধ্যমে।’
বিএনপির নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য নাজিমউদ্দিন আলম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যেভাবে দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে, সেটা আর বলতে চাই না। তারা দেশটাকে জেল বানিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে রাস্তায় মিশিয়ে ফেলছে। শেখ হাসিনা মনে করেন, দেশটা তাঁর বাবার সম্পত্তি; যেটা মনে করতেন তাঁর বাবা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ হাসিনা শুধু এবারই পালায়নি, এর আগে ৭৫—এ তিনি বোরকা পরে পালিয়েছেন। কিন্তু আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া পালায়নি। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমাদের নেত্রীকে তাঁর দুই ছেলেকে নিয়ে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, খালেদা জিয়া পালিয়ে যাননি। গত ১৬ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা জেল-জুলুম-হত্যার শিকার হয়েছে। জামায়াতও অনেক ত্যাগ শিকার করেছে, হেফাজত ইসলামীও অবদান রেখেছে।’
আ. লীগের সঙ্গে কোনো আপস হবে না জানিয়ে নাজিমউদ্দিন আলম বলেন, ‘যেকোনো আন্দোলনে ৯০—এর গণঅভ্যুত্থান অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। জুলাই-আগস্টে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোনো আপস হবে না। আমরা প্রয়োজন হলে রাস্তায় নামব।’
তারেক রহমানকে দ্রুত দেশে দেখতে চান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘আমরা এই অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতা করব। আমরা অবিলম্বে দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে দেখতে চাই। খালেদা জিয়ার সন্তান দেশের বাইরে থাকবে, এটা আমরা দেখতে চাই না।’
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামে সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, ‘অবিলম্বে বিএনপির সব নেতা-কর্মীর নামে করা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। সকল রাজবন্দীদের মুক্ত করে দিতে হবে।’ আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সাইফুদ্দিন মনির জন্য দোয়া করা হয়।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসন উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবীব, দলটির জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডাকসুর সাবেক জিএস নাজিমুদ্দিন আলম, জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে।
রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে আজ রোববার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বিএনপি সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেশের ৩০০ সংসদীয় আসনে বিএনপিদলীয় প্রার্থী কিংবা বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থীর মনোনয়নপ্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে। জনসমর্থিত ও জনপ্রিয় দল হওয়ার কারণে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে বিএনপির একাধিক যোগ্য লোক মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, কিন্তু প্রত্যেককে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব নয়।
এ ছাড়া ভিন্ন রাজনৈতিক দলের যাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সঙ্গে ছিলেন, এমন প্রার্থীকেও বিএনপি সমর্থন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, এ বাস্তবতার কারণে অনেক আসনে হয়তো বিএনপির যোগ্য অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী বঞ্চিত হবেন।
ব্যক্তিস্বার্থ ও বিভেদ ভুলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে মনোনয়নপ্রত্যাশীসহ দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাঁদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত বলে গণ্য করবেন।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘মনে রাখবেন—আপনাদের চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার কিন্তু ওত পেতে রয়েছে। সুতরাং, আপনাদের নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ, বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ আপনাদের মধ্যকার বিরোধের সুযোগ নিতে পারে।’
দলের পক্ষ থেকে শিগগির পর্যায়ক্রমে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘দল যাকেই যে আসনে মনোনয়ন দেবে, অনুগ্রহপূর্বক তাকে বিজয়ী করে আনার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকে, বিএনপির প্রতিটি মানুষ দয়া করে কাজ করবেন।’
শুধু বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পলাতক স্বৈরাচার সরকার দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে গত ১৫ বছরে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছিল। উদ্বেগ ও আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও অপকৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো কোনো বিষয়ে জনমনে জিজ্ঞাসা বাড়ছে—যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? কিন্তু এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সৃষ্ট জনমনে সংশয়-সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে হয়তোবা সংকটাপন্ন করে তুলতে পারে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ অনেকে বক্তব্য দেন।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘মুখথুবড়ে পড়লে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০—এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির
১৪ অক্টোবর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’
পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’
তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
হাসান ইনাম পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ‘আমি গত ৪ মাস জুলাই থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আমি এই সংগঠনকে বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক পরিসরে তুলে ধরার জন্য একদল কর্মঠ কর্মী নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় নানা পরিসরে কাজে লিপ্ত থেকে আমি শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ অনুভব করছি।’
পদত্যাগপত্রে হাসান ইনাম সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের পদে বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘সংগঠনের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারা দেশের সব কমিটি পুনর্গঠনের ঘোষণা দেখার পর মনে হচ্ছে দেশব্যাপী পরিব্যাপ্ত সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় আমি এখন নেই। তাই আমি স্বেচ্ছায়, স্বপ্রণোদিতভাবে এই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা নিচ্ছি।’
তবে, পদত্যাগ করলেও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের লক্ষ্য অর্জনের লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন হাসান ইনাম। তিনি বলেন, ‘তবে জুলাইকে সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমার যে লড়াই, সেটি চলমান থাকবে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠনে সাধারণ সম্পাদক ভিন্ন অন্য কোনো পরিচয়ে বা বেনামে আমি সংগঠনের এ-সংক্রান্ত কাজে নিজেকে জড়িত রাখতে ইচ্ছুক।’

অন্তর্বর্তী সরকার ‘মুখথুবড়ে পড়লে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০—এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির
১৪ অক্টোবর ২০২৪
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘আমরা একটা কথা শুনতে পাচ্ছি। সরকার একধরনের সমঝোতা করে বার্নিং ইস্যু হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছে। তারা কিছুটা বিএনপিকে সন্তুষ্ট করতে চায়, কিছুটা অন্যদের।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির অনেক খেলা আছে। আমরা খেলতে চাই না। আগামীকাল সোমবার জামায়াতের দলীয় বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে সবার আগে প্রার্থী দিয়েছি। ক্যান্ডিডেট দিলাম, টাকা খরচ করছি, সবকিছু করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবুও বিএনপি বলে, আমরা নাকি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না। অথচ তারা এখনো একটা আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।’
বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই আহ্বান এখন মিডিয়ার মাধ্যমে দিচ্ছি। দেখি তারা কাল মিডিয়ায় কী প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, আব্দুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
আজ রোববার রাজধানীর মগবাজারে আল ফালাহ মিলনায়তনে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘আমরা একটা কথা শুনতে পাচ্ছি। সরকার একধরনের সমঝোতা করে বার্নিং ইস্যু হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করছে। তারা কিছুটা বিএনপিকে সন্তুষ্ট করতে চায়, কিছুটা অন্যদের।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতির অনেক খেলা আছে। আমরা খেলতে চাই না। আগামীকাল সোমবার জামায়াতের দলীয় বৈঠক রয়েছে। সেখানে আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা ৩০০ আসনে সবার আগে প্রার্থী দিয়েছি। ক্যান্ডিডেট দিলাম, টাকা খরচ করছি, সবকিছু করে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবুও বিএনপি বলে, আমরা নাকি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত না। অথচ তারা এখনো একটা আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি।’
বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা এই আহ্বান এখন মিডিয়ার মাধ্যমে দিচ্ছি। দেখি তারা কাল মিডিয়ায় কী প্রতিক্রিয়া দেখায়।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, আব্দুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘মুখথুবড়ে পড়লে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০—এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির
১৪ অক্টোবর ২০২৪
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি। আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’
গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’
তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

বিএনপির ভেতর ফ্যাসিস্ট হওয়ার খায়েশ রয়েছে বলে মনে করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, এ খায়েশ না থাকলে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের রাস্তা বন্ধ করতে চাইত দলটি।
আজ রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘২৮ অক্টোবর থেকে ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের কালো থাবা ও আগামীর বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ।
সেমিনারে মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘বিএনপির ভেতরে-ভেতরে ফ্যাসিস্ট হওয়ার একটা খায়েশ আছে মনে হচ্ছে, যে কারণে সংস্কার করে ফ্যাসিজমের যে রাস্তা আমরা বন্ধ করতে চাইছিলাম, এগুলো তারা বন্ধ করতে দিচ্ছে না।’
আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, ‘যখন এক ব্যক্তির হাতে অসীম ক্ষমতা থাকে, তখন ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়। আমরা তো সেটাই চেঞ্জ করে দিয়েছি, এ দেশের মানুষ তো সেটাই চায়। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের প্রধান একজন হইতে পারবে না। কোনো ব্যক্তি একাধারে ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী হইতে পারবে না। এগুলো যদি অ্যামেন্ডমেন্ট হয়, তাহলে স্বৈরাচারী চরিত্র এবং স্বৈরাচার হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগটা থাকে না। বিএনপি এই দুটোতেই নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছিল।’
কোনো রাজনৈতিক দলকে খুশি করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয় মন্তব্য করে তাহের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানো। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁর সরকারের প্রধান কাজ সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন। সুতরাং, সংস্কার ও বিচার বাদ দিয়ে শুধু নির্বাচন দিলে সরকারের প্রতিশ্রুতি রক্ষা হবে না।’
গণভোট কোনোভাবেই জাতীয় নির্বাচনের দিন সম্ভব নয় উল্লেখ করে তাহের বলেন, ‘হাসিনা শহীদ-আহতদের জন্য ব্যথিত না হয়ে মেট্রোরেল ভাঙচুরের জন্য কান্নার নাটক করেছে। একইভাবে বিএনপির কাছে ২ হাজার শহীদ ও ৫০ হাজারের অধিক আহত-পঙ্গুত্ব বরণকারীদের রক্তের চেয়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বেশি দামি।’
তাহের যোগ করেন, তাঁরা দাবি করছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে হলে তিন হাজার কোটি টাকা বাঁচবে। অথচ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ব্যতীত দেশ বারবার পথ হারাবে। শহীদদের রক্তের চেয়ে টাকার অঙ্ক কখনো দামি হতে পারে না। বিএনপিকে শহীদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নভেম্বরের গণভোট আয়োজনে সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে জামায়াত নেতা বলেন, ‘আপনি অন্যায়ের কাছে অতীতেও মাথানত করেননি। আশা করছি, এখনো কারও কাছে মাথানত করবেন না। আপনার প্রতিশ্রুতি ছিল সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন। সুতরাং, আপনার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য নভেম্বরে গণভোট এবং ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করুন। সংস্কার বাস্তবায়ন না হলে ড. ইউনূস জিরো, আর বাস্তবায়ন হলে ড. ইউনূস হিরো।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল মান্নান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ প্রমুখ।

অন্তর্বর্তী সরকার ‘মুখথুবড়ে পড়লে’ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিলম্ব ঘটতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমানউল্লাহ আমান। আজ সোমবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ৯০—এর ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের রূপকার সাইফুদ্দিন আহমেদ মনির
১৪ অক্টোবর ২০২৪
নেতা-কর্মীদের বিভেদ ও বিরোধ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, চারপাশে সুপ্ত আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গুপ্ত স্বৈরাচার ওত পেতে রয়েছে। সে জন্য নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, বিবাদ বা বিরোধ এমন পর্যায়ে নেওয়া ঠিক হবে না, যাতে প্রতিপক্ষ সে সুযোগ নিতে পারে। রাজধানীর বাংলাদেশ
১ ঘণ্টা আগে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার তিনি সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল—বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেছেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করছেন, এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি।’
২ ঘণ্টা আগে