নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দেবে না। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কথিত মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত ও নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া এবং কাতারকে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠার অনুমতি না দেওয়ার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। মানবিক করিডরের নামে আমাদের কাঁধে ভর করে আমেরিকা তার ভূরাজনীতির যে ব্লুপ্রিন্ট মিয়ানমারকে ঘিরে, তা কার্যকর করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তারা আমাদের সহযোগিতার কথা বলছে না। এখানে ভারতের প্রজেক্ট, চীনের ইনভেস্টমেন্ট আছে।’
শাহ আলম বলেন, ‘মিয়ানমারকে পাশ কাটিয়ে যদি মানবিক করিডর বাংলাদেশের মাধ্যমে হয়, তাহলে সামরিক জান্তা বসে থাকবে? সেখানে জান্তা সরকার বোম্বিং করবে। রোহিঙ্গা, আরাকান আর্মি সবাই শেষ হয়ে যাবে। খেলা শুরু হবে ভারত, চীন, আমেরিকার। এই খেলার মধ্যে আমাদের দেশ যদি পড়ে যায়, তাহলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমাদের দেশে নতুন গাজা তৈরি হবে।’
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকারপ্রধান কাতারে গিয়ে বললেন তাদের অস্ত্র বানাতে আমাদের ইপিজেডে জায়গা দেবেন। এটা ইন্টেরিম সরকারের করার কথা নয়। নির্বাচিত সরকারকেই বাংলাদেশে বিদেশিদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে দিইনি। রক্তাক্ত ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার এসেছে, তারাও বাংলাদেশকে ইজারা দিতে চাচ্ছে। তাদের স্বার্থ আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে।’
বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘এসব বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না, বরং সরকারের দায়িত্বশীল তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করিডরের বিষয়ে তিন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের নিউমুরিং টার্মিনাল একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই বন্দর তার ব্যবস্থাপনা করছে এবং এটা যথেষ্ট ভালো, অথচ এই প্রতিষ্ঠানকে এখন আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া হচ্ছে।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিদেশি সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানকে ডেকে আনা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ছিল, তখন এই বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা হয়েছিল। তখন শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সেখান থেকে শেখ হাসিনা সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমরা ফ্যাসিবাদে ফিরে যাব না, অথচ ফ্যাসিবাদী সরকার যে নীতিতে পরিচালিত হতো, সেভাবেই বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘তিনটা কনটেইনার টার্মিনালের একটা ইতিমধ্যে সৌদি আরবকে দেওয়া আছে। নিউমুরিং দেওয়ার কথা চলছে দুবাইকে। এই আরব যত কোম্পানি দেখেন, তাদের নাটাই হলো আমেরিকা। ডিপি ওয়ার্ল্ডের লেজ হিসেবে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়বে। তাদের চীনকে ঘেরাও করার যে রাজনীতি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের খবরদারি, সামরিক, রাজনীতি, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বাসনা পূরণ করতে তারা চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্র, বাংলাদেশের বন্দর, মাটি কাউকে ইজারা দেওয়া যাবে না। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আরও অনেক চুক্তি প্রকাশ্যে গোপনে হয়ে যাবে। সেটি আমরা হতে দেব কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এসবের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।’
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দেবে না। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কথিত মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত ও নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া এবং কাতারকে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠার অনুমতি না দেওয়ার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। মানবিক করিডরের নামে আমাদের কাঁধে ভর করে আমেরিকা তার ভূরাজনীতির যে ব্লুপ্রিন্ট মিয়ানমারকে ঘিরে, তা কার্যকর করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তারা আমাদের সহযোগিতার কথা বলছে না। এখানে ভারতের প্রজেক্ট, চীনের ইনভেস্টমেন্ট আছে।’
শাহ আলম বলেন, ‘মিয়ানমারকে পাশ কাটিয়ে যদি মানবিক করিডর বাংলাদেশের মাধ্যমে হয়, তাহলে সামরিক জান্তা বসে থাকবে? সেখানে জান্তা সরকার বোম্বিং করবে। রোহিঙ্গা, আরাকান আর্মি সবাই শেষ হয়ে যাবে। খেলা শুরু হবে ভারত, চীন, আমেরিকার। এই খেলার মধ্যে আমাদের দেশ যদি পড়ে যায়, তাহলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমাদের দেশে নতুন গাজা তৈরি হবে।’
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকারপ্রধান কাতারে গিয়ে বললেন তাদের অস্ত্র বানাতে আমাদের ইপিজেডে জায়গা দেবেন। এটা ইন্টেরিম সরকারের করার কথা নয়। নির্বাচিত সরকারকেই বাংলাদেশে বিদেশিদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে দিইনি। রক্তাক্ত ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার এসেছে, তারাও বাংলাদেশকে ইজারা দিতে চাচ্ছে। তাদের স্বার্থ আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে।’
বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘এসব বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না, বরং সরকারের দায়িত্বশীল তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করিডরের বিষয়ে তিন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের নিউমুরিং টার্মিনাল একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই বন্দর তার ব্যবস্থাপনা করছে এবং এটা যথেষ্ট ভালো, অথচ এই প্রতিষ্ঠানকে এখন আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া হচ্ছে।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিদেশি সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানকে ডেকে আনা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ছিল, তখন এই বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা হয়েছিল। তখন শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সেখান থেকে শেখ হাসিনা সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমরা ফ্যাসিবাদে ফিরে যাব না, অথচ ফ্যাসিবাদী সরকার যে নীতিতে পরিচালিত হতো, সেভাবেই বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘তিনটা কনটেইনার টার্মিনালের একটা ইতিমধ্যে সৌদি আরবকে দেওয়া আছে। নিউমুরিং দেওয়ার কথা চলছে দুবাইকে। এই আরব যত কোম্পানি দেখেন, তাদের নাটাই হলো আমেরিকা। ডিপি ওয়ার্ল্ডের লেজ হিসেবে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়বে। তাদের চীনকে ঘেরাও করার যে রাজনীতি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের খবরদারি, সামরিক, রাজনীতি, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বাসনা পূরণ করতে তারা চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্র, বাংলাদেশের বন্দর, মাটি কাউকে ইজারা দেওয়া যাবে না। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আরও অনেক চুক্তি প্রকাশ্যে গোপনে হয়ে যাবে। সেটি আমরা হতে দেব কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এসবের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।’
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দেবে না। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কথিত মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত ও নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া এবং কাতারকে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠার অনুমতি না দেওয়ার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। মানবিক করিডরের নামে আমাদের কাঁধে ভর করে আমেরিকা তার ভূরাজনীতির যে ব্লুপ্রিন্ট মিয়ানমারকে ঘিরে, তা কার্যকর করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তারা আমাদের সহযোগিতার কথা বলছে না। এখানে ভারতের প্রজেক্ট, চীনের ইনভেস্টমেন্ট আছে।’
শাহ আলম বলেন, ‘মিয়ানমারকে পাশ কাটিয়ে যদি মানবিক করিডর বাংলাদেশের মাধ্যমে হয়, তাহলে সামরিক জান্তা বসে থাকবে? সেখানে জান্তা সরকার বোম্বিং করবে। রোহিঙ্গা, আরাকান আর্মি সবাই শেষ হয়ে যাবে। খেলা শুরু হবে ভারত, চীন, আমেরিকার। এই খেলার মধ্যে আমাদের দেশ যদি পড়ে যায়, তাহলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমাদের দেশে নতুন গাজা তৈরি হবে।’
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকারপ্রধান কাতারে গিয়ে বললেন তাদের অস্ত্র বানাতে আমাদের ইপিজেডে জায়গা দেবেন। এটা ইন্টেরিম সরকারের করার কথা নয়। নির্বাচিত সরকারকেই বাংলাদেশে বিদেশিদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে দিইনি। রক্তাক্ত ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার এসেছে, তারাও বাংলাদেশকে ইজারা দিতে চাচ্ছে। তাদের স্বার্থ আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে।’
বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘এসব বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না, বরং সরকারের দায়িত্বশীল তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করিডরের বিষয়ে তিন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের নিউমুরিং টার্মিনাল একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই বন্দর তার ব্যবস্থাপনা করছে এবং এটা যথেষ্ট ভালো, অথচ এই প্রতিষ্ঠানকে এখন আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া হচ্ছে।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিদেশি সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানকে ডেকে আনা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ছিল, তখন এই বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা হয়েছিল। তখন শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সেখান থেকে শেখ হাসিনা সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমরা ফ্যাসিবাদে ফিরে যাব না, অথচ ফ্যাসিবাদী সরকার যে নীতিতে পরিচালিত হতো, সেভাবেই বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘তিনটা কনটেইনার টার্মিনালের একটা ইতিমধ্যে সৌদি আরবকে দেওয়া আছে। নিউমুরিং দেওয়ার কথা চলছে দুবাইকে। এই আরব যত কোম্পানি দেখেন, তাদের নাটাই হলো আমেরিকা। ডিপি ওয়ার্ল্ডের লেজ হিসেবে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়বে। তাদের চীনকে ঘেরাও করার যে রাজনীতি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের খবরদারি, সামরিক, রাজনীতি, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বাসনা পূরণ করতে তারা চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্র, বাংলাদেশের বন্দর, মাটি কাউকে ইজারা দেওয়া যাবে না। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আরও অনেক চুক্তি প্রকাশ্যে গোপনে হয়ে যাবে। সেটি আমরা হতে দেব কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এসবের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।’
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত এমন কোনো বিষয়ে ছাড় দেবে না। একই সঙ্গে বর্তমান সরকারের এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কথিত মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশকে সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে জড়ানোর চক্রান্ত ও নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশিদের দেওয়া এবং কাতারকে সামরিক সরঞ্জাম তৈরির কারখানা প্রতিষ্ঠার অনুমতি না দেওয়ার দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ এসব কথা বলেন জোটের নেতারা।
সমাবেশে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মো. শাহ আলম বলেন, ‘ইউনূস সরকার ক্ষমতায় আসার পর নতুন পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। মানবিক করিডরের নামে আমাদের কাঁধে ভর করে আমেরিকা তার ভূরাজনীতির যে ব্লুপ্রিন্ট মিয়ানমারকে ঘিরে, তা কার্যকর করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। আমাদের দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে তারা আমাদের সহযোগিতার কথা বলছে না। এখানে ভারতের প্রজেক্ট, চীনের ইনভেস্টমেন্ট আছে।’
শাহ আলম বলেন, ‘মিয়ানমারকে পাশ কাটিয়ে যদি মানবিক করিডর বাংলাদেশের মাধ্যমে হয়, তাহলে সামরিক জান্তা বসে থাকবে? সেখানে জান্তা সরকার বোম্বিং করবে। রোহিঙ্গা, আরাকান আর্মি সবাই শেষ হয়ে যাবে। খেলা শুরু হবে ভারত, চীন, আমেরিকার। এই খেলার মধ্যে আমাদের দেশ যদি পড়ে যায়, তাহলে দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। আমাদের দেশে নতুন গাজা তৈরি হবে।’
গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, ‘ইন্টেরিম সরকারপ্রধান কাতারে গিয়ে বললেন তাদের অস্ত্র বানাতে আমাদের ইপিজেডে জায়গা দেবেন। এটা ইন্টেরিম সরকারের করার কথা নয়। নির্বাচিত সরকারকেই বাংলাদেশে বিদেশিদের স্বার্থ প্রতিষ্ঠা করতে দিইনি। রক্তাক্ত ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে সরকার এসেছে, তারাও বাংলাদেশকে ইজারা দিতে চাচ্ছে। তাদের স্বার্থ আরও জোরদার করার উদ্যোগ নিচ্ছে।’
বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘এসব বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে না, বরং সরকারের দায়িত্বশীল তিনজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি করিডরের বিষয়ে তিন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। চট্টগ্রামের নিউমুরিং টার্মিনাল একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠান। এই বন্দর তার ব্যবস্থাপনা করছে এবং এটা যথেষ্ট ভালো, অথচ এই প্রতিষ্ঠানকে এখন আরব আমিরাতের ডিপি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া হচ্ছে।’
মাসুদ রানা বলেন, ‘গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিদেশি সেরা সেরা প্রতিষ্ঠানকে ডেকে আনা হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ছিল, তখন এই বন্দর ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব দেওয়ার কথা হয়েছিল। তখন শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে সেখান থেকে শেখ হাসিনা সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। আমরা ফ্যাসিবাদে ফিরে যাব না, অথচ ফ্যাসিবাদী সরকার যে নীতিতে পরিচালিত হতো, সেভাবেই বর্তমানে পরিচালিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘তিনটা কনটেইনার টার্মিনালের একটা ইতিমধ্যে সৌদি আরবকে দেওয়া আছে। নিউমুরিং দেওয়ার কথা চলছে দুবাইকে। এই আরব যত কোম্পানি দেখেন, তাদের নাটাই হলো আমেরিকা। ডিপি ওয়ার্ল্ডের লেজ হিসেবে মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়বে। তাদের চীনকে ঘেরাও করার যে রাজনীতি, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের খবরদারি, সামরিক, রাজনীতি, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার বাসনা পূরণ করতে তারা চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বাম জোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সমুদ্র, বাংলাদেশের বন্দর, মাটি কাউকে ইজারা দেওয়া যাবে না। উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমেরিকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন। আরও অনেক চুক্তি প্রকাশ্যে গোপনে হয়ে যাবে। সেটি আমরা হতে দেব কি না, তা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। এসবের সঙ্গে জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার প্রশ্ন জড়িত।’
ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল।
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে...
৭ ঘণ্টা আগেদেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল। এসব বিষয়ে নিষ্পত্তি না হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে না।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে কমিশনের সভাপতি বরাবর দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এমনটা বলা হয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়া দলগুলো হলো সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার পৌঁছে দেওয়া স্মারকলিপিতে সংস্কার কমিশন গঠন, সংলাপের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। সব দলের একমত হওয়া বিষয়গুলো সনদে স্থান দেওয়ার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত অনুলিপিতে নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমতের বিষয়গুলোও রাখা এবং চার দলের দেওয়া নোট অব ডিসেন্টগুলোর কারণ যথাযথভাবে উল্লেখ না করার কথা বলা হয়েছে এতে।
আপত্তি থাকা সনদের ৭ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো রেখে ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা; সনদের পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন; অঙ্গীকারনামার প্রথম দফায় সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভিন্নমত থাকা; দ্বিতীয় দফায় সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার কথা বলা হলেও নোট অব ডিসেন্ট থাকা; তৃতীয় দফায় সনদ নিয়ে কেউ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবে না, এটা নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী হওয়া; সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স ও প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স বাদ দিয়ে জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করা এবং পটভূমিতে আগের খসড়ায় উল্লেখ থাকলেও চূড়ান্ত সনদে ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা বাদ দেওয়া।
এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি না হওয়ায় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বিশেষ করে সংবিধানে বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি—গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এবং ১৫০(২) অনুচ্ছেদের ক্রান্তিকালীন বিধানের তফসিল পরিবর্তনে সম্মতি প্রদান ও আদালতে প্রশ্ন করা যাবে না, এমন বিষয়ে অঙ্গীকার করতে হয় এবং ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা অনুল্লেখ থাকা এমন কোনো সনদে ভিন্নমত দিয়ে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি না।’
সনদের যেসব বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে স্মরিকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের কনসার্নের বিষয়সমূহ যুক্ত করে এই সনদ পরিবর্তন না হলে আমরা তাতে স্বাক্ষর করতে পারব না।’
জানতে চাইলে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতি যেহেতু আমাদের জাতি গঠনের ইতিহাস। সেটাকে রক্ষা করেই অন্য বিষয়কে যুক্ত করতে হবে। কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা উল্লেখ করার কথা বলেছে, বাতিল করার কথা বলেনি। কিন্তু তারা যদি বিদ্যমান মূলনীতির সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলত, তাহলে সমস্যা হতো না। তাদের ব্যাখ্যা আমাদের মনঃপূত হয়নি।’
ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল। এসব বিষয়ে নিষ্পত্তি না হলে তারা জুলাই সনদে সই করবে না।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কার্যালয়ে গিয়ে কমিশনের সভাপতি বরাবর দলগুলোর পক্ষ থেকে দেওয়া স্মারকলিপিতে এমনটা বলা হয়েছে। স্মারকলিপি দেওয়া দলগুলো হলো সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ।
সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন ও বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানার পৌঁছে দেওয়া স্মারকলিপিতে সংস্কার কমিশন গঠন, সংলাপের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়। সব দলের একমত হওয়া বিষয়গুলো সনদে স্থান দেওয়ার কথা বলা হলেও চূড়ান্ত অনুলিপিতে নোট অব ডিসেন্ট বা ভিন্নমতের বিষয়গুলোও রাখা এবং চার দলের দেওয়া নোট অব ডিসেন্টগুলোর কারণ যথাযথভাবে উল্লেখ না করার কথা বলা হয়েছে এতে।
আপত্তি থাকা সনদের ৭ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে—সব দলের ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো রেখে ভিন্নমতগুলো অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা; সনদের পটভূমিতে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলনের ইতিহাস সঠিকভাবে উপস্থাপন; অঙ্গীকারনামার প্রথম দফায় সনদের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের কথা বলা হলেও ভিন্নমত থাকা; দ্বিতীয় দফায় সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করার কথা বলা হলেও নোট অব ডিসেন্ট থাকা; তৃতীয় দফায় সনদ নিয়ে কেউ আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবে না, এটা নাগরিকের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থী হওয়া; সংবিধানের ১৫০(২) অনুচ্ছেদে ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স ও প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স বাদ দিয়ে জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত করা এবং পটভূমিতে আগের খসড়ায় উল্লেখ থাকলেও চূড়ান্ত সনদে ১০৬ অনুচ্ছেদের কথা বাদ দেওয়া।
এসব বিষয়ের নিষ্পত্তি না হওয়ায় জুলাই সনদে স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বিশেষ করে সংবিধানে বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি—গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ এবং ১৫০(২) অনুচ্ছেদের ক্রান্তিকালীন বিধানের তফসিল পরিবর্তনে সম্মতি প্রদান ও আদালতে প্রশ্ন করা যাবে না, এমন বিষয়ে অঙ্গীকার করতে হয় এবং ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের কথা অনুল্লেখ থাকা এমন কোনো সনদে ভিন্নমত দিয়ে আমরা স্বাক্ষর করতে পারি না।’
সনদের যেসব বিষয়ে সম্মতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে স্মরিকলিপিতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের কনসার্নের বিষয়সমূহ যুক্ত করে এই সনদ পরিবর্তন না হলে আমরা তাতে স্বাক্ষর করতে পারব না।’
জানতে চাইলে বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংবিধানের মূলনীতি যেহেতু আমাদের জাতি গঠনের ইতিহাস। সেটাকে রক্ষা করেই অন্য বিষয়কে যুক্ত করতে হবে। কমিশন আমাদের জানিয়েছে, তারা উল্লেখ করার কথা বলেছে, বাতিল করার কথা বলেনি। কিন্তু তারা যদি বিদ্যমান মূলনীতির সঙ্গে যুক্ত করার কথা বলত, তাহলে সমস্যা হতো না। তাদের ব্যাখ্যা আমাদের মনঃপূত হয়নি।’
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত...
১৫ মে ২০২৫জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে...
৭ ঘণ্টা আগেদেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে—পিআরের পক্ষে দেশের জনগণ আছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিলটি মগবাজার গিয়ে শেষ হয়। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আল্লাহ তাদের বিদেশে পালাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু এখানে সেখানে আগুন-সন্ত্রাস করে বিভিন্নভাবে আবার ফিরে আসার চেষ্টা করছে তারা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা জালেমকে বিতাড়িত করেছে, ওই জালেমকে আবার সুযোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যান সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন, এই সরকারের কাজ হবে সব গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। কিন্তু সরকার তার প্রতিশ্রুতির কোনোটিই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। একটি দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে সরকার কেবল নির্বাচনের কথাই বলছে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কোনো দল সংঘর্ষে জড়ালে কিংবা ভোট কারচুপি হলে গণভোটও বিতর্কিত হবে। তাই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
একই দাবিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের জনতা প্রতিহত করবে। জুলাইয়ের এত রক্ত ও জীবনের পরে কোনো অবস্থাতেই আর কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে।’
পাঁচ দাবিতে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো। এরপর ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে তারা।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে—পিআরের পক্ষে দেশের জনগণ আছে।’
আজ সোমবার রাজধানীর মহাখালীতে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াত আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সমাবেশ শেষে মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে থেকে মিছিলটি মগবাজার গিয়ে শেষ হয়। যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গতকাল জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট সরকারের অত্যাচারে অনেক কষ্ট পেয়েছে। আল্লাহ তাদের বিদেশে পালাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু এখানে সেখানে আগুন-সন্ত্রাস করে বিভিন্নভাবে আবার ফিরে আসার চেষ্টা করছে তারা। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা জালেমকে বিতাড়িত করেছে, ওই জালেমকে আবার সুযোগ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।’
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটকে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াত। সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররম থেকে পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত যান সংগঠনের নেতারা।
সমাবেশে দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জাতির সামনে ওয়াদা করেছেন, এই সরকারের কাজ হবে সব গণহত্যার বিচার এবং রাষ্ট্রের সংস্কার শেষে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেওয়া। কিন্তু সরকার তার প্রতিশ্রুতির কোনোটিই এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি। একটি দলের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে সরকার কেবল নির্বাচনের কথাই বলছে।
জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোটের সুযোগ নেই উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগিতায় কোনো দল সংঘর্ষে জড়ালে কিংবা ভোট কারচুপি হলে গণভোটও বিতর্কিত হবে। তাই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন করতে হবে।
একই দাবিতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের পূর্ব পাশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের মহাসচিব ইউনুস আহমাদ বলেন, ‘পুরোনো বন্দোবস্তের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে আগের পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের জনতা প্রতিহত করবে। জুলাইয়ের এত রক্ত ও জীবনের পরে কোনো অবস্থাতেই আর কোনো ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে হবে। নির্বাচনের আগে গণভোট হতে হবে।’
পাঁচ দাবিতে গতকাল রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলো। এরপর ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে তারা।
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত...
১৫ মে ২০২৫ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল।
৫ ঘণ্টা আগেদেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগেবিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের মুখপাত্র হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় গণঅধিকার পরিষদ। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একনিষ্ঠভাবে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার সেই আশার প্রতিফলন দেখাতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকার এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। আমরা দেশে আর কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’ তাই আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কেটে গেছে। এখন অতি দ্রুত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিয়ে আপনারা ওয়াদা বাস্তবায়ন করেন। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, চক্রান্তের পরিমাণ তত বাড়বে। আগামী জানুয়ারি মাসে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন।’
রাশেদ খান আরও বলেন, সরকার যদি দলগুলোর প্রস্তাবে যতটুকু মিল ছিল, সেগুলো নিয়ে সংস্কার শুরু করত, তাহলে এত আলোচনা হতো না। নির্বাচন চলে এসেছে, অথচ সংস্কারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর সংস্কার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘যে এনএসআই, এসবি ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে নির্বাচন করেছে, হাসিনাকে তুষ্ট করা সেই গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা এখনো বহাল আছে। এই অবস্থায় কি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব? এনএসআই ও ডিজিএফআইকে যদি সংস্কার করা না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে তিনটা গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার করতে হবে। যারা গত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিচার করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাঁদের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচন করা যাবে না।’
রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদে অধিকাংশ দল স্বাক্ষর করেছে। যারা করেনি, আমরা আশা করি, তারা হঠকারী না হয়ে স্বাক্ষর করবে।’
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে দেখছি বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, হাসিনার দোসরেরা নির্বাচন বানচাল করতে উদ্গ্রীব হয়ে উঠবে। বিমানবন্দরে যা ঘটেছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ। স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের গুপ্ত হত্যা শুরু হবে।’
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে ডামি, স্বতন্ত্র কোনো নামেই আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী অংশ নিতে পারবে না। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে আর আমরা কি ললিপপ খাব?’
সংবাদ সম্মেলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রাশেদ খান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান।
দেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলের মুখপাত্র হাসান আল মামুন। তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন চায় গণঅধিকার পরিষদ। আমরা শুরু থেকে এই সরকারকে একনিষ্ঠভাবে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে আসছি। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার সেই আশার প্রতিফলন দেখাতে পারেনি। আইনশৃঙ্খলাসহ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকার এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। আমরা দেশে আর কোনো বিশৃঙ্খলা দেখতে চাই না।’ তাই আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানায় গণঅধিকার পরিষদ।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ছিল, তা কেটে গেছে। এখন অতি দ্রুত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করতে হবে। জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিয়ে আপনারা ওয়াদা বাস্তবায়ন করেন। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে, চক্রান্তের পরিমাণ তত বাড়বে। আগামী জানুয়ারি মাসে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিন।’
রাশেদ খান আরও বলেন, সরকার যদি দলগুলোর প্রস্তাবে যতটুকু মিল ছিল, সেগুলো নিয়ে সংস্কার শুরু করত, তাহলে এত আলোচনা হতো না। নির্বাচন চলে এসেছে, অথচ সংস্কারের দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর সংস্কার না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘যে এনএসআই, এসবি ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪ সালে নির্বাচন করেছে, হাসিনাকে তুষ্ট করা সেই গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা এখনো বহাল আছে। এই অবস্থায় কি সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব? এনএসআই ও ডিজিএফআইকে যদি সংস্কার করা না হয়, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনের আগে তিনটা গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার করতে হবে। যারা গত তিন নির্বাচনে দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের বিচার করতে হবে, চাকরিচ্যুত করতে হবে। তাঁদের অধীনে কোনোভাবেই নির্বাচন করা যাবে না।’
রাশেদ খান বলেন, ‘জুলাই সনদে অধিকাংশ দল স্বাক্ষর করেছে। যারা করেনি, আমরা আশা করি, তারা হঠকারী না হয়ে স্বাক্ষর করবে।’
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘নির্বাচন সামনে রেখে দেখছি বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগ। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, হাসিনার দোসরেরা নির্বাচন বানচাল করতে উদ্গ্রীব হয়ে উঠবে। বিমানবন্দরে যা ঘটেছে, তা ষড়যন্ত্রের অংশ। স্বৈরাচারের দোসরদের চিহ্নিত করুন। একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্বাভাবিক নয়। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, আওয়ামী লীগের গুপ্ত হত্যা শুরু হবে।’
আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ১৪ দল অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আগামী নির্বাচনে ডামি, স্বতন্ত্র কোনো নামেই আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী অংশ নিতে পারবে না। তারা নির্বাচনে অংশ নেবে আর আমরা কি ললিপপ খাব?’
সংবাদ সম্মেলনে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনের দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রাশেদ খান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম আজহার, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রিদওয়ান উল্লাহ খান।
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত...
১৫ মে ২০২৫ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল।
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে...
৭ ঘণ্টা আগেবিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
১১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের ওপর হামলা, নির্যাতন ও মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
এনসিপি মনে করে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাদের ওপর আক্রমণ জনগণের তথ্য জানার অধিকার কেড়ে নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি তিনটি দাবি করেছে। এগুলো হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
সেই সঙ্গে, বিএনপির প্রতি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা জাহিদুল ইসলাম ও সব নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে এনসিপি দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।’
বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক হেনস্তার ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করে দলটি।
দলের মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত ১৯ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক জাহিদুল ইসলামের ওপর হামলা, নির্যাতন ও মোবাইল ভাঙচুরের ঘটনায় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।’
এনসিপি মনে করে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাদের ওপর আক্রমণ জনগণের তথ্য জানার অধিকার কেড়ে নেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি তিনটি দাবি করেছে। এগুলো হলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
সেই সঙ্গে, বিএনপির প্রতি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা জাহিদুল ইসলাম ও সব নির্যাতিত সাংবাদিকের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করে নাগরিকদের মতপ্রকাশ ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে এনসিপি দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।’
মানবিক করিডরের নামে বাংলাদেশ, মিয়ানমারসহ দক্ষিণ এশিয়ায় অস্থিরতা তৈরি করে যুদ্ধ বাধানোর চক্রান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। আর তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকার সহযোগী ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। তাঁরা বলছেন, বাংলাদেশের জনগণ দেশের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তায় জড়িত...
১৫ মে ২০২৫ঐকমত্য হওয়া বিষয়গুলো শুধু জুলাই জাতীয় সনদে রাখা, সনদ নিয়ে আদালতে যাওয়ার সুযোগ রাখা, রাষ্ট্রপরিচালনার চার মূলনীতি তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি বাদ না দেওয়া, জুলাই সনদ সংবিধানের তফসিলে যুক্ত না করাসহ সাতটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে সিপিবি-বাসদসহ বামপন্থী চারটি দল।
৫ ঘণ্টা আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন ‘যাঁরা পিআরের বিরোধিতা করছেন, আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই, সাহস থাকলে আজকে গণভোটের মুখোমুখি হন। দেখা যাবে আপনাদের পক্ষে জনগণ না, পিআরের পক্ষে। এ জন্য আমরা বলতে চাই, নভেম্বরের মধ্যেই গণভোটের ব্যবস্থা করে প্রমাণ করতে হবে...
৭ ঘণ্টা আগেদেশে ধারাবাহিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা জানিয়েছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে পারে। এ কারণে আগামী জানুয়ারি মাসেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
১১ ঘণ্টা আগে