Ajker Patrika

সংস্কারে ঐকমত্য না হলে গণভোট চায় জামায়াত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ৫৬
নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত
নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। ছবি: সংগৃহীত

ঐকমত্য কমিশনের সংলাপ থেকে মৌলিক সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন না হলে গণভোটের প্রস্তাব করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, সবাই জনগণের পক্ষে থাকবে। কিন্তু যদি কেউ সংস্কার বাধাগ্রস্ত করে, তাহলে একমাত্র পথ হচ্ছে গণভোট। জনগণই ঠিক করবে তারা কোন পদ্ধতি চায়, কোন সংস্কার চায়। গণভোটের ফলকেই ভবিষ্যতের জন্য চূড়ান্ত ম্যান্ডেট হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। যদি জনগণ সংস্কার চায়, কেউ এর বিরোধিতা করার অধিকার রাখে না।’

আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ১৪তম দিন শেষে এসব কথা বলেন দলটির নায়েবে আমির।

তাহের জানান, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে কমিশন যেসব প্রস্তাব দিয়েছে, তার মধ্যে উচ্চকক্ষে প্রাপ্ত ভোটের ভিত্তিতে (পিআর পদ্ধতিতে) নির্বাচনের বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তাহের বলেন, ‘আমরা আশা করি, কমিশন সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের অভিমতের ভিত্তিতে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

দলটির নায়েবে আমির জানান, উচ্চকক্ষে এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যেখানে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোট অনুযায়ী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে। এতে শুধু বড় দল নয়, ছোট দলগুলোর কণ্ঠও উচ্চকক্ষে প্রতিফলিত হবে এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ জাতীয় আইনসভা গড়ে উঠবে।

সংবিধান সংশোধনের ক্ষেত্রে জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি যেন সহজে পরিবর্তনযোগ্য না হয়। এ জন্য তারা নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ এবং উচ্চকক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারা—যেমন সংবিধানের প্রস্তাবনা, ৮, ৪৮, ৫৬, ১৪২ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত ৫৮(ক), (গ) ও (ঘ) সংশোধনের জন্য গণভোটের প্রয়োজনীয়তা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা প্রায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে।

সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘সংবিধান জাতীয় স্বার্থের দলিল। এটা যেন কোনো একক দল তাদের ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করতে না পারে, সে জন্যেই আমরা এই সুরক্ষার বিধান চেয়েছি।’

নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়ে জামায়াতের অবস্থান স্পষ্ট করে তাহের বলেন, ‘আমরা ১০০টি আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের বিরোধিতা করছি না। তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় মাঠে-ময়দানে নারী প্রার্থীদের জন্য যেসব চ্যালেঞ্জ থাকে, তা বিবেচনায় এনে প্রস্তাব করেছি— এই ১০০টি আসনও পিআর পদ্ধতিতে নির্ধারিত হোক।’

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে হলে নারীদের মাঠে নামতে না হলেও দলীয়ভাবে মনোনয়ন পাওয়া যাবে এবং জাতীয়ভাবে ভোটে নির্বাচিত হওয়া যাবে। এতে নারীদের নিরাপত্তা ও অংশগ্রহণ দুটোই নিশ্চিত হবে।

জামায়াত নেতার মতে, শুধু ১০০ নারী আসনে নারীরা ভোট দেবে, আর বাকি ৩০০ আসনে নারী-পুরুষ উভয়েই ভোট দেবে—এ ধরনের ব্যবস্থায় অসামঞ্জস্য তৈরি হয়। তাই তিনি সবগুলো আসনেই পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব দেন, যাতে নারী-পুরুষ উভয়ই অংশ নেওয়ার সমান সুযোগ পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বদলির আদেশ ছিঁড়ে বরখাস্ত হলেন এনবিআরের ১৪ কর্মকর্তা

দরপত্র ছাড়াই জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান, এরা কারা

বাংলাদেশের সোনালি মুরগিতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া: গবেষণা

ট্রাকে করে ৪৩ হাজার পৃষ্ঠার নথি ইসিতে জমা দিয়েও নিবন্ধন পেল না এনসিপি

প্রেক্ষাপটবিহীন প্রতিবেদন কি সাংবাদিকতা হতে পারে?

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত