নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
২০১২ সালে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১১১ জন শ্রমিক। সেই মামলার মূল আসামি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেন। এত দিনেও মামলার সুরাহা না হলেও দেলোয়ারকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি নির্বাচিত করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগ।
গত ১১ মে সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেলোয়ার হোসেন সভাপতি ও আবদুল জলিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে কথা বলেন খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ২২ মে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কমিটি নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দেলোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও আবদুল জলিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন করেছে মৎস্যজীবী লীগ। সংগঠনের সভাপতি সায়ীদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজগর লস্কর ও কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে দুই নেতাকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ৮৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে তা কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মৎস্যজীবী লীগের নেতারা জানান, দেলোয়ার হোসেন রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও সংগঠনের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের পছন্দের লোক। এর আগে ২০১৮ সালে তাঁকে ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক করা হয়। সেই সময় মৎস্যজীবী লীগ লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছিল না। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সম্মেলনে সংগঠনটিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন করা হয়।
এত সমালোচনার পরও দেলোয়ার হোসেনকে কেন সভাপতি পদে রাখা হলো তা জানতে সাধারণ সম্পাদক আজগর লস্করের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলো তিনি জবাব দেননি। কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনি বিষয়টি নিয়ে সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’ সায়ীদুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কয়েকবার কল করা হয়। তিনবার কল ধরে ‘হ্যালো’ ‘হ্যালো’ বলেন। আর কোনো কথা বলেননি। ওপাশ থেকে শুধু অন্যদের কথা শোনা যায়।
২০১২ সালে আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন পোশাকশ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশে-বিদেশে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তৈরি পোশাক খাত থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। পরে নানা কমপ্লায়েন্সের শর্ত দেয় তারা।
অগ্নিদুর্ঘটনার পরের বছর অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অভিযোগপত্র আসামিরা হলেন—তাজরীনের এমডি দেলোয়ার হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলামসহ ১৩ জন। বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে মুক্ত আছেন। মামলার সাক্ষী ১০৪ জন।
তাজরীনের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। তবে সাক্ষী হাজির করতে না পেরে বারবার সময় চেয়ে নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
২০১২ সালে আশুলিয়ার তাজরীন ফ্যাশনসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারান ১১১ জন শ্রমিক। সেই মামলার মূল আসামি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেন। এত দিনেও মামলার সুরাহা না হলেও দেলোয়ারকে ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি নির্বাচিত করেছে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী লীগ।
গত ১১ মে সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দেলোয়ার হোসেন সভাপতি ও আবদুল জলিল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। নতুন কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্তদের তালিকা গণমাধ্যমে প্রকাশের পরই সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ নিয়ে কথা বলেন খোদ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গত ২২ মে মৎস্যজীবী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কমিটি নিয়ে যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার দেলোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও আবদুল জলিলকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদন করেছে মৎস্যজীবী লীগ। সংগঠনের সভাপতি সায়ীদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আজগর লস্কর ও কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক স্বাক্ষরিত এ চিঠিতে দুই নেতাকে আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে ৮৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে তা কেন্দ্রে জমা দিতে বলা হয়েছে।
মৎস্যজীবী লীগের নেতারা জানান, দেলোয়ার হোসেন রাজনীতিতে সক্রিয় না থাকলেও সংগঠনের সভাপতি সায়ীদুর রহমানের পছন্দের লোক। এর আগে ২০১৮ সালে তাঁকে ঢাকা উত্তরের আহ্বায়ক করা হয়। সেই সময় মৎস্যজীবী লীগ লীগ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছিল না। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সম্মেলনে সংগঠনটিকে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন করা হয়।
এত সমালোচনার পরও দেলোয়ার হোসেনকে কেন সভাপতি পদে রাখা হলো তা জানতে সাধারণ সম্পাদক আজগর লস্করের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলো তিনি জবাব দেননি। কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আপনি বিষয়টি নিয়ে সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেন।’ সায়ীদুর রহমানের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কয়েকবার কল করা হয়। তিনবার কল ধরে ‘হ্যালো’ ‘হ্যালো’ বলেন। আর কোনো কথা বলেননি। ওপাশ থেকে শুধু অন্যদের কথা শোনা যায়।
২০১২ সালে আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১১১ জন পোশাকশ্রমিক আগুনে পুড়ে মারা যান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশে-বিদেশে বেশ সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তৈরি পোশাক খাত থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করে। পরে নানা কমপ্লায়েন্সের শর্ত দেয় তারা।
অগ্নিদুর্ঘটনার পরের বছর অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অভিযোগপত্র আসামিরা হলেন—তাজরীনের এমডি দেলোয়ার হোসেন, তাঁর স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার, প্রকৌশলী এম মাহবুবুল মোর্শেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা দুলাল, স্টোর ইনচার্জ হামিদুল ইসলামসহ ১৩ জন। বর্তমানে আসামিরা সবাই জামিনে মুক্ত আছেন। মামলার সাক্ষী ১০৪ জন।
তাজরীনের ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এমডিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। তবে সাক্ষী হাজির করতে না পেরে বারবার সময় চেয়ে নেয় রাষ্ট্রপক্ষ।
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেশফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যে দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সে দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ
২ দিন আগেনাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের
২ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
২ দিন আগে