সিলেট প্রতিনিধি
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন মানুষের প্রত্যাশার নির্বাচন। তিন-তিনটি নির্বাচনে মানুষ পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারেনি। আমরা আশা করি, আগামী বছরের প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং হওয়া উচিত। এর সঙ্গে আমরা এটাও বলেছি, যদি প্রয়োজনীয় বা বেসিক সংস্কার করা না হয় এবং যদি আগের মতোই নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচন জাতির জন্য আরেকটি দুঃখ এবং বেদনার কারণ হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা জানি, এ সময়ে বিচারকার্য শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই বিচারের সময়ে সরকার এবং বিচার বিভাগের আন্তরিকতাটা দেখতে চাই। আমরা দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই। দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর শাস্তি দেখতে চাই। এর পর এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পরে যাঁরা দেশের শাসনক্ষমতায় আসবেন, সেই বিচারকার্যটা চালিয়ে যাবেন। যদি কেউ ধানাই-পানাই করেন, মনে রাখবেন যুবকেরা রাস্তা চিনে ফেলছে। ভবিষ্যতে আপনি করেন আর আমি করি, ধানাই-পানাই করলে আপনাকে বা আমাকে ছাড় দেবে না।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘লড়াই আমরা চালিয়ে যাব, মানুষের মুক্তির জন্য যতক্ষণ আল্লাহ আমাদের হায়াত দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী একাই দেশ চালাতে পারবে না। সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সব দলমতের মানুষের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এই মেসেজ এই বার্তা দিতে চাই, সততা, স্বচ্ছতা, দেশপ্রেমের প্রতি আমরা চলব। অবিরত খরস্রোতা নদী হয়ে ইনশা আল্লাহ। কিন্তু এর বিপরীত ধারায় যতজন চলবেন, তাঁদের নদীর স্রোত যত প্রবল হোক, ইনশা আল্লাহ আল্লা’তালার শক্তি দিয়ে আমরা তা থামিয়ে দেব। উল্টো চলতে দেব না।’
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আমাদের রাজনীতি এ জন্য নয়, যে আমরা ক্ষমতার তক্তে বসে, চেয়ারে বসে বাংলাদেশের কোন সম্পদ কীভাবে নিজের এবং শ্বশুর পরিবারে আয়ত্তে করা যায়, সে চেষ্টা করব; এই রাজনীতি আমরা করব না ইনশা আল্লাহ। আমি আমার কর্মীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আগামীর রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব হবে নিজের বাবার সম্পত্তি এবং নিজের সম্পত্তি থেকে জনগণের জন্য খরচ করা। যাঁরা সামাজিক দায়িত্বে নির্বাচিত হবেন, তাঁরা আগে দলের কাছে তাঁদের সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন, তারপর দেশের কাছে জমা দেবেন। প্রতিবছর এই বিবরণী দেবেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব, আপনার হালত কী দাঁড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ১৮ কোটি মানুষের চোখ থাকবে আপনারা কী করেন না করেন। আর আল্লাহর ফেরেশতাদের চোখ থাকবে নির্ভুল চোখ। সেটা নিয়েই আমরা আগামীর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যেই দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সেই দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ নয়।’
সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম বাবুলের যৌথ সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির কাজী মুখলেছুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিলেট মহানগর সভাপতি গাজী রহমত উল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সায়িদ প্রমুখ।
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন মানুষের প্রত্যাশার নির্বাচন। তিন-তিনটি নির্বাচনে মানুষ পছন্দ অনুযায়ী ভোট দিতে পারেনি। আমরা আশা করি, আগামী বছরের প্রথমার্ধে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং হওয়া উচিত। এর সঙ্গে আমরা এটাও বলেছি, যদি প্রয়োজনীয় বা বেসিক সংস্কার করা না হয় এবং যদি আগের মতোই নির্বাচন হয়, তাহলে এই নির্বাচন জাতির জন্য আরেকটি দুঃখ এবং বেদনার কারণ হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সিলেটের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মহানগর জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের স্মরণে দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা জানি, এ সময়ে বিচারকার্য শেষ করা সম্ভব নয়। কিন্তু এই বিচারের সময়ে সরকার এবং বিচার বিভাগের আন্তরিকতাটা দেখতে চাই। আমরা দৃশ্যমান কিছু দেখতে চাই। দু-চারটা হলেও শীর্ষ অপরাধীর শাস্তি দেখতে চাই। এর পর এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পরে যাঁরা দেশের শাসনক্ষমতায় আসবেন, সেই বিচারকার্যটা চালিয়ে যাবেন। যদি কেউ ধানাই-পানাই করেন, মনে রাখবেন যুবকেরা রাস্তা চিনে ফেলছে। ভবিষ্যতে আপনি করেন আর আমি করি, ধানাই-পানাই করলে আপনাকে বা আমাকে ছাড় দেবে না।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘লড়াই আমরা চালিয়ে যাব, মানুষের মুক্তির জন্য যতক্ষণ আল্লাহ আমাদের হায়াত দিয়েছেন। জামায়াতে ইসলামী একাই দেশ চালাতে পারবে না। সে জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। সব দলমতের মানুষের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, এই মেসেজ এই বার্তা দিতে চাই, সততা, স্বচ্ছতা, দেশপ্রেমের প্রতি আমরা চলব। অবিরত খরস্রোতা নদী হয়ে ইনশা আল্লাহ। কিন্তু এর বিপরীত ধারায় যতজন চলবেন, তাঁদের নদীর স্রোত যত প্রবল হোক, ইনশা আল্লাহ আল্লা’তালার শক্তি দিয়ে আমরা তা থামিয়ে দেব। উল্টো চলতে দেব না।’
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে শফিকুর রহমান বলেন, ‘আল্লাহর কসম, আমাদের রাজনীতি এ জন্য নয়, যে আমরা ক্ষমতার তক্তে বসে, চেয়ারে বসে বাংলাদেশের কোন সম্পদ কীভাবে নিজের এবং শ্বশুর পরিবারে আয়ত্তে করা যায়, সে চেষ্টা করব; এই রাজনীতি আমরা করব না ইনশা আল্লাহ। আমি আমার কর্মীদের সাফ জানিয়ে দিয়েছি, আগামীর রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্ব হবে নিজের বাবার সম্পত্তি এবং নিজের সম্পত্তি থেকে জনগণের জন্য খরচ করা। যাঁরা সামাজিক দায়িত্বে নির্বাচিত হবেন, তাঁরা আগে দলের কাছে তাঁদের সম্পদ বিবরণী জমা দেবেন, তারপর দেশের কাছে জমা দেবেন। প্রতিবছর এই বিবরণী দেবেন, আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখব, আপনার হালত কী দাঁড়িয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ১৮ কোটি মানুষের চোখ থাকবে আপনারা কী করেন না করেন। আর আল্লাহর ফেরেশতাদের চোখ থাকবে নির্ভুল চোখ। সেটা নিয়েই আমরা আগামীর দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।’
শফিকুর রহমান বলেন, ‘দুর্নীতি আমাদের সংস্কৃতি নয়, চাঁদাবাজি আমাদের সংস্কৃতি নয়, দখলদারি আমাদের সংস্কৃতি নয়। যে দল তার কর্মীদের এভাবে গড়ে তুলতে পেরেছে, সেই দলের হাতে দেশ এলে ইনশা আল্লাহ দেশ গড়ে তুলতে পারবে। যেই দল তার কর্মীদের সামাল দিতে পারছে না বা পারবে না, সেই দলের হাতে বাংলাদেশের একজন মানুষও নিরাপদ নয়।’
সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি মোহাম্মদ শাহজাহান আলী ও নায়েবে আমির নুরুল ইসলাম বাবুলের যৌথ সঞ্চালনায় দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট জেলা আমির মাওলানা হাবিবুর রহমান, সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন, হবিগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির কাজী মুখলেছুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিলেট মহানগর সভাপতি গাজী রহমত উল্লাহ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সায়িদ প্রমুখ।
বাংলাদেশের জনগণ যে পরিবর্তনের আশায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে, সেই পথ রুদ্ধ করার চেষ্টা করলে তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সংগঠনটির নেতারা বলেছেন, যারা নতুন করে ফ্যাসিবাদ কায়েমের চেষ্টা করছে, প্রয়োজনে তাদেরও রুখে দেওয়া হবে।
৮ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমাদের লড়াই শেষ হয়নি। আমাদের লড়াই মুজিববাদ ও ফ্যাসিবাদ বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে শুরু করেছিলাম। আমরা নতুন বাংলাদেশ চেয়েছিলাম। সেই লড়াই এখনো শেষ হয়নি। কারণ, আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত নতুন বাংলাদেশ পাইনি। জনগণের পাশে আমাদের আবারও দাঁড়াতে হবে। এলাকায় এলাকায় যে দুর্বৃত্তায়নের
১ দিন আগে‘আমরা খবর পাচ্ছি, যাঁরা এনসিপিতে যোগ দিতে চান, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। ওপরে আল্লাহ, নিচে মাটি, জালিমের শাসনের কবর হয়েছে। এনসিপির কোনো নেতা-কর্মীর দিকে চোখ তুলে তাকাবেন না। আমরা গণতন্ত্র উত্তরণের জন্য একটি রাজনৈতিক দল। আরেকটি রাজনৈতিক দলকে সহযোগিতা করব। কিন্তু পরশ্রীকাতরতা ও হিংসার রাজনীত
১ দিন আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আগামী ৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সব সময় ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এখানকার সাহসী সন্তানেরা বারবার রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন।
১ দিন আগে